সিলেটে যেসব ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

এসব ভোট কেন্দ্রগুলো হচ্ছে-সরকারি আলিয়া মাদরাসা, চৌহাট্টা (পূর্ব পাশের ভবন), চৌহাট্টা (উত্তর পাশের ভবন), মদন মোহন কলেজ (পুরান ভবন), রসময় হাইস্কুল-দাড়িয়াপাড়া, ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মীরের ময়দান (নতুন ভবন), আম্বরখানা কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আম্বরখানা কলোনি সংলগ্ন (পশ্চিম পাশের ১ম ও ২য় তলা), আম্বরখানা কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আম্বরখানা কলোনি সংলগ্ন (দক্ষিণ পাশের ভবন), খাসদবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাসদবীর (দক্ষিণ পাশের ভবন ১ম ও ২য় তলা), খাসদবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাসদবীর (উত্তর পাশের), স্কলার্স হোম প্রিপারেটরি স্কুল, ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড আম্বরখানা, জামেয়া মাদিনাতুল উলুম দারুস সালাম, খাসদবীর (২য় তলা), বিলাস কমিউনিটি সেন্টার, চৌকিদেখী, আনোয়ারা মতিন একাডেমি, চৌকিদেখী (পূর্ব ও উত্তর পাশের), একাডেমিক ভবন প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, সুবিদবাজার (২য় ও ৩য় তলা)।


ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের মধ্যে আরও রয়েছে আব্দুল গফুর ইসলামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, জালালাবাদ আ/এ, (ভবন-২ নতুন), গৌছ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম পীর মহল্লা, শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা, পাঠানটুলা (পশ্চিম পাশের ভবন), সিটি মডেল স্কুল, নোয়াপাড়া, বীরেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণশাসন (উত্তর পাশের ভবন), মদন মোহন কলেজ কমার্স ফ্যাকাল্টি, পাঠানটুলা ক্যাম্পাস, তারাপুর, পাঠানটুলা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠানটুলা (পূর্ব পাশের ভবন ৩), পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠানটুলা (পূর্ব পাশের ভবন-২), সিলেট ইনক্লুসিভ স্কুল অ্যান্ড কলেজ এতিম স্কুল, সমাজকল্যাণ কমপ্লেক্স, বাগবাড়ী (পশ্চিম পাশের ভবন), আনন্দ নিকেতন, সুবিদবাজার (দক্ষিণ পাশের ভবন), জালালাবাদ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঘাসিটুলা, ডহর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডহর (পূর্ব পাশের ভবন), মঈন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজ, মধুশহীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুশহীদ (২য় ও ৩য় তলা), ভাতালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাতালিয়া, (নিচ তলা), লামাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মঈনুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেখঘাট (দক্ষিণ পাশের ভবন), ভবন-২, শেখঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখঘাট, সরকারি বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, শেখঘাট, জামিয়া ইসলামিয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদরাসা, কাজিরবাজার, মির্জাজাঙ্গাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাজাঙ্গাল, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, জিন্দাবাজার, সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, কালীঘাট (দক্ষিণ পাশের ভবন), হাকীম বশিরুল হক ছাত্রাবাস ও ওষুধ প্রস্তুত ব্যবহারিক বিভাগ (পুরাতন সরকারি তিব্বিয়া কলেজ), চালিবন্দর, দুর্গাকুমার পাঠশালা, বন্দরবাজার, শাহজালাল জামিয়া ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরাবাজার (পশ্চিম পাশের ভবন), কিশোরী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (বালক), মিরাবাজার, দি এইডেড হাইস্কুল, তাঁতিপাড়া, কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর পাশের ভবন, নয়াসড়ক, কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নয়া সড়ক (পূর্ব পাশের ভবন), কাজী জালাল উদ্দিন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজীটুলা, কাজী জালাল উদ্দিন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজীটুলা (নিচতলা), দি রয়েল এমসি একাডেমি, কাজীটুলা, আম্বরখানা দরগা গেইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দরগা গেইট, মডেল হাইস্কুল, মিরাবাজার, কাজী জালাল উদ্দিন বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমারপাড়া, ঝর্ণারপাড়া, (উত্তর পাশের ভবন), রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝেরঝেরিপাড়া (৩য় ও ৪র্থ তলা), হাজী শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহী ঈদগাহ, (পূর্ব পাশের ভবন), বখতিয়ার বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রায়নগর, এমসি কলেজ, টিলাগড়, নবীনচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এছাড়া আরও রয়েছে দেবপাড়া (উত্তর পাশের ভবন), নবীনচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবপাড়া, (দক্ষিণ পাশের ভবন), কেন্দ্র-২, সৈয়দ হাতিম আলী বিদ্যালয়, সাদিপুর (নিচতলা), চান্দুশাহ জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, কালাসীল, সোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনারপাড়া, (পুরাতন), স্কলার্স হোম প্রিপারেটরি স্কুল, শিবগঞ্জ, শাহজালাল উপশহর উচ্চ বিদ্যালয়, উপশহর, শাহজালাল উপশহর উচ্চ বিদ্যালয়, (দক্ষিণ পাশের ভবন), মাধ্যমিক শাখা, আব্দুল হামিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাছিমপুর (পূর্ব পাশের ভবন), মেন্দিবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেন্দিবাগ, উমরশাহ তেররতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেররতন (১ম তলা), নতুন ভবন, উমরশাহ তেররতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেররতন, মূল ভবন, গাজী বুরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুলটিকর,মেনিখোলা মৌরবিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কায়েস্থরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কায়েস্তরাইল, খোজারখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোজারখলা (ভবন নং-১), কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কদমতলী (নিচতলা টিনসেডসহ), ঝালোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝালোপাড়া, সিলেট রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সাধুবাজার, জহির তাহির মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠানপাড়া, জহির তাহির মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠানপাড়া (দক্ষিণ পাশের নতুন ভবন), গোটাটিকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোটাটিকর, গোটাটিকর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, গোটাটিকর, হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হবিনন্দি।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্যে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সকল কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

