মিয়ানমারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

  • Font increase
  • Font Decrease

শরণার্থীদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসন নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে দাতা সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশের সঙ্গে ৬১ এনজিও।

বুধবার (২১ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

মিয়ানমার এবং বাংলাদেশে কর্মরত ৬১টি স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওসহ একশনএইড বাংলাদেশ এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, মিয়ানমারে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী গত দুই বছরেও ন্যায় বিচার পায়নি। তারা শরণার্থী হিসেবে সুরক্ষা ও মর্যাদার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন বিষয়ক সাম্প্রতিক খবরে শঙ্কিত এবং উদ্বিগ্ন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। তারা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত। যেহেতু এই প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণ খুবই সীমিত, তাই ভবিষ্যত ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার সুরক্ষিত হয় না বলে মনে করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যে অবস্থানকারী পরিবারগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, কারণ সেখানে সংঘাত বেড়েই চলেছে।

চলতি সপ্তাহের মধ্যে আনুমানিক ৩৪৫০ রোহিঙ্গা শরণার্থীর তাৎক্ষণিক প্রত্যাবাসনের সংবাদ প্রকাশ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ, স্বেচ্ছাকৃত ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বানও জানায় এই ৬১টি এনজিও।

কারণ রাখাইন রাজ্যে এখনো রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে কোনো অর্থপূর্ণ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। বাস্তুচ্যুত কমিউনিটির সঙ্গে আলোচনার পরিসর খুবই সীমিত।

বৈষম্যমূলক নীতির কারণে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চলাচলের ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের পাশাপাশি পড়াশোনা, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবিকার অধিকারের ক্ষেত্রে আরও সীমিত করে দেয়া হয়েছে সুযোগ-সুবিধা। এছাড়া ২০১২ সাল থেকে প্রায় ১২৮,০০০ রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায় রাখাইন রাজ্যের শিবিরে আটকা পড়ে আছে, ফিরতে পারছে না নিজ বাড়িতে। অন্যদিকে সীমিত করে দেয়া হয়েছে মানবাধিকার সংস্থাদের প্রবেশাধিকার। তাই রাখাইন রাজ্যের অধিবাসীদের মানবাধিকার স্বীকৃতি দেয়া এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজের জীবন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া, এমনকি মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত প্রদানসহ তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতেরও আহ্বান জানায় এনজিওগুলো।

এনজিওগুলো মনে করে, রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যের সকল সম্প্রদায় যাতে নিরাপদে থাকতে পারে এবং প্রাথমিক পরিষেবা ও জীবিকার সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে তা মিয়ানমার সরকারের নিশ্চিত করা উচিত।

বর্তমান সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কর্মরত এই ৬১টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের সহায়তা এবং অধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কিছু বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়-

· রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যত নির্ধারণের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

· মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকারকে সম্মান করতে হবে।

· শিক্ষা, জীবিকা ও সুরক্ষায় রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে সহায়তা করতে হবে।

· মধ্যম বা দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বের করতে হবে।

গত দু'বছর ধরে বিশ্বের বৃহত্তম এ শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী জনগণের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে সহায়তা করে আসছে এই স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিবিরের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে, বর্ষার প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে এবং রোগের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এতোটুকু যথেষ্ট নয়। আরও অনেক কিছু করা দরকার বলে মনে করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তাই তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও তহবিল বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছে। যাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে শরণার্থী, স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব হয়।

   

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকালে পৌরশহরের মাদরাসা পাড়া ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়৷

নামাজে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা। নামাজ শেষে মোনাজাত করেন মাদরাসটির সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

শীতপ্রবণ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র থেকে তীব্রতর তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে জেলার মানুষকে। তাপপ্রবাহের কারণে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। মাঠে কাজ করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে কৃষকদের। হাসপাতালে বেড়েছে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা৷ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় করতে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, কাজের জন্য বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। রোদে দুই মিনিট থাকা যায় না। শরীর ঝলসে যাওয়ার মতন অবস্থা। আমাদের নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করলাম। যদি আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করেন তবে স্বস্তি ফিরবে।

সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা বলেন, সারাদেশে দাবদাহে জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। আমাদের জেলায়ও অস্বস্তি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আমাদের গুনাহর ফসল এসব। আমরা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকা নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করবেন।

;

নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ঋতু সুলতানা (১৫) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. ইসমাইলের মেয়ে। সে স্থানীয় ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসির ফলপ্রত্যাশী ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মুঠোফোন বিষয়টি নিশ্চিত করেন- ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষক মনির হোসাইন।

এর আগে, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা ইসমাইল জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঋতু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তিনি স্থানীয় একজন গ্রাম্য চিকিৎসককে ডেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে গ্রাম্য চিকিৎসক ধারণা করেন- প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

শিক্ষক মনির হোসাইন বলেন, ঋতুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মৃত্যুর সংবাদে তার সহপাঠী, শিক্ষকবৃন্দ তার বাড়িতে ছুটে যান। কোনোভাবেই তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পরিবার।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখারের মুঠোফোনে কল করা হলেও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৩৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০৮ পিস ইয়াবা, ৮৬ কেজি ৭৯৩ গ্রাম ৮০ পুরিয়া গাঁজা, ৭৪ গ্রাম ৫১ পুরিয়া হেরোইন, ৮২ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০টি ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৬টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি। এদিকে ষোলতম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী ঢাকার অবস্থান ১৬।

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩৪৪ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৮১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো সিটি, ১৭৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৬০ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার শহর মিদান। এছাড়া চীনের বেইজিং ১৫৯ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৩৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ষোলতম অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

;