ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানী জুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা
সোমবার (১২ আগস্ট) ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে সারা দেশে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা। আর ঈদে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বরাবরই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে প্রশাসন। এবারও এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে না।
ঈদ ও ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই রাজধানীতে জুড়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও র্যাব নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৩-৪ দিন আগেই নেওয়া হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে নাড়ির টানে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন মানুষ। ফলে ঢাকা শহর এখন প্রায় ফাঁকা। তাই রাস্তা ঘাটে চুরি-ছিনতাইসহ বড় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে থাকবে ডিএমপি। ঈদ কেন্দ্রিক রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বস্ব এলাকার থানা পুলিশ ছাড়াও গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়ানো হবে। বাড়ানো হয়েছে ইন্টেলিজেন্স পুলিশিং। এছাড়া পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকের পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ওবায়দুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, তিন থেকে চার দিন আগে থেকেই রাজধানীতে ঈদ উপলক্ষে আমাদের বিশেষ নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে জাতীয় ঈদগাহ মাঠ, কোরবানির পশুর হাট, শপিংমল, বিভিন্ন টার্মিনালে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা ও আবাসিক এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি থাকবে বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি।
তবে গত রোজার ঈদের মতো কোরবানির ঈদের কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, গত রোজার ঈদে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার ঝুঁকি ছিল। কিন্তু আমরা তা সফলভাবে প্রিভেন্ট করতে পেরেছি। তবে কোরবানির ঈদ ও ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই।
এদিকে ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি বাস-লঞ্চ টার্মিনাল ও ট্রেন স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা র্যাব মনিটরিং করছে। এছাড়া ঈদের দিন ও ঈদের ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র্যাবের বিশেষ টহল ও চেকপোস্ট থাকবে। অন্যদিকে রাজধানীর বিশেষ বিশেষ এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারিও চালানো হচ্ছে ঈদকে কেন্দ্র করে।
ঈদ নিরাপত্তার বিষয়ে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, সামনেই আমাদের দুইটি বড় ইভেন্ট ঈদুল আজহা এবং ১৫ আগস্ট রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ঈদ পূর্ববর্তী-ঈদের দিন এবং ঈদের পরবর্তী নিরাপত্তার বিষয়ে পৃথক পৃথক নিরাপত্তা পরিকল্পনা রয়েছে। সে অনুযায়ী পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।