মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান: স্বস্তিতে অভিভাবকরা



মুফতি এনায়েতুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

লেখার শিরোনামের সঙ্গে অনেকেই তীব্র আপত্তি জানাতে পারেন। বলতে পারেন কটূকথাও। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে অনেক অভিভাবক স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে বলছেন, একটা ফলাফল না আসা পর্যন্ত অব্যাহত থাকুক এই অভিযান।

আমার পরিচিত অনেক অভিভাবক সন্তানের মাদকসঙ্গ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, মাদকের সহজলভ্য সমাজের মাদক প্রসারের জন্য বেশি দায়ী। চলতি অভিযানে, মাদকের বাজারে ক্রাইসিস দেখা দেবে, তাতে অনেকেই মাদকগ্রহণ বা সেবনের মওকা পাবে না। সুতরাং চলুক এই অভিযান, এটা যেনো বন্ধ না হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে পরিচালিত সাঁড়াশি অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক উদ্ধার, এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার এবং কোনো কোনো মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের মতো ঘটনা ঘটেছে। এতে গত এক সপ্তাহে পঞ্চাশের বেশি মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের মাদক।

আগেই বলেছি, মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান ইতিবাচক হলেও ‘বন্দুকযুদদ্ধ’র ঘটনা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এভাবে বন্দুকযুদ্ধের নামে প্রাণহানি কাম্য নয়। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি বিধান করতে হবে। বন্দুকযুদ্ধ ছাড়া কি মাদক দমনের অন্য কোনো পন্থা নেই? তবে এ কথা অনস্বীকার্য, সারাদেশে মাদক যেভাবে সর্বগ্রাসী রূপ লাভ করেছে, তাতে এমন ‘অ্যাকশন’ ছাড়া গতি নেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মাদক ব্যবসার যারা মূল হোতা তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। মাদক ব্যবসার যে ‘চেইন’ সৃষ্টি হয়েছে তাতে কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কিছু মাদক উদ্ধার ও বন্দুকযুদ্ধের নামে কিছু লোক নিহত হলেও অন্যরা এ সময় সাবধান হয়ে যাচ্ছে। তারা মাদক ব্যবসা আপাতত বন্ধ করে আত্মগোপনে রয়েছে। অভিযান বন্ধ বা সহনীয় পর্যায়ে এলেই তারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে।

দীর্ঘদিন ধরেই দেশে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন চলছে। এক সময় ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে যেমন বানের পানির মতো ফেনসিডিল দেশে প্রবেশ করত, এখন মাদকের নতুন সংস্করণ ইয়াবা প্রবেশ করছে মায়ানমার থেকে। এই মাদক এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সীরা এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এমনকি শ্রমিক ও গাড়ি চালকদের মধ্যেও ইয়াবার বিস্তার ঘটেছে।

আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, দেশের ভবিষ্যত যে তরুণ শ্রেণী; তাদের মধ্যে ইয়াবা আসক্তি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যে পরিবারের তরুণটি মাদকাসক্ত সে পরিবারে কী অশান্তি ও দুর্দশা সৃষ্টি হয়, তা আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি। মাদকাসক্ত পুত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে কোনো কোনো অভিভাবক পুলিশের হাতে পুত্রকে তুলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মাদকের টাকার জন্য ছেলে বাবা-মা-ভাই-বোনকে খুন করেছে। বহু পরিবার পথে বসে গেছে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, মাদকের প্রসার এবং এর সঙ্গে জড়িতেদের নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বহু বছর ধরেই লেখা হচ্ছে। তাতে ফল খুব কমই পাওয়া গেছে, এটা বলার কারণ নেই। মানুষ সচেতন হয়েছে, কোথাও কোথাও পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে হ্যাঁ, ফলাফল কাঙ্খিত হয়নি। এর কারণ হচ্ছে, যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার; তাদেরই একটি শ্রেণির প্রশ্রয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা অবাধে ব্যবসা করে চলেছে। সহযোগী এক পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, খোদ রাজধানীতে প্রায় ৫৪টির মতো স্পটে নিয়মিত মাদকের হাট বসে। এ খবর পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরও এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। লেখালেখি হলে কিছুদিন রাখঢাক করে মাদক বেচাকেনা হয়, তারপর আবার তা পুরোদমে চলতে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একশ্রেণির সদস্যর নিয়মিত যোগযোগ এবং মাসোহারার সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি কোনো কোনো সদস্য সরাসরি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে কোনোভাবেই মাদকের আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

