আজিমপুরে খাদেমের মরদেহ উদ্ধার: রহস্য উদঘাটনে পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
লাশ উদ্ধারের প্রতীকী ছবি

লাশ উদ্ধারের প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আজিমপুরের মসজিদ থেকে উদ্ধার হওয়া খাদেমের মরদেহ নিয়ে তৈরি হওয়া রহস্য উদঘাটনের খুব কাছাকাছি রয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য তৎপর হয় পুলিশ। এর মধ্যেই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের অনেক কাছাকাছি পুলিশ চলে এসেছে। দ্রুত এ ঘটনার মূলহোতাকে আটক করে প্রকৃত রহস্য সবার সম্মুখে উদঘাটন করা হবে বলেও জানায় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) লালবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশাফ উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

আশাফ উদ্দিন বলেন, ‘খাদেম মো.হানিফের বস্তাবন্দী মরদেহ কাল (বুধবার) রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেও এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের কাছাকাছি চলে এসেছে পুলিশ। মসজিদটির বেশ কয়েকজন হুজুরের সঙ্গে কথা বলে আমরা অনেক তথ্য জানতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন মূলহোতা রয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাকে গ্রেফতার করলেই এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। আশা করি তাকে আজকের মধ্যেই আমরা গ্রেফতার করতে পারব। আর তাকে গ্রেফতার করতে পারলে এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হয়ে যাবে।’

উল্লেখ, বুধবার (৩ জুলাই) রাতে আজিমপুরে কবরস্থান সংলগ্ন হানিফ মেয়র জামে মসজিদ থেকে মসজিদটির খাদেম মো.হানিফের মরদেহ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. হানিফের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া এলাকায়।

পরে নিহত খাদেমের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়। এছাড়া মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড মিডফোর্ট হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

   

বাবা-মা হারানো ২১ শিশু বেড়ে উঠছে গাইবান্ধার 'অরকা হোমসে'



মাসুম বিল্লাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ২৪ এপ্রিল, সাভারের রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর। ২০১৩ সালের আজকের এই দিনের সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামে একটি ৯ তলা ভবন ধসের ঘটেছিল। যেটি বাংলাদেশ তথা এশিয়ার অন্যতম বড় শিল্প দুর্ঘটনা ছিল । আর বিশ্ব ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা। সেদিনের সেই ভয়াল দুর্ঘটনায় জীবন দিতে হয়েছিল ১ হাজার ১৭৫ জন শ্রমিককে। আর দুই হাজারেরও বেশি মানুষ হয়েছিলেন আহত। তাদের মধ্যে অনেকেই আজীবন পঙ্গুত্ববরণ করে বেঁচে আছেন।

লোমহর্ষক এই ট্রাজেডির শিকার অনেকেরই সন্তান নিঃসঙ্গতা আর অর্থাভাবে ভিন্ন ভিন্ন পথের সারথি হলেও অত্যন্ত মমতার আশ্রয়ে গাইবান্ধার 'অরকা হোমস' নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বেড়ে উঠছে ২১ জন শিশু, কিশোর-কিশোরী। যাদের কেউ হারিয়েছে বাবাকে, কেউবা মাকে। কেউ কেউ আবার বাবা-মা উভয়কে হারিয়ে একেবারেই হয়েছে নিঃস্ব। কারও কারও বাবা-মা আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছে আজীবনের জন্য। এরা ছাড়াও আরও ৩১ জন এতিম-অসহায় শিশু-কিশোর-কিশোরীর ঠিকানা হয়েছে অরকা হোমসে। বাবা-মা হারানো দেশের বিভিন্ন জেলার এসব শিশুর লেখাপড়া, খেলাধুলা ও বিনোদনসহ পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ওল্ড রাজশাহী ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশন (অরকা)।

চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গায় ২০১৪ সালে অরকা হোমসের প্রথম কার্যক্রম শুরু হয়। একই বছরের ২২ ডিসেম্বর গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে অরকা হোমস প্রতিষ্ঠিত হয়।


প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলাবিশিষ্ট দুটি এবং পরবর্তীতে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে চারতলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। যেখানে ৫২ জন এতিম অসহায় শিশু, কিশোর-কিশোরী বসবাস করছেন। এদের মধ্যে ২১ জন মেয়ে ও ৩১ জন ছেলে রয়েছে। তাদের মধ্যে বর্তমানে ২১ জন রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির শিশু-কিশোর-কিশোরী রয়েছে। সেখানে তারা থাকা-খাওয়াসহ লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৯ জন মেয়ে, ১২ জন ছেলে। 

এদের মধ্যে ওই সময়ে (২০১৪) আসা সব থেকে কম বয়সী শিশু ছিল সৌরভ। তখন সৌরভের বয়স মাত্র ছয় বছর। ট্রাজেডিতে জীবন হারানো মায়ের সন্তান সৌরভের বয়স এখন ১৭ । সে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সৌরভের বাড়ি জামালপুর জেলার সদর উপজেলার বলমুই পাড়া গ্রামে। ছয় বছর বয়সে আসা শিশু সৌরভের তখনকার কোনো কিছুই মনে পড়েনা। তবে, বড় হওয়ার সাথে সাথে সবই জেনে গেছে সৌরভ। প্রতিবছরই সেই ভয়াল দিনের খবর পত্রিকার পাতায় পড়ে, টেলিভিশনে দেখে।

