তাঁতপল্লীর খট খট শব্দ এখন আর নেই



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল: তাঁতপল্লীর কলগুলোর খট খট শব্দ এখন আর নেই। কিন্তু এমন এক সময় ছিল যখন তাঁতপল্লীর কারিগররা সকাল-সন্ধ্যা কাজে ব্যস্ত থাকতো। দম ফেলবারও ফুসরত ছিল না তাদের। নতুন রঙ করা সুতা, তাঁতের একটানা খট খট আওয়াজ আর নতুন গামছা, লুঙ্গি ও শাড়ির গন্ধ পাওয়া যেত। কাপড়ের পাইকারি বাজারগুলো ছিল মুখরিত। এখন সবই স্মৃতি। এসব রেখে জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনে অন্য পেশায় চলে গেছে তাঁতপল্লীর কারিগররা।

জানা গেছে, নড়াইলের আফরা, কলোড়া, আগদিয়া, মাইজপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিল প্রায় এক হাজার তাঁতি পরিবার। কর্মসংস্থান ছিল কমপক্ষে তিন হাজার নারী-পুরুষের। ১০-১৫ বছর আগেও এখানের তাঁতপল্লীগুলো জমজমাট ছিল। এখন তাঁতিরা দিনমজুর, রাজমিস্ত্রি, ভ্যান-রিকশাচালক, কৃষিকাজ অথবা অন্য কোনো পেশায় চলে গেছে। তাঁতের কাজে নারীদেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ ছিল, তবে তারা এখন বেকার। তাঁতের ঘরটিতে এখন গরু-ছাগল থাকে অথবা অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়।

সদর উপজেলার আফরা গ্রামের আতিক হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, গত এক বছর আগে চালু থাকা সর্বশেষ তাঁতটিতে গামছা বুনছিলেন। হঠাৎ সেটি অচল হয়ে যায়। এরপর আর তা মেরামত করেননি। এরপর থেকে ওভাবেই পড়ে আছে তাঁতটি। এ ঘটনার মধ্য দিয়েই এ এলাকায় তাঁতের অধ্যায় শেষ হয়ে যায়।’

তিনি জানান, তাদের গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে এখনো অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে সুতা কাটার চরকা আর কাপড় বোনার নানা অনুষঙ্গ। অথচ এক সময় আফরা গ্রামে প্রায় একশ পরিবারে তিন শতাধিক তাঁত ছিল।

তিনি আরও জানান, সাত আট বছর আগেও এ গ্রামের আনিছুর, রহমাত, আসলামের মতো অনেকেই সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করতেন। নিজেই একেকটা ব্র্যান্ড হয়ে গিয়েছিলেন তারা। নিজেদের নামে গামছা, লুঙ্গি বাজারজাত করতেন। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে একে একে সবকটি তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে। পূর্ব পুরুষের পেশা ছেড়ে বিকল্প পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে তারা।

উপজেলা দূর্গপুর গ্রামের লিটন বিশ্বাস জানান, তার বাবা-দাদা এ কাজ করেই সংসার চালাতেন। এখন আর কেউ এ কাজ করেন না। এ কাজ ছেড়ে বর্তমানে কেউ মাঠে, কেউবা ভ্যান চালিয়ে জীবনযাপন করেন।

মাইজপাড়ার সলেমান তালুকদার জানান, ৩৪ বছর তাঁতের কাজ করে সংসার চালিয়েছেন। তবে ১২ বছর আগে এ পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। আগে এলাকার তৈরি জিনিসের কদর ছিল। এখন সবকিছু বাইরে থেকে আসছে। তাই বর্তমানে ব্যবসা করে জীবনযাপন করেন তিনি।

আকদিয়া গ্রামের আরেক তাঁতি পরিবারের সন্তান রজব আলী জানান, তার পরিবার কয়েক যুগ ধরে তাঁতের কাজ করেছে। বছর দশেক আগেই তারা কাপড় বোনা ছেড়ে দিয়েছেন।

তাঁতিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুতার দাম বৃদ্ধি, আর্থিক সহযোগিতা না পাওয়া, সর্বোপরি যন্ত্রচালিত তাঁতযন্ত্রের কাছে হস্তচালিত তাঁত প্রতিযোগিতায় কুলিয়ে উঠতে না পেরে ধারাবাহিক লোকসান দিতে দিতে একসময় বন্ধ হয়ে গেছে।

শহরের রূপগঞ্জ বাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী অলোক সাহা জানান, আগে তারা স্থানীয়ভাবে তৈরি জিনিসই বিক্রি করতেন। এখন তো আর পাওয়া যায় না। তাই কুষ্টিয়া, পাবনা, ঢাকার বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য কিনে বিক্রি করেন।

