শহরটাই যেন ময়লার ভাগাড়!



রেজা উদ্ দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সুপ্রিমকোর্টে আইন কর্মকর্তাদের গাড়ি রাখার স্থানে আবর্জনার স্তূপ | ছবি: সুমন শেখ

সুপ্রিমকোর্টে আইন কর্মকর্তাদের গাড়ি রাখার স্থানে আবর্জনার স্তূপ | ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস ঢাকা শহরে। সময়ের প্রয়োজনে, জীবিকার তাগিদে, উন্নত জীবনের আশায় মানুষের ঢল এখন গ্রাম থেকে শহরমুখী। এই জনস্রোতে তরুণদের সংখ্যাই বেশি।

কিন্তু এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে গ্রহণ করতে আদৌ কি সক্ষম এ মহানগরী? বায়ু দূষণ, যানজট, বিশুদ্ধ পানির অভাব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত রাজধানীর মানুষ। তবুও জীবন-জীবিকার তাগিদে শহরের নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যুদ্ধ করে টিকে থাকার অদম্য সংগ্রাম চলছে তাদের।

ঢাকা শহরের নোংরা পরিবেশের জন্য বিশেষভাবে দায়ী নগরের অদক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বেশ নাজুক৷ দুটি সিটি করপোরেশন নগরীর বিপুলসংখ্যক বাসিন্দার প্রতিদিনের বর্জ্য অপসারণে যেমন অদক্ষ, তেমনি শহরের বেশির ভাগ বাসিন্দাই আবর্জনা ফেলার ব্যাপারে অসচেতন ও উদাসীন৷ এ কারণে গোটা নগরীকে মনে হয় বিশাল একটি ময়লার ভাগাড়। রাজধানীর মূল সড়কগুলো যেখানে ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে সেখানে গলি কিংবা ছোট সড়কের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563791094908.jpg
সোমবার (২২ জুলাই) রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দা, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে বেশকিছু এলাকা এসব চিত্র দেখা যায়।

বেলা সাড়ে ১১টায় পশ্চিম শেওরাপাড়া এলাকার বেগম রোকেয়া সরণিতে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার উপরে খোলা জায়গায় ফেলা ময়লার স্তূপ থেকে আবর্জনা ট্রাকে তুলছেন সিটি করপোরেশনের কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। দুর্গন্ধে সেখানে নিঃশ্বাস নেওয়াই দায়। এখান থেকে ময়লা তুলে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে ফেলেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ময়লার কন্টেইনার নেই দেখে রাস্তার উপরেই ময়লা ফেলেন এলাকার বাসিন্দারা। তারা জানান, প্রতিদিনের গৃহস্থালি ময়লা-আবর্জনা একটি ঝুড়িতে জমিয়ে ভোর বেলায় নিজ নিজ ফ্ল্যাটের সদর দরজার সামনে রেখে দেন। সেখান থেকে সেগুলো সংগ্রহ করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তাকে মাসিক ভিত্তিতে বেতন দেওয়া হয়। বেতনভোগী ওই ব্যক্তি তার নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের প্রতিদিনের গৃহস্থালি আবর্জনা ভ্যানে করে নিয়ে এসে ফেলেন সড়কের উপরে কিংবা পাশে থাকা কন্টেইনারে অথবা খোলা জায়গায়। সেখান থেকেই কয়েকদিন পর পর সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে সেগুলো ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নেওয়া হয়।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563791120853.jpg
এলাকাবাসী জানান, নিয়মিত সিটি করপোরেশনের লোক না আসায়, ভাঙাচোরা কন্টেইনার থাকায় সেগুলো থেকে প্রায় ময়লা-আবর্জনা উপচে পড়ে রাস্তায় ছড়িয়ে থাকে। মানুষের পায়ে পায়ে, গাড়ির চাকায় ঘুরে ময়লাগুলো গোটা রাস্তাতেই ছড়িয়ে যায়। খোলা জায়গায় ময়লা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে কষ্ট করে চলতে হয় পথাচারীদের৷ কোথাও কোথাও কটু গন্ধে নাক-মুখ চেপে ধরে চলাচল করতে হয়। শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট অবর্ণনীয়।

মিরপুর সড়কে ধানমন্ডির শেখ জামাল ক্লাবের মাঠের পাশেই রয়েছে ময়লার বিশাল একটি ভাগাড়। এখানকার বাতাসের কটু গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়।

