মন্ত্রী শাহজাহানের পদত্যাগ চায় শাবি শিক্ষার্থীরা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইটে বিভিন্ন ধরনের প্লে-কার্ড ঝুলিয়ে তারা বিক্ষোভ করছে।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট শাবিপ্রবি শাখা রাজধানীতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে জানায়, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশি আচরণ কোনো সভ্য দেশে চলতে পারেনা। যে মন্ত্রী শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার পর বিতর্কিত মন্তব্য করে তার মন্ত্রিত্বে থাকার কোনো অধিকার নেই। তারা মন্ত্রী শাহজাহান খানের পদত্যাগ দাবি করেন।

   

আমতলীতে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘প্রাণীসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই শ্লোগান নিয়ে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী - ২০২৪ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় আমতলী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। আমতলী উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ কাদের মিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আমতলী পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান,। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনি, খামারী মো. নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

প্রদর্শনীতে ৪০টি খামারের মালিকরা তাদের গরু, মহিষ, ছাগল ও কবুতর প্রদর্শনী করে।

খামারী শাহিনুর বেগম বলেন, মোরা সবসময় আমতলী প্রাণিসম্পদ হাসাতাল থেকে বিনা মূল্যে সেবা পাই। এহন যে মোগো নাজমুল ছারে আছে হে মোগো সব সময় খোজ খবর লয়। হাঁস মুরগীর কোন সমস্যা হলে স্যারে সব সময় গ্রামে যাইয়া গরু ছঅগল ও হাসমুরগীর চিকিৎসা দেয়।

বেঠাকাটা গ্রামের গরু খামারী মো. বাবুল মোক্তার বলেন, মোগো গরু ছাগলের কোন সমস্যা দেখা দিলে মোরা ছ্যারেরে খবর দিলে ছ্যারে মোগো বাড়ি আইয়া গরু দেইখ্যা আয়। হেএর লইগ্যা কোন টাহা পয়সা নেয় না।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হক জানান, প্রাণীসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের সামাজিক লক্ষ্য হলো সকলের জন্য নিরাপদ পর্যাপ্ত ও মানসম্মত প্রানিজ আমিষ নিশ্চিত করার জন্য প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি ও দুºজাত পন্যের বাজার সৃষ্টি, ক্ষুদ্র খামারী ও উদ্যোক্তাদের প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলায় সক্ষমতা সৃষ্টি করা, বিজ্ঞানভিত্তিক লালন-পালন কৌশল অবহিত করা, উন্নত জাতের পশু পাখি পালনে আধুনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা

প্রাণীসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আমতলীতে ১২টি উৎপাদন গ্রুপ রয়েছে। যার মোট সদস্য সংখ্যা ৪৪৩ জন। এদেরকে নগদ প্রনোদনাসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরন, প্রশিক্ষন ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পের আওতায় উপজেলা ৭৭টি মুরগীর ঘর ও ৩২টি ছাগলের ঘর সরবরাহ করা হয়েছে। তাছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় আমড়া গাছিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিদিন মিল্ক ফির্ডিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সকল খামারীদের আমতলী উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে সকল ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

;

চল্লিশ বছর ধরে দই বিক্রি করে সংসার চালান সঞ্জিত



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কাঁধে বাঁশের ফলা, দুই পাশে ঝুপড়ি দুটি। গ্রামের মেঠো পথ ধরে হেঁটে চলেছেন এক বৃদ্ধ। ওই দই লাগবো নি দই বলে হাঁকডাক দিয়ে চলেছেন তিনি। ছোট ছেলেমেয়েরা দই ওয়ালা এসেছে বলে পেছনে ছুটতে থাকে। এভাবেই চল্লিশ বছর ধরে এই পেশা দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন সঞ্জিত ঘোষ (৬০)। 

তিনি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ফেরি করে দই বিক্রি করেন। চল্লিশ বছর ধরে এই পেশা নিয়ে আছেন তিনি৷ গ্রামের মানুষের কাছে দই সঞ্জিত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।

সঞ্জিতের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কটিয়াদী পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়া এলাকায় তাদের বাড়ি। বংশ পরম্পরায় এই পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বাবা-দাদারা। বয়স বাড়লেও কাজের প্রতি মনোযোগী তিনি। শরীরের ঘাম ঝাড়ানো পরিশ্রম তাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। সকাল থেকে তিনশো থেকে চারশো দই নিয়ে বের হন। বিকেলের আগেই তা বিক্রি হয়ে যায়। মূল ক্রেতা হচ্ছে গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েরা। এছাড়াও সববয়সী মানুষ এই দই নিয়ে থাকেন।