   

ময়মনসিংহে পিকআপ চাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় আতিক রহমান (৬০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আবুল মুনসুর নামে এক শিক্ষক আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহ -ফুলবাড়িয়া সড়কের উপজেলার দশমাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আতিক রহমান উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের বৈদ্যবাড়ী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।

ফুলবাড়িয়া থানার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়মনসিংহ থেকে মোটরসাইকেল করে দুইজন ফুলবাড়িয়া ফিরছিলেন।
এসময় ময়মনসিংহ-ফুলবাড়িয়া সড়কের দশমাইল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ময়মনসিংহগামী মাছের পোনাবাহী একটি দ্রুতগতির পিকআপ ভ্যান মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী আতিক রহমান মারা যান। মোটরসাইকেল চালক আবুল মুনসুর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ওসি রাশেদুজ্জামান আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক পিকআপ জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

কেসিএমসিএইচ'র সঙ্গে বেক্সিমকো এলপিজির অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্মীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি করেছে বেক্সিমকো এলপিজি।

এই চুক্তির অধীনে, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বেক্সিমকো এলপিজির সব কর্মীর জন্য বিশেষ ছাড়ে তাদের অন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে। এছাড়া অফিসের পরিচয় পত্র দেখিয়ে কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরাও বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসা সেবার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির পরিচালক ডা. মোস্তফা কামাল ও ডা. এম এ আলী। আর বেক্সিমকো এলপিজির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বেক্সিমকো এলপিজির মংলা প্ল্যান্টের প্ল্যান্ট ম্যনেজার আবু তাহের মোহাম্মদ ফারুক, সিসিও এম মুনতাসির আলম এবং অ্যাডমিন জিএম আসাদ-উজ-জামান।

;

ভাইয়ের কাঁধে চড়ে বলীখেলা দেখল ছোট্ট দুর্জয়!



সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চতুর্দিকে হাজার হাজার মানুষ। চলছে ঢোলের মাতম। মাঝখানে উঁচু মঞ্চের দিকে সবার চোখ। বিপরীতে দর্শক সারিতে দেখা মিললো ভিন্ন কিছুর! ছোট্ট এক শিশুকে নিজের কাঁধে চড়িয়ে বলীখেলা দেখাচ্ছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব নারায়ন। মূলত ছোট্ট মামাতো ভাই দুর্জয়ের ইচ্ছে পূরণ করতে তাকে কাঁধে করে বলীখেলা দেখাতে নিয়ে আসেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জব্বরের বলীখেলার ১১৫তম আসরে।

দুর্জয়ের বয়স ৭ বছর। এবার প্রথম নয়, আগেও সে বেশ কয়েকবার এই নারায়নের কাঁধে চড়েই বলীখেলা দেখতে আসে। দুর্জয় বার্তা২৪.কমকে বলে, ‘আমি বলীখেলা দেখতে এসেছি। ভাইয়ার কাঁধে চড়ে দেখেছি। গতবারও ভাইয়া আমাকে নিয়ে এসেছেন। খুব ভাল লাগছে।’