বাসযাত্রী হিমেল সরকার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত ভার্সিটিতে যাওয়া-আসা করি। সবসময় দোয়া করি যেন এ জায়গায় গাড়ি জ্যামে না পড়ে। বিশেষ করে তীব্র গরমে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা তখন এখানকার কটু বাতাস নাকে গেলে প্রায়ই বমি চলে আসতে চায়।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563791142722.jpg
এ তো গেল গৃহস্থালি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র। কিন্তু এর বাইরেও অনেক আবর্জনা আছে যার জন্য নগরবাসীরাও কম দায়ী নন। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে কয়েক বছর আগে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রাস্তার পাশে ফুটপাতের উপরে স্থাপন করেছিল কয়েক হাজার ঝুলন্ত ডাস্টবিন৷ সেগুলো ব্যবহার তো দূরে থাক অল্প দিনের মধ্যেই এ সব ডাস্টবিনের বড় একটি অংশ চুরি হয়ে যায়, পড়ে থাকে শুধু তার স্ট্যান্ডগুলো৷ নগরবাসীর অবহেলা আর সিটি করপোরেশনের যথাযথ তত্ত্বাবধানের অভাবে চুরি যাওয়া ডাস্টবিনের সেসব স্ট্যান্ড এখন পথচারীদের চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের বসানো সড়কের পাশের যেসব ডাস্টবিন এখনও টিকে আছে সেসব ডাস্টবিন খালি থাকা সত্ত্বেও ময়লা ফেলা হয়েছে বাইরে।

জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ হামিদ খান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ঝুলন্ত এসব ডাস্টবিন ছিল পথচারীদের ব্যবহারের জন্য। কিন্তু তাদের ৯০ শতাংশ চোখে দেখেও সেগুলো ব্যবহার করেননি। হাতে যাই থাকে সেটা যেন সড়কে ছুড়ে ফেলাতে তাদের আনন্দ!

নগরীর পরিচ্ছনতার বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মহানগরীকে পরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতামুক্ত রাখতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা কি যত্রতত্র পলিথিন ও ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করেছি?
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563791166725.jpg
মেয়রের কথার স্বাক্ষী যেন গোটা রাজধানীর রাস্তাগুলি। সোমবার দুপুরে শিশু হাসপাতালের সামনের ফুটপাত ঘেঁষা রাস্তায় বেশ কয়েক মিটার দীর্ঘ আবর্জনার স্তূপ দেখা গেল। ড্রেনের চিহ্ন বলে কিছু নেই সেখানে।

নীলক্ষেত থেকে হাতিরপুল সড়ক দিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশের ড্রেনগুলো পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতল, বিভিন্ন পণ্যের মোড়ক, ভাঙা ইট পাথর, বালি দিয়ে ভরাট হয়ে গেছে। পানি প্রবাহের কোন জায়গা নেই।

শাহবাগ মোড়, মগবাজার মোড়, সাতরাস্তার মোড়সহ নগরীর প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ সড়কেই একই চিত্র। পানি প্রবাহের ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায় অধিকাংশ সড়ক। কোথাও কোথাও বাসাবাড়িতে উঠে যায় দূষিত পানি।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563795772162.jpg
তাই রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য নাগরিক সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মেয়র আতিক। তিনি বলেন, নগরবাসী সচেতন হলে রাজধানীর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

অন্যদিকে নগরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতের জন্য আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাঠামো নিশ্চতকরণ, বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান, দীর্ঘ মেয়াদে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালানোসহ একাধিক পরামর্শ রয়েছে নগরবাসীর।

   

‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের হাতিয়ার দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষতা উন্নয়ন ও সবাের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে হাতিয়ার বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ লক্ষ্যে বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ‘গ্লোবাল স্কিলস ফোরাম’ এর আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সব উন্নয়ন নীতির মূলে রয়েছে সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত কাজের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াস। সরকার সাধারণ শিক্ষার গুণগত উৎকর্ষের পাশাপাশি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষার পাঠ্যক্রমে জীবন ও জীবিকা সংক্রান্ত পাঠ এবং প্রয়োজনীয় জীবন অভিজ্ঞতার পাঠ সন্নিবেশিত হয়েছে। তাছাড়া কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও মান উন্নয়নে সরকার বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

শিক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিক বিনিয়োগের ফলে স্বাক্ষরতার হার ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানান। সাধারণ শিক্ষার ন্যায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায়ও মেয়েদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে তিনি জানান। বর্তমানে স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মেয়েদের হার ছেলেদের অংশগ্রহণের হারকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্ত্রী জানান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবো সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপসমূহের ফলে দক্ষতা উন্নয়নে গুণগত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে জানান। মহাপরিচালক হোংবো নারী শিক্ষার প্রসার ও মান বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন সরকার বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও দেশজ বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানমুখী বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতের উন্নয়নে কাজ করছে তেমনি মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন ও নতুন নতুন দক্ষতা তৈরিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ লক্ষ্যে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।

