নিম্নমানের পরিচয়পত্র বিতরণ: দায় স্বীকার ইসির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: ২০১২ সাল ও পরবর্তী সময়ে ভোটারদের মাঝে যেসব কাগজে মুদ্রিত জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে, সেগুলো নিম্নমানের ছিল বলে দায় স্বীকার করেছে খোদ নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি নিম্নমানের কার্ডগুলো পরিবর্তন করে নিতে ভোটারদের আহ্বানও জানানো হয়েছে।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের পরিচালক সরকার মো. আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিম্নমানের কার্ড বিতরণের বিষয়টি উঠে এসেছে।

২০১২ সাল ও এর পরে ভোটার হওয়া প্রায় ৯৩ লাখ নাগরিককে কাগজে মুদ্রিত লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যথারীতি কার্যক্রম শুরু হলে বেশ কিছু জেলা-উপজেলায় এনআইডি কার্ড বিতরণও করা হয়। কিন্তু কার্ডগুলো নিম্নমানের বলে অভিযোগ উঠে।

এদিকে আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১২ সাল ও তার পরবর্তী সময়ে যেসব উপজেলা ও থানায় ইতোমধ্যে কাগজে মুদ্রিত লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে, সেসব জাতীয় পরিচয়পত্রের মান তুলনামূলক নিম্নমানের হওয়ায় সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জাতীয় সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১২ সাল ও পরবর্তী সময় নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে যারা এখনো পরিচয়পত্র পাননি, তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের বিবেচনায় কাগজে মুদ্রিত লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র মুদ্রণ করে বিভিন্ন উপজেলা ও থানায় প্রেরণ করা শুরু হয়েছে।

আশা করা যায়, আগামী তিন মাসের মধ্যে মুদ্রণ কাজ শেষ করে উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসে ২০১২ সাল ও তার পরবর্তী সময়ের না দেওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র প্রেরণ সম্ভব হবে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ২০১২ সাল ও তার পরবর্তী সময়ে হওয়া ভোটারদের মুদ্রিত লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র ৭টি জেলার সব উপজেলার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে পাঠানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের ১২তম সভায় ২০১২ সালের হালনাগাদের পর ভোটার হওয়া নাগরিকদের কাগজ মুদ্রিত লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কোনো প্রকার কার্ড না পাওয়া প্রায় ৯৩ লাখ ভোটারের জন্য কাগজে মুদ্রিত লেমিনেটেড কার্ড আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে প্রস্তুত করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে পৌঁছানোর বিষয়ে বিশ্বব্যাংক থেকেও অনুমোদন পায়।

চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এক লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৯৩ লাখ ভোটারের কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেড ইতোমধ্যে ৪০টি জেলার সব উপজেলার প্রায় ৭০ লাখ কার্ড মুদ্রণ শেষ করেছে। যা মোট কাজের প্রায় ৭৫ ভাগ। এর মধ্যে ৭টি জেলার সকল উপজেলার কার্ড সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে পাঠানো হয়েছে। বাকি ২৩ লাখ কার্ড মুদ্রণ সম্পন্ন হতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে। চলতি মাসেই সব জেলার সব উপজেলা নির্বাচন অফিসে কার্ড পৌঁছানো সম্ভব হবে।’

স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডের ৯৩ লাখ কার্ড ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দেওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে তারা দিতে না পারলেও ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কার্ড তৈরির কাজ শেষ করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির তৈরি পরিচয়পত্র অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে সেসব না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে এই প্রতিষ্ঠানকে আবারও নতুন করে মানসম্পন্ন ৯৩ লাখ কাগজে মুদ্রিত কার্ড তৈরির কাজ দেয় কমিশন। বর্তমানে কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি পরিচয়পত্র কমিশনকে সরবরাহ করছে। কমিশন সূত্রে জানা যায়, সেগুলো বেশ কয়েকটি উপজেলায় বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে পাঠানোও হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকার মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘২০১২ সালের পর মুদ্রিত লেমিনেটেড কার্ড দেওয়া হয়। নিম্নমানের লেমিনেট কার্ড ধরা পড়ার আগে কিছু কার্ড বোধহয় বিতরণ হয়েছে। সেসব লোক যদি বলেন, আমরা নিম্নমানের কার্ড পেয়েছি, আমাদেরকে ভালো মানের কার্ড দেন। তাহলে আমরা তাদেরকে ভালো মানের কার্ড দেবো।’

