নির্দেশনা অমান্য করে এমপির তিন আত্মীয়ের মনোনয়ন দাখিল
নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য আফতার উদ্দিন সরকারের তিন নিকটতম আত্মীয় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এতে নির্দেশনা না মানায় বিব্রত উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২০এপ্রিল) বিকালে মনোনয়ন পত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার শুভ কুমার সরকার ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ। তিনি সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের আপন ভাতিজা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন পারুল বেগম। তিনি সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের চাচাতো ভাই শফিকুলের স্ত্রী এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু। তিনি এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারের আপন চাচাতো ভাই।
আরও জানা যায়, এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথাও জানানো হয়েছে । নির্দেশনা উপেক্ষিত হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন-অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেউ যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে শুরু থেকে কঠোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক মিন্টু বলেন,আমি এমপি সাহেবের নিকটতম আত্মীয় না ওনার সাথে আমার খুব কাছের সম্পর্ক না ।ওনার নিকটতম আত্মীয় হচ্ছে পারভেজ। তাকে আমার বিরুদ্ধে দাড়িয়ে দিয়েছে। এখন দল যা সিদ্ধান্ত দেয় আমি তাই মেনে নিব।
নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, আমি তাদের নিষেধ করেছি তারা নিষেধ শুনেনি। না শুনলে এখন আমি কি করব।
মিরপুরে শিশু র্ধষণ, তিন কিশোর গ্রেফতার
রাজধানীর মিরপুর ১ সনি সিনেমা হলের পাশে ভারসাম্যহীন এক শিশুকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ভাসমান ও মাদকাসক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাজ্জাদ হোসেন (১৭), মো. সায়েম (১৬) ও মো. আলহাজ (১২)।
এর আগে, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। এদিকে গণধর্ষণের কারণে গুরুত্বর আহত শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী সাব্বির আহম্মদ।
তিনি বলেন, গ্রেফতার তিনজনই মানসিক ভারসাম্যহীন ১১ বছরের মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। আসামীরা এলাকার ভবঘুরে শিশু কিশোর। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছরের কম। ভুক্তভোগী মেয়ে শিশুটি পরিবারের সঙ্গে রূপনগর এলাকায় বাস করে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসা থেকে নিখোঁজ হয় মেয়েটি। পরদিন সনি সিনেমা হলের কাছে একটি ঝোঁপের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পথচারীরা এ অবস্থা দেখে ৯৯৯ এ কল দিলে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করেন। মেয়েটি বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
বাইসাইকেলকে রেসিং বাইক ডুকাটিতে রূপ দিলেন রানা
নিজের বাইসাইকেলকে বিশ্বের অন্যতম সেরা রেসিং বাইক ডুকাটিতে রূপ দিয়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন সোহেল রানা নামের এক যুবক। তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার পিঠাসূতা গ্রামের বাসিন্দা।
প্রতিদিন এলাকা ও আশপাশ থেকে রানার বাইক দেখতে আসছেন অনেকে। বাইকের সঙ্গে তুলছেন সেলফিও।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রানার বাড়িতে গিয়ে রানা ও তার পরিবারের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানায়, রানার স্বপ্ন ছিল মোটরসাইকেল কেনার। কিন্তু অভাব অনটনের সংসারে সে স্বপ্ন বাস্তব করা দুঃসাধ্য। তবে ইচ্ছে থাকলে দুধের স্বাদ ঘোলেও যে মেটানো যায় তারই যেন উদাহারণ রানার ডুকাটি। আর এ কাজে রানের পাশে থেকে সহযোগিতা করেন প্রতিবেশী মাহফুজুল ইসলাম ইকবাল।
সাইকেল থেকে মোটরসাইকেলের অবয়ব তৈরি করতে প্রথমেই লাগানো হয়েছে ইলেকট্রিক বাইকের ব্যাটারি। পরে বিভিন্ন তার ও রড দিয়ে এবং বামির্জ (প্লাস্টিক জাতীয়) দিয়ে ডুকাটি বাইকের বডি তৈরা করা হয়।
সাত হাজার টাকার বাইসাইকেলে আরও প্রায় ২৩ হাজার টাকা খরচ করে রূপ দিয়েছেন মোটরসাইকেলে। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি এই মোটরসাইকেলটি দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী। তার এমন সৃষ্টিকর্মে খুশি সবাই।
সোহেল রানা জানান, প্রায় দেড় মাস পরিশ্রম করার পর তার নিজ বাইসাইকেলটিকে মোটরবাইকের আদলে রূপ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই সময়ে প্রতিদিন কাজের ফাঁকে সময় বাঁচিয়ে মোটরসাইকেল তৈরিতে সময় দেন তিনি। আর এখন এই মোটরবাইক দিয়েই বাড়ি থেকে বিভিন্ন কাজকর্মে যাচ্ছেন, বাজার করেন ঘুরতেও বের হন। মাত্র ১০ টাকার বিদ্যুৎ খরচে ৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছেন বলে জানান।
তিনি আরও জানান, আর্থিকভাবে যদি কোন সাহায্য আসে তাহলে আরও আধুনিক ও দীর্ঘস্থায়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব।
প্রয়াত স্কুল শিক্ষক দুলাল মিয়ার চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে তৃতীয় রানা। ভূগোল বিষয়ে আনন্দ মোহন কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে স্নাতকোত্তর পড়ছেন। টিউশনি করার পাশাপাশি বড় ভাইদের ফিশারি ও ব্যবসায় সহযোগিতা করেন রানা।
ছোটবেলা থেকেই উদ্ভাবনী শক্তি প্রকট রানার। ফেলে দেওয়া নানা জিনিস থেকে বানিয়ে ফেলতেন খেলনা। নিজের তৈরি করা খেলনা দিয়েই খেলতেন তিনি। তার দিয়ে রোবট, ল্যাম্বারগিনি গাড়ির আদলে গাড়ি, নৌকা, বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরি করছেন তিনি। যার সব কিছুই শখের বসে।