নগরীর হাজারী গলি থেকে দুর্জয় দত্তকে নিয়ে এসেছেন ফুতাতো ভাই নারায়ণ। তিনি বলেন, ‘ও ছোট হওয়ায় একলা দেখতে আসতে পারে না। তাই, আমি ছোট ভাইকে আনন্দ দিতে এবং তার ইচ্ছে পূরণ করতে এবারও নিজের কাঁধে চড়িয়ে বলীখেলা দেখাতে নিয়ে এসেছি। আমি প্রতিবছর দুর্জয়কে নিয়ে আসি। অন্যান্য বার মঞ্চ এলাকায় ঢুকতে কষ্ট হত। পুলিশকে বলে এবার কোনো রকম অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করেছি। পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তবে, এবার মঞ্চ আরেকটু উঁচু হলে দূর থেকে দেখতে সুবিধা হত।’

এবারের বলীখেলার ফাইনালে ১১ মিনিট শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর স্বেচ্ছায় হার মানেন রাশেদ। বিজয়ী ঘোষণা করা হয় বাঘা শরীফকে। তাঁদের দুজনই কুমিল্লার। আর সীতাকুণ্ডের রাসেলকে হারেয়ে এবারও তৃতীয় হন খাগড়াছড়ির সৃজন বলী।

এদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরীর লালদীঘি বলীখেলা প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নবীন-প্রবীন মিলে প্রায় ৮৪ জন বলী অংশ নেন। এর আগে বেলুন উড়িয়ে বলীখেলার ১১৫ তম আসর উদ্বোধন করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। উদ্বোধক চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি বলীখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

মূলত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের যুবকদের সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশীর হাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। এরপর, ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি ১২ বৈশাখ চট্টগ্রাম শহরের লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জব্বারের বলীখেলা। যদিও করোনা মহামারীর কারণে ২০২০-২০২১ সালে বলীখেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। পরের বছর ২০২২ সাল থেকে আবার নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে জব্বারের বলীখেলা। এ বছর জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসর বসেছে।

;

সাজেকে সড়কে নিহত ৬ জনের বাড়ি ময়মনসিংহে, এলাকায় শোকের মাতম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির সাজেকের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে ৬ জনের বাড়িই ময়মনসিংহে। এদের মাঝে ৫ জন ঈশ্বরগঞ্জের ও একজন গৌরীপুর উপজেলার। নিহতরা হওয়া সবাই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে।

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাজেকের নব্বই ডিগ্রি এলাকায় সাজেক-উদয়পুর সীমান্ত সড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার সময় শ্রমিকবাহী মিনি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ১০০ ফুট খাদে পড়ে ৯ জন নিহত হন। আহত হন আরো ৮ জন। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের খবর পরিবারে এসে পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহতরা হলেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রিয়াছত আলী ভূইয়ার ছেলে এরশাদুল (৪২), তারুন্দিয়া ইউনিয়নের গিরিধরপুর গ্রামের শহীদুল্লাহ'র ছেলে শাহ আলম (২৮), একই ইউনিয়নের শ্রীফুরজিথর গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (২১), মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন মিয়া (২০), মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মোহন মিয়া (১৭)। গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে তপু হাসান (১৭)।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মরদেহ বাড়িতে না পৌঁছালেও পরিবারে শোকের মাতম চলছে। শুধু তা-ই নয়, এমন মর্মান্তিক খবরে এলাকাতেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহতের খবর শুনে গত রাত থেকেই আশেপাশের লোকজনসহ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষজন।

তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রানা বলেন, সাজেকের দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে ৪ জনের বাড়ি আমার ইউনিয়নে। এই ঘটনায় আমি নিজেও খুবই মর্মাহত।

বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুল হক ভুইয়া মিলন বলেন, আমার ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রিয়াছত আলী ভূইয়ার ছেলে এরশাদুল সাজেক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। শুনেছি মরদেহ নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে থেকে প্রতি পরিবারে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড় পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক নিহতদের পরিবারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে'।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বলেন, ওই সড়ক দুর্ঘটনায় মইলাকান্দা ইউনিয়নের একজন মারা গেছেন। আরেকজন আহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন।

;