রংপুরে বাড়ছে সচেতনতা, কমছে ডেঙ্গু রোগী
রংপুরে কমতে শুরু করেছে ডেঙ্গুর রোগীর প্রকোপ। নগরীর ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে এখন তেমন চাপ নেই।
বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২০ জন। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন মাত্র ৩ জন। আর চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন ১০ জন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছে। তবে কিছু মানুষ অসচেতন হবার কারণে গত এক মাসে রমেক হাসপাতালে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, এডিস মশা ডেঙ্গুর লার্ভা ধ্বংস ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে রংপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মশক নিধনে ফগার মেশিনে স্প্রে ছিটানো কার্যক্রমও চলছে। পাশাপাশি ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও পাড়া মহল্লায় প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের মতো রংপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ডেঙ্গুতে আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।
অব্যাহত এ সব কার্যক্রম ও চিকিৎসকদের নিরলস সেবায় ডেঙ্গু জ্বর থেকে দ্রুত সেরে উঠছেন রোগীরা। এতে জনমনে যেমন স্বস্তি ফিরেছে, তেমনি কেটেছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। কমেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, কমেছে আক্রান্তের সংখ্যাও।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে এ সম্পর্কে কথা হয় রমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম শাহাদুজ্জামান এর সাথে। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে তিনি বলেন, ‘গত ১৯ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা ৫৯১ জন। চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন ৫৬৯ জন। এদিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যুর হয়েছে। বর্তমানে ভর্তি আছেন ২০ জন।’
ঈদের পর ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা ছিল, তবে তা জনসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে কমে গেছে বলেও মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘এখন তেমন চাপ নেই। রোগীর স্বজনরাও সচেতন। সবমিলে ডেঙ্গু আতঙ্ক কেটে গেছে।’
এদিকে রংপুর মহানগরীর গুড হেলথ হাসপাতাল, প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও এ্যাপোলো, পপুলার, ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে কোনো রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সেবা নিতে আসেননি। ঈদের পর থেকে ডেঙ্গু জ্বর সনাক্ত করতে রোগীর চাপও কমে এসেছে।