ভোটে ফের ব্যবহার হচ্ছে 'বিগড়ে' যাওয়া সেই ট্যাব



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসির ব্যবহার করা সেই ট্যাব, ছবি: বার্তা২৪

ইসির ব্যবহার করা সেই ট্যাব, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন ব্যবস্থাপনা দ্রুততার সঙ্গে করার জন্য কেনা ৪২ হাজার ট্যাবের সুফল পায়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ফলাফল সরবরাহে এই ট্যাব 'বিগড়ে' যায়। ভুল তথ্যের কারণে সেই ট্যাবের মাধ্যমে পাঠানো তথ্য বাতিল করে পুরনো পদ্ধতিতে ফল সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষামূলকভাবে সর্বশেষ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনের সবগুলো কেন্দ্রে এই ট্যাব ব্যহার করা হয়।

ইসি বলছে, সেই নির্বাচনে সফলতার কারণেই পঞ্চম ধাপের ভোটের পাঁচটি উপজেলার ভোটে ট্যাব ব্যবহার হচ্ছে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৭ জুন) গাজীপুর সদর, নারায়ণগঞ্চ বন্দর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নোয়াখালী সদর, রাজশাহীর পবায় ট্যাব ব্যবহার করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভোট কেন্দ্রের সার্বিক প্রতিবেদন এবং ফলাফল পাঠানো হবে। প্রিজাইডিং অফিসারদের মাঝে বিতরণ করা ট্যাবে থাকবে সেন্টার রেজাল্ট ডিসক্রিমিনেশন অ্যান্ড রিপুটিং (সিআরডিআর) অ্যাপ্লিকেশন থাকবে।

প্রত্যেক প্রিজাইডিং অফিসারকে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে, যা দিয়ে অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করা যাবে। এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং অফিসার দুই ঘণ্টা পর পর ভোটকেন্দ্রের প্রতিবেদন পাঠাবেন।

পরবর্তীতে ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনার পর প্রাপ্ত ফলাফল ও বিবরণী ফরমে লিপিবদ্ধ করবেন। একই সাথে তিনি ট্যাবের অ্যাপ্লিকেশনে প্রাপ্ত ফল এন্ট্রি করবেন এবং প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরকৃত ফাল বিবরনী ছবি তুলে ফলাফলের সাথে সংযুক্ত করে পাঠাবেন। কারিগরি সহায়তার জন্য ভোটকেন্দ্রে কম্পিউটার সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষ থেকে এক জন করে প্রতিনিধি থাকবেন।

নির্বাচন কমিশনকে ওই ৪২ হাজার ট্যাব সরবরাহ করছে কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেড। দ্রুত ফল পাঠানোর জন্য এ ট্যাবগুলো কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। দরপত্র অনুযায়ী, ট্যাবগুলোর গ্যারান্টি তিন বছর। কিন্তু সরবরাহের সাতদিনের মাথায় ব্যবহার করতে গেলে ট্যাবগুলোয় সমস্যা ধরা পড়ে। গত ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে রংপুর সদর, গোপালগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ সদর ও মেহেরপুর সদর উপজেলার ভোটে ট্যাব ব্যবহার করা হয়। সেখানে ইলেকট্রনিংক ভোটিং মেশিনেও ভোট নেওয়া হয়।

স্বাভাবিকভাবেই ভোটের ফল দ্রুত পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই ট্যাবের মাধ্যমে ফলাফল পাঠাতে গিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। পরে শেষ পর্যন্ত ট্যাবের মাধ্যমে পাঠানো তথ্য বাতিল করে পুরনো পদ্ধতিতে ফল সংগ্রহ করা হয়। যে কারণে এই দু’টি উপজেলার ফল ঘোষণা করতে বিলম্ব হয়। এই ঘটনার পর ইসি ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ট্যাবের ব্যবহার বাতিল করে।

