সিলেটে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক!



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট: সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধির ধার ধারছেন না কেউ। প্রার্থীদের মধ্যে আচরণ বিধি লঙ্ঘণের হিড়িক পড়েছে। প্রার্থীরা দিনভর শোডাউন করছেন নগরীতে। এতে যানজটে নাকাল হচ্ছেন নগরবাসী। প্রতিদিন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলেও রির্টার্নিং কর্মকর্তা রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর এডভোকেট এহাসনুল মাহবুব জুবায়েরের পক্ষে বিধি লঙ্ঘন করে সহশ্রাধিক কর্মী নিয়ে শোডাউন করেছে জামায়াত। এতে রোববার (২২ জুলাই) দিনভর পুরো নগরীর রাস্তাঘাট অনেকটা অচল হয়ে পড়ে। অভিযোগ রয়েছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শুরু থেকে জামায়াত নগরীতে শক্তি বৃদ্ধি করছে। কোথাও বাধাঁর মুখে পড়লে পাল্টা হামলা করারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এদিকে কামরান সমর্থক ও জুবায়ের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ারও ঘটনা ঘটেছে।

/uploads/files/hmBAHFYQcW0akuh8b6O5coW7LnBRjXJnJ9CbaTle.jpeg

বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী বিশাল কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রতিদিন শোডাউন করছেন নগরীতে। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ শতশতকর্মী তার সঙ্গে থাকেন। রোববার (২২ জুলাই) বিপুল সংখ্যকর্মী সমর্থক নিয়ে গণসংযোগ করছেন। মেয়রপ্রার্থী কামরানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী আরিফের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দুটি পৃথক অভিযোগ দেন রিটার্নিং অফিসারের কাছে। তার অভিযোগ জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সভা-সমাবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী মেডিকেল রোডে সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করেছেন।

নগরীর ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহের ভেতরের মাঠ ব্যবহার করে নির্বাচনী পোস্টার সাঁটানোর কার্যক্রম চালাচ্ছেন এমন অভিযোগও রয়েছে আরিফের বিরুদ্ধে।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচন কমিশনে কামরানের বিরুদ্ধে দুটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। (২২ জুলাই) করা অভিযোগে আরিফের পক্ষে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ উল্লেখ করেন কামরান নগরীর সুবিদবাজারের বনকলাপাড়ায় সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে রাত ১১টা পর্যন্ত সমাবেশ করেছেন। বিশাল স্টেজ, ব্যানার, কয়েক শতাধিক চেয়ার ও বেশ কয়েকটি মাইক বাজিয়ে নৌকার পক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

/uploads/files/g9yr5rY3GKZeEsYn2Y2Bb2NYU27Aso4OD6ZhLe5D.jpeg

মেয়র পর্যায়ের অভিযোগের খণ্ডচিত্র এটি। পুরো নগরীর সবকটা ওয়ার্ডে আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পাহাড় জমছে রিটার্নিং অফিসে। রহস্যজনক কারণে নির্বাচন কমিশন নির্লিপ্ত ভুমিকা পালন করছে। লিখিত অভিযোগ পেলেই তদন্তের কথা বলে, পাঠিয়ে দিচ্ছে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের রির্টানিং অফিসার আলীমুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এত অভিযোগ পড়ছে যে তা দেখার এতো সময় নির্বাচন কমিশনে নেই। আমরা পুলিশ কমিশনারের কাছে পাঠাচ্ছি। তার প্রতিবেদন দিলে ব্যবস্থা নিব।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ গোলাম কিবরিয়া বলেন, পুলিশ নিয়ম নীতি অনুসরণ করে তদন্ত করছে। নির্বাচন কমিশন চাইলে পুলিশ সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

 

   

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) কাতারের বিনিয়োগকারীদের প্রতি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গভবনে ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান তিনি।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, খাদ্য সরবরাহের চেইনগুলো উৎপাদন থেকে ব্যবহার পর্যন্ত যেমন—কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ, খাদ্য প্যাকেজিং, স্মার্ট এগ্রিকালচার, সার উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।

উপসাগরীয় অঞ্চলে কাতারকে বাংলাদেশের একটি মূল্যবান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমিরের সফর এবং দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) আগামী দিনে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও সম্প্রসারিত ও গভীরতর করবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক বিশেষ অঞ্চল স্থাপন করেছে। কাতারের বিনিয়োগকারীরা পেট্রো-কেমিক্যাল, জ্বালানি, মেশিনারিজ, তথ্য-প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স, সিরামিক, কৃষি ব্যবসা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মতো কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রণোদনা পেতে এবং সহায়তা করতে পারে।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন প্রায় ৩ দশমিক ৭৫ লাখ বাংলাদেশিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার জন্য কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই জনবল কাতার ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রতিনিয়তই অবদান রাখছে।

