থানায় গণধর্ষণ: ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য‌ের বিরুদ্ধে মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
জিআরপি থানার প্রত্যাহার হওয়া ওসি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জিআরপি থানার প্রত্যাহার হওয়া ওসি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনার জিআরপি থানায় এক নারীকে  আটকে রেখে গণধর্ষণের ঘটনায় ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় গণধর্ষণের সময় থানায় দায়িত্বে থাকা ওসি, ডিউটি অফিসারসহ অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে এ ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর. কম কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জিআরপি থানায় গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যা নিবারণ আইনে মামলা করা হয়েছে। এ মামলার বাদী ভুক্তভোগী নারী। মামলা নম্বর ০৩ ও তারিখ ৯ আগস্ট। জিআরপি থানা খুলনায় মামলাটি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, তবে সময় আরো বাড়তে পারে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ভুক্তভোগী নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তদন্ত কমিটি। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই আদালতের নির্দেশে পাঁচ পুলিশ সদস্য‌ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদসহ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করে। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন পুলিশ পরিদর্শক শ ম কামাল হোসেইন ও মো. বাহারুল ইসলাম।

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, খুলনা জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উসমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্য ৩ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করেছে বলে আদালতে দাড়িয়ে অভিযোগ করেন ওই নারী। খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই নারী অভিযোগ করেন। ঘটনা তদন্তে পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সোমবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া আদালতের নির্দেশে সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর বাড়ি নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকায়। তিনি তিন সন্তানের জননী। তার শ্বশুর বাড়ি সিলেটে।

নারীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার বিকালে ওই নারী যশোরে ডাক্তার দেখাতে যান। এরপর তিনি খুলনায় আসার জন্য বেনাপোল থেকে খুলনাগামী কমিউটার ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনটি ফুলতলা এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনে থাকা জিআরপি পুলিশ মোবাইল চুরি করার অভিযোগ তুলে তাকে আটক করে। এরপর ট্রেন থেকে নামিয়ে তাকে খুলনা জিআরপি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

পরিবারের সদস্যরা জানান, খবর পেয়ে তারা থানায় গেলে জিআরপি থানার ওসি উসমান গণি এক লাখ টাকা দিলে তাদের বোনকে ছেড়ে দেবে বলে জানান। কিন্তু তারা টাকা দিতে না পেরে বাড়ি চলে যান। সকালে থানায় গেলে কাঁদতে কাঁদতে তার বোন জানায়, রাতে থানা হাজতে ওসি তাকে ধর্ষণ করেছে। ওসি ধর্ষণ করে চলে যাওয়ার পর পর্যায়ক্রমে আরও চার পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে।
তারা আরো অভিযোগ করেন, শনিবার সকালে তার বোনকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয়েছে দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। ধর্ষণের আগে তার বোনকে পুলিশ সদস্যরা মারধরও করে।

আরও পড়ুন: খুলনায় জিআরপি থানায় গণধর্ষণ: মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন

আরও পড়ুন: আদালতে দাঁড়িয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ

   

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পিতাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৪ এর বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী বাবার সঙ্গে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করত। কিশোরীর মা বিদেশে থাকতেন।

২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাসায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার বাবা। এই ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পরবর্তীতে আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আসামি মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

রায় ঘোষণার আগে মামলায় ছয় জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।

;

সাতক্ষীরায় পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় বাইপাস সড়কের ধারে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাজমোহন দাস (৩৫) এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম। 

নিহত রাজমোহন সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের প্রভাত কুমার দাসের ছেলে।

পুলিশ জানায়, রাজমোহন দাস মোটরসাইকেলে সাতক্ষীরা থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বেলা দশটার দিকে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের ধারে থাকা একটি পিলারের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে রাজমোহন দাস ঘটনাস্থলে নিহত হন।

 

;

একটা রিকশার আক্ষেপে ২৫ বছর পার



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪ কম, কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
একটা রিকশার আক্ষেপে ২৫ বছর পার

একটা রিকশার আক্ষেপে ২৫ বছর পার

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র দাবদাহ ও কাঠফাটা রোদে রাস্তার মোড়ে মাথায় হাত দিয়ে বসা এক রিকশাচালক। টপটপ করে ঘাম ঝরছে। বারবার মাথার ঘাম গামছা দিয়ে মোছার চেষ্টা করছেন। গরমের কারণে রাস্তায় তেমন লোকজন নেই। রিকশাচালক গোলাপ মিয়ার মাথায় চিন্তার ভাঁজ। একদিকে রিকশার ভাড়ার চাপ, আরেকদিকে সংসার চালানো।

দিনটা পার হলেই রিকশার ভাড়া দিতে হবে, তিনশো টাকা৷ সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত তার উপার্জন মোট আশি টাকা। রাতে রিকশার মহাজনকে যেভাবেই হোক টাকা দিতেই হবে। উপার্জন হোক বা না হোক এ-টাকা তাকে দিতেই হবে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে তার।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পৌরবাজারে দেখা মিলেছে এমনই এক রিকশারচালকের৷ তার নাম গোলাপ মিয়া (৪০)। পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউপির পূর্ব বীরগাঁও গ্রামের মাঝিবাড়ির বাসিন্দা তিনি।

