অপপ্রচার বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন বিভাগীয় কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে মতবিনিময় সভা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে মতবিনিময় সভা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, গুজব বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান। এক্ষেত্রে তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়েরও সহায়তা কামনা করেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবেক্ষণ (সুপারভিশন) ও পরিবীক্ষণ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয়ের উদ্যাগে সভায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কমিটির সদস্যরা। এতে তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুল মান্নান বলেন, ‘নির্বিঘ্নে মানুষের কাছে তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ করেছে। কিন্তু প্রতিদিন অফিস শেষে রাতে দেখি স্পিকার, সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির নামে বেনামে গুজব আর অসত্য তথ্য প্রচার করছে। দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমের মতো এদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।’

‘ভালো সংবাদের প্রতি মানুষের আগ্রহ নেই। ভালো বিষয়গুলোও সংবাদ হচ্ছে না। তাদের সম্পূর্ণ আগ্রহ ৯০ শতাংশ নেগেটিভের প্রতি। অনেকে বলছেন এটি দেশের বাইরে লন্ডন থেকে হচ্ছে। এক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রণালয় ও দেশের টেলিভিশন সাংবাদিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘দেশের নাগরিক হিসেবে আপনার স্বাধীনতা আছে, তাই বলে আপনি অন্যের চিন্তা, মতাদর্শকে আঘাত করতে পারেন না। কারও ক্ষতি কিংবা বিদ্বেষ ছড়াতে পারেন না। আমি এমন অবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর মনোযোগ আর্কষণ করব।’

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশরনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামী, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার প্রশাসক, দুইজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।

   

সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সড়ক দুর্ঘটনা

সড়ক দুর্ঘটনা

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে পাথর বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় কোম্পানীগঞ্জের গৌরিনগর খাগাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচজন যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশা কোম্পানীগঞ্জের গৌরিনগর এলাকায় পৌঁছালে
পাথর বোঝাই সিলেটগামী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।

রাত ১১টা পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কারো নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

;

ময়মনসিংহে পিকআপ চাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় আতিক রহমান (৬০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আবুল মুনসুর নামে এক শিক্ষক আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহ -ফুলবাড়িয়া সড়কের উপজেলার দশমাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আতিক রহমান উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের বৈদ্যবাড়ী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।

ফুলবাড়িয়া থানার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়মনসিংহ থেকে মোটরসাইকেল করে দুইজন ফুলবাড়িয়া ফিরছিলেন।
এসময় ময়মনসিংহ-ফুলবাড়িয়া সড়কের দশমাইল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ময়মনসিংহগামী মাছের পোনাবাহী একটি দ্রুতগতির পিকআপ ভ্যান মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী আতিক রহমান মারা যান। মোটরসাইকেল চালক আবুল মুনসুর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

ওসি রাশেদুজ্জামান আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক পিকআপ জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

কেসিএমসিএইচ'র সঙ্গে বেক্সিমকো এলপিজির অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্মীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি করেছে বেক্সিমকো এলপিজি।

এই চুক্তির অধীনে, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বেক্সিমকো এলপিজির সব কর্মীর জন্য বিশেষ ছাড়ে তাদের অন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে। এছাড়া অফিসের পরিচয় পত্র দেখিয়ে কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরাও বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসা সেবার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির পরিচালক ডা. মোস্তফা কামাল ও ডা. এম এ আলী। আর বেক্সিমকো এলপিজির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বেক্সিমকো এলপিজির মংলা প্ল্যান্টের প্ল্যান্ট ম্যনেজার আবু তাহের মোহাম্মদ ফারুক, সিসিও এম মুনতাসির আলম এবং অ্যাডমিন জিএম আসাদ-উজ-জামান।

;

ভাইয়ের কাঁধে চড়ে বলীখেলা দেখল ছোট্ট দুর্জয়!



সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চতুর্দিকে হাজার হাজার মানুষ। চলছে ঢোলের মাতম। মাঝখানে উঁচু মঞ্চের দিকে সবার চোখ। বিপরীতে দর্শক সারিতে দেখা মিললো ভিন্ন কিছুর! ছোট্ট এক শিশুকে নিজের কাঁধে চড়িয়ে বলীখেলা দেখাচ্ছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব নারায়ন। মূলত ছোট্ট মামাতো ভাই দুর্জয়ের ইচ্ছে পূরণ করতে তাকে কাঁধে করে বলীখেলা দেখাতে নিয়ে আসেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জব্বরের বলীখেলার ১১৫তম আসরে।

দুর্জয়ের বয়স ৭ বছর। এবার প্রথম নয়, আগেও সে বেশ কয়েকবার এই নারায়নের কাঁধে চড়েই বলীখেলা দেখতে আসে। দুর্জয় বার্তা২৪.কমকে বলে, ‘আমি বলীখেলা দেখতে এসেছি। ভাইয়ার কাঁধে চড়ে দেখেছি। গতবারও ভাইয়া আমাকে নিয়ে এসেছেন। খুব ভাল লাগছে।’

নগরীর হাজারী গলি থেকে দুর্জয় দত্তকে নিয়ে এসেছেন ফুতাতো ভাই নারায়ণ। তিনি বলেন, ‘ও ছোট হওয়ায় একলা দেখতে আসতে পারে না। তাই, আমি ছোট ভাইকে আনন্দ দিতে এবং তার ইচ্ছে পূরণ করতে এবারও নিজের কাঁধে চড়িয়ে বলীখেলা দেখাতে নিয়ে এসেছি। আমি প্রতিবছর দুর্জয়কে নিয়ে আসি। অন্যান্য বার মঞ্চ এলাকায় ঢুকতে কষ্ট হত। পুলিশকে বলে এবার কোনো রকম অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করেছি। পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তবে, এবার মঞ্চ আরেকটু উঁচু হলে দূর থেকে দেখতে সুবিধা হত।’

এবারের বলীখেলার ফাইনালে ১১ মিনিট শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর স্বেচ্ছায় হার মানেন রাশেদ। বিজয়ী ঘোষণা করা হয় বাঘা শরীফকে। তাঁদের দুজনই কুমিল্লার। আর সীতাকুণ্ডের রাসেলকে হারেয়ে এবারও তৃতীয় হন খাগড়াছড়ির সৃজন বলী।

এদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরীর লালদীঘি বলীখেলা প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নবীন-প্রবীন মিলে প্রায় ৮৪ জন বলী অংশ নেন। এর আগে বেলুন উড়িয়ে বলীখেলার ১১৫ তম আসর উদ্বোধন করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। উদ্বোধক চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি বলীখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

মূলত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের যুবকদের সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশীর হাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। এরপর, ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি ১২ বৈশাখ চট্টগ্রাম শহরের লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জব্বারের বলীখেলা। যদিও করোনা মহামারীর কারণে ২০২০-২০২১ সালে বলীখেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। পরের বছর ২০২২ সাল থেকে আবার নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে জব্বারের বলীখেলা। এ বছর জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসর বসেছে।

;