যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে চাঁদে অবতরণের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন
মহাকাশযান অ্যাপোলো-১১ এর চাঁদে অবতরণের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ঢাকার আমেরিকান সেন্টারে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মিলার নভোচারী নিল আর্মস্ট্রংয়ের সেই বিখ্যাত উক্তি উদ্ধৃত করেন। উক্তিটি হলো-(একজন) মানুষের জন্য এটি একটি ছোট পদক্ষেপ, কিন্তু মানবজাতির জন্য এক বিশাল লাফ।’
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী এবং অতিথি ১০টি আয়োজনে অংশ নেন। এগুলোর মধ্যে ছিল নাসায় কর্মরত বাংলাদেশি-আমেরিকান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নারী পাইলট, যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বিজ্ঞান বিষয়ক একজন দূত এবং রোবোটিক্স বিষয়ের প্রশিক্ষকদের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠান।
‘এডুকেশনইউএসএ’র কর্মীরা উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে লেখাপড়া করতে উৎসাহিত করেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭,৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন।
অনুষ্ঠানগুলোর ফাঁকে দর্শনার্থীরা নাসার বিভিন্ন ছবি এবং অ্যাপোলো-১১ মিশন ও তিন নভোচারীর ‘জায়ান্ট লিপ’ বিশ্ব ভ্রমণের ঐতিহাসিক স্মারকগুলোর প্রতিলিপির প্রদর্শনী দেখেন। নিদর্শনগুলোর মধ্যে ছিল বাংলা এবং ইংরেজি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ক্লিপিং। চাঁদে অবতরণের মাত্র নয় সপ্তাহ পরে নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স এবং এডউইন ‘বাজ’ অলড্রিন ‘জায়ান্ট লিপ’ বিশ্ব সফরে বের হন। মাত্র ৩৯ দিনে ২৪টি দেশের ২৭টি শহর সফর করেছিলেন তারা- যার মধ্যে ছিল ১৯৬৯ সালের অক্টোবরে ঢাকায় যাত্রাবিরতিও।
২২ জুলাই আমেরিকান সেন্টারের নিয়মিত আয়োজন মিউজিক বাজ-এ ব্যান্ডদল ‘আনসার্টেনটি প্রিন্সিপাল’ হলভর্তি দর্শকের সামনে চাঁদের থিম নিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করে। এছাড়া ৪৪,০০০ এর বেশি মানুষ ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে (@bangladesh.usembassy) দূর থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস চাঁদে অবতরণ করার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ২০ থেকে ২৫ জুলাই ছয়টি স্থানে ৫০টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। স্থানগুলো হচ্ছে ঢাকার আমেরিকান সেন্টার, ধানমন্ডির এডওয়ার্ড এম. কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দ্য আর্টস (ইএমকে সেন্টার) এবং চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেটের আমেরিকান কর্নার। সারা দেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আওতাধীন এ স্থানগুলোতে প্রতিবছর আয়োজিত হয় ১,৬০০টির বেশি শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে যোগ দেন ২২০,০০০ মানুষ।