প্রাপ্তির মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ মেহরাব
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীতে নটরডেম কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর সানজিদা বিন প্রাপ্তির (২০) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ইসরাফুল মেহরাব (২২)। তাকে উদ্ধারের জন্য ঢাকা থেকে আসা নৌ বাহিনীর একটি দল, ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের একটি ও আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
রোববার বেলা সোয়া ১১টায় রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সেতুর কিছুটা দূরে মেঘনা নদীর ভৈরব প্রান্ত থেকে প্রাপ্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাপ্তি ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকার তানভির আহমদের মেয়ে ও ঢাকা নটরডেম কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হীরা জানান, গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরসোনারামপুর এলাকার সিরাজগঞ্জ-আশুগঞ্জ গ্রিড লাইনের টাওয়ারের উত্তর পাশে মেঘনা নদীতে ডুবে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। তবে সন্ধ্যার দিকে খারাপ আবহাওয়া থাকার কারণে উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখতে হয়। তবে রোববার সকালে ঢাকা থেকে আসা ১০ সদস্যের নৌ বাহিনীর একটি ডুবুরি দল, ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যের একটি দল ও আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এরই মধ্যে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সেতুর কিছুটা দূরে মেঘনা নদীর ভৈরব প্রান্তে সানজিদা বিন প্রাপ্তির মরদেহ ভেসে উঠে। পরে নৌ পুলিশ ও আশুগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এখনো মেহরাবকে উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার ঢাকা থেকে প্রাপ্তি ও মেহরাবসহ নটরডেম কলেজের ৭ বন্ধু মিলে আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর এলাকায় বেড়াতে আসেন। এদের মধ্যে ২ জন মেয়ে ও ৫ জন ছেলে ছিল। ওই দিন বিকেলে সোনারামপুরের সিরাজগঞ্জ-আশুগঞ্জ গ্রিড লাইনের টাওয়ারের উত্তর পাশে মেঘনা নদীতে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় প্রাপ্তি ও মেহরাব গোসল করতে নামেন। সাঁতার না জানার কারণে প্রবল স্রোতে হঠাৎ দুজন পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় বাকিরাও তাদের উদ্ধার করতে পানিতে ঝাঁপ দেয়। পরে এলাকাবাসী ৫ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও প্রাপ্তি ও মেহরাবকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।