চার কারণে এসিড সন্ত্রাস কমেছে বাংলাদেশে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
এএসএফ'র অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

এএসএফ'র অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে চার কারণে এসিড সন্ত্রাস কমেছে বলে জানিয়েছে এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এএসএফ)।

সোমবার (২২ জুলাই) রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে এ নিয়ে আয়োজিত অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় নিজেদের পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে সংস্থাটি। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ইতিবাচক চর্চা এবং সম্ভাব্য কৌশলসমূহ’।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস সদস্য অ্যারোমা দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আইনুল কবীর ও ঢাকায় নিযুক্ত ইউএনডিপির মানবাধিকার কর্মসূচির চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার শর্মিলা রসুল।

এএসএফের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মাসুদ আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় যৌথভাবে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এএসএফের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ ও প্রধান গবেষক ফজিলা বানু লিলি। গত অক্টোবর ২০১৮ থেকে জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত ইউএনডিপির মানবাধিকার কর্মসূচির সহায়তায় এ গবেষণা পরিচালিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এসিড আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে আনতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রধানত চারটি বিষয় কাজ করেছে। গবেষণা পরিচালনাকালে সাক্ষাৎকার প্রদানকারীদের দেওয়া তথ্য মতামতের ভিত্তিতে এটা প্রতীয়মান হয়। প্রথমত, তাদের ৬২ শতাংশ বলেছেন, এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০২ এবং এসিড অপরাধ প্রতিরোধ আইন ২০০২ এসিড সন্ত্রাস কমিয়ে আনতে মূল ভূমিকা পালন করেছে। দ্বিতীয়ত, ৭০ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ সাক্ষাৎকার প্রদানকারী মতে, গণমাধ্যমের ভূমিকা ও বিভিন্ন প্রচারাভিযান এসিড সন্ত্রাস কমিয়েছে। তৃতীয়ত, ৩৭ শতাংশের মতে, নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এ ক্ষেত্রে। চতুর্থত, এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের কার্যকর ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রচারাভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম এসিড সন্ত্রাস কমাতে অনন্য ভূমিকা রেখেছে।

অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায়, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যারোমা দত্ত বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক দৃঢ় এবং প্রত্যয়ী। গবেষণার ফলাফল বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করার জন্য এএসএফের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়ে যারা জীবনযুদ্ধে লড়েন, তারা কী বেদনা নিয়ে বেঁচে থাকেন তা সমাজকে অনুধাবন করতে হবে।

এই ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীকে যোদ্ধা আখ্যায়িত করে তাদের সহায়তায় এবং এসিড সন্ত্রাস নির্মূলে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ার তাগিদ দেন অ্যারোমা দত্ত।

অতিরিক্ত সচিব আইনুল কবীর বলেন, সরকার নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সহিংসতা নির্মূলে কিশোর-কিশোরীদের নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

ইউএনডিপি প্রতিনিধি শর্মিলা রসুল বলেন, সাসটেইনঅ্যাবল উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন করতে হলে নারী-পুরুষ সমতা অর্জন করতে হবে। সহিংসতা কমিয়ে আনতে হবে। আর এটা করার জন্য এসডিজি স্বাক্ষরকারী হিসেবে বাংলাদেশের একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এএসএফের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকার ধারাবাহিকতা, পরিবারে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের দ্রুত সাড়া, পুরুষদের কার্যকর অংশগ্রহণ, ক্ষমতাবানদের চাপ মোকাবেলার মত আইন প্রণয়ন এসিড সহিংসতা নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এএসএফ)। জন্মলগ্ন থেকেই এসিড সহিংসতা প্রতিরোধ, এসিড সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা প্রদান, আইনি সহায়তা ও পুনর্বাসন এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠা ও এসিড সন্ত্রাস নির্মূলের লক্ষ্যে সারা দেশে সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে একযোগে কাজ করছে সংস্থাটি।

   

সৌদিতে দুর্ঘটনায় আহত, কটিয়াদীতে এসে প্রবাসীর মৃত্যু



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪,কম,কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের এক সৌদি প্রবাসী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ভাগলপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত সাইফুল ইসলাম রতন (৫৫) জালালপুর ইউনিয়নের টুনিয়ারচর বিরামের বাড়ি মহল্লার বাসিন্দা।

একবছর আগে সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনাটায় আহত হয়ে কোমায় চলে যায় সাইফুল ইসলাম। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত রমজানে লোক-মারফত দেশে পাঠানো হয় তাকে। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সাইফুল ইসলামকে। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

;

নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর মহাপরিকল্পনা তৈরির দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে হওয়া ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি পাওয়ার মাস্টার প্ল‍্যান (আইইপিএমপি) ও সমন্বিত মহাপরিকল্পনা সংশোধন করে টেকসই ও জলবায়ুবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর মহাপরিকল্পনা তৈরির দাবি তুলেছে বাংলাদেশের শতাধীক জলবায়ু কর্মী। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করে তারা এই দাবি ও দাবির পক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, 'আইইপিএমপিকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বার্থ দেখতে হবে, অন্য কারো নয়। এবারের পরিকল্পনায় তিনটি নতুন প্রযুক্তি- হাইড্রোজেন, অ্যামোনিয়া আর কার্বন ক্যাপচার অ্যান্ড স্টোরেজ প্রযুক্তিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি প্রসার বাড়লেও সৌর ও বায়ুর মতো পরীক্ষিত নবায়নযোগ্য প্রযুক্তির অংশ রাখা হয়েছে সামান্য। আমরা তরুণরা ভুয়া সমাধানগুলো প্রত্যাখ্যান করছি এবং জ্বালানি রূপান্তরনির্ভর মাস্টার প্ল্যান বানানোর পথে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। যে মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলো অগ্রাধিকার পাবে এবং সকলের জন্য একটি ন্যায্য রূপান্তর নিশ্চিত করবে। 

এসময় তরুণ জলবায়ু কর্মীদের হাতে থাকা ব্যানার ফেস্টুনে জ্বালানি খাতের রূপান্তর, জ্বালানি মহাপরিকল্পনা সংশোধন, নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা ও বিভিন্ন জ্বালানি নীতির সমন্বয়, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের বিপদ, জলবায়ু অর্থায়ন ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নানান স্লোগান দেখা যায়।

সমবেত জলবায়ু কর্মীরা আইইপিএমপির ব্যয়বহুল ও ক্ষতিকারক বিষয়গুলোর ব্যাপারে আলোচনা করে দ্রুত সেগুলো সংশোধনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।

নবায়নযোগ্য শক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ও অন্যান্য জাতীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি আইইপিএমপি বানানোর তাগাদা দিয়ে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য টেকসই জ্বালানি ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে, সংশোধিত আইইপিএমপিতে নবায়নযোগ্য শক্তি সংক্রান্ত জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্তি করে তা অর্জনে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

গ্লোবাল ফ্লাইমেট স্ট্রাইকের অংশ হিসেবে ১৯ এপ্রিল সারা বিশ্বেই বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আরও সোচ্চার হতে বিশ্বনেতাদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে জলবায়ু কর্মীরা।

এছাড়া প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন জীবাশ্ম জ্বালানিতে আর বিনিযোগ না করে তা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে জোর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন এসব তরুণ জলবায়ু কর্মীরা।

;

আগুনে চরম ভোগান্তিতে অসুস্থ শিশু ও অভিভাবকরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আগারগাঁও শিশু হাসপাতালে লাগা আগুনের খবরে বিভিন্ন তলার ওয়ার্ড ও আইসিইউতে চিকিৎসা নেওয়া শিশুদের নিয়ে নিচে নামেন অভিবাবকরা।

আগুনের আতঙ্ক ও মানুষের দৌড়াদৌড়িতে ঘটনার সময় এক বিভীষিকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় শিশু হাসপাতালে জুড়ে। আগুন নিভে গেলেও এখন চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন চিকিৎসার শিশু ও তাদের অভিভাবকরা। 

আগুনের কারণে ওয়ার্ডের স্থান না পেয়ে তারা হাসপাতালে বাইরের ফ্লোরে শিশুদের নিয়ে অবস্থান করছেন।

হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগুন লাগার পর পর হাসপাতাল ভবন ধোঁয়ায় অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে যায়। তখন যে যেভাবে পেরেছে চিকিৎসারত শিশুকে নিয়ে হাসপাতালের ভবন থেকে বের হয়ে যান। 

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা শিশু হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালটির পঞ্চম তলায় আগুন লাগে। সেই ফ্লোরে যেতেই বাতাসে ভেসে আসে পোড়া গন্ধ। এছাড়া পঞ্চম তলায় হাসপাতালের সকল আসবাবপত্র পুড়ে গিয়েছে।

এদিকে হাসপাতালের নিচে দেখা যায়, আগুনের কারণে আতঙ্কে নিচে নামা অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিয়ে হাসপাতালের ভবনের বাহিরের গাড়ি পার্কিং-এ অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে অনেক শিশু গুরুতর রোগে আক্রান্ত, ফলে তারা বিনা চিকিৎসায় অবস্থান করছেন। এছাড়া বাহিরের গরমে অনেক শিশু আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। 

