প্রকাশ্যে সিল এবং গোলাগুলির মধ্যে চলছে ভোটগ্রহণ
সিলেট: সিলেটে কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়ার নজিরবিহীন তাণ্ডব চলছে।
সোমবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টায় সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্তত ১০টি কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকে সিল মারার ঘটনা ঘটেছে। এখনো থেমে থেমে চলছে বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করে ভোটদান। অনেকেই কেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারছে তার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে।
অন্যদিকে পাঠানটুলায় মুন্না ও মামুন নামের দুই শিবিরকর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় খাসদবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রথমে তাণ্ডবের শুরু হয়। এই সেন্টারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পরিদর্শনে যান। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী বিদ্যালয়ের দু’টি কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে সিল মেরে বাক্সে ঢুকায়। এরপর সেখানে বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ কার্যক্রম। প্রায় একঘণ্টা পর ভোটগ্রহণ শুরু হলেও উপস্থিতি কমে আসে।
১১টায় কাজী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারে নৌকার সমর্থকরা। সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। শাহজালাল জামেয়া ইসলামী কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ ১টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল।
বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর সেন্টারেও নৌকার সমর্থকরা তাণ্ডব চালিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জাতীয় পার্টির এমপি এহিয়া আহমদ চৌধুরীর বাসার আশপাশ থেকে বের হয়ে শতাধিক যুবক প্রকাশ্যে গুলি চালায়। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে কোনো রকম প্রাণে বাঁচেন সাধারণ ভোটাররা।
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার স্যামুয়েল আহমদ জানান, বাইরে গুলাগুলি হলেও ভেতরে কিছু হয়নি। ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল প্রায় একঘণ্টা।
খাসবিদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু’টি কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ব্যালট ছিনতাই করে সিল মেরে বাক্সে ঢুকায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বজরুল রশিদ জানান, প্রায় ৩শ’ ব্যালট পেপার নিয়ে গেছে তারা। তবে বেশিরভাগ ব্যালটে স্বাক্ষর নেই।
অপর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ওলিউল জানান, এজেন্টদের বের করে দিয়ে হাতের কাছে যেসব ব্যালট পেয়েছে তাতে সিল মেরেছে।
শিবগঞ্জ সোনারপাড়া নবীনচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে গেছে। ভোট না দিয়ে ফিরে যাচ্ছে ভোটাররা।