রাস্তা খেকো চেয়ারম্যান আনিসুল!



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল: নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম আনিসুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ করেছে তার নিজ পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা। বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণ না করে সেই অর্থ খেয়ে ফেলায় এখন তাকে ‘রাস্তা খেকো, চেয়ারম্যান বলে ডাকা হয়।

এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের ৯ জন সদস্য গত ২ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম আনিসুল ইসলাম সরকারের বিভিন্ন প্রকার উন্নয়ন কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে এলজিএসপি, টিআর, কাবিখা, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ।

ইউপি সদস্যরা জানায়, ইউনিয়ন সচিবের যোগসাজশে চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পাঁচ লাখ টাকার প্রকল্প হিসাবে বিছালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আড়পাড়া মফিজের বাড়ি হতে মিসকাতের বাড়ি অভিমুখে রাস্তায় ইটের ফ্লাট সলিং নির্মাণ কাজ করা হয়েছে বলে ইউনিয়ন পরিষদের কাজের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ এ রাস্তার কাজ অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা পরিষদ শেষ করেছে।

একই ভাবে ২নং ওয়ার্ডের মির্জাপুর তপন বাবুর বাড়ি থেকে অনিমেষের বাড়ি এলাকার রাস্তায়, ৪নং ওয়ার্ডের চাকই আজিবর মল্লিকের বাড়ি থেকে হালিম মল্লিকের বাড়ি এলাকার রাস্তায় ইটের ফ্লাট সলিং নির্মাণসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা জেলা পরিষদ টেন্ডারের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। অথচ চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এসব রাস্তার কাজ সম্পন্ন দেখিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ আজিম জানান, মির্জাপুর তপন বাবুর বাড়ি থেকে অনিমেষের বাড়ি এলাকার রাস্তা জেলা পরিষদ করেছে। তার ওয়ার্ডে ইউনিয়ন থেকে কোনো কাজ হয় নাই।

একই ভাবে ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মজুর আকন, ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডে ইউনিয়ন থেকে নয় সব রাস্তা জেলা পরিষদ করেছে।’

অভিযুক্ত বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা ঠিক নয়। রাস্তাগুলো আমি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে করেছি।’

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

   

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফর স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) একটি কূটনৈতিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, পারস্পরিক সুবিধাজনক নতুন তারিখে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হবে। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় এবং দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এজেন্ডার অগ্রগতি পর্যালোচনার অংশ।

২০ এপ্রিল ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত অতিথিদেরও এ সংক্রান্ত একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সফরটি স্থগিত করা হয়েছে।’

সফরের বিষয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দিলেও শনিবার সংক্ষিপ্ত সফরে তার ঢাকায় আসার কথা ছিল।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকের কথা ছিল।

;

পাবনায় ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনিসহ ১২টি ট্রাক জব্দ করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এগুলো জব্ধ করা হয় এবং ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

;

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



শরীফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;