হাসপাতাল ভবনের চতুর্থ তলায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ মাসের শিশু সন্তান হাবিবুর রহমানের চিকিৎসা চলছিলো। আগুন লাগার পর তার মা হাজেরা আক্তার দ্রুত নিচে নামেন।


তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমার শিশুকে নিয়ে এই হাসপাতালে আসি। প্রচন্ড জ্বরের কারণে হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। আজ দুপুরের দিকে হঠাৎ হাসপাতালে মানুষের দৌড়াদৌড়ি লক্ষ্য করি। এর কিছুক্ষণ পরই দেখি কালো ধোঁয়ায় বিল্ডিং অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে গেছে। এর মাঝে কয়েকজন আগুন করে চিৎকার করছে। পরে দ্রুত আমার শিশুকে নিয়ে নিচে নামি। নিচে নেমেছি প্রায় দুই ঘণ্টার উপর হয়ে গেছে। এই গরমের মধ্যে আমার বাচ্চা কান্না করছে। কিন্তু এখনো উপরে সব ঠিকঠাক হয়নি কখন যে যেতে পারবো বুঝতে পারছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে তো আমার বাচ্চা আরও অসুস্থ হয়ে যাবে। 

পাতলা পায়খানা জনিত রোগের কারণে গত সাত দিন ধরে ঢাকা শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিল পাঁচ মাসের শিশু আয়াত। গতকাল তাকে আইসিউ থেকে চতুর্থ তলার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। আগুন লাগার সাথে সাথে আয়াতের মা নীলা কোন রকমে ৫ মাসের শিশু বাচ্চাকে নিয়ে নিচে নামেন।

আগুন লাগার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নীলা বলেন, হঠাৎ দৌড়াদৌড়ি আর ধোঁয়া কারণে ভয় পেয়ে দ্রুত নিচে নেমে আসি। আমার বাচ্চাটা এক সপ্তাহ আইসিইউতে ছিলো, সে এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। তাকে নিয়ে এই গরমে বাহিরে আছি। আবার অসুস্থ হয়ে যায় কিনা ভয়ে আছি। গরমে বাচ্চা কান্না করছে।

তিনি বলেন, তবে আমাদের বাচ্চাদের খুব বেশি সমস্যা না হলেও পাঁচতলার আইসিইউ-তে যেসব বাচ্চারা ছিল তাদের সমস্যা হয়েছে। অনেক বাচ্চা আছে যাদেরকে অক্সিজেন ছাড়া নিচে নামানো হয়। তারা এখন কোথায় আছে জানিনা তবে তাদের অবস্থা খুবই নাজুক ছিল।


এদিকে রাজধানীর আগারগাঁও শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউতে থাকা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরণে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ধারণা ফায়ার সার্ভিসের।

আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন বলেন, দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপর আমাদের ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান চালায়। তবে আমরা কোনো ভুক্তভোগীকে পাই নি। আগুন লাগার পরপরই আইসিইউতে থাকা সবাইকে সরিয়ে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বজনরা।

আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা ধারণা করছি আইসিইউর ভেতরে এসি ছিলো। সেটা থেকে হয় তো আগুন লেগেছে। তবে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে। 

;

আমি লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী: পলক



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের জেরে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ এবং নির্যাতনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেছেন, 'নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক, আইনগত ও সাংগঠনিক কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। সে ক্ষেত্রে কার কী পরিচয়, কে আমার ভাই, কে আমার শ্বশুর কিংবা শ্যালক এটা কোনো বিবেচনার বিষয় নয়। এটা নিয়ে আমি আসলেই বিব্রত, লজ্জিত, দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।'

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে অপহরণ ও মারধরের শিকার নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘যখনই আমি দেশে ফিরেছি, আমি মনে করেছি আমার দ্রুত এখানে আসা দরকার। আমার কর্মীর (দেলোয়ার) পাশে থাকা দরকার এবং স্পষ্ট বার্তাটা সকলের কাছে দেওয়া দরকার। সে আমার দলের নেতাকর্মী হোক, সে আমার আত্মীয় হোক, যেই হোক, আমি নিশ্চিত করতে চাই, এখানে কোন ব্যক্তিগত কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ব্যবহার করে বাড়তি কোন সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নাই। এই পরিচয় যদি কেউ ব্যবহার করতে চায়, তাহলে আরও কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে। সে রকম বার্তাই কিন্তু আমাদের নেত্রীর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।’

এ সময় পলকের সঙ্গে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান, সিংড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন অনলাইনে আবেদনের পর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে আসেন। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

এ ঘটনার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবার প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করে আসছেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সুমন নামের এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ নিয়েই সুমনসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধর করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় লুৎফুল হাবীবকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

লুৎফুল হাবীব রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক।

;