নিউমার্কেট থানার সামনে কাদাপানি-আবর্জনার স্তূপ
ঈদের ছুটি শেষ। রাজধানীর সবখানে নাগরিক কোলাহল যেমন বেড়েছে তেমনি সড়কগুলোতেও বৃদ্ধি পেয়েছে যানবাহনের চাপ। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে কর্মস্থলে যাবেন বলে নিউমার্কেট থানার সামনের সড়কে এসে দাঁড়িয়েছেন রবিউল ইসলাম। বিধি বাম! হঠাৎ দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল তার প্যান্টে কাদাপানি ছিটিয়ে দিয়ে চলে যায়। এ সড়কে এমন বিড়ম্বনায় অনেককেই পড়তে হয়।
প্রশ্ন হলো এই খরতাপের দিনে কাদাপানি কীভাবে থাকে? সেটা জানতে হলে নিউমার্কেট থানার সামনের সড়ক দেখতে হবে। বিগত একমাস হলো থানার সামনের সড়ক গোড়ালি পানিতে টইটম্বুর। বৃষ্টির প্রয়োজন নেই। সড়ক ডিভাইডারের কোণা দিয়ে বুদবুদ তুলে পানি বের হচ্ছে। সেগুলো গড়িয়ে ঢাল বেয়ে নামছে। এদিকে ঢালে ড্রেন আছে কিন্তু সেটা বালু, কাদামাটি ও আবর্জনায় আগেই ভরাট। তাই পানি ঘুরপাক খায় সড়কেই। পানি জমে থাকায় সড়কের পিচ গেছে উঠে।
সকালে থানা প্রাঙ্গণে ঝাড়ু দিচ্ছিলেন একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। বিরক্তি প্রকাশ করে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, থানার সামনের সড়কে সুয়ারেজ লাইন লিক করেছে। একমাস হলো সিটি কর্পোরেশনের কোন খবর নেই।
এ তো গেল কাদাপানির কথা; থানা থেকে বের হতে হাতের বামে চোখে পড়বে ময়লা আবর্জায় পূর্ণ একটা পিকআপভ্যান। ময়লা ফেলা সেই পিকআপভ্যানটি মামলার আলামত। নীলক্ষেতের ব্যস্ততম মোড়ের পাশে সড়কের খানিক অংশ দখল করে পিকআপভ্যানটি প্রায় অর্ধযুগ ধরে পড়ে আছে। ধুলাবালি, কাদামাটি, নির্মাণ সামগ্রীর উচ্ছিষ্ট মিলিয়ে এতদিনে মামলার আলামত আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও নিউমার্কেট থানার প্রতিদিনকার বর্জ্য, থানা ভবন সম্প্রসারণের কাজের সব আবর্জনার গন্তব্য এই রাস্তা।
থানার সামনের পিকআপভ্যান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউমার্কেট থানার এক উপপরিদর্শক বার্তা২৪.কমকে বলেন, আলামত রাখার জন্য গুদাম প্রয়োজন, সব থানায় সেই সুযোগ নাই। আবার আলামত আপাত ধ্বংস হলেও সেটা বেহাতের সুযোগ নাই। যেকোন মুহূর্তে আদালত আলামত চাইতে পারে।
তিনি বলেন, থানার সামনে আসতে আমাদেরই কষ্ট হয়। মানুষেরটা আর কী বলব! বারবার সিটি কর্পোরেশনের লোকদের বলেও কিছু হয় না।
নিউমার্কে থানার সামনে কাদাপানি মেখে যাওয়া ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামে বলেন, পুরা সড়কের সবচেয়ে বাজে অংশ নিউমার্কেট থানার সামনেই। কাদাপানিতে ডোবা সড়কের এবড়ো-থেবড়ো এই অংশটুকু জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ যদি সিটি কর্পোরেশন কাছ থেকে কাজ আদায় করতে না পারে, সাধারণ মানুষ কীভাবে পারবে?