ডিএনসিসি’র ৩৬ ওয়ার্ডে ১০ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযান শুরু



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ডিএনসিসি'র চিরুনি অভিযান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ডিএনসিসি'র চিরুনি অভিযান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এডিস মশা নির্মূলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৬টি ওয়ার্ডে 'চিরুনি অভিযান' ও ভ্রাম্যমাণ আদালত শুরু হয়েছে।

১০ দিনব্যাপী এই অভিযানে প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রত্যেক বাড়ি ও স্থাপনায় যাবে ডিএনসিসি’র ভ্রাম্যমাণ টিম। যেখানে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া যাবে ওই বাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে দিয়ে আসবেন তারা। এছাড়া লার্ভা ধ্বংস করে দিয়ে আসা হবে।

রোববার (২৫ আগস্ট) এডিস মশা নির্মূলে ডিএনসিসির ৩৬টি ওয়ার্ডে (১ থেকে ৩৬ নং ওয়ার্ড) 'এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসকরণ এবং বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান' অর্থাৎ 'চিরুনি অভিযান' শুরু হয়। গত ২০ আগস্ট মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ১৯ নং ওয়ার্ড থেকে এ 'চিরুনি অভিযান' এর উদ্বোধন করেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

ডিএনসিসি’র ৩৬ ওয়ার্ডে ১০ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযান শুরু

পরীক্ষামূলকভাবে ২২ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ নং ওয়ার্ডের তিনটি ব্লকে 'চিরুনি অভিযান' চালানো হয়। রোববার থেকে ১০ দিনব্যাপী ৩৬টি ওয়ার্ডে একযোগে এ অভিযান শুরু হলো। এ লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে এবং প্রতিটি ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়। ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা এবং মশককর্মীগণ প্রতিদিন একটি করে ব্লকে 'চিরুনি অভিযান' সম্পন্ন করবেন। এভাবে ১০দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডে এ অভিযান সম্পন্ন হবে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ চিরুনি অভিযানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে করছেন। পরবর্তীতে সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডেও এ অভিযান চালানো হবে।

একযোগে ৩৬টি ওয়ার্ডে অভিযানের প্রথম দিনে মোট ৯ হাজার ৭৩৬টি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ২৫৮টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা পাওয়া বাড়িগুলোর সামনে 'এ বাড়ি/প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে' লেখা স্টিকার লাগানো হয়। এ ছাড়া তিন হাজার ১২৩টি বাড়ি ও স্থাপনা থেকে এডিস মশা বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ ধ্বংস করা হয়েছে। চিরুনি অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে গুলশানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪৪ নং গুলশান এভিনিউর জি এস কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

   

রংপুরে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ২ যুবদল নেতা কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাশকতার মামলায় কারাদণ্ড প্রাপ্ত রংপুরের দুই যুবদল নেতা আদালতে আত্নসমর্পন করলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এ আসামিরা আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কৃষ্ণ কান্ত রায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন–মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ জহির আলম নয়ন ও জেলা যুবদলের সহসভাপতি তারেক হাসান সোহাগ।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পরিদর্শক (কোর্ট) পৃথীশ কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে হরতালে নাশকতা ও ককটেল রাখার অভিযোগে বিএনপির পাঁচ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। এ সময় মামলার আসামি জহির আলম নয়ন ও তারেক হাসান সোহাগ পলাতক ছিলেন।

এ বিষয়ে নগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন বলেন, একটি সাজানো মামলায় জহির আলম নয়ন ও তারেকের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি সাজা দেওয়া হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে দূরে রাখাতে বর্তমান সরকারের সব অপচেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে। বিএনপি নেতা কর্মীরা অচিরেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ সরকারকে উৎখাত করা হবে।

;

মোংলায় ‘রসু খাঁ’ খ্যাত টিএ ফারুকের মনোরঞ্জনে শতাধিক নারী!