এলাকাবাসী ও রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্ত্রী দুই মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার গোলাপ মিয়ার। মেয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বাকিরাও স্কুলে লেখাপড়া করছে। ছেলেমেয়েরা সবাই মেধাবী। লেখাপড়ায় তারা আগ্রহী। তীব্র অভাব অনটনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এলাকাবাসী জানান, গোলাপ খুবই সহজ সরল ও পরিশ্রমী মানুষ। নিয়মিত নামাজ পড়েন। নিজস্ব থাকার নিজস্ব কোন জায়গা নাই। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় ভালো। অভাবের কারণে খাবার জোটানো কঠিন। লেখাপড়ার খরচ তাদের জন্য যুদ্ধ করার মতো কষ্ট হচ্ছে। তার নিজস্ব একটা গাড়ি হলে পরিবার নিয়ে উপার্জন করে ভালোভাবে চলতে পারতেন বলে ধারণা তাদের।

রিকশাচালক গোলাপ মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংসার নিয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছি। ভাত জোটানো যেখানে দায় সেখানে লেখাপড়া কীভাবে করাব বলেন? তবুও সন্তানের মুখের দিকে তাকালে মনডা মানে না আর, তাদের আবদার রাখতে পারি না।

তিনি আরও জানান, একটা আনলে আরেকটা বাকি থাকে। আমার নিজস্ব একটা প্যাডেলের রিকশা ছিল। ২৫ বছর আগে চিকিৎসার খরচ আর তীব্র অভাবে বিক্রি করেছিলাম। পরে আর কেনার সাধ্য হয়নি। একটি অটোরিকশা হলে সংসারটা চালাতে পারতাম। বাড়িটাও ঝুপড়ি ঘর, বৃষ্টি আসলেই ভিজতে হয়; এভাবেই চলছি।

;

কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তার ও মসজিদ কমিটি কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার ইবি থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বিত্তিপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বিত্তিপাড়া গ্রামের মৃত কলিল মন্ডলের ছেলে জাহিদুর মন্ডল (৫৫), মৃত ফকির মন্ডলের ছেলে মনি মন্ডল (৬০), মৃত মকবুল মন্ডলের ছেলে খালেক মন্ডল (৫৫) ও মৃত আহসান আলীর ছেলে আক্কাস মন্ডল (৫০)।

আহতরা সবাই উজানগ্রামের বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বারের সমর্থক।

আহতরা জানান, মাগরিবের নামাজের পরে বিত্তিপাড়া তেল পাম্পের নিকটে মোহিদের দোকানে বসে চা পান করছিলেন তারা। হঠাৎ করে উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক ও তার লোকজন তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , বিত্তিপাড়া গ্রামে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ অনেক পুরনো। একপক্ষে নেতৃত্ব দেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক এবং অপরপক্ষে বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বার।

বুধবারের এই ঘটনার আগে গ্রামের ঈদগাহ কমিটি নিয়ে এই দুপক্ষের মতানৈক্য চলছিল। এর আগে ঈদের (ঈদুল ফিতর) নামাজের পর বসে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোশত কিনতে গিয়ে দু’পক্ষের কর্মী রশিদ ও জামালের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

এরপর ঈদগাহে আসার পথে বক্কার গ্রুপের লোকদের মারধর করা হয়। পরে সাড়ে ৮টার দিকে ঈদগাহের দখল নিয়ে দুপক্ষের তুমুল সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে বক্কার গ্রুপের যোয়াদ মণ্ডল, আব্দুল্লাহ, শাহীন ও বাবু এবং হোসেন মেম্বার গ্রুপের রাজা ও মিন্টু আহত হন। পূর্বের ঘটনার জেরে সর্বশেষ এই ঘটনা ঘটেছে।

সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫, ৬ ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোছা. শারমিন আক্তার জানান, ‘আমার মাধ্যমে জেলা পরিষদ থেকে বিত্তিপাড়া জামে মসজিদের গেইটের জন্য এক লক্ষ টাকা অনুদান পাই। পরবর্তীতে আবু বক্কার সিদ্দীক মসজিদে গিয়ে দাবি করেন, তিনি এ টাকা জেলা পরিষদ থেকে নিয়ে এসেছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। সে সময় তিনি দাবি করেন তাকে মসজিদ কমিটির সভাপতি বানাতে হবে। এই নিয়ে মসজিদে মধ্যে হট্টগোল বাঁধে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর হোসেন মেম্বারের লোকজন বাজারে গোশত কিনতে আসে। লোক মুখে শুনেছি, তখন সরদার পাড়ার জামাল পাগল অর্থাৎ জামাল খোড়া হোসেন মেম্বারের এক সমর্থককে মারধর করে। পরবর্তীতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেই সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়। ওই মারামারি ঘটনা সমাধান না হওয়ার জের ধরে বুধবার অতর্কিতভাবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দীকের সমর্থকরা হোসেন মেম্বারের সমর্থকদের উপর এই হামলা চালিয়েছে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘জেলার শীর্ষ নেতারা উভয় পক্ষের লোকজনদের এক জায়গায় বসিয়ে এই মারামারি, এই সংঘর্ষ পুনরায় যাতে না হয়, সে বিষয়ে একটি সমাধান করে দেবেন। আমরা গ্রামের শান্তি চাই।’

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন অহত হয়েছে। বর্তমানে তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিত্তিপাড়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

;