একান্ত সাক্ষাৎকারে বার্তা২৪.কমের গাইবান্ধার এ প্রতিবেদকে সৌরভ জানায়, তারা বাবা বাদশা মিয়া কাজ করতে অক্ষম হওয়ায় তার মা কল্পনা বেগম সাভাবের একটি পোশাক শ্রমিকের কাজ নেয়। তার মা ওই ভবনের তিন তলায় পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারান তিনি। এরপর এতিম সৌরভের জায়গা হয় গাইবান্ধার অরকা হোমসে।

সৌরভ জানায়, ‘শুনেছি আমার যখন ছয় বছর; তখন মা রানা প্লাজায় মারা যায়। ধ্বংসযজ্ঞের ১৬ দিন পর মাকে খুঁজে পায় বাবা-ভাই ও আমার স্বজনরা। তখন নাকি মায়ের দেহ গলে পঁচে গেছিলো, কিন্তু তার গলায় থাকা পোশাক কারখানার আইডি কার্ড দেখে বাবা-মাকে চিনে নেয়।

সৌরভ জানায়, মা'র (মায়ের) আয় করা টাকায় আমাদের পরিবার চলত। মা চলে যাওয়ার পর আমাদের ভালো চলছিল না। পরে এখানে রেখে যায় বাবা। একমাত্র বড় ভাই বিয়ে করে সংসার করছে। বাবাও দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। এখন খোঁজ-খবর রাখছে বয়স্ক (বৃদ্ধ) দাদা। এখানে আমি ভাল আছি।

মাকে মনে পড়ে কি না? এমন তিক্ত প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ জানায়, সব সয়ে গেছে। ছয় বছরের শিশু থাকতেই আমি মাকে হারিয়েছি তো, এখন খুব একটা কষ্ট হয়না! তবে, প্রতিবছর এই দিনটি আসলে সাংবাদিক এবং বিভিন্নভাবে মায়ের কথা মনে পড়ে।

কোনো স্বপ্ন আছে ? এমন প্রশ্নের জবাবে সৌরভ জানায়, বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আর শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে আমার মা জীবন দিয়েছেন। একটা মা হারা শিশুর আশ্রয় হয়েছে অরকা হোমসে। আমিও এরকম একটি প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন দেখি। যেখানে অসহায়-এতিম ছেলে-মেয়েরা ছাড়াও আমাদের মতো গরীব ঘরের সন্তানেরা বিনা টাকায় খেয়ে- থেকে পড়ালেখা করতে পারেব। তারাও প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াবে। এভাবেই দেশটি একদিন সহযোগিতার হাতেই পূর্ণ হবে। হয়তো তখন কেনো মাকে শ্রমিকের কাজে গিয়ে জীবন দিতে হবেনা।

প্রতিষ্ঠানটির সহকারি ম্যানেজার মিল্লাত মন্ডলের। তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই অরকা হোমসে আছেন। পরে সৌরভকে নিয়ে কথা হয় তার সাথেও।


সৌরভের সম্পর্কে জানতে চাইলে স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে সৌরভ যখন এখানে আসেন তখন ওর বয়স ছয় বছর। তখন এটি এতো প্রসারিত ছিলনা, ছিলনা জনবলও। ও (সৌরভ) তখন বিছানায় পেশাব করতো, আমিই পরিষ্কার করতাম। এখন অনেক বড় হয়েছে। এখানে আসার পর টানা একমাসের বেশি সময় ধরে সৌরভ প্রায় সার্বক্ষণিক মায়ের জন্য, বাড়ির জন্য কেঁদেছে। ওকে আমরা সবাই অনেক স্নেহে মানুষ করেছি। কারণ, সব থেকে ছোট এবং কম বয়সের ছিল সেদিনের মা হারা শিশু এই সৌরভ।

এসময় তিনি আরও বলেন, মা হারা সৌরভ অনেক ভদ্র এবং নম্র। সৌরভ প্রচন্ড মেধাবী। এখান আসার পর পড়া-লেখা শুরু হয় সৌরভের। সৌরভ দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক ক্লাসেই প্রথম (এক রোল)। আর এবার নবম শ্রেণিতে উঠেছে সৌরভ। এসময় সৌরভের আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে প্রাণ ভরে দোয়া করেন-সৌরভ জীবনে অনেক বড় হোক।

শুধু সৌরভই নয়, আল আমিন মিয়া, জিয়াদ হোসেন, তাহমিনা আক্তার, বীথিসহ হোমসে আশ্রয় হওয়া সকলেরই আছে প্রায় একই রকম শোকগাথা ইতিহাস। তবে, এতিম-অসহায় এই শিশুদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করেই চলেছেন অরকা হোমস।