কাতারের আমিরকে আরও তরুণ, দক্ষ ও আধা-দক্ষ জনশক্তি, আইটি বিশেষজ্ঞ, পেশাদার প্রযুক্তিবিদ নিয়োগের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) দেওয়ার জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান কাতারের কাছে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সহায়তা চেয়েছেন। তিনি বলেন, বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উভয় পক্ষকে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রপতি চলমান ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনার সুবিধার্থে কাতারের (মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। কাতার ও বাংলাদেশ স্বাক্ষরিত বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

সাক্ষাতকালে উভয় নেতা তাদের মধ্যে কুশল বিনিময় করেন এবং আনন্দ প্রকাশ করেন, এই সফর বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার উপায় নির্ধারণ করবে।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পররাষ্ট্র সচিব এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে কাতারের প্রতিনিধি দলে ছিলেন আমিরি দেওয়ান প্রধান শেখ সৌদ বিন আবদুল রহমান আল থানি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া বিন আলী আল কাহতানি ।

বৈঠক শেষে কাতারের আমির ফটোসেশনে অংশ নেন এবং দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন।

;

সার্টিফিকেট বাণিজ্যের দায় স্বীকার কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রধান হিসেবে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের দায় অবশ্যই আমি এড়াতে পারি না’ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আলী আকবর খান বলেন, ‘একটি ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত’!

স্ত্রীকে গ্রেফতারের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা কী তথ্য পেয়েছে, তাও কিছুই জানি না’।

তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা বের করেছে, এর বেশি কিছু জানি না। সার্টিফিকেটের কাগজ ওয়েবসাইটে পাইনি’।

২০ লাখ টাকা ঘুষের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটির তদন্ত চলছে’।

কত সংখ্যক সার্টিফিকেট বাণিজ্য হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আলী আকবর খান বলেন, ‘মিডিয়াতে শুনতে পেয়েছি, পাঁচ কী সাড়ে পাঁচ হাজার। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই, কতগুলো হয়েছে’।

কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রধান হিসেবে আপনার দায় আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অবশ্যই এর দায় আমি এড়াতে পারি না’।

আপনার স্ত্রী বিনা অপরাধে জেল খাটছে বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বিনা অপরাধেই জেল খাটছেন’।

আপনাকে ওএসডি করা হয়েছে কেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মিডিয়ায় একটি সংবাদ চলে আসছে এবং ডিবির কাছে তথ্য আছে, সেজন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে’।

এর আগে সনদ ও নম্বরপত্র জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে স্ত্রী সেহেলা পারভীন গ্রেফতারের পর আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে গোয়েন্দা পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেলে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সাবেক এই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ।

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেফতার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কজেলের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।

;

পদ্মায় গোসলে নেমে তিন কিশোরের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পবা উপজেলার চরশ্যামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- কাটাখালি পৌরসভার বাখরাবাজ এলাকার রেন্টু মিয়ার ছেলে যুবরাজ হোসেন, নূর ইসলামের ছেলে মো. নুরুজ্জামান ও লিটন হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন।  

নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুল পড়ুয়া সাত বন্ধু পদ্মা নদীতে গোসল করতে আসে। গোসলের এক পর্যায়ে বাকিরা পাড়ে উঠতে পারলেও তিনজন পানির নিচে তলিয়ে যায়। পরে অন্যান্যরা স্থানীয়দের খবর দিলে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের দল এসে তাদের উদ্ধার করে।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা জানান, নিখোঁজের খবর পেয়ে ঘটনায়স্থলে ডুবুরি দল পাঠানো হয়। পরে ফায়াস সার্ভিসের ডুবুরি দল পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে এক এক করে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মৃতরা সবাই কিশোর। তাদের সবার বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এদিকে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

;

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যের ৪ নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো—

>> তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

>> প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

>> গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

>> গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এর আগে, হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে এবং পুলিশ সদস্যদের সুস্থ থাকতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১১টি নির্দেশনা প্রদান করে। সেগুলো হলো- বাইরে দায়িত্ব পালনের সময় ছাতা, ক্যাপ এবং সানগ্লাস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ধীরে ধীরে পান করতে হবে এবং ঠান্ডা পানি (বরফসহ/ফ্রিজের পানি) পান পরিহার করতে হবে।

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পুলিশ মেস এবং ক্যান্টিনে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে।

বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আধাঘণ্টা পর/দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর হাতমুখ ধৌত বা গোসল করতে হবে। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।

;