সঞ্জিত ঘোষ আরও বলেন, এই দইয়ে কোনো ভেজাল নেই। আমি নিজের হাতে দই তৈরি করি৷ গরমে এই দই শরীরে জন্য খুবই উপকারী। হাজার টাকার মতো দই বিক্রি করি। এ টাকা দিয়েই সংসার চালাই। দই তৈরি আমাদের বংশের পেশা৷ প্রতি গ্লাস দই ২০ টাকা করে বিক্রি করি। কোনোরকম মান ঠিক রেখে ব্যবসা করে যাচ্ছি৷

;

খুলনায় চালের মিলে অভিযান, জরিমানা আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ওজনে কারচুপি, উৎপাদন তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ না থাকা এবং প্লাস্টিক বস্তা ব্যবহার করার অপরাধে খুলনার কাজী সোবহান অটো রাইস মিল-কে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে খুলনার রূপসা উপজেলার জাবুসা অটোরাইস মিলকে এ জরিমানা আরোপ করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়। একই সাথে এ প্রতিষ্ঠানকে চালের বস্তার গায়ে মূল্য লিখতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় বৃহস্পতিবার খুলনার রূপসা থানার জাবুসা এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে ওজনে কারচুপি, উৎপাদন তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ না থাকা এবং প্লাস্টিক বস্তা ব্যবহার করার অপরাধে কাজী সোবহান অটো রাইস মিলকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। অভিযানকালে জাবুসা অটোরাইস মিলকে চালের বস্তায় ধানের জাত ও নির্ধারিত মূল্য উল্লেখ করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয় ও পূর্বে উৎপাদনকৃত পণ্যে ধানের জাত ও মূল্য উল্লেখ করার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

এসময় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী, চাল, ঔষধ, আলু, দেশি পেঁয়াজ ও ডিমের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয় এবং সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়।

তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয় হয়।

খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অন্যান্য সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা। অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

উজিরপুরে অন্তঃসত্তা গৃহবধূ ও শাশুড়িকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের উজিরপুরে ছয় মাসের অন্তঃসত্তা এক গৃহবধূ ও তার শাশুড়িকে গত ১৬ দিন ধরে একটি ঘরের মধ্যে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গৃহবধূর বাবা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ধামুরা বন্দর এলাকার।

আগৈলঝাড়া উপজেলা মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হরিশচন্দ্র সরকার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার মেয়ে শিল্পী রানী ঢালী (২৭) ও তার স্বামী একই গ্রামের সুবল চন্দ্র ঢালী চার বছর ধরে উজিরপুরের ধামুরা বন্দরে মজিবুর রহমান হাওলাদারের ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করে আসছে। সেখানে বসবাস করার সুবাদে তার জামাতা অমৃত ফুড প্রোডাক্টসসহ বিভিন্ন কোম্পানির মালামাল সাব-এজেন্ট হিসেবে বিক্রি করেন।

তিনি অভিযোগে জানান, গত ২ এপ্রিল থেকে রহস্যজনকভাবে তার জামাতা সুবলচন্দ্র ঢালীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। খবর পেয়ে তিনি (হরিশ) জামাইয়ের বাসায় যান।

এসময় তিনি দেখতে পান বাড়ির মালিক মজিবুর রহমান তার মেয়ে শিল্পী ও তার শাশুড়িকে ঘরের মধ্যে গৃহবন্দি করে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। তারপর তিনি বিভিন্নজনের মাধ্যমে বাড়ির মালিক মজিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়া হয়।

উপায়ান্তর না পেয়ে হরিশচন্দ্র জাতীয় সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। এরপর ১৭ এপ্রিল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও রহস্যজনক কারণে গৃহবন্দি মেয়ে শিল্পী রানী ও তার শাশুড়িকে উদ্ধার না করে চলে আসে তারা।

অসহায় হরিশচন্দ্র সরকার তার ছয় মাসের অন্তঃসত্তা মেয়ে শিল্পী রানী ঢালী ও তার শাশুড়ি শেফালী রানী সরকারকে গৃহবন্দি থেকে মুক্ত করতে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন। অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার।

এ বিষয়ে উজিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজখবর নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;