মৌসুমি আয়োজনে ডেঙ্গু রোধ হবে না: কাদের
শুধুমাত্র মৌসুমি আয়োজন করে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলব, সারা বছরের প্রস্তুতি রাখতে হবে। মৌসুমি আয়োজন দিয়ে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা যাবে না। এসব রোগ বাংলাদেশে শুরু হয়েছে, চলবে। দিনক্ষণ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’
‘আগস্টে পরিস্থিতি ভালো হয়েছে, সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যাবে, আবার কোথাও কোথাও দেখছি সেপ্টেম্বরে আরও ভয়াবহ হবে। কাজেই দিনক্ষণ না দিয়ে, সারা বছরটাই বিবেচনায় আনতে হবে। এসব রোগের বিস্তার রোধে সারা বছরই আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু ওষুধ ছিটিয়ে এ রোগের বিস্তার ঠেকানো যাবে না। সবচেয়ে বড় ওষুধ হচ্ছে সচেতনতা। সেটা হচ্ছে মূল চিকিৎসা। আমি আশা করি, এ লড়াইয়ে আমাদের চিকিৎসকরা সফল হবেন।’
বিদেশি কিছু এনজিও মিয়ানমারের পক্ষ হয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানান খেলা খেলছে। পরোক্ষভাবে বিদেশি কিছু এনজিও ষড়যন্ত্র করছে। মিয়ানমারকে সহযোগিতা করছে।’
বিদেশি এনজিওগুলোর মধ্যে পাকিস্তানপন্থি আছে দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কোনো বিদেশি এনজিও পাকিস্তানপন্থিও আছে, তারা পদে পদে আমাদেরকে বিপদে ফেলতে চায়। তারা এক দিকে বঙ্গবন্ধুর দুই খুনিকে পাকিস্তানে আটকে রেখেছে। খুনিদের ফিরিয়ে আনার উদ্দ্যোগ চলছে আমেরিকা, কানাডা থেকে। কিন্তু পাকিস্তানে যে দুই খুনি আছে, তাদের কাজ দিয়েছে পাকিস্তান। আমি জানি না এ পরিস্থিতি কবে পরিবর্তন হবে।’
সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে রোহিঙ্গা ইস্যুকে বিএনপি সর্বশেষ রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আজ রোহিঙ্গাদের নিয়ে নতুন ইস্যু খুঁজে নতুন খেলায় মেতে উঠেছে। স্বাভাবিক রাজনীতি করতে যারা ব্যর্থ, নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে যারা বার বার ব্যর্থ হয়েছে, জনসমর্থন আদায়ে এখন তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। সর্বশেষ আমরা দেখছি, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য রোহিঙ্গা ইস্যুকে তারা সর্বশেষ রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সশনাল, বিএমএ মহাসচিব ডা. মো ইহতেশামুল হক চৌধুরী ও স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বক্তব্য দেন।