রানার মা সায়েদা খাতুন বলেন, ছোট বেলা থেকেই রানা পড়া ফাঁকি নিয়ে নানা জিনিস বানাতো। এ কারণে তার বাবা ও আমি বকাঝকা করেছি অনেক। আমার ছেলে সাইকেলকে বাইক বানিয়েছে, মানুষ দেখতে আসছে খুব ভালো লাগছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, অনেক ধরনের প্রতিভা গ্রামে লুকিয়ে থাকে। রানার প্রতিভা দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হতে পারে। সরকারি পর্যায় থেকে তাকে সহযোগিতা করলে ভালো কিছু হতে পারে।
প্রবাসীদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণা, দুই ভাই গ্রেফতার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম আইডির নিরাপত্তার দুর্বলতা ঠিক করে দেওয়া, হ্যাক হওয়া আইডি উদ্ধার করে দেওয়ার নামে নিজেরাই বিভিন্ন ব্যক্তির আইডির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতেন। এরপর আইডিতে থাকা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিতেন টাকা। এছাড়াও আইডিতে যুক্ত থাকা প্রবাসীর স্বজনদের কাছে ম্যাসেজ দিয়ে মায়ের অসুস্থতার কথা বলেও টাকা হাতিয়ে নিতেন। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিল্যান্সার ও ফেসবুক বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে প্রতারণার করে আসছিলেন শামীম আহমেদ জয় (২৩) এবং মোহাম্মদ স্বাধীন আহমেদ (১৮)। তারা আপন দুই ভাই। তাদের টার্গেটে থাকত ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)’র প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি কানাডিয়ান এক প্রবাসীর আইডির নিরাপত্তা ত্রুটি ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেন জয়। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার কানাডিয়ান ডলার হাতিয়ে নেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী তার বাবার মাধ্যমে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)’র সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ডেমরা থানার টেংরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত ১টি সিপিইউ, ২টি মোবাইল ফোন, ১টি রাউটার ও ১২টি ভুয়া এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। পরে তার দখলে থাকা প্রায় ৫০০ দেশি-বিদেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করার প্রয়োজনীয় ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের তথ্য পাওয়া যায়।
শামীম আহমেদ জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, একটা সময়ে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে হ্যাক হওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের কাজ করতো শামীম। ফ্রিল্যান্সার থেকে ২০২৩ সাল থেকে প্রতারণা শুরু করেন সে। শামীম প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ঐ অ্যাকাউন্টের ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা পরিচিত ব্যক্তিদের মেসেঞ্জারে “আমার মা স্ট্রোক করেছে। জরুরী দরকার। তিন হাজার ডলার পাঠাও।” এমন সব বার্তা পাঠিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা শুরু করে। হ্যাক করা অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেও আদায় করা হতো অর্থ। এমনকি হ্যাক করা আইডি থেকে গুরুত্বপূর্ণ-স্পর্শকাতর তথ্য, গোপন ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইলিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
এছাড়াও ঐ অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা বন্ধুদের টার্গেট করে মেসেঞ্জারে তাদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অথবা অ্যাকাউন্টের সমস্যা সমাধান করে দেয়ার কথা বলে একটি মোবাইল নাম্বার অথবা একটি ইমেইল অ্যাড্রেস অ্যাড করার অনুরোধ করতো। ভুক্তভোগী মোবাইল নাম্বারটি অথবা ইমেইল অ্যাড্রেসটি অ্যাড করলে শামীম আহমেদ জয় টার্গেট অ্যাকাউন্টটিতে “ফরগেট পাসওয়ার্ড” অপশনটি ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিত। এরপর একটি লেমিনেটিং মেশিন ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের নামে ভুয়া এনআইডি কার্ড তৈরি করে ফেসবুকে সাবমিট করে হ্যাককৃত অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিত। এছাড়াও হ্যাককৃত অ্যাকাউন্টের গোপন তথ্য ও ছবি ছড়িয়ে দেয়ায় হুমকি দিয়েও অনেক ভুক্তভোগীকে অর্থ দিতে বাধ্য করত।
ব্লাকমেইল ও প্রতারণার স্বীকার ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে টাকা আনতেন। এজন্য তারা ব্যবহার করতেন ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র। শামীমের হাতিয়ে নেওয়া ডলার তার ছোট ভাই স্বাধীন আহমেদ নিজের এলাকা থেকে দূরে গিয়ে ঘুরে ঘুরে তুলতেন।
অতিরিক্ত কমিশনার আসাদ আরও বলেন, শামীমকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের প্রায় ৫০০ ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করার প্রয়োজনীয় ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের তথ্য পাওয়া গেছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই হ্যাকারের টার্গেট। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৫০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে শামীম। প্রত্যেক ভূক্তভোগীর কাছ থেকে সর্বনিম্ব ১০০০ হাজার ডলার নিতো সে।
এক প্রবাসীর ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় ওই প্রবাসীর বাবা ডিএমপির উত্তরা পুর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।