নদী দখলের বিরুদ্ধে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল চায় নদী কমিশন



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার

  • Font increase
  • Font Decrease

আইনি দুর্বলতার কারণে নদী দখলদারদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তাই বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রস্তাব করবে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। প্রস্তাবিত আইনে নদী দখলকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শাস্তির প্রস্তাব থাকবে। স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার প্রস্তাবও রাখা হবে। সম্প্রতি উচ্চ আদালতের একটি রায়ে বলা হয়েছে নদীর অভিভাবক হচ্ছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন।


 


বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে নদ-নদীগুলো রক্ষায় নেওয়া নদী রক্ষা কমিশনের পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শাহজাহান মোল্লা।


বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: দেশের নদীগুলো রক্ষায় আপনাদের কী ভূমিকা রয়েছে?

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান: দেখুন নদী রক্ষায় ২০১৩ সালে করা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইনের ১২, ১৩ ধারায় আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা বলে দিয়েছে। আইনে নদী দূষণ রোধ, নদী উদ্ধার, পানি, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ করার কথা বলা আছে। সেই সঙ্গে নদী রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির কথাও বলা হয়েছে। আমরা এরইমধ্যে জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সভা সেমিনার করেছি। আমাদের ৬৪টি জেলায় নদী রক্ষা কমিটি আছে। এমনকি উপজেলা পর্যায়েও কমিটি আছে। ওই কমিটিতে পরিবেশবিদ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। তাদের সুপারিশগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থা কাজ করছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/23/1563879894740.jpg

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: দেশের নদীগুলো রক্ষায় আপনাদের পরিকল্পনাগুলো কী কী?

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান: আপনি জানেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের নদীগুলো রক্ষার জন্য ডেল্টা প্লান করেছেন। সেই ডেল্টা প্লান বা ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন। আমরা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছি।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: ঢাকার চর্তুদিকের নদীসহ সারা দেশের নদী রক্ষায় কী কী কাজ শুরু করেছেন?

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান: আমাদের ডেল্টা প্লানে আবার স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা আছে। আমরা স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথম এক বছর সারা দেশের নদীর দখল উচ্ছেদ করব। যা এরইমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে কয়েক শ’ একর নদীর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা নদীর পাড়ে হাঁটার পথ করে দেব, সবুজ বেষ্টনি করে দেব। সবচেয়ে বড় কাজ হবে শক্ত সীমানা পিলার করা যেন চিহ্নিত হয় এটা নদীর জায়গা।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: নদী দূষণ রোধে আপনাদের পরিকল্পনা কী?

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান: নদী দূষণ দুই ধরনের। একটা আছে তরল বর্জ্যের মাধ্যমে দূষণ। আরেকটা ক্লিনিক্যাল বর্জ্য বা গৃহস্থালীর বর্জ্য। বিশেষ করে শহর বা আরবান এলাকায় নদী দুষণের মাত্রা অনেক বেশি। তবে ঢাকার আশপাশে যেমন, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, মানিকগঞ্জ এসব এলাকার নদীতেও ব্যাপক দূষণ হয়েছে। আমাদের শিল্পকারখানাগুলোর ২৪ ঘণ্টা ইটিপি চালু করার কথা আছে। কিন্তু দেখা যায় তারা সব সময় ইটিপি চালু রাখেন না। তাই আমরা বলেছি, পরিবেশ অধিদফতর ও অন্যান্য বিভাগ কাজ শুরু করেছে। পরিবেশ অধিদফতর অন লাইন মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করবে। অন্যদিকে ক্লিনিক্যাল বর্জ্য বা গৃহস্থালীর বর্জ্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে রিসাইকেলের মাধ্যমে ব্যবহার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকারের বিভাগ যেমন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদকে বলা হয়েছে। শুধু বলার জন্য না তারা যেন প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্র পায় সেই ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: নদী দখলমুক্ত করতে আপনারা কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি না? বিদ্যমান আইন দখলদারদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিতে পারছেন?

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান: আসলে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন-২০১৩ অনুযায়ী আমরা তেমন কোনো শস্তি দিতে পারছি না। তারপরও সিআরপিসিতে এনে শাস্তি দিচ্ছি। এজন্য সংসদের স্থায়ী কমিটি, উচ্চ আদালত ও মন্ত্রণালয় আইন সংশোধনের কথা বলেছেন। আমরা আইনে পেনাল কোডের বিষয়টা সংযুক্ত করতে চাই। নদী দখলকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে দখলদারদের শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই। প্রয়োজনে মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা সেভাবেই আইনের সংশোধন আনার চেষ্টা করছি।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: বছরের পর বছর নদীগুলো দখলদারদারে কবলে পড়ে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই নদীগুলো রক্ষার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কী?