তবে ট্যাবের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তারা বলছেন, আগের সফটওয়্যারে কিছুটা সমস্যা ছিল। ট্যাবটি দুই অঙ্কের হিসাব সঠিকভাবে সরবরাহ করে, তিন অঙ্কের হলেই হিসাব ভুলভাবে আসত। এখন সফটওয়্যার আপডেট করা হয়েছে। ফলে আগামীতে এ ধরনের সমস্যা হবে না। তবে সফটওয়্যারে কী আপডেট করা হয়েছে, তা জানাতে পারেননি তারা।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাবেক ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বার্তা২৪.কমকে জানান, মূলত নির্বাচন ব্যবস্থাকে গতিশীল করার জন্যই আমরা ট্যাবগুলো কিনেছিলাম। শুরুতে এটি ব্যবহারের কিছুটা সফটওয়্যারজনিত সমস্যা দেখা দেয়। আমরা সে সময় এটি ব্যবহার বন্ধ রাখি। পাশাপাশি অনেক জায়গায় ইন্টারনেটের গতি ২জি থাকায় সেখানেও আমরা ট্যাব ব্যবহার করতে পারিনি। তবে এখন সফটওয়্যার আপডেট করা হয়েছে। সুতরাং ভোটে ট্যাব ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।

ম্যাক্সিমাস টি২ ব্র্যান্ডের ট্যাবগুলোতে পাঁচ ধরনের সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো হলো- ক্রেডিনশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার, পোলিং পারসোনাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, ইলেকশন শিডিউল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, রেজাল্ট কাউন্টিং অ্যান্ড ডিকলেরাশন সিস্টেম ও সিস্টেম ডকুমেন্টশন। আর পুরো প্রক্রিয়াটির জন্য কেনা হয়েছে সার্ভারও।

EC Tab

ইসির সিনিয়র মেইন্টেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ট্যাব প্যারালাল সিস্টেম হিসাবে ইভিএমের কেন্দ্রগুলোতে ব্যবহার হবে। সর্বশেষ ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে পাইলট হিসাবে সফল হয়েছে। আমরা মঙ্গলবারের (১৮ জুন) ভোটেও ট্যাব ব্যহার করব। যদি ভালো রেজাল্ট আসে তাহলে ভবিষ্যতে আরও অন্যান্য নির্বাচনে ব্যবহার হবে। আর কনভেনশাল সিস্টেম তো আমাদের আছেই। সুতরাং কোনো সমস্যা হওয়ার কারণ নেই। পাইলট হিসাবে এটি ব্যবহার হবে। ময়মনসিংহের ভোটেও পাইলট হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। সফলভাবে ব্যবহার করা গেলে পরবর্তীতে নির্বাচনেও ট্যাব কাজে লাগানো হবে।

ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রশিদ মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, শুরুর দিকে ট্যাবের সমস্যার কারণে একটি নির্বাচনে এর ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছিল। কারণ একশতম সেন্টারে গিয়ে হিসাবে গরমিল তৈরি হয়। তারা যে সফওয়্যার তৈরি করেছিল, তাতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। যার কারণে আমরা ম্যানুয়্যালি ফলাফল দিয়েছিলাম। তখন মেশিনটি সংখ্যার লোডটি নিতে পারছিল না। তবে এরপর আর সমস্যা হয়নি। সর্বশেষ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সফটওয়্যার এখন আপডেট করা হয়েছে। এখন ট্যাব সুপার সার্ভিস দিচ্ছে।

গত ১৮ মার্চ কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪২ হাজার ২০০টি ট্যাব ও সফটওয়্যার গ্রহণের জন্য সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হককে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট ট্যাব রিসিভিং কমিটি গঠন করে কমিশন। এ বিষয়ে মো. রফিকুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা সফটওয়্যারগুলো আপডেট করেছি। এখন আর তেমন সমস্যা নেই। তবে কী ধরনের আপডেট করা হয়েছে জানতে চাইলে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