কক্সবাজারের এক এমপি তো রীতিমতো ‘ইয়াবা সম্রাট’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ থাকলেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বলা হয়ে থাকে, ইয়াবার মূল রুট কক্সবাজার-টেকনাফ তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। আমরা মনে করি, মাদক ব্যবসায়ী এবং এদের পৃষ্ঠপোষক ও নেটওয়ার্ক যতই শক্তিশালী হোক না, যে কোনো মূল্যে তা নির্মূল করতে হবে।

মাদক নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা বাঞ্চনীয়। এর কোনো বিকল্প নেই। তবে এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত নয়, যা বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা মনে করি, কথিত বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের বিস্তারিত বিবরণ জনসম্মুখে তুলে ধরা অপরিহার্য। তারা মাদকব্যবসায়ী বলে ঘোষণা দিয়ে দায় সারলে হবে না। মাদকের সঙ্গে তাদের যথাযথ সম্পৃক্ততা আছে কিনা, তার অনুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরতে হবে। আবার মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে নিরীহ কেউ যাতে এর শিকার না হয়, এদিকেও বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে মাদকের নামে যাতে কাউকে বন্দুকযুদ্ধে পড়তে না হয় এ ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে।

সবচেয়ে বড় কথা, গুলি করে মাদকের মতো সর্বগ্রাসী একটি সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে সাময়িক স্বস্তি হয়তো পাওয়া যাবে, তবে দীর্ঘমেয়াদে বা পুরোপুরি নির্মূল করা যাবে না। এক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। পরিবার ও সমাজের অভিভাবকদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের সন্তান এবং এলাকার তরুণদের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। তারা কোথায় যায়, কী করে, কাদের সঙ্গে মেলামেশা করে- এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত হবে এলাকাভিত্তিক মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে জনগণকে সম্পৃক্ত করা। পাশাপাশি নিজেদের বাহিনীর যারা মাদক ব্যবসাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং নিয়মিত মাসোহারা নিচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বলার অপেক্ষা রাখে না, ‘সর্ষের মধ্যে ভূত থেকে গেলে, সে ভূত কখনোই তাড়ানো যায় না।’ কাজেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লক্ষ্য হওয়া উচিত মাদকের সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক এবং যতই প্রভাবশালী হোক, তাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ হওয়া।

মনে রাখতে হবে, মুসলমানদের জন্য মাদক হারাম। ইসলাম মনে করে, মাদক ব্যক্তি, দল, সমাজ, দেশ ও জাতির জন্য অকল্যাণকর।

   

সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্যতা, রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্যতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানের রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হো‌সেন মানিকের যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বান্দরবান পার্বত্য জেলা শাখার জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধমূলক ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হ‌লো।

উল্লেখ্য, ভান মুন নোয়াম বমের বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীতে তথ্য প্রচার, চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

;

উপজেলা পর্যায়ে জনগণদের স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র দাবদাহে উপজেলা পর্যায়ে জনগণদের মাঝে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সেইসাথে প্রচণ্ড তাপদাহে নিয়মিত রাস্তায় পানি ছিটানোর সুপারিশও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আ, স, ম, ফিরোজ এমপি। কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, শাহীন আক্তার, মজিবুর রহমান চৌধুরী, সালাউদ্দিন মাহমুদ এবং আশ্রাফুন নেছা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে বিগত সভার সিদ্ধান্ত সমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা; গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে ’হেরিং বোন বন্ড প্রকল্প’ সম্পর্কে আলোচনা এবং অগ্নিকান্ডের ঘটনা, বন্যা ঝুঁকি, বজ্রপাত ইত্যাদি মোকাবেলার বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বিশদ আলোচনা হয়।

বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার পূর্বাভাস এবং সার্বিক সহযোগিতায় স্বচ্ছতা আণয়নের লক্ষ্যে ”বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর” এবং ”বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরকে” দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অন্তুর্ভুক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। এছাড়া, ইউনি ব্লক প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ এবং আট মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণে বিল্ডিং কোড ব্যবহারের পরামর্শ দেয় কমিটি।

