এমএনপি চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা, বিটিআরসি’র সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ অপারেটররা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি-এমএনপি (বর্তমান মোবাইল নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ) চালুর আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন নির্দেশনায় ক্ষুদ্ধ মোবাইল ফোন অপারেটররা।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন এমটব বৃহস্পতিবার বলেছে, যখন এমএনপি সেবা দিতে মোবাইল ফোন অপারেটররা চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের টেস্টিং করছে ঠিক সে সময় বিটিআরসির একটি নির্দেশনা পুরো প্রক্রিয়াকে ব্যহত হওয়ার মত অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।

আগামী ১ আগস্ট থেকে দেশে চালু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত এমএনপি। এরই মধ্যে তিন মোবাইল অপারেটর এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। গত ২৫ জুন বিটিআরসি অপারেটরগুলোর কাছে যে নির্দেশনা পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে, এমএনপির ক্ষেত্রে গেটওয়েগুলো যে সংযোগের দায়িত্ব পালন করার কথা তা এখন মোবাইল অপারেটরদের করতে বলা হয়েছে। এর ফলে মোবাইল অপারেটরগুলোকেই সংশ্লিষ্ট কারিগরি উন্নয়নের কাজ করতে হবে। অর্থাৎ প্রযুক্তিগতভাবে অনেক জটিল আকার ধারণ করবে। কিন্তু এর জন্য কোনো অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া হয়নি অপারেটরদের।

এমটব বলছে, নির্দেশনায় কল আদান-প্রদান ব্যবস্থায় যে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে, তা আইএলডিটিএস নীতিমালা ও এমএনপি নীতিমালার পরিপন্থী। গেটওয়ের দায়িত্ব সেলফোন অপারেটরদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলে এ দুটি নীতিমালার সংশ্লিষ্ট ধারার ব্যত্যয় ঘটবে। আইএলডিটিএস নীতিমালার ধারা ৫.২ ও ৬.৪ এবং এম এন পি গাইডলাইনের ৫.৩ ও সিডিউল ৭ (৪) ধারা অনুযায়ী এই দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট গেটওয়েগুলোর।

এর ফলে কারিগরিভাবেও এ নির্দেশনায় জটিলতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এরই মধ্যে সেবাটি চালুর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে সেলফোন অপারেটররা। সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ও টেস্টিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে গত ২৪ জুন থেকে। ৮ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউজার অ্যাকসেপট্যান্স টেস্ট (ইউএটি) শুরু হওয়ার কথা। আর সব কিছু ঠিক থাকলে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সেবাটি চালু করা সম্ভব হতো। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এমএনপি চালু করতে হলে টপোলজিতে নতুন করে আর কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়।

নতুন এ নির্দেশনার ফলে এমএনপি সেবা চালুর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ, কারিগরি ও বাণিজ্যিকভাবে কি ধরনের প্রভাব পড়বে তা জানিয়ে সম্প্রতি শীর্ষ তিন অপারেটর বাংলালিংক, গ্রামীনফোন ও রবির শীর্ষ কর্মকর্তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে যৌথ স্বাক্ষরে একটি চিঠি দিয়েছেন ।

   

লক্ষ্মীপুরে ৫ ইউপিতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৩৫২ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫ ইউনিয়নে মোট ৩৭জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে স্ব-স্ব ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া ৪৫ টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৫১ জন এবং ১৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৬৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ২নং দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ০৫ জন, ৩নং দালালবাজার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ০৬ জন, ৬নং বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ৬ জন, ১৫নং লাহারকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ১০ জন এবং ১৯নং তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এছাড়া ৫টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬৪ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৫১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৯ মার্চ ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। আগামী সোমবার (১ এপ্রিল) হবে মনোনয়নপত্র বাছাই, আপিল দায়েরের সময় ২ থেকে ৪ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ এপ্রিল। আর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৯ এপ্রিল।

