পানি সংকটে বিপাকে পাট চাষিরা



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল: আষাঢ়-শ্রাবণ মাস বর্ষা মৌসুম হলেও এ বছর তেমন বৃষ্টি হচ্ছে না নড়াইলে। এ কারণে পুকুর-খাল-বিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট পচানো নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষিরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একদিকে পাট কেটে রোপা আমন চাষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। অপরদিকে পাট চাষ করে এতদিনের ফসল শেষ সময়ে পানির অভাবে নষ্ট হতে বসেছে। অনেকে জমির পাট কেটে সেখানে ধান রোপন করলেও পানি না থাকায় পাট সড়কের পাশে স্তুপ করে রেখে দেয়া হয়েছে। এতে করে পাট পচাতে না পেরে ক্ষতির আশঙ্কা করছে চাষিরা।

সদর উপজেলার শেখহাটি গ্রামের ইজাজ হোসেন বলেন, ‘আমি এক একর জমিতে পাটের চাষ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে পাট কেটে এখন বিপাকে পড়েছি। পানির অভাবে পাট পচানোর জায়গা নেই। তাই সড়কের পাশে ফেলে রেখেছি।’

লোহাগড়া উপজেলার শরশুনা গ্রামের আহাদ মিয়া বলেন, ‘এত টাকা-পয়সা খরচ করে পাটের আবদ করে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি। পানির অভাবে পাট পচাতে পারছি না। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।’

কালিয়া উপজেলার বাবরা গ্রামের সমির বৈরাগী বলেন, ‘অন্যান্য বছরগুলোতে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে প্রচুর বৃষ্টি হলেও এ বছর বৃষ্টি নেই। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছি না। প্রচণ্ড রোদে কাটা পাট শুকিয়ে যাচ্ছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৩ উপজেলায় ১৮ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এর মধ্যে লোহাগড়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। এ উপজেলায় ১১ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৫ বেল পাট। এছাড়া নড়াইল সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে ৫৩ হাজার ১৫৬ বেল পাট এবং কালিয়া উপজেলায় ২ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ২৯ হাজার ৮১২ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, পাট এ অঞ্চলের নিচু এলাকায় বেশি চাষ হয়ে থাকে। পানির সমস্যা থাকলে চাষিদের আধুনিক রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচাতে হবে। পাট অধিদপ্তর এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে।

   

বে-টার্মিনাল চারটিই হবে বিদেশি বিনিয়োগে: বন্দর চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বন্দরে বে-টার্মিনালের চারটিই বিদেশি বিনিয়োগে হবে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

তিনি বলেন, বে-টার্মিনাল আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প। প্ল্যানিং হচ্ছে। আমরা ভূমি পেয়ে গেছি। মাস্টারপ্ল্যান হয়ে গেছে। সবচেয়ে গভীর চ্যানেল হবে এখানে। ১২-১৪ মিটার ড্রাফটের চ্যানেল। সব নকশা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সুখবর হচ্ছে এখানে তিনটি টার্মিনাল হওয়ার কথা ছিল। এখন চারটি টার্মিনাল হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৩৭তম বন্দর দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করবে। আর টার্মিনাল ১ পরিচালনা করবে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি এবং টার্মিনাল ২ পরিচালনা করবে দুবাইভিত্তিকে প্রতিষ্ঠান ডিপি। দেড় বিলিয়ন করে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে দুইটি টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা করবে তারা। একটি লিকুইড বাল্ক টার্মিনাল করবে দেশি প্রতিষ্ঠান। সেখানে হাফ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হচ্ছে।

‌বে-টার্মিনালে মোট নয় থেকে দশ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। বন্দরের মাল্টিপারপাস টার্মিনালে এক বিলিয়ন ডলার বিদেশিরা বিনিয়োগ করবে। সে চুক্তিও আমরা করব। বলতে গেলে বে-টার্মিনাল পুরোটাই হবে বিদেশি বিনিয়োগে। এখানে সব মিলিয়ে নয় থেকে দশ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ, বলেন তিনি।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, কোভিড অতিমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা বিশ্ব অর্থনীতির প্রত্যাশিত গতি মন্থর করলেও চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে তেমন প্রভাব ফেলেনি। সর্বোচ্চ ২ দিনে জাহাজ লোড আনলোড শেষ করে পরবর্তী গন্তব্যে ছেড়ে দিচ্ছি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এবার ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হবে।

