আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯২৩ ইউনিট খালি পড়ে আছে



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ: বসবাসের অনুপযোগী হওয়া এবং লোকের অভাবে ঝিনাইদহ জেলার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৯২৩টি ইউনিট খালি পড়ে আছে। পূর্বের নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোর কোনো কোনোটিতে ২ থেকে ৩ জন বসবাস করছে।

জেলা প্রশাসকের অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৬ উপজেলায় এ পর্যন্ত ২৬টি আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মিত হয়েছে। এসব প্রকল্পে ৩০৩টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতি ব্যারাকে ১০টি করে দুই হাজার ৮৩৬টি ইউনিট আছে। এরমধ্যে এক হাজার ১৩টি ইউনিটে ভূমিহীন ছিন্নমূল পরিবার বসবাস করছে। বাকি ৯২৩টি ইউনিট খালি পড়ে আছে। প্রতিটি ইউনিটে ২টি শোবার ঘর, ১টি রান্না ঘর ও ১টি করে শৌচাগার আছে। আছে খাবার পানির জন্য টিউবওয়েল।

তবে আগে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগ ইউনিটে ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে চাল দিয়ে পানি পড়ে। চালের উপরে পলিথিন দিয়ে বসবাস করছে পুনর্বাসিত পরিবারগুলো। অনেক ইউনিটের শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/11/1533976539142.jpg

সদর উপজেলার ছাড়ানীড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভেতরে রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। কাদাপানিতে একাকার হয়ে আছে। চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের আশপাশে কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। তাদের কাজের সন্ধানে দূরে যেতে হয়। এ কারণে কেউ কেউ আশ্রয়ণ ছেড়ে চলে গেছে। নতুন লোক আসতে আগ্রহী হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমান নাথ জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের যে ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে তা মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়াও নতুন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে বাসিন্দা দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। আগ্রহীদের দ্রুত থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।

এদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিলে সেখানে থাকার আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।

   

বগুড়ার নিউ মার্কেটে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় নিউ মার্কেটের একটি স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। শহরের নিউ মার্কেটে আল তৌফিক জুয়েলার্সে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতের কোন এক সময়ে এই চুরির ঘটনা ঘটে। দোকানটি থেকে প্রায় ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করেছে বলে জুয়েলার্সের মালিকপক্ষ দাবি করেছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জুয়েলার্সের মালিক কামরুল হোসেন জানান, শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে দোকানের ম্যানেজার তাকে ফোন দিয়ে জানায় যে দোকানের তালা ভাঙা এবং দোকান খোলা। এছাড়াও মেঝেতে স্বর্ণের কিছু জিনিসও পড়ে আছে। খবর পেয়ে তিনি দোকানে যান। মার্কেটের ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির নেতারাও তখন তার দোকানে পৌঁছান। তারা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরেদর্শন করে।

তিনি বলেন, ‘দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও রাতে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেওয়ায় সেটি সচল ছিলনা। দোকানের প্রায় ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা।’

জুয়েলার্সের ম্যানেজার ধলু মিয়া বলেন, ‘রাতে দোকানের ডিসপ্লেতে যে সোনার জিনিসপত্র ছিলো, দোকানে এসে সেগুলোর একটাও পাওয়া যায়নি। দোকানের সিন্দুকে (লকার) থাকা সোনা ও গহনা চোরেরা নিতে পারেনি।’

বগুড়া নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম সরকার বলেন, ‘মার্কেটের নিরাপত্তা (সিকিউরিটি) আরও বাড়ানো দরকার। দোকানীরা দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা প্রহরীর টাকা বাঁকি রাখে, এরফলে প্রহরীর সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হয়না। মার্কেটে সকল দোকানীকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথাও বলা হয়েছে। এবার নিরাপত্তার বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক ফইম উদ্দিন বলেন, নিউ মার্কেটে জুয়েলারি দোকানে চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

;

তীব্র গরমে জীবন ওষ্ঠাগত চিড়িয়াখানার প্রাণীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তীব্র গরমে জীবন ওষ্ঠাগত চিড়িয়াখানার প্রাণীদের

তীব্র গরমে জীবন ওষ্ঠাগত চিড়িয়াখানার প্রাণীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু মানুষ নয়, অসহনীয় গরমে স্বস্তিতে নেই মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রাণিকুল। প্রচণ্ড দাবদাহে জীবন ওষ্ঠাগত খাঁচার প্রাণীদের। গত কয়েকদিন ধরে ৩৪-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠা নামা করছে তাপমাত্রা। তবে শরীরে অনুভূত হচ্ছে আরও বেশি এমন তথ্য আবহাওয়া অফিসের।

