দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল-মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধে র‍্যাবের অভিযান, ছবি: বার্তা২৪

ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধে র‍্যাবের অভিযান, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সব মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ আগামী এক মাসের মধ্যে ধ্বংস করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বাজারে অভিযানে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দিনভর অভিযানে প্রায় সবগুলো ফার্মেসিতেই পাওয়া গেছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। পাশাপাশি পাওয়া গেছে ভেজাল ওষুধও।

সম্প্রতি র‍্যাব সদরদফতরের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত, রাজধানীর গ্রীন রোডের ১৬টি ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করে ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করেন। অভিযান পরিচালনা করা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘প্রত্যেকটি ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে। তাছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের সঙ্গে ভেজাল ওষুধও দেখা গেছে দোকান গুলোতে।’

সরেজমিনে র‍্যাবের অভিযানে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ রোগের ওষুধ গুলোতেই মেয়াদ নেই। তবুও দেদারসে সেই ওষুধগুলোই বিক্রি করছে দোকানগুলো। কোনো কোনো দোকানদার আরও এক ধাপ এগিয়ে, তারা ওই লেখা মুছে নিজের হাতে লেখা মেয়াদ বসিয়ে দিয়েছেন। এমন অনেক কিছুই উঠে এসেছে অভিযানগুলোতে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/21/1561134059847.jpg
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ছবি: বার্তা২৪

 

র‍্যাবের অভিযান থেকে জানা গেছে, এসব ওষুধ ক্যান্সার, হার্ট, কিডনি ও অপারেশনেও ব্যবহৃত হচ্ছে। র‍্যাব, পুলিশ ও ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের অভিযান সূত্রে জানা যায়, সব মিলিয়ে প্রায় ১৬১ ধরণের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের সন্ধান পেয়েছে মোবাইল কোর্টগুলো।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। এসব ওষুধ জীবন রক্ষার পরিবর্তে জীবন কেড়েও নিতে পারে।’

এদিকে, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির বিষয়ে রাজধানীর গ্রীন রোডের বেস্ট ওয়ান ফার্মার ওষুধ বিক্রেতা মতিউর রহমান বার্তা২৪.কম বলেন, ‘আমাদের অনেক ওষুধ একসঙ্গে কিনতে হয়। নিয়ম আছে কোম্পানিগুলো নিদিষ্ট সময় পরপর ওষুধ ফেরত নিয়ে যাবে। কিন্তু সেটা তাদের করার কথা থাকলেও তারা সেটা করে না। যার ফলে আমরা ওষুধগুলো ফার্মেসিতেই রাখি। আমাদের কিছু করার থাকে না।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/21/1561134103730.jpg

ভেজাল ওষুধ সম্পর্কে সেফ ফার্মার মালিক খালেক মোরশেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অনেক সময় তুলনামূলক কম দামে ওষুধ পাওয়া যায়। সেগুলো আমরা ভেজাল ওষুধ হিসেবে কিনে থাকি না। কম দাম বলেই কিনে থাকি। তবে সেগুলো ভেজাল ওষুধ। তবে ইচ্ছে করে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির জন্য আমরা বিক্রি করি না।’

অন্যদিকে, সার্বিক বিষয়ে র‍্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিষয়ে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় ওষুধের মেয়াদের তারিখ ছোট করে দেওয়া হয়। যেটা ঠিক না। আর কোম্পানিগুলো নিয়মিত মেয়াদহীন ওষুধ বাজার থেকে সরায় না।’

র‍্যাবের এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, ‘কোম্পানিগুলো যেন মাস শেষে ওষুধগুলো নিয়ে যায়। আর ওষুধের মেয়াদের তারিখ যেন বড় বড় করে লেখা হয়। তাহলে অনেকটা কাজে দিবে। আর ভেজাল ওষুধ বিক্রি হয়, শুধু দোকানদারদের অধিক মুনাফার আশায়।’

তবে আশার আলো এটা যে, ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’

   

অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পারা কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারা কিশোর সুমন (১৬) মারা গেছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার কাশিবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সুমনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা।

সুমন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার কাশিবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৩ মাস পূর্বে কাজের সন্ধানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গিয়েছিলেন সুমনসহ সীমান্তবর্তী ওই এলাকার ২৫-৩০ জন কিশোর। সেখানে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে চিওড়া সরকারি কলেজের ভবন নির্মাণে লেবার হিসেবে কাজ করছিলেন তারা।

রোজার ঈদের জন্য ছুটিতে সবাই বাড়ি চলে এলো আসেননি কিশোর সুমন ও জিলানী। ঈদের পরদিন ওই এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হন সুমন। পরে তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কৌশলে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী খোকন মিয়া।

রংপুরে ৫ দিন চিকিৎসার পর সুমনের স্বজনদের উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় বিশেষায়িত একটি ক্লিনিকে রেফার্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে স্বজনরা টাকার অভাবে সেখানে চিকিৎসা না করে শুক্রবার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন সুমনকে। নিয়ে আসার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে শনিবার সকাল ১১টায় মারা যায় সুমন।

সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য আইসিউতে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছিলে চিকিৎসক। সুমনের মাথা, ঘাড়ে ও দুই হাতে প্রচুর আঘাত রয়েছে। আইসিউতে প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে, এত টাকা কোথা থেকে পাবো। এজন্য গতকাল ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে এসে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছিলাম।

সুমনের বাবা আরও জানান, ঠিাকাদার খোকন তাকে চিকিৎসা বাবদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এরপরে আর খোঁজ নেননি তিনি। আজ সকালে মৃত্যুর খবর জানালে দাফনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

পরিবারের কাছ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মোবাইল নম্বর নিয়ে খোকনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেননি।

আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকালু (ডংগা) বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। ছেলেটির চিকিৎসা করানো সামর্থ নেই তার বাবার। তাই বাধ্য হয়ে তিনি ছেলের চিকিৎসা না করে বাড়ি নিয়ে আসেন। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সন্ধ্যায় সুমনের দাফন হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ কবির বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা আমাদের কেউ অবগত করেনি। তবে পরিবারের কেউ অভিযোগ করলে পুলিশ আইনি সহায়তা প্রদান করবে।

;

পশু বিক্রির জন্য ৯টি অস্থায়ী হাট বসাবে ডিএনসিসি



জাহিদ রাকিব, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) অস্থায়ীভাবে ৯টি হাট বসানোর পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্য হাটগুলোর তালিকা চূড়ান্ত করে ইজারার আহবান করেছেন সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত কোন হাটের জন্য কারা দরপত্র জমা দিয়েছে সেই বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায়নি।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, সংস্থাটির গাবতলী স্থায়ী হাটের পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে ভাটারা খালের পাশে খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা ১৬ ও ১৭ সেক্টরের বউ বাজার এলাকা, আফতাবনগর খালি জায়গা, মিরপুর ইষ্টার্ণ হাউজিং, মোহাম্মদপুর বসিলা খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৪ নং ওয়ার্ডের খালি জায়গা ও খিলক্ষেত এলাকার পশ্চিম পাড়া খালি জায়গা।

সূত্র জানায়, পূর্বের মত এবারও কোরবানির পশুর হাট পাঁচ দিনের জন্য বসানো হচ্ছে। হাটগুলোতে ক্রেতারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কোরবানির পশু কিনতে পারেন তার জন্য বিশেষব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ক্রেতারা হাট থেকে পশু কেনার পর মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েচে। পাশাপাশি প্রতিটি হাটে অস্থায়ীভাবে ব্যাংকের এটিএম বুথ বসানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি হাটেই ক্রেতা বিক্রেতাদের বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, দরপত্র অনুযায়ী ভাটারা খালের পাশে খালি জায়গা তিন কোটি ৭০ লাখ টাকা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা এক কোটি ৩৭ লাখ পাঁচ হাজার টাকা, উত্তরা ১৬ ও ১৭ সেক্টরের বউ বাজার এলাকা ছয় কোটি টাকা, আফতাবনগর খালি জায়গা এক কোটি ৭৪ লাখ দু' হাজার ৭২৭ টাকা, মিরপুর ইষ্টার্ণ হাউজিং এক কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৪৬০ টাকা, মোহাম্মদপুর বসিলার খালি জায়গা দু' কোটি ২০ লাখ টাকা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ৪৪ নং ওয়ার্ডের খালি জায়গা ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও খিলেখত এলাকার পশ্চিম পাড়া খালি জায়গা ৩০ লাখ ২১ হাজার টাকায় পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করা হয়।

ডিএনসিসির এই সম্পত্তি কর্মকর্তা জানান, ঈদুল আজহার পশুর হাট শুরুর আগে নানা ধরনের প্রস্তুতি থাকে। সকল প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই হাটের তালিকা চূড়ান্ত করে ইজারার আহবান জানানো হয়েছে। একই সাথে পশুর হাটে বর্জ্য অপসারণের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

;

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে আইন আরো সহজ হতে হবে: স্পিকার



ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে রাষ্ট্রের আইন ও নীতিমালা আরো সহজ হতে হবে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অপরাজিতা নেটওয়ার্ক আয়োজিত জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্পিকার বলেন, ‘অপরাজিতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, নারীর অধিকার বাস্তবায়নের পথ আরো সহজ হবে। এমন এক সময় আসবে যখন নারীরা সংরক্ষিত আসনে নয় সরাসরি আসনে নির্বাচন করবে।’

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সিদ্ধান্তের কারনে নারীরা আজ এগিয়ে যাচ্ছে এবং সেটা রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় দৃশ্যমান। তবে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে রাষ্ট্রের আইন ও নীতিমালা আরো সহজ হতে হবে।’

বিশেষ অতিথি আসাদুজ্জামান এমপি বলেন, ‘সমালোচনা থাকতে পারে, তারপরও বলবো নারীর অধিকার ও উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশী কাজ হয়েছে এই সরকারের আমলে। নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে, এই অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা আমাদের সকলকে ধরে রাখতে হবে।’

আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, এমপি বলেন, আমরা নারীরা অনেক কঠিন পথ পারি দিয়ে আজকের আসনে আছি। আশা করি অপরাজিতা বোনেরা আজকের সম্মেলন থেকে শিক্ষা নিয়ে আরো কঠিন পথকে সহজতর করবে। আরমা দত্ত এমপি বলেন, নারীদের রাজনৈতিক অঙ্গনে অংশগ্রহণ থাকবে, নির্বাচেন অংশগ্রহণ তত সহজ হবে।

নাছিমা জামান ববি, এমপি বলেন, নারীরা সব সময় নির্বাচন ও রাজনীতিতে বাধাগ্রস্ত হয়, বিশষ করে নির্বাচনে আরো বেশী বাধাগ্রস্ত হয়। অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে নারীদেরকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হতে হয়। বাংলাদেশে নিযুুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি বলেন, অপরাজিতা সম্মেলনে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণ বলে দেয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, এমপি, জাতীয় পাটির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, এমপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারন সম্পাদক শিরীন আখতার। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের উপর মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বরিশাল বিভাগের অপরাজিতা ফাহমিদা মুন্নী। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম ও উইমেন ফর উইমেনের সভাপতি জাকিয়া কে হাসান প্যানেল আলোচক ছিলেন।

সমাপনী অধিবেশনের প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দিপু মনি, এমপি বলেন, সারা বিশ্বের কোথাও নারীর পথ চলা সহজ নয়। তথাকথিত উন্নত দেশগুলো নারীরা একই সমস্যায় আছে। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতার প্রয়োজন, ফলে নারীর স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে এবং নারীরা প্রকৃত ক্ষমতায়ন হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণস্বারক্ষতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ঢাকায় সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি ও হেড অব কো-অপরাশেন ‘করিন হেনচোজ পিগনানি’ ও হেলভেটাস বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কান্ট্রি ডিরেক্টর বেন ব্লুমেন্থাল।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্মেলনটির কার্যক্রম শুরু হয়। খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক দল নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বিষয়ের উপর পট গান ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগের অপরাজিতা জেসমিন আখতার রিভা। প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত ত্রিপুরা প্রকল্পের অগ্রগতি, সাফল্য এবং সম্মেলনের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।

সম্মেলনটির বিভিন্ন অধিবেশনের সঞ্চালনায় ছিলেন খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট রোখসানা খন্দকার, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক ও অপরাজিতা প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ফৌওজয়া খোন্দকার ও রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন। অপরাজিতাদের পক্ষ থেকে রাজশাহী বিভাগের রহিমা বেগম উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সম্মেলনে তৃণমূল পর্যায়ের ৩০০ জনের অধিক নারীনেত্রী, ৩০ জন নারীবান্ধব চেয়ারম্যান/মেম্বারসহ বাস্তবায়ন সংস্থাসমূহের নির্বাহী পরিচালকগণ, সুইজারল্যাল্ড দূতাবাসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাবিনা ইয়াসমিন লুবনা, হেলভিটাস বাংলাদেশের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ, অপরাজিতা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চার সংস্থা প্রিপ ট্রাস্ট, খান ফাউন্ডেশন, রূপান্তর ও ডেমক্রেসিওয়াচের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অপরাজিতাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা, পুরুষ ও পরিবারের সদস্য দ্বারা অপরাজিতাদের নির্বাচন ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহ প্রদানের জন ৭২ জন নারী ও পুরুষকে সন্মাননা প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডের (এসডিসি-এর) সহযোগিতায়, “হেলভেটাস-সুইস ইন্টারকোঅপারেশন” নামক একটি সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক সংস্থার ব্যবস্থাপনায়, রূপান্তর, প্রিপ ট্রাস্ট, খান ফাউন্ডেশন ও ডেমক্রেসিওয়াচ- অপরাজিতা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে আসছে অক্টোবর ২০১৮ সাল থেকে। সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলাধীন ৬২টি উপজেলার ৫৪০টি ইউনিয়নে অপরাজিতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পে মোট নয় হাজারের অধিক নারীনেত্রীদের নিয়ে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের কর্মকান্ড এবং তারা নিজেদের পরিচয় দিয়ে থাকেন 'অপরাজিতা'।

;

প্রেমিকাকে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
প্রেমিকাকে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

প্রেমিকাকে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে রয়েছে নয়টি লোহার দানবাক্স। প্রতি তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এতে মিললো রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার। এছাড়া রয়েছে মনোবাসনা পূর্ণ করতে বিভিন্ন চিরকুট।

এমন একটি চিরকুট পাওয়া যায় গেল পাগলা মসজিদের দানবাক্সে। যেখানে একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চিরকুট লিখেন।

চিরকুটে লেখা ছিল, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে না। আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে আল্লাহ্ তাকে যেন আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করেন। মেয়েটার নাম মোছা. পারভীন আক্তার ও আমার নাম সাইফুল ইসলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে কবুল করেন।

এমন আরেকটি চিরকুটে লেখা, আল্লাহ আমি যেন একটা মানসম্মত নাম্বার পাই। একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিন্তা দূর হয়ে যায়। আল্লাহ আমার মা-বাবারে ভালো রাখেন। আমি যেন রফিকুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হতে পারি।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর আজ শনিবার সকালে পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ পরে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

;