আশরাফুল আলম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিকে দায়িত্ব দেওয়ার পর আমরা ৫ থেকে ৭টি উপজেলায় তাদের মুদ্রিত এনআইডি কার্ড বিতরণ করেছি। সেগুলোর মান মোটামুটি ভালো ছিল। পরবর্তীতে যখন প্রতিষ্ঠানটির কার্ড দেওয়ার সময় পার হয়ে যাচ্ছিল, তখন তারা তাড়াহুড়া করছিল। ওই সময় তারা নিম্নমানের কার্ড তৈরি করছিল। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, এই নিম্নমানের কার্ডগুলো আমরা নিব না। এখন প্রতিষ্ঠানটি আবার ৯৩ লাখ কার্ডই পুনর্মুদ্রন করছে।’

   

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে মানবাধিকার সম্পর্কিত একটি নতুন শাখা চালু করার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই পরামর্শ দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কুতুপালং এবং ভাসানচর পরিদর্শনের জন্য বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়।

কমিটির সভাপতি এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শাহরিয়ার আলম, নাহিম রাজ্জাক, নিজাম উদ্দিন জলিল, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান, সাইমুম সারওয়ার, জারা জাবীন মাহবুব অংশ নেন।

 

;

ঢাকাসহ ৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকাসহ দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

;

ইসলামি সংগীত শিল্পী সালমানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় নিহত তিনজনের একজন সালমান আজাদী। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং ইসলামি সঙ্গীত শিল্পী ও প্রশিক্ষক। তার মৃত্যুতে ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং স্বজন-শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সালমান আজাদী।

তিনি বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার হাপানিয়া এলাকার মৃত কোরবান আলীর ছেলে। নিহত সালমান স্ত্রী ও এক শিশুপুত্রকে নিয়ে নগরীর মাসকান্দা এলাকায় থাকতেন।

জানা গেছে, ইসলামি সংঙ্গীত শিল্পী হিসেবে ময়মনসিংহে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন সালমান আজাদী। ইসলামি সঙ্গীতের প্রসারে নিজেই প্রতিষ্ঠা করেছেন সালমান ইসলামি সঙ্গীত একাডেমি। প্রায় দুই বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে শিশুদের ইসলামি গান শেখাতেন। এছাড়াও ত্রিশালে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ইসলামি সঙ্গীতের প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি।

উদীয়মান এ ইসলাম সঙ্গীত শিল্পীর মৃত্যুতে শোকাভিভূত পরিবার, আত্নীয়-স্বজন, ক্যাম্পাসের সহপাঠী-শিক্ষার্থী, ইসলামি সংস্কৃতি প্রেমিসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা। শতশত মানুষের ফেসবুক স্ট্যাটাসে যেন শোক বইয়ে পরিণত হয়েছে সানমানের ফেসবুক টাইমলাইন।

আব্দুর রহিম ভূঁইয়া নামে একজন লিখেছেন, কিছু মৃত্যুর সংবাদ মানুষকে ভীষণ বেদনা দেয়, ভীষণ কষ্ট দেয়। আর এই মৃত্যু যদি অকালে হয় বা আকস্মিক হয় তার শোক কাটিয়ে উঠা মোটেও সহজ না। সালমান আজাদী ইসলামিক শিল্প একাডেমির শিক্ষক ও স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন। তিনি বাচ্চাদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। বাচ্চাদের সুস্থ ধারার ইসলামিক সাংস্কৃতিক চর্চার ব্যাপারে তার অনেক পরিকল্পনা ছিল।

হানজালা রমজান মুন্না নামে আরেকজন লিখেছেন, প্রিয় হাসিমাখা মুখ ও সুন্দর করে কথা উপস্থাপন ছিল যার নৈমিত্তিক অভ্যাস। ইসলামি সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়ায় পেছনে ময়মনসিংহ শহরে যাদের অবদান, তাদেরই একজন ছিলেন। মনের মধ্যে ছিল ইসলামের জন্য তীব্র ভালবাসা। ভাইয়ের ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের উঁচু মাক্বাম দান করুন।

স্বামীর শোকে বাকরুদ্ধ স্ত্রী খাদিজা খাতুন জানান, সালমান নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ক্লাস করতেই ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ত্রিশাল যাচ্ছিলেন তিনি।