গত বছর সাফল্যজনক ছিল। পিসিটিতে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দিতে সক্ষম হয়েছি। এতে বন্দর তথা রাষ্ট্র উপকৃত হবে। বৈদেশিক আয় বাড়বে। শতভাগ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক দেড় বছরের মধ্যে সব ইকুইপমেন্ট চলে আসবে। গতানুগতিক সিস্টেম থেকে বেরিয়ে ল্যান্ডলর্ড সিস্টেমে বন্দর পরিচালনা শুরু করেছি, জানান তিনি।

রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় জলসীমা নিরাপদ রেখেছি। চট্টগ্রাম বন্দর নিরাপদ। বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ এলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে। তথ্যপ্রযুক্তি, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়বে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাই প্রতিযোগিতা থাক। আর বায়ার চায় অর্ডার ঠিকমতো ডেলিভারি পাচ্ছে কি’না। দেশে লজিস্টিক সাপোর্ট থাকলে পোশাক কারখানার অর্ডার বাড়বে। পিসিটিতে প্রতি বছরে আড়াই লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং ভাড়া দিতে হবে কার্যাদেশ পাওয়া বিদেশি অপারেটরকে। সবার কাছে হিসেব আছে বাংলাদেশের চাহিদা সম্পর্কে। বে-টার্মিনাল ও গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে বিদ্যমান বন্দর জেটিতে লাইটার জাহাজ ও প্যাসেঞ্জার শিপ ভিড়তে পারবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে জেনারেল কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৯ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার টন। এ সময় জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ১টি। বিগত বছরে ৪৩ হাজার বর্গমিটার কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে ২০ ফুটের ৭ হাজার কনটেইনার রাখার সুযোগ হয়েছে। ৪ হাজার ২৭৫ বর্গমিটারের কেমিক্যাল শেড নির্মাণ করা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা রক্ষায় উভয় পাড়ে ২ হাজার ৮৫০ মিটার রিভেটমেন্ট কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর তিন-চার বছরের মধ্যে নিজস্ব টার্মিনালে অপারেশন শুরু করবে। সাপোর্ট ভ্যাসেল সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যাতে টার্মিনাল একদিনও বন্ধ না থাকে। মাতারবাড়ীতে দ্বিতীয় ধাপে ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণের জরিপ কাজ চলছে।

কর্ণফুলী দখল দূষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কর্ণফুলী চট্টগ্রাম বন্দরের হার্ট। এ নদী আমাদের মায়ের মতো। নদী খনন, বর্জ্য অপসারণ নিয়মিত করে যাচ্ছি। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। বর্জ্য ঠেকাতে বন্দরের পক্ষ থেকে খালের মুখে নেট বসিয়ে দেওয়া হবে। তবে এককভাবে কারও পক্ষে নদী রক্ষা সম্ভব নয়। বন্দরের অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। ১৯৮৬ সালে নির্ধারিত ট্যারিফে বন্দর চলছে। এখন জ্বালানির দাম বেড়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের ট্যারিফ কম। আমরা প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। এটা জরুরি।

এমভি আবদুল্লাহ নিরাপদে মুক্ত হওয়ায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে মন্তব্য করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি নিরাপদে মুক্ত হওয়ায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের আন্তরিকতা, বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় এটি সম্ভব হয়েছে। এটা পজেটিভ দিক।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের পর্ষদ সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান, সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) হাবিবুর রহমান, সদস্য (অর্থ) শহীদুল আলম ও সচিব ওমর ফারুক।

;

থানচিতে ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থানচি উপজেলার সীমান্ত সড়কের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে সন্ত্রাসীরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে থানচি সীমান্ত সড়কের ৮ কিলো নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে চারটি ট্রাক থানচি সীমান্ত সড়কের ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় নির্মাণ কাজের জন্য ইট রেখে দুর্গম পথ অতিক্রম করে থানচি বাজারে আসছিল। পথে সীমান্ত সড়কের ৮ কিলোমিটার নামক স্থানে পৌঁছালে জঙ্গলের ভেতর থেকে সাতজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ট্রাক লক্ষ্য করে ৬-৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