বৈঠকে টিআর কাবিখার মাধ্যমে গ্রামের মজা পুকুর খনন ও পরিষ্কার পরিচ্ছনতার মাধ্যমে মাছ চাষ বৃদ্ধি এবং বিশুদ্ধ পানি সরবাহের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এছাড়া, তাপদাহে আবহাওয়া ঠান্ডা রাখার লক্ষ্যে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানো এবং উপজেলা পর্যায়ে জনগণের মাঝে স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

বরিশালে হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বরিশাল অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে হকার সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন, বরিশাল হকার সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বরুণ সাহা। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ বরিশাল জেলা সমন্বায়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আজিজ খোকন, বরিশাল হকার্স সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সদস্য মামুন,সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের দফতর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সদস্য শহিদুল শেখ প্রমুখ।


বক্তারা বলেন বরিশালের নাজিরের পোল থেকে সদর রোডের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে তিন শতাধিক হকার সবজি ফল চটপটি ডিম কলাসহ বিভিন্ন পণ্য ফেরি করে তাদের সংসার চালাত। এদের মধ্যে অনেকেই ২৫-৩০ বছর ধরে এসকল ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্দেশে প্রশাসনের অভিযানে এইসকল ব্যবসায়ী সদর এলাকায় কোথাও দাঁড়াতে পারছেন না। পুনর্বাসন ছাড়া সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এভাবে মানুষের পেটে লাথি মেরে কখনোই শান্তি-শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়। বক্তারা অবিলম্বে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল শেষে একটি প্রতিনিধি দল বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বরিশাল মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার বরাবর পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করে।

;

কুষ্টিয়ায় শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ছাতা-পানি ও স্যালাইন বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ছাতা-পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ছাতা-পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র দাবদাহে কুষ্টিয়ার মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। মৌসুমের বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় সর্বত্রে ভ্যাপসা গরম বিরাজ করছে। রোদের তীব্রতা বেশি হওয়ায় খুব অল্পতেই মানুষ হয়রানি হচ্ছে। ফলে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়ায় শ্রমজীবী ও রিকশা-ভ্যান চালকদের মাঝে মাথার ছাতা ও হাতে বিনামূল্যে পানির বোতল এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া শহরের থানা ট্রাফিক মোড়ে দুই শতাধিক শ্রমজীবী ও রিকশা-ভ্যান চালকদের মাঝে এসব তুলে দেন 'স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা' নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

'স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা' সংগঠনের সভাপতি সাদিক হাসান রহিদের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের উপদেষ্টা, সাংবাদিক এসএম জামালের পরিচালনায় এ কার্যক্রমে অংশ নেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো: সোহেল রানা, খেয়া রেস্তোরাঁর জেনারেল ম্যানেজার সাইদুল বারী টুটুলসহ সংগঠনের সদস্য রুম্পা, চমক, সাব্বির, তানজিল, রাহুল ওবাইদুলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এমন মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোঃ সোহেল রানা বলেন, প্রচণ্ড গরমে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত তখন কুষ্টিয়ার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা শহরের মধ্যে রিকশা-ভ্যান চালকদের মাথার ছাতা, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য পানির বোতল ও খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এটা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এতে করে গরমে খেটে খাওয়া মানুষকে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করার ফলে অনেক সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এভাবেই আরও অনেক সংগঠন এবং বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

সংগঠনটির সভাপতি সাদিক হাসান রহিদ বলেন, এবারে তীব্র তাপদাহে শহরের পথচারী, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। চিকিৎসকরা এই গরমে বেশি বেশি পানি পান করতে উপদেশ দিচ্ছেন। পথে চলাচলের সময় পানির সংকট চোখে পড়ে। তাই সংগঠন থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের খাবার পানির বোতল, খাবার স্যালাইনসহ চালকদের মাঝে মাথার ছাতা বিতরণ করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যহত রাখবো বলেও জানান তিনি।

সংঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, তীব্র তাপদাহের কারণে নিজেদের অর্থায়নে আজকে এই আয়োজন করা হয়েছে। গরমে এ মৌসুমে তাপদাহ যতদিন প্রবাহমান থাকবে ততদিন তারা আরও নতুন নতুন উদ্যোগ হাতে নেবেন।

;