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান: নদীর প্রকৃত গতিপথ চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানকে (স্পারসো) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা হাইড্রো মফলোজিক্যাল স্ট্যাডি করবে। এতে ১০০ বছর আগে নদী কোথায় ছিল, কোথায় কতটুক জায়গা দখল হয়েছে। এসব বিষয় বেরিয়ে আসবে। বৈজ্ঞানিকভাবে নদীর সীমানা চিহ্নিত হলে পরে উচ্ছেদকাজ সহজ হয়ে যাবে। সেই ম্যাপিং হওয়ার পর সেটা আর্কাইভেও রাখা হবে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: নদী রক্ষায় ঢাকার বাইরে থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান: একটা বিষয় পরিবর্তন আসছে। এখন যেখানেই যাচ্ছি সবাই নদী রক্ষার জন্য এগিয়ে আসছে। কেউ নদীর জায়গা দখল করলে দেখিয়ে দিচ্ছে। এরইমধ্যে ৫২টি জেলার জেলা প্রশাসক আমাদের জানিয়েছে তাদের কর্ম এলাকায় কতটুক নদী দখল হয়েছে, কে দখল করেছে সব বিস্তারিত চলে এসেছে। এগুলো আমরা অনলাইনে দেব।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: নদীগুলো হারিয়ে যাওয়ায় বন্যায় কোনো প্রভাব পড়ছে কী?

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান: দেখুন প্রকৃতিগত ভাবেই আমরা ভাটির দেশ। উজান থেকে বর্ষার সময় পানি আসবেই। কিন্তু সেই পানি ধারণ করার ক্ষমতা আমাদের থাকতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন ড্রেজিং করা। তবে সেই ড্রেজিং সঠিকভাবে হচ্ছে কি না সেগুলো মনিটর করা হবে। ড্রেজিং করে নদীর পাড়ে মাটি রেখে দিলে আবার ভরাট হয়ে যাবে এই পদ্ধতিতে আর ড্রেজিং করা যাবে না। এখন সঠিক জায়গায় মাটি নিয়ে যেতে হবে। বন্যা থেকে বাঁচতে আমাদের নদী রক্ষা করতে হবে। নদী সংরক্ষণ করতে হবে। নদী পাড়ের প্লাবন ভূমি সংরক্ষণ করতে হবে। এজন্য নদী পাড়ে হাইড্রোলজিক্যাল বাউন্ডারি দিতে হবে। সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: নদী রক্ষায় আপনাদের গৃহিত পদক্ষেপগুলো দ্রুত দৃশ্যমান হবে কী না?

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান: মাস্টার প্লানে চার ধরণের প্রোগ্রাম নেওয়া আছে। এক বছর মেয়াদি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম, এই প্রোগ্রামে এনফোর্সমেন্ট শুরু হয়েছে। এটা ঠিক করার পর দুই বছর দুই বছর ভাগ করে আগামী ৫ বছরের মধ্যে অনেক ভাল কিছু দেখতে পাবেন। সেখানে নদীর পাড়ে বনায়ন, হাটারপথসহ নানাকিছু দৃশ্যমান হবে। তবে এই নদী দখল তো একদিনে হয়নি, একদিনে সমাধানও হবে না। আস্তে আস্তে সমাধানের দিকেই যেতে হবে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: নদী যেভাবে বিলিন হচ্ছে তাতে দেশের জন্য কি ধরণের হুমকি হতে পারে?

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান: নদী হচ্ছে মানুষের হৃদপিন্ডের মতো। প্রধানমন্ত্রী সেভাবেই নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের মানুষের শরীরের ধমনীতে যেমন কোথাও ব্লক হলে মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যায়, তেমনি নদী যদি কোথাও গতিপথ বন্ধ করা হয়, ব্লক করা হয় তাহলে কিন্তু আমাদের নদী বাঁচবে না। নদী ব্যবস্থাপনায় যদি বাধার সন্মুখীন হয়, দখলের সন্মুখীন হয় তাহলে দেশের অর্থনীতি, দেশের নদী ব্যবস্থাপনা, পানি সম্পদ বিপর্যয়ের সন্মুখীন হবে। নদী দলমত জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার। নদী বাঁচানোর দায়িত্বও সবার। সকলে মিলে যেভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল সেভাবেই সন্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তবেই নদী বাঁচবে, দেশ বাঁচবে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধে ডাক দিয়েছিলেন তখন একটা স্লোগান ছিল তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা, মেঘনা, যমুনা। এখন সেই পদ্মা মেঘনা যমুনা যদি না থাকে আমাদের স্বাধীনতার স্লোগান ম্লান হয়ে যাবে। তাই সম্মিলিতভাবে নদী রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। এটা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান: আপনাকেও ধন্যবাদ। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম এর মাধ্যমে সাবাই জানুক, সবাই ঐক্যবদ্ধ হই নদী রক্ষায়।

