জালিয়াতিতে প্রাণ গ্রুপ, বন্দরে আটকা ৩০ কন্টেইনার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিড়ম্বনা পিছু ছাড়ছে না, না কি হাজারো শাস্তির পরও সংশোধন হচ্ছে না প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ? প্রতিদিন নানা অনিয়মের কারণে খবরের শিরোনাম হওয়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ সম্পর্কে এমন খেদোক্তি প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।

রাজস্ব জালিয়াতি, ভেজাল পণ্য বিপণনের কারণে এতোদিন পত্রিকার শিরোনাম হওয়া দেশীয় কোম্পানিটির বিরুদ্ধে এবার আমদানিতেও জালিয়াতির খবর পাওয়া গেছে। প্লাস্টিক দানা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কের সিমেন্ট আমদানির চেষ্টা করেছিল এই কোম্পানিটি।

প্লাস্টিক দানার শুল্ককর ৩২ শতাংশ, আর সিমেন্টের হার ৯১ শতাংশ। আমদানিকৃত প্লাস্টিকের দানার বিপরীতে প্রাণ শুল্ক দিয়েছিল ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সিমেন্টের হিসেবে আমদানি করতে শুল্ক পড়তো প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা ফাঁকি দিতেই এই জালিয়াতির চেষ্টা করা হয়।

আরও পড়ুন: প্রাণ-ড্যানিশের হলুদ গুঁড়াসহ ১৮ পণ্যের লাইসেন্স বাতিল

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, দুবাই থেকে প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের নামে ৩০টি কন্টেইনারের চালান আসে ২৬ মে। আমদানিকারক ওইদিনই চালান খালাসের জন্য নথিপত্র জমা দেয়। চালানে পাঁচ লাখ ৬৬ হাজার ডলার মূল্যের ৫১০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক দানা আনার ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঈদের ছুটির কারণে বন্ধ থাকায় ৬ জুন রাতে তারা কন্টেইনার খালাসের চেষ্টা করে। এ সময় দু’টি কন্টেইনার খুলে সিমেন্টের বস্তা দেখা যায়। পরে কন্টেইনারগুলো লক করে খালাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে সোমবার ও মঙ্গলবার দুইদিনে কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।

কায়িক পরীক্ষায় দেখা যায়, চালানটিতে সৌদি-আরবের জেবেল আলী ব্র্যান্ডের সিমেন্টের বস্তা। প্রতিটি বস্তায় আছে ৫০ কেজি করে সিমেন্ট। একেকটি কন্টেইনারে এসেছে ৩৪০টি করে বস্তা। ৩০টি কন্টেইনারে ১০ হাজার ২৫০টি বস্তায় মোট সিমেন্ট এসেছে ৫১০ মেট্রিক টন। প্লাস্টিক দানার শুল্ককর ৩২ শতাংশ। আর সিমেন্টের শুল্ককর ৯১ শতাংশ।

চালানটির খালাস স্থগিত করা হয়েছে। আমদানিকারকের বিরুদ্ধে মামলা হবে। আর সিমেন্টের রাসায়নিক পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

আরও পড়ুন: প্রাণের ঘি, রাঁধুনী ধনিয়া-জিরা গুঁড়াসহ ১১ পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত

কন্টেইনার জব্দ করার কথা স্বীকার করেছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ম্যানেজার (কমিউনিকেশন) তৌহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, সৌদি কোম্পানি আমাদের সঙ্গে জালিয়াতি করেছে। আমরা রেজিন (প্লাস্টিক দানা) আমদানির জন্য কোম্পানিকে অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু তারা জালিয়াতি করে সিমেন্ট পাঠিয়েছে। এতে আমাদের কোনো দোষ নেই।

এ বিষয়ে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউল হক বার্তা২৪.কমকে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের জিপিজি মিডল ইস্ট জেনারেল ট্রেডিং কোম্পনিকে ৫১০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক রেজিন কিনে পাঠানোর জন্য বলেছি। সে অনুযায়ী এভারবেস্ট লজিস্টিকস লিমিটেডের মাধ্যমে ৩০ কন্টেইনার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, ১ জুন পণ্যগুলোর শুল্কায়ন পরবর্তী খালাসের সময় কন্টেইনারের ভেতরে প্লাস্টিক রেজিনের পরিবর্তে সিমেন্টের ব্যাগ পাওয়া যায় বলে আমরা জানতে পারি। সাথে সাথে আমরা সরবরাহকারী, শিপিং লাইন, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগকে বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে এলসি’র পেমেন্ট বাতিলের জন্য আমরা ৩ জুন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংককে অনুরোধ করি। এলসিটি ১৮০ দিনের ডেফার্ড পেমেন্ট বিধায় এখনো কোনো লেনদেন শেষ হয়নি।

জিয়াউল হক আরো বলেন, এই পণ্য সরবরাহ করতে আমাদের সাথে কোনো এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠান জালিয়াতি করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন: প্রাণ-আরএফএলের তিন প্রতিষ্ঠানকে শোকজের সিদ্ধান্ত

কাস্টমস আইন ভঙ্গ করে ৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বন্ডেড পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করায় প্রাণ আরএফএলের ৩টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে গত ৭ মে। অল প্লাস্ট বিডি লিমিটেডের বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ৪ হাজার ১১ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন পণ্য (পিপি, এলডিপিই, এলএলডিপিই, এইচডিপিই, মুদ্রণ কালি ইত্যাদি) মজুদ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিন ২ হাজার ৮৭৩ দশমিক ২৪ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। শুল্কসহ ফাঁকি দেওয়া পণ্যের মূল্য ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন: টালমাটাল প্রাণ আরএফএল