নড়াইল বিসিকের উপ-পরিচালক এস.এম কামরুল হাসান বার্তা২৪.কমকে জানান, বিভিন্ন টেক্সটাইল, গার্মেন্ট কারখানা অনেক কম দামে গামছা, লুঙ্গি, শাড়ি বিক্রি করছে। ফলে স্থানীয় তাঁতিরা মার খেয়ে যাচ্ছেন। বৃহৎ শিল্পের মারপ্যাঁচে কুটির শিল্প গুটিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি উপকরণের দামও বেড়েছে। তবে বিসিক থেকে কারিগরদের তালিকা তৈরি করে তাদের অর্থনৈতিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ প্রদান ও বাজার সৃষ্টির পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

   

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আসন্ন পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাসের উদ্যোগে এলাকার মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।ক

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ঈদের আনন্দ সকলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা যদি পাঁচজনের মুখেও হাসি ফোটাতে পারি সেখানেই আমাদের সফলতা। ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। ক্ষমতা ভোগের বিষয় নয়।

তিনি বলেন, এবার ইফতারের অর্থ দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এ ধরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

সরকার সবসময় মানুষের পাশে আছে। মানুষের জীবন আরও সহনীয় করতে কাজ করছে। সরকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

;

নওগাঁয় নারী উদ্যোক্তাদের হাট বাজার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় নারীদের উদ্যোক্তা সংগঠন উইমেন্স অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট ‘উই টিম’ নওগাঁ’র উদ্যোগে অফলাইন মিটিং এবং হাটবাজার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) শহরের বৌ বাজার খলিফাপাড়ায় দিনব্যাপী এই হাটবাজারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যোক্তারা নিজের তৈরিকৃত পণ্যের পসরা নিয়ে বসে আছেন যেখানে আছে থ্রি পিস, বুটিকের তৈরি পোশাক, ছোট বাচ্চাদের পোশাক, গহনা, আংটি, চুড়ি, ওড়না ইত্যাদি।

হাটবাজারে স্টল দেওয়া উদ্যোক্তা ও উই গ্রুপের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শারমিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নারী উদ্যেক্তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের এই ব্যানারে সারাদেশে মেলা হচ্ছে। যেখানে দেশি পণ্যের প্রচার হবে, আমাদের ও প্রচার। যারা বাসায় বসে অনলাইনে সেল করে তারা অফলাইনেো সেল করতে পারছে। এতে উদ্যেক্তাদের জন্য খুবই ভালো হচ্ছে। যদি রোজা না হতো আমরা বাহিরে ৩ দিন ধরে মেলা করতাম।

ইসরাত জাহান চৈতি বলেন, আমাদের ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ খুবই ভালো ফল এনে দেয়। কারণ আমরা এখানে আসায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছি। অফলাইন-অনলাইন দুই মাধ্যমেই বিক্রি ভালো হচ্ছে। 

উদ্যোক্তা বিপাশা ভট্টাচার্য বলেন, এই ধরনের হাট বাজারের মাধ্যমে আমাদের প্রসারের সুযোগ রয়েছে। এতে পরিচিত বাড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসরিন লেজু বলেন, বাসার কাছেই এসে দেখি হাট বসেছে। এখনাএ দাম ও মান ভালো হওয়ায় পণ্য কিনতে পেরেছি।

এসময় উই গ্রুপের নওগাঁ প্রতিনিধি শারমিন, প্রতিনিধি তনুসহ অনেক উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে মরদেহ দাফনে বাধা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদরে মজিবর রহমান (৬৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় মৃত্যুর পর তার তৃতীয় ছেলের বিরুদ্ধে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুই ঘণ্টা মরদেহ বাড়ির উঠানে পড়ে থাকে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সদরের চাওয়া সরঞ্জাবাড়ি ইউনিয়নের বাটুল টারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মজিবর রহমান ওই এলাকার বাসিন্দা ও চার সন্তানের জনক।

সম্পত্তির ভাগ না দেওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত মজিবর রহমান তার তিন ছেলেকে নিজের সম্পত্তির জমি লিখে দেয়। তার তৃতীয় ছেলে নওশাত আলী ঢাকায় চাকরি করতেন। তার সাথে বাবার বনিবনা কম থাকায় তাকে কোনো জমি লিখে দেয়নি। হঠাৎ মধ্যরাতে মজিবর রহমান মারা গেলে শুক্রবার দুপুরে তাকে দাফন করার প্রস্তুতি নেয় স্বজনরা। এ সময় নওশাদ তার বাবার কবরে শুয়ে থেকে মরদেহ দাফন করতে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুঁড়ে মরদেহ দাফন করেন।

এ বিষয়ে চওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কবির শাহ বলেন, মৃত মজিবর তার তৃতীয় ছেলেকে জমি লিখে না দেওয়ার কারণে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা সবাই মিলে পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অন্য জায়গায় কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

;

দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানাধীন টেক্সটাইল গেট এলাকায় জুতার সোল তৈরির কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৪টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে প্রথমে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটিসহ ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। বর্তমানের ইউনিট বাড়িয়ে মোট ৯টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

বায়েজিদ থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। পোশাকের কারখানা নয়। আমি ঘটনাস্থলে আছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে। 

;