এমন পরিস্থিতি আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য বলছে, চৈত্র মাসের শেষের দিন থেকেই শুরু হয়েছে দাবদাহ। যা আগামী কয়েকদিন চলমান থাকবে। ফলে অসহনী তাপমাত্রার কারণে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরমে প্রভাব পড়ছে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যে।

মঙ্গলবার ( ১৬ এপ্রিল) সরজমিন জাতীয় চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা গেছে, দাবদাহের কারণে পরিবেশের উপর যেমন বিরূপ প্রভাব পড়েছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ দুর্বিষহ জীবন পার করছে, তেমনি, হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণী কুলেরও। বিশেষ করে চিড়িয়াখানার বন্দি প্রাণীদের অবস্থা নাজুক। গরম থেকে বাঁচতে ছায়া স্থানে আশ্রয় ও পানিতে নেমে প্রশান্তি পেতে নেওয়ার চেষ্টা করছে পশুপাখিরা। গরমে প্রভাবে অনেক পশুপাখির মধ্যে খাবার গ্রহণে অনীহা দেখা দিয়েছে ।

প্রচণ্ড গরমে পানিতে বসে আছে বাঘ

একটু ঠান্ডা প্রশান্তির পেতে খাঁচার ছায়া যুক্ত স্থানে বসে থাকতে দেখা গেছে বক, ময়ূর, কুমির ও অন্যান্য প্রাণীকে।

বাঘের খাঁচায় ব্যস্ততা নেই খাবার সংগ্রহে। গরম থেকে বাঁচতে ছায়া বসে খুনশুটি করছে বাঘ গুলো নিজেদের মধ্যে। প্রশান্তি পেতে নমনীয় হয়ে পানিতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছে বাঘ।

এছাড়া তীব্র গরম থেকে বাঁচতে চিত্রা হরিণের পাল নেড়ছেন না গাছের নিচ থেকে। নিজেদের বিচরণের জন্য বিশাল জায়গা থাকলেও বসে আছেন গাছে ছায়ায়। এছাড়া ব্যস্ততা নেই বানরের। নাকাল অবস্থা কুমিরেরও। কুমির খাঁচায় অল্প পানি রোদের তাপে গরম হওয়ায় বাধ্য হয়ে খাঁচার মধ্যেকার কৃত্রিম ডাঙ্গায় হাঁসফাঁস করছে কুমির।

এদিকে জলহস্তিদের দেখা মিলছে না পানির উপরিভাগে। গভীর পানিতে ডুবে থাকছে জলহস্তী। বেশ কয়েকটি জলহস্তীকে দেখা গেছে পুকুরের পাড়ের ছায়ায় ঠাঁই নিতে। এমন অবস্থায় প্রাণীদের বাঁচাতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার। স্যালাইন ও পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। তীব্র গরমের যেন হৃদ্‌রোগ না হয় সে লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলছেন বিশেষজ্ঞরা।


ভেটেরিনারি সার্জন মো. ওয়ালিউর রহমান বলেন, প্রাণীদের ডি হাইড্রেশন থেকে বাঁচাতে এ সময় প্রচুর পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভিটামিন সি জাতীয় খানার ও স্যালাইন খাওয়াতে হবে। এতে হার্ট অ্যাটাক বা অন্য উপসর্গ থেকে বাঁচানো যাবে।

এদিকে প্রাণীদের গরম থেকে বাঁচাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা কিউরেটর মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, গরমের জন্য আমরা নানা ধরনের ব্যবস্থা আগে থেকেই নিয়ে রেখেছি। খাঁচার হাউসের পাশাপাশি গামলায় পানি রাখা হয়েছে। যাতে প্রাণীরা সেখানে গা ভেজাতে পারে। কিছুক্ষণ পরপর সাধারণ তাপমাত্রার পানি দেওয়া হচ্ছে। ভিটামিন সি ও স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত চিড়িয়াখানা কোনো পশুপাখি অসুস্থ হয়নি।

;

লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতি গ্রহণযোগ্য নয়: আইনুন নিশাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্ররা লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি করবে এটা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকার এফডিসিতে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ড. আইনুন নিশাত বলেন, এখন ছাত্র রাজনীতির কথা শুনলে ভয় হয়। ছাত্র রাজনীতিতে র‌্যাগিং, চাঁদাবাজি, ক্ষমতার অপব্যাবহার কাম্য নয়।

ছাত্র রাজনীতি লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য ব্যাপক পড়াশোনা করতে হয়। তাই লেজুড়ভিত্তিক অপরাজনীতি বুয়েটের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সহায়ক পরিবেশ বিঘ্নিত করে। বুয়েট অ্যালামনাই সদস্যদের মতেও সেখানে ছাত্র সংসদ থাকতে পারে কিন্তু লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি নয়।