Ashish Biswas
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ভাড়াটে গুণ্ডা’ দিয়ে স্ত্রীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে, বাগেরহাটের মোংলার বহুল আলোচিত ‘রসু খাঁ’ খ্যাত শিল্পপতি টিএ ফারুকের (তালুকদার আখতার ফারুক) বিরুদ্ধে।

বহুবিবাহের নায়ক এ শিল্পপতির বিরুদ্ধে রয়েছে, নারী কেলেঙ্কারির নানা অভিযোগ। কখনো নিজে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন আবার কখনো অধীনস্থ কর্মচারীদের বিয়ে করিয়ে নারীদের রক্ষিতা হিসেবে বানিয়ে রাখছেন তিনি।

আলোচিত এই টিএ ফারুকের সর্বশেষ লালসার শিকার হয়েছেন সুমি আক্তার (২৫) নামে দুই সন্তানের এক জননী। উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামের এ নারীর সঙ্গে বছর দুই আগে ফারুকের পরিচয় হয়।

এরপর নানা প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীর সংসার ভেঙে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর ফারুকের জলসাখানা শতরূপা বরফ কলের দ্বিতীয়তলার ভবনে ওঠেন স্ত্রী সুমিকে নিয়ে। এখানে বছর দেড়েক ভালোই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু সুমির চোখে ধরা পড়ে স্বামী টিএ ফারুকের বহু নারীগামিতা। আর এ নিয়ে হঠাৎ করে শুরু হয়, পারিবারিক দ্বন্দ্ব। এক পর্যায়ে স্ত্রী সুমিকে তাড়াতে শুরু করেন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এমন কী গত শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তীব্র তাপদাহের মধ্যেই স্ত্রী সুমিকে ঘর থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেন।

পরে বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মধ্যস্থতায় সুরাহা হয় এবং ফের ঘরে ওঠেন সুমি।

টিএ ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছেন তার সর্বশেষ স্ত্রী সুমি আক্তার, ছবি- বার্তা২৪.কম

সর্বশেষ, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১০টায় ২৫/৩০ জনের একদল ‘ভাড়াটে গুন্ডা’ সুমির ঘরে হানা দিয়ে তাকে মারধর করে সাদা স্ট্যাম্পে সই নেওয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে শতরূপা বরফ কলে। রাতেই প্রতিবেশীরা সুমিকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সুমি আক্তার এখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের আভিযোগ, জাতীয় পার্টির আমলে টিএ ফারুকের (তালুকদার আখতার ফারুক) উত্থান হয়। বিগত কয়েক দশক তিনি এ রাজনৈতিক দলটির উপজেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। পরে তিনি কয়েক দফায় রাজনৈতিক খোলসও বদল করেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।

টিএ ফারুক পেশায় একজন শিল্পপতি ও আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী। কিন্তু তার নেশা মোবাইল ফোন ও দালালদের মাধ্যমে কিশোরী ও নারীদের সুকৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা। এরপর নিজের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করেন।

এভাবে মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মের অসংখ্য নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ‘টক অব দ্য টাউন’-এ পরিণত হয়েছেন টিএ ফারুক।

নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক করতে দিনরাত মোংলা পৌর শহরের শ্রম কল্যাণ রোডের তার জলসাখানায় আড্ডা চলে। এ নিয়ে অতিষ্ঠ এলাকার আশপাশের লোকজন।

নারীদের সঙ্গে প্রেম, অতঃপর ভোগ-বিলাসের তার এই কাজে সহযোগিতায় নিযুক্ত আছেন ১৫/২০ জনের একটি দালাল সিন্ডিকেট।

এ সিন্ডিকেট মোংলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে অসহায় গরিব পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের বাড়ি-জমিসহ মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে দালালরা নিয়ে আসেন ফারুকের জলসাখানায়। সেই জলসাখানা ঘিরে এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে ‘মিনি যৌনপল্লী’।

অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসন রহস্যজনকভাবে চুপ থাকায় ফারুকের এই অপকর্ম চলে আসছে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে। স্থানীয়দের অভিযোগ, শতরূপা বরফ কল ও হোটেল সিঙ্গাপুর এবং চৌরাঙ্গী হোটেলসহ একাধিক স্থানে টিও ফারুকের এরকম ঘাঁটি রয়েছে।