   

মাদক বিরোধী অভিযানে আটক ৪০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৪০ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৪৬২ পিস ইয়াবা, ১৫১ গ্রাম হেরোইন, ১০৬ কেজি ৬৫০ গ্রাম গাঁজা, ৩০ গ্রাম আইস ও ১১৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপি’র নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৪টি মামলা দায়ের হয়েছে।

;

চাকরিতে প্রমোশন, ৯ লাখ টাকা নিয়ে গ্রেফতার কবিরাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরিতে প্রমোশন ও পারিবারিক সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে এক কবিরাজ নিয়েছিলেন ৯ লাখ টাকা। প্রতারণা বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। পরে অভিযান চালিয়ে সেই ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গ্রেফতারকৃত কবিরাজকে আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ভন্ড কবিরাজের নাম মো হুমায়ুন কবির (৫৩) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার বোরহান উদ্দিনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় আল্লাহর দান আজমিরি কবিরাজি দাওয়াখানা-২ নামে একটি কবিরাজের দোকান দিয়ে স্থানীয়দের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। স্থানীয়রা সবাই তাকে কবিরাজ হিসেবেই চেনে।

ভুক্তভোগী শাহাব উদ্দিন ভুঁইয়া একই এলাকায় বসবাস করে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। চাকরিতে প্রমোশন ও পারিবারিক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে কবিরাজ তাঁর কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়েছেন। পরে কাজ না হলে টাকা ফেরত চাইলে উলটো হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন সেই কবিরাজ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব সাহা বলেন, প্রতারণার অভিযোগে এক ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট

ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী রোববার (৩১ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নোট বিনিময়। যা চলবে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরের কয়েকটি শাখা থেকেও নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন শাখা কাউন্টারের মাধ্যমে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখার মাধ্যমেও গ্রাহকরা নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। পাশাপাশি একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট নিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

যেসব ব্যাংকের যেসব শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবেঃ

জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।....

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মেইন ব্র্যাঞ্চ, দিলকুশা, যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা মেইন শাখা।....

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার শাখা, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, মিরপুর-১, উত্তরা ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা, ঢাকা (কচুক্ষেত করপোরেট শাখা), দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ইব্রাহীমপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখা।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার শাখা, দক্ষিণখান, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখা, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি শাখা, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, এবি ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখা, এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা।....

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ ভুলতা শাখা, ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী শাখা, ইসলামী ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ কাঁচপুর শাখা, ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, প্রাইম ব্যাংকের সাভার শাখা, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের বসুন্ধরা শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সীগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী শাখা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখা।

;

বিডিজেএ'র সভাপতি মাসুম, সম্পাদক মাহবুব সৈকত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিজেএ) ঢাকার আগামী দু’বছরের জন্য সভাপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল আইয়ের জয়েন্ট এসাইনমেন্ট এডিটর তারিকুল ইসলাম মাসুম এবং সাধারণ সম্পাদক পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন মাইটিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুব সৈকত।

রাজধানীতে কারওয়ান বাজার রেইনি রুফটবে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪-২৫ সেশনের জন্য বিডিজেএ'র কার্যনির্বাহী পর্ষদের নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ সভাপতি বাংলা টিভির এসাইনমেন্ট এডিটর এম এম বাদশাহ ও দীপ্ত টিভির সিনিয়র নিউজ রুম এডিটর ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট নাদিরা জাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (অর্থ) সময় টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সানবির রুপল ও নাগরিক টিভির সিনিয়র রিপোর্টার রাজু হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এশিয়ান টিভির নিউজ এডিটর মাহবুব জুয়েল, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক ফাহিম মোনায়েম, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক ঢাকা মেইলের সিনিয়র রিপোর্টার বুরহান উদ্দিন, কল্যান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার হাসিব মাহমুদ শাহ, ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক সম্পাদক সময় টিভির সিনিয়র ক্যামেরা জার্নালিস্ট মিজানুর রহমান মিন্টু

কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, একুশে টেলিভিশনের চীফ ক্যামেরা জার্নালিস্ট ফারুক হোসেন তানভীর, দৈনিক সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার কামরুল ইসলাম, জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইসমাইল রাসেল, দৈনিক সকালের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার ইউসুফ আলী বাচ্চু।

নির্বাচন পরিচালনা করেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, ডিইউজেএ'র সিনিয়র সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, বিএফ ইউ জেএ'র যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, ক্রাবের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ আকন, ডিইউজেএ'র সাবেক সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আকতারুজ্জামান, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ, বরিশাল মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নিজাম উদ্দিন, শ্যামলীর ২৫০ শয্যা বিশিস্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার, রাজনীতিবিদ আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

;