তিনি আরও বলেন, আদালত ছাত্র রাজনীতির পরিধি নির্ধারণ করে নির্দেশনা প্রদান করলে বিশ্ববিদ্যালয়সমুহ সে আলোকে আচরণবিধি প্রণয়ন করতে পারে। বিইউপি, এমআইএসটি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নেই। তবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের মতামত ও দাবি-দাওয়া শোনার ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতির সাথে ছাত্র রাজনীতির সম্পর্ক দৃশ্যমান হওয়ায় প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে ছাত্রদের হস্তক্ষেপ বাড়ছে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বুয়েটের ছাত্র রাজনীতি নিয়ে চলমান যে পরিস্থিতি চলছে তা ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও অ্যালামনাইসহ সকল পক্ষের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে বুয়েট কর্তৃপক্ষ আদালতের মাধ্যমে সমাধান করা উচিৎ। বুয়েটের ছাত্র সংসদের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বুয়েট যেহেতু একটি বিশেষায়িত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাই বুয়েটের ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্র সংসদ তাদের মতো করেই হওয়া উত্তম।

;

গাইবান্ধায় বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সাঘাটায় অনলাইনে জুয়া খেলতে গিয়ে ক্যামেরা বন্ধকের জেরে বন্ধুর হাতে খুন হয়েছে আরেক বন্ধু। ঘুমের ট্যাবলেট মিশ্রিত কোমলপানীয় পান করে অজ্ঞান হলে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে হত্যা করা হয় কিশোরকে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার উপজেলার পশ্চিত বাড়ী গ্রামের এক পুলিশ সদস্যের বসত বাড়ীর পিছনের সেফটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সাঘাটা থানা পুলিশ। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল বন্ধু রিফাতের বাড়িতে ক্যামেরা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় কিশোর।

খুন হওয়া কিশোরের নাম সম্রাট মিয়া (১৭)। সম্রাট ওই উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের আফজাল হোসেনের ছেলে। এছাড়া অভিযুক্ত রিফাত (১৭) সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম বাটি গ্রামের মিলন হাজারীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সম্রাট এবং অভিযুক্ত রিফাত একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা দুজনে একই বিদ্যালয়ের একই ক্লাসের শিক্ষার্থীও। সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলে টাকা খোয়ান (হারেন) সম্রাট। টাকা হেরে সম্রাট তার ক্যামেরা বন্ধু রিফাতের কাছে দশ হাজার টাকায় বন্ধক রাখেন। তার কয়েকদিন পরে বন্ধু রিফাতের কাছে ক্যামেরা ফেরত নিতে যান সম্রাট।

কিন্তু এ সময় সম্রাট জানতে পারেন রিফাত অনলাইন জুয়ায় টাকা হেরে বন্ধক নেওয়া ক্যামেরা বগুড়ায় ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে বন্ধক নেওয়া ক্যামেরা বিক্রি করা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

এর জেরেই গত ১৭ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে সম্রাটকে ক্যামেরা নিতে নিজ বাড়িতে ডাকেন রিফাত। একইদিন বিকেলে সম্রাট বন্ধু রিফাতের বাড়িতে ক্যামেরা নিতে এসে এদিন থেকেই নিখোঁজ হয়।

পরে অনেক খোঁজাখুঁজির করে সন্তানকে না পেয়ে পর দিন (১৮ এপ্রিল) নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান চেয়ে সাঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে সম্রাটের পরিবার।

যেখানে (জিডি) তারা রিফাতের ডাকে সম্রাট বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি বলে উল্লেখ করেন। পরে ওই জিডি মূলে গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে জিজ্ঞাসাবাদের রিফাতকে আটক করে সাঘাটা থানা পুলিশ। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বন্ধু সম্রাটকে খুন করে সেপটিক ট্যাংকে গুম করে রাখার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত রিফাত। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন রাত ১টার দিকে পশ্চিত বাড়ী গ্রামের এক পুলিশ সদস্যের বসত বাড়ীর পিছনের সেফটিক ট্যাংক থেকে নিহত সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার সহকারি পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, বন্ধক রাখা ক্যামেরা বিক্রি করা নিয়ে দুই বন্ধুর দ্বন্দ্বের জেরে এক বন্ধু অপর বন্ধুকে হত্যা করে। অভিযুক্ত রিফাত পরিকল্পিতভাবে তার বন্ধু সম্রাটকে কোমলপানীয়র সাথে ৭/৮ টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশ্রিত পানি পান করান। যা খেয়ে খুব দ্রুত ঘুমিয়ে পরে সম্রাট। পরে ঘুমন্ত সম্রাটকে সেপটিক ট্যাংকেকে ফেলে হত্যা করা হয়। যা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত রিফাতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

 

;