খুলনা জিআরপি থানায় গণধর্ষণ: ওসি-এসআই প্রত্যাহার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জিআরপি থানার প্রত্যাহার হওয়া ওসি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জিআরপি থানার প্রত্যাহার হওয়া ওসি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনার জিআরপি থানায় এক নারীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি পাঠান ও উপ পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হককে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'এখন পর্যন্ত তদন্ত কমিটির কাছে আদালতের কোনো নির্দেশনা আসেনি। ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমরা কথা বলতে পারিনি। অভিযোগের পরিপ্র‌েক্ষিতে খুলনা জিআরপি থানার ওসি ওসমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুল হককে ক্লোজড করা হয়েছে।'

এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদসহ তিন সদস্য‌ের তদন্ত কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করে। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- পুলিশ পরিদর্শক শ ম কামাল হোসেইন ও মো. বাহারুল ইসলাম।

ঘটনার সূত্র‌ে জানা যায়, খুলনা জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য তিন সন্তানের জননীকে থানায় আটকে রেখে গণধর্ষণ করেছে বলে আদালতে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন ওই নারী। খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই নারী এ অভিযোগ করেন। ঘটনা তদন্তে পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সোমবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া আদালতের নির্দেশে সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর বাড়ি নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকায়। তিনি তিন সন্তানের জননী। তার স্বামীর বাড়ি সিলেটে।

নারীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার বিকালে ওই নারী যশোরে ডাক্তার দেখাতে যান। এরপর তিনি খুলনায় আসার জন্য বেনাপোল থেকে খুলনাগামী কমিউটার ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনটি ফুলতলা এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনে থাকা জিআরপি পুলিশ মোবাইল চুরি করার অভিযোগ তুলে তাকে আটক করে। এরপর ট্রেন থেকে নামিয়ে তাকে খুলনা জিআরপি থানায় নিয়ে যায়।

পরিবারের সদস্যরা জানান, খবর পেয়ে তারা থানায় গেলে জিআরপি থানার ওসি উসমান গণি এক লাখ টাকা দিলে তাদের বোনকে ছেড়ে দেবে বলে জানান। কিন্তু তারা টাকা দিতে না পেরে বাড়ি চলে যান। সকালে থানায় গেলে কাঁদতে কাঁদতে তার বোন জানায়, রাতে থানা হাজতে ওসি তাকে ধর্ষণ করেছে। ওসি ধর্ষণ করে চলে যাওয়ার পর পর্যায়ক্রমে আরও চার পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করেন।

তারা আরও অভিযোগ করেন, শনিবার সকালে তার বোনকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয়েছে দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। ধর্ষণের আগে তার বোনকে পুলিশ সদস্যরা মারধরও করে।

আরও পড়ুন: খুলনায় জিআরপি থানায় গণধর্ষণ: মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন

আরও পড়ুন: আদালতে দাঁড়িয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ

   

জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর নকল করে ‘জাল সনদ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ’অবিবাহিত সনদ’ তৈরি করে সেই সনদের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে তাকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে আটক করা হয়।

আটককৃত ওই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আকতার (৪৯)। সে সন্দ্বীপ উপজেলার মাইটভাঙ্গা গ্রামের শহিদুল্লাহ সর্দ্দারের ছেলে। বর্তমানে সে হালিশহর থানার আই ব্লকে ভাড়ায় থাকছে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গিয়ে স্টাফ অফিসার, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন হোসেনের কাছে জনৈক মো. কামারুল হাসানের ‘অবিবাহিত সনদ’ এর মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য আবেদন করে অভিযুক্ত আকতার। 

এরপর শনাক্ত হয় যে, ওই সনদটি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের স্বাক্ষর নকল করে তৈরি। প্রতারণার উদ্দেশ্যে সেটির মেয়াদ বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়েদুল হক বলেন, আসামির বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

 



;

৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। ভরা গ্রীষ্মের বৈশাখের তাপমাত্রার পারদ দিন দিন ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। এবার তীব্র তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে এ জেলায়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ।

