চামড়া নষ্ট হয়েছে ১০ হাজার পিস: শিল্পমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
গরমের কারণে কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করছেন শিল্পমন্ত্রী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

গরমের কারণে কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করছেন শিল্পমন্ত্রী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এক কোটি চামড়ার মধ্যে এ বছর ১০ হাজার পিস চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

রোববার (১৮ আগস্ট) বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকার, ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘একটি দেশ যখন সম্ভাবনার দিকে আগায়, তা ব্যাহত করতে একটা চক্র কাজ করছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রতিনিধিরা জানিয়েছে এক কোটি চামড়ার মধ্যে এবার দশমিক ৫ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়েছে। এবার যেহেতু গরম পড়েছে সেজন্যই ১০ হাজার চামড়া নষ্ট হতে পারে।'

বৈঠকে দেনা পাওনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে কিন্তু তারা পাওনার জন্য কখনো অভিযোগ করেনি। সেখানে যে আস্থার বিষয় সেটি কাজ করেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এ ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত না, তখন তারা না বুঝে পুঁজি হারালে তাদের মাথা নষ্ট হয়। এ ধরনের ব্যবসায়ীরাই মিডিয়াকে মিসগাইড করেছে।’

চামড়া শিল্পে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘চামড়ার বিষয়ে নীতিমালা হচ্ছে, আর আজকের বৈঠকে বিষয়টি সমাধান হয়েছে। আগামী ২২ তারিখ তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবে। এটা গতানুগতিক, এখানে তেমন কোনো সমস্যা নেই। আজকেই সব সমাধান হয়েছে। চামড়ায় তেমন ওয়েস্টেজ নেই। চামড়া কেনা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘কিছুকিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এখানে কাজ করেছে বলে জেলা থেকে যারা এসেছেন তারা জানিয়েছে। এগুলো আমরা গুরুত্ব দেই না। আমরা এ বিষয়ে সচেতন। এখন চামড়া পুড়িয়ে ছবি দিলে আমাদের কিছু করার নেই।’

চামড়া রফতানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কাঁচামাল রফতানি করা একটা প্রক্রিয়ার ব্যাপার। আমরা প্রয়োজন মনে করলে রফতানি করব। অবস্থা বুঝে রফতানি করব নাকি করব না সেই সিদ্ধান্ত নেব।’

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘কোরবানিতে এক কোটি চামড়া হয়। এবার তার মধ্যে ১০ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে, মাটিতে যে চামড়া গেছে সেটাসহ। প্রতিবছর কিন্তু ৫ হাজার চামড়া এমনি নষ্ট হয়। এবার মূলত বেশি গরমের জন্যই চামড়া বেশি নষ্ট হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জেলা থেকে আগত প্রতিনিধিরা জানিয়েছে চিটাগাং ও সিলেটে বেশি চামড়া নষ্ট হয়েছে। নাটোরে নষ্টই হয়নি। আর কুষ্টিয়ায় কিছু নষ্ট হয়েছে।’

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগামী ২২ আগস্ট আমরা বসব। এফবিসিসিআইকে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা দু'পক্ষের সঙ্গে বসে সমাধান করে দেবে। যে সমস্যা ট্যানারির মধ্যে রয়ে গেছে, তা সমাধানে মন্ত্রী ও উপদেষ্টা কাজ করবে বলে জানিয়েছেন।

   

রাজশাহীর বাড়ির কাছের নদী কেড়ে নিয়েছে ৯ প্রাণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র দাবদাহের মধ্যে নদীতে স্বস্তি খোঁজার মর্মান্তিক পরিণামে এপ্রিল মাসে রাজশাহীতে অন্তত ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের অধিকাংশই শিশু ও কিশোর। দাবদাহের তীব্রতা থেকে স্বস্তি পেতে গিয়ে অনবধানবশত এই দুর্ঘটনাগুলি ঘটছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তারা বলছেন, রাজশাহীর নদীপাড়ের এলাকায় শিশু ও কিশোরদের বিনোদনের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে নদী। তবে এই নদী এখন তাদের জন্য বিপদসঙ্কুল হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) একটি মর্মান্তিক ঘটনায় তিন কিশোর পানিতে ডুবে মারা যায়, যা এ মাসের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। এতে স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

অনেকের মতে, নদীর তীরে যথেষ্ট নিরাপত্তার অভাব এবং সাঁতার শেখানোর উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে নদী তীরে সতর্কতা সংকেত ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