এ ৫ ইউপি নির্বাচনে মোট ৪৬টি ভোট কেন্দ্রের ২৩৮টি ভোটকক্ষের মাধ্যমে আগামী আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২২ হাজার ২২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ হাজার ৬৮ জন ও নারী ৫৮ হাজার ৮৫৮ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছেন ২জন।

দীর্ঘ দিন মামলা জটিলতায় লক্ষ্মীপুর সদরের ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন বন্ধ ছিল। এর মধ্যে চররুহিতা ইউনিয়ন বাদে বাকি ৫টিতে গত ১০ মার্চ তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

;

চারদিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চারদিনের বাংলাদেশ সফর শেষে নিজ দেশে ফিরেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। এসময় কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ভুটানের রাজাকে বিদায় জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর, পরিচালক ডি এম আতিকুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাউথ এশিয়ার মহাপরিচালক রকিবুল হক, চীফ অব প্রটোকল নাঈম উদ্দিন আহমেদ এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহা: আমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ২৫ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন। এদিন সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকায় বিমানবন্দরে পৌঁছার পর তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

;

চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ, গ্রেফতার ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের পর ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে পাহাড়তলী ও হালিশহর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি মোবাইল, ১টি স্বর্ণের আংটি, নগদ ১০ হাজার ৫০ টাকা জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাকিবুল হাসান রাকিব (২৭), মো. শাহবুদ্দিন সাইমন (২৬), ওমর বিন কিবরিয়া রাজ (২৭), মো. সাদমান ফয়েজ সংলাপ (২৬) ও মো. ইসমাইল হোসেন বাঁধন (২৬)।

পাহাড়তলী থানার এসআই মো. মনির হোসেন বলেন, গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় সাগরিকা মোড়ে অজ্ঞাতনামা ৩ জন ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তিকে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। এরপর তাকে একটি পরিত্যক্ত মুরগির ফার্মের ভিতরে আটকে রাখে। পরে আট থেকে দশ জন তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ১টি মোবাইল, মানিব্যাগে থাকা নগদ ১৯ হাজার ৮শ টাকা নিয়ে নেয়। এছাড়া তার বিকাশ ও নগদের পাসওয়ার্ড নিয়ে সাড়ে ২৯ হাজার টাকা, ২টি স্বর্ণের ও রুপার আংটি, একটি রোলেক্স ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের ১০ জনের একটি গ্রুপ আছে। তাদের কাছে ওয়াকিটকিও থাকে। তারা লোকজনকে ফাঁদে ফেলে গত একমাসে প্রায় ৪০টি অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। ভয়েস রেকর্ড করে ফোনে শুনিয়ে ভয় দেখিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করছে। আমরা তাদের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।

 

;

ভালুকায় মহাসড়কে অবৈধ ভাসমান দোকান উচ্ছেদে অভিযান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। অভিযানে মূল দোকানগুলো উচ্ছেদ না করে ভ্রাম্যমান দোকান সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে উপজেলার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি, সিডস্টোর ও ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দখল করে উপজেলার ভালুকা বাসস্ট্যান্ড, সিডস্টোর বাজার ও মাস্টারবাড়ি বাজার এলাকায় কতিপয় প্রভাবশালী লোকেরা অবৈধভাবে শত শত দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। আর এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠার কারণে ভালুকার ওই তিনটি স্থানে যানযটের সৃষ্টি হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যানবাহনে চলাচলরত যাত্রী ও পথচারীদের।

মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান হলেও তা লোক দেখানো বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোফাখখারুল ইসলামের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। তবে আসন্ন ঈদের কারণে ভ্রাম্যমাণ কিছু দোকান সরিয়ে অভিযান সমাপ্ত করা হয়। এ সময় ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান বকুল ও পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

ময়মনসিংহ (দক্ষিণ) সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোফাখখারুল ইসলাম জানান, রাস্তা থেকে ১০ ফিট দূরে থাকবে দোকান পাট, তবে ঈদের পরে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

ঈদে দুরপাল্লার যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য মহাসড়কের উপর ভ্রাম্যমান দোকানগুলো সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

;