সিইসির বক্তব্যে দ্বিমত চার নির্বাচন কমিশনারের



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে সিইসির দেয়া বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন চার নির্বাচন কমিশনার। তারা বলছেন, এটা সিইসির ব্যক্তিগত অভিমত। সিইসির এ ধরণের বক্তব্য অনিয়মকারীদের উৎসাহ দেবে।

গত মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বড় বড় নির্বাচনে অনিয়ম হবে না- এমন নিশ্চয়তা দেয়া যায়না। সিইসির এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন মাহবুব তালুকদার।

বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি (সিইসি) কোন পরিপ্রেক্ষিতে কেন এই কথা বলেছেন তা বোধগম্য নয়। এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। আমি কোনোভাবেই এই বক্তব্য সমর্থন করিনা। এই ধরণের বক্তব্য যারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম করতে চায় তাদের উসকে দেবে। অনিয়ম করার ব্যাপারে তারা অনেক উৎসাহ পাবে বলে আমি আশংকা করি।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। আমি ওভাবে মনে করিনা। আমরা শপথ নিয়েছি একটা গ্রহণযোগ্য আইনানুগ নির্বাচন করার জন্য। এটার সঙ্গে এই বক্তব্যের কোনো মিল নাই। আমি ওটাকে কমিশনের অভিমত বলে মেনে নিতে পারিনা।

নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেন, সিইসির বক্তব্যের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করি। সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্যই আমি শপথ নিয়েছি। এটা কমিশনের বক্তব্য বলেও আমি মনে করিনা। আমরা যেহেতু জানিনা কোন অনুষ্ঠানে তিনি এটা বলেছেন। সুতরাং এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি সিইসির বক্তব্যকে সমর্থন করিনা। এটা তার ব্যক্তিগত মতামত। কমিশনে এমন কোনো আলোচনা হয়নি। সংবিধানের আলোকে আমি শপথ নিয়েছি জেনে শুনেই যে ভাল নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য। আমি সেটাই ধারণ করি।

এদিকে সিইসির এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও। সিইসিকে সংযত হয়ে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ওবায়দুল কাদেরের কাছে সিইসি’র বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশের বাস্তবতায় সিইসি হয়ত মনে করেছেন- এটাই সত্যি। কিন্তু তার বক্তব্যে আরও সংযত হওয়া দরকার, একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে মূল দায়িত্বে তিনি আছেন। আমি আশা করি তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের বক্তব্য দেবেন না।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করে। কুমিল্লা ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের কারণে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ সিটি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগো সমালোচনার মুখে পড়ে ইসি। এর মধ্যে কয়েকটি সিটিতে কারচুপির অভিযোগ এনে পুননির্বাচনের দাবি জানায় বিএনপি। নির্বাচনে অনিয়মের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিদেশীরাও। জাতীয় নির্বাচনের আগে অনিয়মের ঘটনায় ইসির ওপর সকলের আস্থা কমছে বলে পর্যবেক্ষণ বিশ্লেষকদের।

   

বরিশালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস উপলক্ষ্যে বানারীপাড়া উপজেলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বানারীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন এর পাশাপাশি রমজান মাস উপলক্ষ্যে কাজলাহার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বানারীপাড়া নির্বাহী অফিসার অন্তরা হালদার, বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মোঃ রবিউল হাসান ভূঁইয়া।

এ সময় জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম আশ্রয়ণ বাসিন্দাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন এবং পাশাপাশি বাসিন্দাদের বিভিন্ন বিষয় খোঁজ খবর নেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, পবিত্র মাহে রমজানের উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অসহায় হতদরিদ্রদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর কার্যক্রম জেলার সকল উপজেলার অব্যাহত থাকবে।

 

;

আইপিইউর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ বুববার (২৭ মার্চ) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি' উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য রাখেন।

এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

;

ফটিকছড়িতে সেপটি ট্যাংকে পড়ে ‍শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে সেপটি ট্যাংকে পড়ে ‍শিশুর মৃত্যু

ফটিকছড়িতে সেপটি ট্যাংকে পড়ে ‍শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সেপটি ট্যাংকে পড়ে মো. রোহান (৫) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে উপজেলার আজাদীবাজার এলাকার রনজুরহাট সংলগ্ন অলি আহমদ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত শিশু রোহান ওই এলাকার প্রবাসী মো. শাহজাহানের ১ম সন্তান এবং রোহান স্থানীয় এক মাদ্রাসায় নুরানি বিভাগের শিক্ষার্থী।