অভিভাবকরা এখন আরো সচেতন হয়ে তাদের সন্তানদের নদীর কাছে একা যেতে দিচ্ছেন না। শিশুদের সাঁতার শেখানোর গুরুত্ব বুঝতে পারছেন তারা। তাদের মতে, একটি শিশুকে সাঁতার শেখানো তাকে বাঁচানোর একটি উপায়।

জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে চলতি মাসে পানিতে ডুবে প্রাণ গেছে ৯ জনের। এদের অধিকাংশই শিশু-কিশোর। সবশেষ, গত ২৩ এপ্রিল পানিতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এরা হলো- কাঁটাখালী বাখরাবাজ এলাকার রেন্টুর ছেলে যুবরাজ (১২), লিটনের ছেলে আরিফ (১৩) ও নুর ইসলামের ছেলে জামাল (১২)।

এর আগে ১৪ এপ্রিল রাজশাহীর বাঘায় বিয়ে বাড়িতে এসে পানিতে ডুবে মারা যায় জান্নাত খাতুন (৮) নামে এক শিশু। তবে এখনো ঝিলিক খাতুন (১২) নামে আরেক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

১৯ এপ্রিল পদ্মানদীর মুর্শিদপুর এলাকার খেয়াহাটের ডুবে মারা যায়, উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের সুজন আলীর ১০ বছরের ছেলে সিয়াম হোসেন সজিব। ২০ এপ্রিল বাঘা উপজেলায় পদ্মানদীতে নৌকায় করে গোসল করতে গিয়ে মারা যান আসাদ হোসেন (১৮) নামে এক তরুণ।

২১ এপ্রিল পবায় পদ্মানদীতে গোসল করতে নামেন বাপ্পি হোসেন (১৬) ও মনির হোসেন (২০) নামে দুই তরুণ। পরে ডুবে মারা যান তারাও।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবু সামা বলেন, রাজশাহীতে গত কয়েকদিন ধরে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। আমরা ধারণা করছি, গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে কিশোররা নদীতে গোসল করতে গিয়ে মারা যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের অনেকেই সাঁতার জানতেন না। আবার অনেকেই সাঁতার জানতেন। কিন্তু একজন ডুবে যাচ্ছে দেখে আরেকজন তাকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনই ডুবে মারা যাচ্ছেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।

শিশু-কিশোর যারা সাঁতার জানে না, তারা যাতে নদীতে গোসলে না যায়, সেদিকে নজর দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।

তিনি জানান, এটি করা গেলে মৃত্যু অনেকটাই কমে আসবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২’ প্রতিবেদন অনুসারে, পাঁচ বছরের কম বয়েসি শিশু মৃত্যুর ৭ শতাংশের বেশি ঘটে পানিতে ডুবে।

গণমাধ্যম উন্নয়ন ও যোগাযোগবিষয়ক বেসরকারি সংগঠন ‘সমষ্টি’র প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পানিতে ডুবে ৮শ ৮০টি মৃত্যুর ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৮৭ শতাংশ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বয়স ছিল ৯ বছরের নিচে। এ হার ২০২২ সালের তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি। মোট মৃত্যুর এক-তৃতীয়াংশের বেশি ঘটেছে, সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে।

রাজশাহীর স্থানীয় প্রশাসন ও সামাজিক সংগঠনগুলো এই বিষয়ে আরো সক্রিয় হতে চাইছে। তারা শিশুদের জন্য নিরাপদ সাঁতার শেখানোর ক্যাম্প চালু করার পরিকল্পনা করছে, যাতে তারা এই ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেদের বাঁচাতে পারে।

বাংলাদেশ জাতীয় সাঁতার দলের সাবেক কোচ আলমগীর হোসেন বলেন, সাঁতার না জানার কারণে দেশে প্রতিবছরই বহু মানুষ মারা যায়। শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের সাঁতারও শেখাতে হবে। কোনো শিশু ডুবে মারা গেলে তার শিক্ষার কোনো দাম থাকবে না। জীবন বাঁচাতে তাই সাঁতার শেখাতে হবে। মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম। এ জন্য অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। তাহলে এমন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

;

ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে পাঁচ বন্ধুর লাফ, প্রাণ গেল একজনের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে পাঁচ বন্ধু একসাথে পানিতে লাফ দেয়। এ সময় পানিতে ডুবে মসিউর রহমান হুজ্জাত (১৪) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত হুজ্জাত সাদুয়া গ্রামের খলিলুর রহমান রুবেল মাস্টারের ছেলে। সে স্থানীয় রোস্তম আলী গোলন্দাজ উচ্চ বিদ্যালয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা পৌর শহরের ব্রহ্মপুত্র নদের কলেজ ঘাট এলাকায় থেকে নিখোঁজ ঐ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজামান খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মসিউর রহমান হুজ্জাত পরিবারের লোকজনের অজান্তে দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে যায়। গোসলের সময় ব্রহ্মপুত্রের নদের তীরের উপর থেকে একসাথে পাঁচ বন্ধু নিচে লাফ দেয়। লাফিয়ে পড়ার ভিডিও ধারণ করছিল সাথে থাকা অন্য বন্ধুরা। এক পর্যায়ে নদের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় সে। বন্ধুদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ততক্ষণে ডুবে যায় হুজ্জাত। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের বাহিনীর ডুবুরি দল এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

গফরগাঁও ফায়ার সার্ভিস অফিসের স্টেশন অফিসার রাম প্রসাদ পাল জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকেলে নিহত স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজামান খান বলেন, পানিতে ডুবে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তরের আবেদন করলে মরদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

;

তীব্র তাপদাহের ভোগান্তিতে নারী ও শিশুরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তীব্র তাপদাহে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষজন। এতে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নারী, শিশু ও বয়স্করা। এই অবস্থায় সেবা নিতে হাসপাতালে দৌড়াচ্ছেন অসুস্থ্য হওয়া রোগীরা। অপরদিকে তাপদাহের ভোগান্তি এড়াতে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

দেশে চলমান তাপদাহ দিন যতই যাচ্ছে তাপদাহের মাত্রা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সাধারণ জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত ও কৃষিকাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সব মিলিয়ে এক অসহনীয় পরিবেশ তৈরী হয়েছে। এই তাপদাহে নরসিংদীতে গলা ব্যথা, ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। অসুস্থ্য হয়ে সরকারী হাসপাতালগুলোতে ভীড় জমাচ্ছেন তারা।

অসুস্থ্যদের মধ্যে সবথেকে বেশী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নারী, শিশু ও বয়স্করা। চিকিৎসকদের সেবা পেতে অনেকেই আবার ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এই অবস্থায় বিছানা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে সেবা নিচ্ছেন রোগীরা। অপরদিকে চলমান তাপদাহে সীমিত সংখ্যাক জনবল দিয়ে হাসপাতালের অভ্যন্তরে ও বহি:বিভাগে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ত্বত্তাবধায়ক ডা: এ এন এম মিজানুর রহমান জানান, চলমান তাপদাহে ১০০আসন বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে বর্তমানে রোগী রয়েছে ১৮০ জনের উপড়ে। আর শিশুদের জন্য মাত্র ১০টি আসনের বিপরিতে ৬০জন শিশু ভর্তি রয়েছে। আর এসব রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, বর্তমান তাপদাহের পাশাপাশি ডেঙ্গুর আক্রমন বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে একাধিক রোগী ভর্তি রয়েছে। তাই ডেঙ্গু থেকে সচেতনতার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন এই চিকিৎসক।তাপদাহ চলাকালে জরুরী না হলে বাইরে না যাওয়া, বাইরের কাবার থেকে বিরত থাকা এবং বেশী করে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার অংশ হিসেবে সকলকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন এবং ডেঙ্গুর লক্ষন দেখা দেয়ার সাথে সাথে সরকারী হাসপাতালে যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

চলমান তাপদাহের ভোগান্তি ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলকে ঔক্যবদ্ধ হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

;

মানিকগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় যুবক খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজনের আঘাতে হাবিনুর রহমান (২২) নামের এক যুবক খুন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের পশ্চিম নাওডুবি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক বাল্লা ইউনিয়নের মাচাইন গ্রামের টুলু মিয়ার ছেলে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা বলেন, কয়েকমাস আগে মাচাইন মাজার শরীফের ওরশে বাস্তা ও নাওডুবি এলাকার কয়কজন যুবকর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মাজার কমিটির লোকজন ও স্থানীয়রা তাদের মধ্যে মিমাংসা করে দেয়।

সেই একই বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপুরে কয়েকজন যুবক হাবিনুরের উপর হামলা করে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ নূর-এ আলম জানান, হাবিনুর খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।

;