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেডের বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ১৫০ দশমিক ১১ মেট্রিক টন পণ্য মজুদ থাকার কথা থাকলেও অভিযানে ৩০ দশমিক ৭৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। ফাঁকি দেওয়া পণ্যের শুল্কসহ মূল্য ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ৬৫ লাখ টাকা।

ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেডের ইউনিট তিন নামীয় প্রতিষ্ঠানে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বন্ড রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ১ হাজার ৭৯২ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন পণ্য (ফিল্ম এলডিপিই ইত্যাদি) মজুদ থাকার কথা থাকলেও সরেজমিন ১ হাজার ১১৩ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন পণ্য কম পাওয়া যায়। ফাঁকি দেওয়া পণ্যের শুল্কসহ মূল্য ১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

সিলেট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের নিরীক্ষায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রায় ৪০ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির তথ্য বেরিয়ে আসে। কাঁচামাল আমদানির তথ্য গোপন, অনুমোদন ছাড়া রফতানি ও অবৈধভাবে রেয়াত নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ওই কর ফাঁকি দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে ২০১৮ অক্টোবর কোম্পানিটির হিসাব তলব করে এনবিআর।

ভেজালের কারণে পুরো রমজান জুড়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে গেছে। কোম্পানিটির দু’টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল (প্রাণ গুঁড়া হলুদ ও প্রাণ লাচ্ছা সেমাই) করেছে বিএসটিআই। একই সঙ্গে প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের ঘির মান যথাযথ না হওয়ায় লাইসেন্স স্থগিত ঘোষণা করেছে।

   

এক দিনের ব্যবধানে আরও কমল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দাম এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিল বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে স্বর্ণের দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।

;

টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪টি জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ষড়ঋতুর এ দেশকে প্রকৃতি যেমন দু'হাত ভরে তাঁর বৈচিত্র্যময় সম্পদ ঢেলে দিয়েছে, তেমনি এদেশের মেহনতি মানুষ তাঁদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মন্ত্রী রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা-সহ ১৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডিপিডিটি'র মহাপরিচালক মোঃ মুনিম হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহ, দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশ এখন কোন খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।

সিনিয়র শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা ২০১৩ সালে 'ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করি এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করি। বিশেষ অতিথি বলেন, আমাদের জিআই পণ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং একইসঙ্গে এর পেটেন্ট দিতে হবে। জিআই পণ্যের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন উৎসব, পালাপার্বণ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এসব পণ্যকে আমরা উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারি। তাছাড়া এসব পণ্য সম্পর্কে টিভিসি, ডকুমেন্টারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবস্থা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়িসহ বাংলাদেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করা হয়। সেগুলো হলো যথাক্রমে গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা। এ নিয়ে ডিপিডিটি কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টিতে।

;

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি'র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, দীপংকর তালুকদার, শেখ আফিল উদ্দিন, মো. মঈন উদ্দিন এবং বেগম জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে তিন পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন, তিন পার্বত্য জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার সর্বশেষ অগ্রগতি ও তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

কমিটি তিন পার্বত্য জেলায় এনজিওগুলোর যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলোর উদ্দেশ্য ও বাজেট সংক্রান্ত তথ্য অবশ্যই জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদকে অবহিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। বৈঠকে পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে বিনামূল্যে তিলের বীজ সরবরাহের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে সারা বছর ব্যবহারের ব্যবস্থা করার একটি প্রকল্প প্রণয়নের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব; বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ; পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য; চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান; প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আবদুল জব্বারের বলীখেলা মানেই একটা সময় ছিল দিদার বলীর দাপট। বছরের পর বছর ধরে রামুর এই বলী এই ঐতিহাসিক বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তবে তিনি এখন অতীতের পাতায়। এরপর থেকে তাঁর জায়গাটা নেন চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম ওরফে জীবন বলী ও কুমিল্লার শাহজালাল বলী। টানা তিন বছর ধরে এই দুজন শিরোপা ভাগাভাগি করে আসছেন। কিন্তু এই দুই সেরা বলীই কিনা এবার খেলছেন না।

অথচ জীবন ও শাহজালাল-দুজনেই বলীখেলায় অংশ নিতে নিবন্ধনও করেছিলেন। শুরু থেকে ছিলেন লালদীঘি মাঠেও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুজনেই কিনা নাম প্রত্যাহার করে নিলেন।

কেন দুই বলীর এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল ক্ষোভের গন্ধ।

জানতে চাইলে জীবন বলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি একটু অসুস্থ। ইনজুরড হওয়ায় আমার বদলে কুমিল্লার হোমনার বিখ্যাত বলী বাঘা শরীফের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু কমিটি সেটা মেনে নেয়নি। সেটি মানতে পারিনি। পরে ক্ষোভে নামই বাদ দেন।
শাহজালাল বলীও একই কারণে নাম প্রত্যাহার করেন।

পরে অবশ্য দুই বলী সরে যাওয়ায় সুযোগ পান বাঘা শরীফ। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগান এই বলী। চ্যালেঞ্জ ও সেমিফাইনাল রাউন্ড জিতে ফাইনালে ওঠেন বাঘা শরীফ। আর এতে জীবন ও শাহাজালাল- দুই বলীর সমর্থনই যায় বাঘা শরীফের কোর্টে।

;