উল্লেখ্য, পঞ্চম ধাপে ২০ উপজেলায় ভোট হবে মঙ্গলবার। এরমধ্যে গাজীপুর সদর, নারায়ণগঞ্চ বন্দর, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নোয়াখালী সদর, রাজশাহীর পবায় ট্যাব ব্যবহার করে ফলাফল সংগ্রহ করার কথা রয়েছে।

   

গরমে জানটা শ্যাষ হয়া গেইল!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের সাহেব আলী। এই অইদের (রোদ) ঠ্যালায় জানটা ব্যার হয়া যাবার নাগছে বাহে! গরীম মানুষ বাঁচে কেমন করি। জারের (শীত) সমায় (সময়) কনকনা ঠান্ডা আর গরমের সমায় গরম। হামরা ঘর থাকি ব্যার হওয়া যায় না। জানটা শ্যাষ (শেষ) হয়া গেইল।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রবাহে সৃষ্ট দাবদাহে অতিষ্ট লালমনিরহাটের জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ ক্রমশ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে নারী-শিশুসহ কর্মজীবী মানুষ দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কম, জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাহিরে বের হচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ভ্যানচালক নুরআলম সাথে, তিনি বলেন, বৈশাখের চনচনা অইদোত রোদে মাল নিয়া ভ্যান চালাইতে কষ্ট হয়। গরমের ঠ্যালায় কইলজা ফাটি যায়। ওই জন্যে ঠান্ডাত (গাছের ছায়া) একনা দম নিবার নাগছি।

তিনি আরো বলেন, কোথাও ঠান্ডার আভাস নাই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়বো। পরিবার পরিজনের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়া দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়বে। রিকশাচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত চার-পাঁচ দিন ধরে আয় রোজগার কমে গেছে। বেলা সাড়ে ১০-১১টার পর রাস্তায় আর কোনো যাত্রী থাকে না।

বাসচালক আকবর আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, গরমের কারণে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ (বিটুমিন) উঠে গাড়ির চাকার সাথে লেগে যায়। এতে খুব সতর্ক অবস্থায় গাড়ী চালাতে হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রমজান আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রচন্ড গরমে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দৈনিক শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলার প্রতিটি হাসপাতালে শিশু রোগী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ, যথাসম্ভব বাহিরে বের না হওয়া, সাথে খাবার পানি রাখা, ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটে তাপমাত্রা ৩৮.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

লালমনিরহাট জেলা তথ্য অফিসার শাহজাহান আলী (অতিরিক্ত দায়ত্বি) বার্তা২৪.কমকে জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে জেলার সর্বত্র সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

;

কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালির কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে রাসেল মাঝি (৩৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা মেয়র মৎস্য মার্কেটের মনি ফিস আড়তে মাছটি নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছটি ধরা পড়ে।

মাছ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মত গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ধুলাস্বার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজার থেকে (মায়ের দোয়া) নামের ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যাই। পরে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় আমাদের ট্রলারে তুলতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার জালে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ ধরা পড়েছিলো। তবে আমার জালে ধরা এটিই সবচেয়ে বেশি ওজনের কোরাল। মাছটি খুব ভাল দামে বিক্রি করেছি। এত বড় মাছ পেয়ে আমার ট্রলারে থাকা জেলেসহ আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করি, এত বড় কোরাল আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। মাছটি দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই নিলামে আমিই বেশি দাম হেঁকে এ মাছটি ক্রয় করেছি। মাছটি বিক্রির জন্য আজই ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি আমি ভালো মানের লাভ করতে পারব।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। শিশুদের মানসিক বিকাশে কোরাল মাছ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে ইলিশের পাশাপাশি আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী কাউন্সিলরের দায়ের করা মামলায় ৮ জনের মধ্যে দুই কাউন্সিরসহ ৭ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট প্রথম আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজভ

জামিন প্রাপ্তরা হলেন - কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করে নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম। মামলা নং-(৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয় আরও ৪/৫ জন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান জামিন আবেদন করেননি। তবে মেয়র ছাড়া বাকি ৭ জন আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

;

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

;