শালবন বিহারে বেহাল সড়ক, শিক্ষার্থী-পর্যটকদের ভোগান্তি



জাহিদ পাটোয়ারী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
রাস্তার কাদা পানি সেচ দিচ্ছেন একজন, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাস্তার কাদা পানি সেচ দিচ্ছেন একজন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা কোটবাড়ী শালবন বিহারের সড়কের বেহাল দশা। এতে এখানকার মানুষদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বেহাল দশা দেখা গেছে। অনেক স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় বহু গর্ত। দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দ আর পানি জমে জলাবদ্ধতার কারণে কাদা-মাটিতে একাকার হয়ে গেছে সড়কটি।

এতে করে এ সড়কে যাতায়াতকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থী, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকসহ এ সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী স্থানীয় বাসিন্দারাসহ হাজার হাজার মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেহাল দশার সড়কটিতে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মোড় থেকে শালবন বিহার পর্যন্ত নিম্নমানের ইট এবং বালু দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। যার ফলে হালকা বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে কাদা-মাটি একাকার হয়ে যায়। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ, শালবন বিহার, ময়নামতি জাদুঘর, টিচার্স ট্রেনিং কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক এবং পর্যটকের যাতায়াত।

খালেদ মোর্শেদ নামে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বার্তা২৪.কম-কে জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির বেহাল দশা চলছে। শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসগুলো প্রায় মাঝপথে ছোট-বড় গর্তের কারণে আটকা পড়ে। এতে করে আমারে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্থানীয় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন কর্মসূচিসহ বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষ সড়টি সংস্কারে কোনভাবেই নজর দিচ্ছে না।

এ সড়কে চলাচলকারী আবু মুছা নামে সিএনজি চালিত আটোরিকশা চালক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'সড়কটিতে চলতে গেলে প্রতিনিয়তই গাড়ি জাম্পিং করে এবং সড়কের উপর উল্টিয়ে পড়ে। চাকা ভেঙে যায়। এতে করে যাত্রীরা দুর্ঘটনায় শিকার হয়।'

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা বিভাগের সহকারী পরিচালক ড. আহমেদ আবদুল্লাহ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'এখানে শিক্ষার্থী, পর্যটক এবং দর্শনার্থীরা রীতিমত ভোগান্তির মধ্য দিয়ে চলতে হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে বারবার বিভিন্ন দফতরে তুলে ধরেছি। তবে এখনো সংস্কার করা হয়নি।'

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীরকে এই বিষয়ে জানানো হলে তিনি আমাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, 'অচিরেই সড়কটি সংস্কার করা হবে।'

এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে শালবন পর্যন্ত সড়টি টেন্ডার হয়ে গেছে।' জুন মাসের শেষের দিকে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।

   

জামালপুরে ইজিবাইকের চাপায় প্রাণ গেলো শিশু আয়াতের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ইজিবাইকের চাপায় মো. আয়াত (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মালঞ্চ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আয়াত উপজেলার মালঞ্চ দক্ষিণপাড়া গ্রামের আমির হামজার ছেলে।

মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহাম্মদ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে চাচার বিয়ের পাত্রী দেখার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় মালঞ্চ বাজার মোড়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।

এ সময় ব্যাটারী চালিত একটি ইজিবাইক মোড় ঘোরানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিশু আয়াতের উপরে উল্টে যায়। এতে শিশু আয়াত মাথায় প্রচণ্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়।

স্থানীয়রা আহত শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশু আয়াতের মৃত্যু হয়।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মদ জানান, দুর্ঘটনায় একজন শিশু নিহত হয়েছে, তবে এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

নববর্ষ বরণে রাঙামাটিতে চলছে সাংগ্রাই জলোৎসব



আলমগীর মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘পার্বত্য অঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সংস্কৃতি বিকাশে এগিয়ে আসার আহ্বানে উচ্ছ্বাস আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যদিয়ে রাঙামাটিতে সর্ববৃহৎ সার্বজনীন সাংগ্রাই জলোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মারমা যুবক যুবতীরা একে অপরের প্রতি জল ছিঁটিয়ে পুরোনো বছরের দুঃখ, গ্লানি, বেদনাকে ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। এ যেন এক প্রাণের উৎসবে মিলিত হয়েছেন তারা। 

মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) এর আয়োজনে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাঙামাটিস্থ চিংহ্লা মং মারী স্টেডিয়াম মাঠে ঐতিহ্যবাহী এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এর আগে উক্ত অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙামাটির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদসহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ ও রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নববর্ষকে বরণ এবং পুরানো বর্ষকে বিদায় উপলক্ষে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাঁই জল উৎসবের অন্যতম জনপ্রিয় গানটি গেয়ে যখন মারমা শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করার সাথে সাথেই হাজার হাজার লোকের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠে চিংহ্লা মং মারী স্টেডিয়াম মাঠ।

;

সেই অঙ্কিতা পেলো নতুন বই-জামা-টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসার ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে বসে কেঁদেই চলেছিল অঙ্কিতা দাশ। হাতে আধ পোড়া বই-কোনোটি অর্থনীতি, কোনোটি আবার ব্যবস্থাপনা। আর কদিন পরেই তার এইচএসসি পরীক্ষা শুরু। তার আগে আগুনে সব বই হারিয়ে চোখে যেন শর্ষে ফুল দেখছিল ১৭ বছরের মেয়েটি। তাই তো তার চোখে এত কান্না, এত জল।

অঙ্কিতার সেই কান্নার ছবি আর দুঃখের গল্প তুলে ধরেছিল বার্তা২৪.কম। সেই প্রতিবেদন ছড়িয়ে পড়ার পর অঙ্কিতার পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। কেউ দিয়েছেন নতুন বই, কেউবা নতুন জামা। আবার কেউ দিয়েছেন পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য টাকাও।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের টেক পাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এ সময় তিনি অঙ্কিতার হাতে পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। এর আগে তাকে এইচএসসির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সবগুলো বই কিনে দিয়েছেন কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিন্দ্য দেব। আগুনের খবরে এক কাপড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিল অঙ্কিতা। সেজন্য তাকে কেউ কেউ কিনে দিয়েছেন নতুন জামাও।

নতুন বই ও ফরম পূরণের টাকা পেয়ে খুশিতে কেঁদে দেয় অঙ্কিতা দাশ। তিনি বলেন, ‘এত অল্প সময়ে আমার বই ও ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় হয়ে যাবে কল্পনাতেও ভাবিনি। আগুন লাগার পর আমার পরিবার নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পর আমার পরিবারের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ সহযোগিতা ও আন্তরিকতা কখনোই ভুলবার নয়। আমি এবং আমার পরিবার সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

;

সড়কে কমছেই না মৃত্যুর মিছিল: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়কে কমছেই না মৃত্যুর মিছিল। গত সাত দিনে (৮ থেকে ১৪ এপ্রিল) ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১২২ জন নিহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৯৫ জন। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ফরিদপুরের কানাইপুরে ও ময়মনসিংহে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ মোট ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি। শোকবার্তায় তিনি সড়ক দুর্ঘটনার ক্রমাগত বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এই কথা বলেন।

এসময়ন তিনি নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও আহতদের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি নিহতদের পরিবারে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শোকবার্তায় তিনি আরও বলেছেন, প্রতিদিনই সড়কে প্রাণ যাচ্ছে, কোন প্রতিকার নেই। সড়কে প্রতিদিনের অপমৃত্যু যেনো স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনার সংবাদ মেনে নেয়া যায় না। তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়ক ব্যবস্থাপণায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। 

 

;