নিহত রোহানের আপন মামা মো. আব্বাস বলেন, আমার বোনের পার্শ্ববর্তী ফুফু শাশুড়ির ঘরে টয়লেটের সেপটি ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য ট্যাংকির ঢাকনি তুলে সেখানে প্লাস্টিক দিয়ে ডেকে রাখা হয়। ভাগনে রোহান বেশিরভাগ সময় ওই ঘরেই থাকে। আজকে দুর্ভাগ্যবশত রোহান ওই ট্যাংকিতে পড়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করে।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা জানান, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো অভিযোগ হয়নি।

;

প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন: নৈরাজ্য ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়বে সড়কে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইন, ২০২৪ এর কয়েকটি ধারায় শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ কমানোর উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তরুণ শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ প্রণীত হওয়ার পর তার কার্যকর বাস্তবায়ন দূরে থাক, সড়কে বিশৃঙ্খলা, অনাচার ও নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে। টিআইবি মনে করে, জনস্বার্থ বিবর্জিত প্রস্তাবিত সংশোধনীর ফলে আইনটি তার উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে আরো দুর্বল হয়ে পড়বে এবং মালিক-শ্রমিক পক্ষের হাতে সড়ক ব্যবস্থাপনার জিম্মিদশা আরো বাড়বে।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আইনের অন্তত ১২টি ধারায় পরিবর্তন এনে এবং অধিকাংশ ধারায় চালক ও চালকের সহকারীদের জেল জরিমানা ও শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন সংশোধন আইন-২০২৪ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আইনের ৬৯, ৭০, ৮১, ৮৪, ৮৫, ৮৬, ৯০, ৯৮, ১০৫ ধারায় শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ কমানো হয়েছে।

তবে সড়ক পরিবহন আইন ২০২৪-এ যানবাহনের বিমা বাধ্যতামূলক করা [ধারা ৬০ (২)], সুপারভাইজার সংযুক্ত করা [ধারা ৭১] এবং গণপরিবহনে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন অথবা নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায় সংক্রান্ত ধারা লঙ্ঘনের দণ্ড আলাদাভাবে করা [ধারা ৮০] হয়েছে। এ তিনটি সংশোধনীর সঙ্গে টিআইবির গবেষণালব্ধ সুপারিশের সামঞ্জস্য থাকায় সতর্ক সাধুবাধ জানিয়ে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলায় এনে তা জনগণের জন্য নিরাপদ করে তুলতে যেখানে জরিমানা ও শাস্তির বিধান যৌক্তিকভাবে বাড়ানো প্রয়োজন ছিলো, সেখানে সংশোধনীর মাধ্যমে শাস্তি কমিয়ে দেওয়া হলে সড়কে বিশৃঙ্খলা বাড়াবে এবং জনগণের জন্য আরো বেশি অনিরাপদ হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে, চালক-শ্রমিকদের আইন না মানার প্রবণতার পাশাপাশি সড়কে অনিয়মকেও উৎসাহিত করবে। সড়ককে নিরাপদ করে তুলতে নানা উদ্যোগের কথা বলা হলেও, অবস্থাদৃষ্টে সরকারের অবস্থান ঠিক তার উল্টোদিকে বলে প্রতীয়মান হয়। এমন সংশোধনের ফলে সড়কে অনিয়ম-দুর্নীতি, নৈরাজ্য আরো বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি যেমন সৃষ্টি হবে, তেমনি সড়ক-মহাসড়কে অনাকাঙ্খিত মর্মান্তিক মৃত্যুর মিছিল কেবল দীর্ঘই করবে।’

টিআইবির সাম্প্রতিক গবেষণায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকপক্ষের হাতে সড়ক ব্যবস্থাপনার জিম্মিদশার প্রকটতার বিষয়টি উঠে আসে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘সড়ক আইনের সংশোধনের মাধ্যমে শাস্তি ও জরিমানা কমিয়ে আনার বিষয়টি এ জিম্মিদশার সঙ্গে দৃশ্যত সম্পর্কিত। আইনে সংশোধন এনে শাস্তি কমানোর পেছনে সরকারের ওপর রাজনৈতিক মদদপুষ্ট মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের যে প্রভাব রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। এই সংশোধনী সংসদে গৃহীত হলে জনগণের স্বার্থ ভূলুণ্ঠিত হবে। এ আত্মঘাতী পথ থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

সংশোধন প্রক্রিয়ার কোনো ধাপেই প্রস্তাবিত সংশোধনীর খসড়া খাতসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের জন্য উন্মুক্ত না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। টিআইবি মনে করে, সড়কে জনগণের চাহিদা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রেক্ষিতে যাদের শৃঙ্খলায় আনতে আইনটি তৈরি করা হয়েছে, তাদের চাপে এবং স্বার্থে আইনের সংশোধন করা হলে আইনের সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। একইসঙ্গে যে উদ্দেশ্যে আইনটি করা হয়েছিল তা থেকে সরে দাঁড়ানো হবে। এমতাবস্থায়, খসড়া আইনটি চূড়ান্ত করার পূর্বে বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।

;