পরে এদিন ক্যাম্পাসটি ঘুরে দেখা যায়, প্রকৃতির ছাঁয়াঘেরা অরকা হোমসের পুরো ক্যাম্পাস। এক ক্যাম্পাসের ভিতরেই সকল ভবন। চারতলা ভবনটিতে থাকে ছেলেরা। আর মেয়েরা থাকে তিনতলার দুটি ভবনের একটিতে। এখানে থাকা শিশু-কিশোরের সবাই পড়াশোনা করছে পাশের মুসলিম একাডেমিতে। এখানে আছে খেলার মাঠ, লাইব্রেরি ও বিনোদনের ব্যবস্থা। এছাড়া তাদের দেখভালের জন্য রয়েছেন একজন তত্ত্বাবধায়ক, একজন ম্যানেজার, সহকারী ম্যানেজার, নারী কেয়ারটেকারসহ আটজন । তাদের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকজন গৃহশিক্ষকও। রয়েছেন শরীরচর্চার শিক্ষক। ধর্ম শিক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে। নামাজের জন্য ক্যাম্পাসের ভিতরের রয়েছে সুন্দর পাকা মসজিদ।

গাইবান্ধা অরকা হোমসের তত্বাবধায়ক মো. জাহিদুল হক বার্তা২৪.কমকে জানান, ২০১৪ সালে মাত্র ৮টি বাচ্চা নিয়ে গাইবান্ধায় অরকা হোমসের যাত্রা শুরু হয়। এখন এখানে বাচ্চা রয়েছে ৫২টি। তার মধ্যে ২১ টি বাচ্চা রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির বাবা-মা হারানো; বাকিরা এতিম-অসহায়। তাদের পড়াশোনা থেকে সবকিছুই আমরা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, এই ২১ জন ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে এখানকার ৩১ জন শিশু-কিশোরের কেউ মাধ্যমিক পেরিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়তে, কেউ কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত হতে আবার কারও কর্মসংস্থান হওয়ায় অরকা হোমস ছেড়ে চলেও গেছেন।

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশ-বিদেশে থাকা অরকার সদস্যদের আর্থিক সহায়তায়ই মূলত হোমসের ব্যয় মেটানো হয়। এছাড়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন 'বিজিএমইএ' প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক অনুদান দিয়ে আসছেন।

;

প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড যাচ্ছেন আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় দিনের সরকারি সফরে আজ বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন। সফরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেওয়া ছাড়াও জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম সফর এটি। দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ সফর উভয় দেশের জন্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় থাইল্যান্ডের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হচ্ছেন।

ব্যাংককে বাংলাদেশ সরকারপ্রধানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন। শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হবে। এরপর থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। একই দিন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ৫টি দলিল সই হবে। এ বিষয়ে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্টসহ (সম্মতিপত্র) বেশ কয়েকটি সহযোগিতা চুক্তি সই হবে এই সফরে।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড়, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এ ছাড়া সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সম্পর্কিত পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

;

ছেঁড়া ১০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব: ছুরিকাঘাতে ছেলের মৃত্যু, বাবা সংটাপন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ছেঁড়া ১০ টাকার নোট না নেয়ার দ্বন্দ্বে ইকবাল হোসেন (২২) নামে এক মুদি দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা সাদেক মুন্সির (৬২) অবস্থা সংটাপন্ন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ছেলে ইকবাল হোসেন ও বাবা সাদেক মুন্সি একই ইউনিয়নের দিগারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলা বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে ছেলে ইকবালকে নিয়ে মুদি দোকান করেন সাদেক মুন্সি। ঘটনার দিন রাতে সিগারেট কিনতে আসেন একই গ্রামের ফারুক মিয়া। টাকা দেওয়ার সময় একটি দশ টাকার নোট ছেঁড়া থাকায় তা বদল করে দিতে বলেন ইকবাল। কিন্তু তাতে রেগে যায় ফারুক। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ফারুক তার ছোট ভাই পারভেজ মিয়াকে ডেকে আনেন। পরে সেখানে তারা কিছুক্ষণ বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে পারভেজ সঙ্গে নেওয়া ছুরি দিয়ে দোকানের ভেতরেই এলোপাথারি আঘাত শুরু করে ইকবালকে। ওই সময় বাবা সাদেক মুন্সিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইকবাল। গুরুত্বর আহত অবস্থায় সাদেক মুন্সিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১ টার দিকে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

তারাকান্দা থানার ইনচার্জ ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, দোকানে সিগারেট কিনতে গিয়ে ছেঁড়া টাকা দেওয়া নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরে হত্যার ঘটনা ঘটে। সাদেক মুন্সির অবস্থাও গুরুতর। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে ফারুক ও পারভেজকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

;

সাভারের যেসব এলাকায় আজ গ্যাস থাকবে না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পাইপলাইনের জরুরি মেরামতকাজের জন্য বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১২ ঘণ্টা সাভারের বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা সাভারের টংগাবাড়ী, আশুলিয়া, খেজুরবাগান, গৌরীপুর, খাগান, কুমকুমারি ও আক্রান এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

;