এদিকে সালমান আজাদীর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। এক শোকবার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০১৭-'১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে স্নাতকোত্তরে ২০২১-'২২ সেশনে অধ্যয়নরত মো. সালমান আজাদী (২৫) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় ত্রিশালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়-পরিবারের পক্ষে আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। সেইসঙ্গে সালমানের বিদেহী আত্মার চিরশান্তির জন্য প্রার্থনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন জানান, বিনা ময়নাতদন্তের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার ত্রিশাল বাজারের সাইফুল কমিশনারের বাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত অন্য দুইজন হলেন, উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের রুদ্রগ্রামের এনামুল হকের মেয়ে রুবাইরা তাজনিম (২) ও চিকনা মনোহর এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৪)।

;

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীরাঙ্গনাদের সম্মাননা দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের বহু যুবক ও ছাত্র জনতার আত্মহুতির অবদান। এই যুদ্ধে নারীদের অবদানও কোন অংশে কম নয়। এ যুদ্ধে অসংখ্য নারী সরাসরি অংশগ্রহণের পাশাপাশি ইজ্জতও দিতে হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নরসিংদীর পলাশ উপজেলার বেদনা দত্ত। বেদনা দত্তের মতো বীরাঙ্গনাদের স্মরণীয় করে রাখতে বীরাঙ্গনা স্মৃতিসৌধ বা রাস্তা ও প্রতিষ্ঠানের নামকরণের দাবি মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয়দের।

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার বড়ি-বাড়ির বেদনা দত্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্বেই স্বামী মারা যাওয়ায় অবুঝ তিন শিশুকে নিয়ে অনেক দুঃখ কষ্টে দিন পার করছিলেন। ঠিক সেই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের রান্না করে খাওয়ানোসহ তাদের নানাভাবে সহয়তা করতেন বেদনা দত্ত। আর এমন খবর পেয়ে রাজাকার সদস্যরা বেদনাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে পাকিস্তানি হায়েনাদের হাতে তুলে দেয়। বাড়ির পাশে রেল ব্রিজের নিচে পাকিস্তানিদের ক্যাম্পে ৪ দিনে নির্যাতন শেষে মৃত ভেবে পাশের জঙ্গলে ফেলে দেয় বেদনাকে।

পরে সেখান থেকে দুইদিন পর প্রাণ ফিরে পেলেও ইজ্জত আর সন্তানদের জীবন রক্ষায় এলাকা ছেড়ে নিজেকে আড়াল করে রাখেন তিনি। দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে আসলেও জীবন চলে অনাহারে অর্ধাহারে। এভাবেই পার করতে হয়েছে জীবনের প্রায় অর্ধশতাব্দি। অবশেষে এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের নজরে আসলে তার কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে তাকে বীরাঙ্গনা হিসেবে নথিভুক্ত করেন এবং ভাতার আওতায় আনেন। সেই সাথে মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে তার জন্য তৈরি করা হয় বীর নিবাস। এখন এলাকাবাসীর দাবি বেদনা দত্তের অবর্তমানে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য স্মৃতিসৌধ নির্মাণের। অথবা তার নামে স্থানীয় কোন রাস্তা বা প্রতিষ্ঠানের নামকরণের দাবি মুক্তিযুদ্ধাসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

স্থানীয় জিনারদী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান উদ্দিন পাঠান বলেন, আমরা জানতামই না আমাদের এলাকায় একজন বীরাঙ্গনা রয়েছে। সরকার যখন বেদনা দত্তকে একটি বীর নিবাস তৈরি করে দেয় তখনই জানতে পারি এই এলাকায় একজন বীরাঙ্গনা রয়েছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নির্মম নির্যাতনের শিকার এই নারী হয়তো একদিন থাকবেনা। কিন্তু তাকে যেনো পরবর্তী প্রজন্ম মনে রাখে এবং স্মরণ করে সেজন্য তার নামে একটি সড়কের নামকরণ বা স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানাই।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধে নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেদনা দত্তের মতো আরও যারা বীরাঙ্গনা রয়েছেন তাদের অসামান্য অবদান রয়েছে। নরসিংদীর নারী মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছে যা প্রক্রিয়া দিন রয়েছে। অচিরেই এ বিষয়ে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

;