বাড়ির ‘নো-ম্যানস ল্যান্ড’ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে না



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম, ছবি: শাহরিয়ার তামিম

চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম, ছবি: শাহরিয়ার তামিম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংসে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির আওতাভুক্ত প্রতিটি বাড়িতে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা যাবেন, সেখানে পরিষ্কার করে দিয়ে আসবেন এবং এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, 'আমরা দেখি দুই বাড়ির মাঝখানে নো-ম্যানস ল্যান্ডে কী অবস্থা। নো-ম্যানস ল্যান্ড সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে না।'

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ডিএনিসিসির ১৯ নং ওয়ার্ডে ডা. ফজলে রাব্বি পার্কে বিশেষ এই কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসিবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, স্থানীয় কাউন্সিলর মফিজুর রহমান প্রমুখ।

বাড়ির ‘নো-ম্যানস ল্যান্ড’ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে না

মেয়র বলেন, 'এই চিরুনি অভিযান যদি করা যেতে পারে অবশ্যই টেকসই হবে। তবে টেকসই করার জন্য এলাকার জনগণকে সচেতন হতে হবে, সম্পৃক্ত হতে হবে। আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০ ভাগে ভাগ করে আবার সেটাকে ১০টি সাব ব্লক করে প্রতিটি বাসায় টিম পাঠাচ্ছি। তারা ঘুরে দেখে আসবে এবং পরিষ্কার করে দিয়ে আসবে। আর যে বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাবে সেই বাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে দেব। এরপর ১০ দিন পর আবার সেই বাড়িতে যাবে, এরপর যদি সেখানে মশার লার্ভা পাওয়া যায় তাহলে জরিমানা করতে বাধ্য হব। এছাড়া সরকারি বেসরকারি বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, নির্মাণাধীন ভবনে এরইমধ্যে জরিমানা করা হচ্ছে।'

নগরবাসীর উদ্দেশে আতিকুল ইসলাম বলেন, 'আপনার বাসার সামনে যেমন পরিষ্কার থাকবে বাসার পেছনে পরিষ্কার থাকতে হবে। সিটি করপোরেশনের পক্ষে একা সম্ভব না। দুই বাড়ির মাঝখানে ও আঙিনায় যে 'নো-ম্যানস ল্যান্ড' এটিও সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে না। বাড়ির ১০ তলা ৯ তলা, ৮ তলা ছাদের উপরে, ব্যালকনিতে, বারান্দায় যত্রতত্র আবর্জনা রেখে দিচ্ছি। যেগুলো থেকে এডিস মশার জন্ম হচ্ছে। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে।'

বাড়ির ‘নো-ম্যানস ল্যান্ড’ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে না

মেয়র বলেন, 'আমাদের লোক যাবে আপনার বাসায়, প্রবেশ করতে দিন। আমাদের লোক গিয়ে পরিষ্কার করে দিয়ে আসবে। এরপর সর্তক করবে। অনুগ্রহ করে আপনাদের বাসায় ঢুকতে দিন।'

এরপর মেয়র পার্কের পাশেই একটি বাসার ছাদ পরিদর্শন করেন, সেখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় বাড়ির মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বাড়ির প্রবেশ গেটে সাবধান লেখা স্টিকার ও লাল গোল সিল মেরে দেন মেয়র।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/20/1566291655259.jpgবাড়ির ‘নো-ম্যানস ল্যান্ড’ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে না

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, 'ঢাকাতে ডেঙ্গু এই প্রথম নয়। ১৯৬৪ সালে ডেঙ্গু হয়েছিল বড় আকারে নয়, তখন শহর ছিল ছোট। তখন এই ডেঙ্গুকে বলা হত ঢাকা ফিবার। পরে ১৯৯৯ সালে বড় আকারে হল, এরপর ২০০০ সালে আরও বড় আকারে। তখন আমরা কিছু মানুষ- আমি, জুয়েল আইচ, মিতা হক, আতিউর রহমান সব বেরিয়ে পড়লাম। এক হাজার ছাত্র জোগাড় করে যে জায়গায় বেশি রোগী সেখানেই পরিষ্কার করতে শুরু করলাম, আমরা ছাড়ি নাই। ধীরে ধীরে সারাবছর একবার ঢাকা শহর পরিষ্কার করেছি।'

তিনি আরও বলেন, 'ডেঙ্গুর কোনো চিকিৎসা নাই। ডেঙ্গু হলে ভাল হতেও পারে নাও পারে। কারো ডেঙ্গু হলে সে বাঁচবে কিনা বলতে পারবে না। এটাকে কেবল প্রতিরোধ করা যেতে পারে। ডেঙ্গুর জন্মস্থান নষ্ট করা যেতে পারে। আমরা যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হই নিজ বাড়ি আশপাশের জায়গাগুলো পরিষ্কার করে রাখি। তাহলেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যাবে।'

   

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় নিহত রাকিব হোসেন (২৪) নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিহতের মরদেহ বেনাপোলে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

নিহত রাকিব বেনাপোল বন্দর থানার ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।

এর আগে, গত ৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রডের নিচে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিন সিঙ্গাপুরে মারা যান।

নিহত রাকিবের চাচা মিলন হোসেন জানান, গত ৩ এপ্রিল রাকিব কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় রড চাপায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান জানান, সংসারের হাল ধরতে এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছিল। সে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতো। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে ভবনের উপরে তোলার সময় তার ছিঁড়ে রডের নিচে চাপা পড়ে রাকিব। পরে তাকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা এবং সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে সে মারা যায়।

বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি সে সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছে। তার মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাতে দেশে আনা হয়েছে।

;

প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায়, যুবক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সংরক্ষিত মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের লাল মিয়া মাঝি বাড়ি থেকে নুরুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

নুরুল ইসলাম সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৮ িনম্বর ওয়ার্ডের শ্যামেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর স্বামী আমেরিকা প্রবাসী। ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি মোবাইলে সমস্যা দেখা দিলে ভিকটিম মোবাইল ঠিক করতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের আরডি শপিং মলে যায়। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম নিজেকে মোবাইল মেকানিক পরিচয় দিয়ে গৃহবধূর মোবাইল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নেয়। একপর্যায়ে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ ও ভিকটিমের মোবাইল ফোনের গ্যালারি থেকে ব্যক্তিগত ছবি কৌশলে তার মোবাইলে ট্রান্সফার করে নিয়ে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, এরপর ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভিকটিম সম্মানহানির ভয়ে ও তার সংসার টিকানোর জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। এতে সে সন্তুষ্ট না হয়ে বাকি আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় ভিকটিমকে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নুরুল ইসলাম ভিকটিমের ছবি ও নাম ব্যবহার করে টিকটক আইডি খুলে ব্যক্তিগত ছবি ছেড়ে দেয়। বিষয়টি ভুক্তভোগীর নজরে আসলে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি ও তার নাম এবং ছবি ব্যবহার করা টিকটিক আইডি সংরক্ষিত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;