গুলিতে একটি ট্রাকের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চালকেরা দ্রুত গাড়ি চালিয়ে থানচি বাজারে চলে আসে। এসময় সন্ত্রাসীদের মাথায় লাল কাপড় বাঁধা ছিল। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ট্রাকের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। তবে কে বা কারা গুলি করেছে তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না কেউ।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, ট্রাকে গুলি লাগার খবর পেয়েছি। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

;

নির্বাচনে অনিয়ম হলে সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না: ইসি আনিছুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না: ইসি আনিছুর

নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না: ইসি আনিছুর

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন সময় অনিয়ম হলে সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না। আমাদের একটাই চাওয়া-নির্বাচনকে সুন্দর করতে হবে। কোনও অনিয়ম, কারচুপি বা যেখানেই অন্যায় কার্যক্রম হবে সেখানে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নিতে পারবেন।  

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম নগরের পিটিআই ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে নয়টি জেলার প্রতিটি উপজেলায় ইভিএম’র মাধ্যমে এবং বাকি জেলাগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এ নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না।

আনিছুর রহমান বলেন, গত নির্বাচন একই দিনে সম্পন্ন হলেও এবারের নির্বাচনে ব্যবস্থাপনার সুবিধা ও কৃচ্ছতাসাধনের লক্ষ্যে চার ভাগে নির্বাচন শেষ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ৮ মে ১৫০টি উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি জেলাগুলোতে ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বান্দরবান জেলার তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। দুর্গম, পাহাড়ি ও দ্বীপ এলাকাগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটের আগের দিন নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়া হবে এবং বাকি জেলাগুলোতে ভোটের দিন সকাল ৮টার আগে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেয়া হবে এবং বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এভাবে কখনো প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। ওইদিন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। বাতিল করার মতো যথেষ্ট উপাদান ছিল। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমানকে সপ্তাহখানেক আগে থেকে নজরদারি করা হচ্ছিল। যখন তিনি থানায় ঢুকে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মারধর করছেন, সার্কেল এসপিও তাকে নিবৃত্ত করতে পারছেন না, এরপর আর বসে থাকা যায়নি। তখনই আমরা প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা ভোটের দিন যে যেখানে থাকবেন, আইনের স্বপক্ষে সর্বময় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এতে যদি কোনো রকমের বিপদগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, আমরা আপনাদের পাশে আছি।

বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, বিজিবি’র রিজিওনাল কমান্ডার মো. আজিজুর রহমান, ডিজিএফআই চট্টগ্রাম শাখার অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এস. এম. শফিউল্লাহ, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী ও জেলার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

;

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে

চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিয় থানার মনসুরাবাদ দু'পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল-২৪ এর সংবাদ কর্মী সেলিম উল্লাহর ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

হামলায় আহত সেলিম উল্লাহ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের চট্টগ্রাম অফিসের স্টাফ ক্যামেরাপারসন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদে এ ঘটনার পর পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। পরদিন ২২ এপ্রিল বিকেলে আদালতে হাজিরের পর তারা জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

হামলার পর সাদ্দাম হোসেনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে নগরের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন আহত সাংবাদিক সেলিম।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, মনসুরাবাদ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীর ওপর হামলা মামলার আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন

হামলায় আহত সেলিমের ভাষ্য, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে মনসুরাবাদে সংঘর্ষের মুখে পড়েন সেলিম। এ সময় তিনি সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশে ভিডিও ধারণ শুরু করেন। তা দেখে ঘটনাস্থলে থাকা সাদ্দাম ও তার অনুসারীরা তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টাও করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পিছু হটে। হামলায় চোখে ও পায়ের লিগামেন্টে মারাত্মক জখম হয়েছে বলে সেলিম জানান।

এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক সেলিম উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। বুধবার প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

;