টিএ ফারুকের বয়স এখন ৭০-এর ঘরে। তার নামে বহু নারীগামিতা নিয়ে বেশ আলোচনা ও সমালোচনা থাকলেও টিএ ফারুকের বিয়ের সঠিক তথ্য কেউ নিশ্চিত করে দিতে পারেননি।

ফারুকের সর্বশেষ স্ত্রী সুমি আক্তার জানান, এ পর্যন্ত তার স্বামীর (টিএ ফারুক) শতাধিক বিবাহের খোঁজ পেয়েছেন তিনি। এছাড়া আরো শতাধিক নারীর সঙ্গে তার অবৈধ পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিএ ফারুকের হোটেল ম্যানেজার সোহাগ জানান, তার বস যখন যা নির্দেশ করেন, তখন তাই-ই করতে হয় তাকে। এক্ষেত্রে তার কোনো দোষ নেই। তবে টিএ ফারুকের সর্বশেষ স্ত্রী সুমি আক্তারকে তিনি ‘ম্যানেজ’ করে ছিলেন বলেও জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে মোংলা পোর্ট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম জানান, টিএ ফারুকের সর্বশেষ স্ত্রী সুমিকে নিয়ে পারিবারিক সমস্যার বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

মোংলা উপজেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সভাপতি এইচএম দুলাল বলেন, টিএ ফারুকের বরফ কলে দিন-রাত উঠতি বয়সের নারীদের আড্ডাস্থল হয়ে উঠেছে। এতে এলাকার সামাজিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। এ বিষয় প্রশাসনের নজরদারিসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না জানান, নারীদের প্রতি তার এমন অসম্মান সামাজিকভাবে নৈতিক অবক্ষয় ও দুঃখজনক। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

টিএ ফারুকের বিরুদ্ধে স্ত্রী সুমি আক্তারের অভিযোগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম। তিনি জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সব বিষয়ে জানতে টিএ ফারুককে (তালুকদার আখতার ফারুক) একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি। এরপর বক্তব্যের জন্য তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর আবাসিক হোটেলে গেলে (টিএ ফারুক) পরে কথা বলবেন বলে দরজা বন্ধ করে দেন ফারুক।

;

চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত প্রকল্পসমূহের মার্চ মাস পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি শতকরা ৫০ ভাগ। এসময় জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৪২ ভাগ এবং গত বছর একই সময়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি ছিল ৪২ ভাগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় আরও জানানো হয়, চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৮০টি প্রকল্পের ৪ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এ বছর সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে ৬৯৮ কোটি টাকা এবং পার্টনার প্রকল্পে ৬৬০ কোটি টাকা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। সঞ্চালনা করেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সংস্থা প্রধানগণসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প যথাসময়ে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, পিছিয়ে থাকলে চলবে না। আর্থিক ব্যয় ঠিকমতো করতে হবে। আর্থিক অগ্রগতির পাশাপাশি ভৌত অগ্রগতিও দেখতে হবে এবং কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন প্রকল্প পরিচালক পিছিয়ে থাকলে বা কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন করা হবে।

;

রুমায় নিহত কেএনএফ সদস্যের মরদেহ হস্তান্তর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) নিহত হওয়া সন্ত্রাসী লাল রেম রুয়াত বমের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে স্বজনদের কাছে নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

নিহত লাল রেম রুয়াত বম রেমাক্রীপ্রাংসা ইউনিয়নের সুংসংপাড়ার হেডম্যানের (মৌজাপ্রধান) ছেলে। তিনি বান্দরবান সরকারি কলেজে অনার্স পড়ুয়া ছাত্র ছিলেন।

রুমা থানার ওসি মুহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, নিহত কেএনএফ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে রুমা উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দূরে মুনলাইপাড়ার পাশের জঙ্গল থেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

এর আগে, ওই এলাকায় অভিযানে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কেএনএফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। মরদেহের সঙ্গে একটি একনলা বন্দুক ও ২৮টি কার্তুজের গুলি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এসময় অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

;