গত বছর এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এদিকে, তীর্যক সূর্যের কড়া রোদের তেজে ঝলসে যাচ্ছে চারদিক। গনগনে রোদের আগুনে পুড়ে যাচ্ছে প্রাণ ও প্রকৃতি। টানা খরতাপে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ছন্দপতন ঘটছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন ১২ এপ্রিল থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বেড়ে চলতি মৌসুমের রেকর্ড ভাঙছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৮ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। যা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, টানা তীব্র তাপপ্রবাহের পর এবার তাপমাত্রা আরও বেড়ে অতি তীব্র তাপদাহ শুরু হয়েছে। আজ বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টি না হওয়ায় এ তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা অনেকটাই হ্রাস পাবে। তাছাড়া মার্চ-এপ্রিল মাসে এমনিতেই এ জেলার গড় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। আপাতত বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। যা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।

টানা তাপদাহের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জনপদ। সাধারণ মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। সড়ক-মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যান চলাচল অনেক কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক প্রকার জনমানব শূন্য হয়ে পড়ছে সড়কগুলো। এছাড়া এই বৈরি আবহাওয়ায় কৃষির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। জমিতে পানি সেচের বাড়তি খরচ মেটাতে গিয়ে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক আজিবর রহমান জানান, তীব্র তাপদাহে ধানের জমি শুকিয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। ধানগাছও কড়া রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে। জমিতে পানি ধরে রাখতে প্রতিদিনই শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের মোটা অংকের টাকা গুনতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, এ বছর লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

জীবননগর উপজেলার পোল্ট্রি খামারি আব্দুস সালাম জানান, এই গরমে প্রতিদিনই হিট স্ট্রোকে মুরগি মারা যাচ্ছে। ফ্যান চালু রেখেও তেমন ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।

;

রাইদা পরিবহনের ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিমানবন্দর সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চলমান রাইদা পরিবহনের বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশনের ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলামের নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক বাসচালক হাসানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বরিশালের হিজলা উপজেলা র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক ইমরান খান।

তিনি বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে যায়। এসময় রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটি রাইদা পরিবহনের বাসটির নিচে চলে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসের চালক ও তার সহকারী পলিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব-১ এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার বিকেল পাঁচটায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন র‌্যাব-১ উপ-অধিনায়ক।

;

মেঘনায় লঞ্চে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলা থেকে ঢাকাগামী এমভি কর্ণফুলী-৩ নামে একটি লঞ্চে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এসময় চালক কৌশলে লঞ্চটি একটি চরে ভেড়ালে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় শত শত যাত্রী। তাদের একটি চরে নামিয়ে দেওয়া হয়। ওই আগুনে কোনো প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটলেও ‍চরম দুর্ভোগ পোহান যাত্রীরা। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেঘনা নদীর চাঁদপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

লঞ্চের যাত্রীরা জানান, ভোলার ইলিশাঘাট থেকে প্রায় ৯০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দুই ঘণ্টা চলার পর হঠাৎ মধ্য মেঘনায় ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে যাত্রীরা আতঙ্কে লঞ্চের ভেতর ছোটাছুটি ও চিৎকার করতে থাকে।

তারা জানান, লঞ্চ স্টাফরা নদী থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে চালক লঞ্চটি কোনো মতে চাঁদপুর এলাকায় একটি চরের কাছে নিয়ে গেলে যাত্রীরা নদীতে লাফিয়ে পড়ে তীরে আশ্রয় নেয়। এসময় শত শত যাত্রীদের পানিতে ভিজে, রোদে পুড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা চরম বিপাকে পড়েন। 

কর্ণফুলী লঞ্চের ভোলা অফিসের কর্মকর্তা লিটন জানান, আগুন নেভানো হয়েছে। যাত্রীদের চাঁদপুরে হরিনা এলাকা থেকে অন্য লঞ্চে করে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত লঞ্চের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। 

;