গ্লোবাল স্কিলস ফোরামের অংশ হিসেবে আয়োজিত এ প্যানেল আলোচনায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থার পরিবর্তনে বাস্তবায়িত প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ এমপ্লয়ারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সাকি রিজওয়ানা, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ছাড়াও জেনেভায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা এ প্রকল্পের সাফল্যের ক্ষেত্রে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানান এবং এ প্রকল্প অন্যান্য দেশের দক্ষতা উন্নয়ন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

;

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার মৃত্যুদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পিতাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৪ এর বিচারক শাহরিয়ার কবির এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী বাবার সঙ্গে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করত। কিশোরীর মা বিদেশে থাকতেন।

২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাসায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার বাবা। এই ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পরবর্তীতে আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আসামি মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

রায় ঘোষণার আগে মামলায় ছয় জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।

;

সাতক্ষীরায় পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় বাইপাস সড়কের ধারে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাজমোহন দাস (৩৫) এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম। 

নিহত রাজমোহন সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের প্রভাত কুমার দাসের ছেলে।

পুলিশ জানায়, রাজমোহন দাস মোটরসাইকেলে সাতক্ষীরা থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বেলা দশটার দিকে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের ধারে থাকা একটি পিলারের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে রাজমোহন দাস ঘটনাস্থলে নিহত হন।

 

;

একটা রিকশার আক্ষেপে ২৫ বছর পার



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪ কম, কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
একটা রিকশার আক্ষেপে ২৫ বছর পার

একটা রিকশার আক্ষেপে ২৫ বছর পার

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র দাবদাহ ও কাঠফাটা রোদে রাস্তার মোড়ে মাথায় হাত দিয়ে বসা এক রিকশাচালক। টপটপ করে ঘাম ঝরছে। বারবার মাথার ঘাম গামছা দিয়ে মোছার চেষ্টা করছেন। গরমের কারণে রাস্তায় তেমন লোকজন নেই। রিকশাচালক গোলাপ মিয়ার মাথায় চিন্তার ভাঁজ। একদিকে রিকশার ভাড়ার চাপ, আরেকদিকে সংসার চালানো।

দিনটা পার হলেই রিকশার ভাড়া দিতে হবে, তিনশো টাকা৷ সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত তার উপার্জন মোট আশি টাকা। রাতে রিকশার মহাজনকে যেভাবেই হোক টাকা দিতেই হবে। উপার্জন হোক বা না হোক এ-টাকা তাকে দিতেই হবে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে তার।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পৌরবাজারে দেখা মিলেছে এমনই এক রিকশারচালকের৷ তার নাম গোলাপ মিয়া (৪০)। পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউপির পূর্ব বীরগাঁও গ্রামের মাঝিবাড়ির বাসিন্দা তিনি।

এলাকাবাসী ও রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্ত্রী দুই মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার গোলাপ মিয়ার। মেয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বাকিরাও স্কুলে লেখাপড়া করছে। ছেলেমেয়েরা সবাই মেধাবী। লেখাপড়ায় তারা আগ্রহী। তীব্র অভাব অনটনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এলাকাবাসী জানান, গোলাপ খুবই সহজ সরল ও পরিশ্রমী মানুষ। নিয়মিত নামাজ পড়েন। নিজস্ব থাকার নিজস্ব কোন জায়গা নাই। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় ভালো। অভাবের কারণে খাবার জোটানো কঠিন। লেখাপড়ার খরচ তাদের জন্য যুদ্ধ করার মতো কষ্ট হচ্ছে। তার নিজস্ব একটা গাড়ি হলে পরিবার নিয়ে উপার্জন করে ভালোভাবে চলতে পারতেন বলে ধারণা তাদের।

রিকশাচালক গোলাপ মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংসার নিয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছি। ভাত জোটানো যেখানে দায় সেখানে লেখাপড়া কীভাবে করাব বলেন? তবুও সন্তানের মুখের দিকে তাকালে মনডা মানে না আর, তাদের আবদার রাখতে পারি না।

তিনি আরও জানান, একটা আনলে আরেকটা বাকি থাকে। আমার নিজস্ব একটা প্যাডেলের রিকশা ছিল। ২৫ বছর আগে চিকিৎসার খরচ আর তীব্র অভাবে বিক্রি করেছিলাম। পরে আর কেনার সাধ্য হয়নি। একটি অটোরিকশা হলে সংসারটা চালাতে পারতাম। বাড়িটাও ঝুপড়ি ঘর, বৃষ্টি আসলেই ভিজতে হয়; এভাবেই চলছি।

;