শ্রমিক অবরোধে নামতে পারেনি বিআরটিসির শতাধিক বাস
ঢাকা: জোয়ারসাহারা ডিপোতে চালক শ্রমিকদের অবরোধের কারণে রাজধানী মতিঝিল আব্দুল্লাপুর রোডে কোন এসি বাস নামতে পারেনি।
এছাড়া টঙ্গি থেকে মতিঝিল রুটের ৩০টি, গাজীপুরের শিববাড়ি থেকে মতিঝিলের ২০টি, স্টাফ ও স্কুল ও মহিলা বাস ২০ টি বাস এবং ৩৩ টি সিঙ্গেল ডেকার চায়না বাস ডিপো থেকে বের করতে দেয়নি শ্রমিকরা।
এদিকে ডিপো ম্যানেজারের পরিবর্তনে পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন দেখছেন না আন্দোলনকারীরা। এমনকি চেয়ারম্যানের বার বার ডিপো ম্যানেজার পরিবর্তনকে ভালো চোখেও দেখছেন না তারা।
বুধবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর খিলক্ষেতের জোয়ারসাহারা ডিপোতে শ্রমিকরা তাদের দশ মাসের বকেয়া বেতন দাবি করে আন্দোলনে নামে। গেট বন্ধ করে দিয়ে অবরোধ করে রাখে জোয়ারসাহারা ডিপো।
দুপুরেও সেখানে ডিপোর বিভিন্ন অফিস কক্ষে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে তারা।
শ্রমিকরা বলছেন, বিভিন্ন সময় দাবি নিয়ে গেলে ঊর্ধ্বতনদের কেবল আশ্বাস শোনা যায়। এভাবে ১০ মাসের বেতন আটকা পড়েছে।
জোয়ারসাহারা ডিপো ম্যানেজার মনিরুজ্জামান জানান, শ্রমিকদের অবরোধের কারণে ডিপো থেকে বুধবার কোন বাস বের হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াসা, স্কুল ও মহিলা বাসসহ শতাধিক বাস নামতে পারেনি রাজধানীর কোন রুটে।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সমঝোতা আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের আহ্বান জানান বিআরটিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন রশীদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিক তার ওপর চড়াও হোন।
ডিপোর অনিয়মে জড়িত এই শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে সেখানে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন চালকরা। তারা বলেন, হারুন এখান কমিশন নেয় মাসে কয়েক লাখ টাকা। তাদের কয়েকজনের কারণে ডিপোতে নিয়মিত বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া বাসের ট্রিপ চুরি , যন্ত্রাংশ কেনার নামে অতিরিক্ত ব্যয় ও নিজেদের পকেট ভারি করেছেন ডিপোর ম্যানেজার সহ কর্মকর্তারা।
বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভুইঁয়া বলেন, পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
৩ দিন আগে এ ডিপোতে অস্থিতিশীল পরিবেশ আঁচ করে ডিপো ম্যানেজারের পরিবর্তন আনেন চেয়ারম্যান।
তবে ডিপোর অভিযোগ বিআরটিসি চেয়ারম্যান বার রার ম্যানেজার পরিবর্তন করে ডিপোকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছেন। এসব কারণে ডিপো লাভের মুখ দেখছে না।