ঈদের ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল সচিবালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঈদের ছুটির পর রোববার অফিসে এসেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঈদের ছুটির পর রোববার অফিসে এসেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল ফিতরের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি শেষে সরকারি অফিসগুলো খুলেছে রোববার (৯ জুন)। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে সচিবালয়।

সকালে সচিবালয় ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ের বারান্দা, সিঁড়ি, লিফট, সবখানেই চলছে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। একে অপরকে দেখা মাত্রই বুকে জড়িয়ে কোলাকুলি করছেন। ভেদাভেদ নেই কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যেও।

এবার ৪ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের ছুটি ছিল। সেই সঙ্গে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে মোট পাঁচ দিনের ছুটি পান সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

bip
ঈদের ছুটির পর রোববার অফিস করছেন বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছবি: বার্তা২৪.কম

 

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগের শুক্র, শনিবারের সঙ্গে শবে কদরের ছুটি ছিল রোববার। এরপর সোমবার অফিস ছিল খোলা। আর মঙ্গলবার থেকে তিনদিনের ঈদের ছুটির পর ছিল শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি। সোমবার অফিস বন্ধ থাকলে টানা নয়দিন ছুটি পাওয়া যেত। অনেকে সোমবার ছুটি নিতে পারলেও বেশিরভাগই পারেননি। ফলে অনেকেরই দূর-দূরান্তে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যাওয়া হয়নি। তবে অনেকেই রোববার অফিসে যোগ দেননি। তারা আরও দুই-একদিন ছুটি নিয়েছেন। এছাড়া অনেকে পথে রয়েছেন। অনেকে দুপুরের দিকে এসেও অফিসে যোগ দেবেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, নৌ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ঘুরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরব উপস্থিতি চোখে পড়েছে। ঈদের ছুটির পর রোববার অফিসে এসেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

bipu
ঈদের ছুটির পর রোববার অফিসে এসে সহকর্মীরা কোলাকুলি করছেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

 

কর্মকর্তারা বলছেন, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার পর আবার কর্মস্থলে যোগ দিয়েছি। কর্মস্থলে সহকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করলে সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি হয়, এ ধারা অব্যাহত থাকবে সবসময়।

তবে কিছু মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম। সোমবার অনেকে অফিস করবেন বলে জানিয়েছেন এসব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

   

মিয়ানমার থেকে ফিরছে ১৭৩ বাংলাদেশি, অপেক্ষায় স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাজা ভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে তাদের বহনকারী জাহাজ কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া বাঁকখালী নদীর মোহনায় বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এদিকে, হিট অ্যালার্ট অপেক্ষা করে প্রিয়জনের অপেক্ষায় সকাল থেকেই দাঁড়িয়ে আছেন তাদের স্বজনেরা।

ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, মিয়ানমার থেকে আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজারের, ৩০ জন বান্দরবানের এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে রয়েছে।

তীব্র গরম অপেক্ষা করে প্রিয়জনকে দেখতে ঘাটে স্বজনরা

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা স্বজনরা কেউ ৩/৪ দিন ধরে কক্সবাজারে এসে অপেক্ষা করছেন। বেলা ১২টা বাজলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত জাহাজটি কক্সবাজারে এসে পৌঁছায়নি। সময় যতই যাচ্ছে নুনিয়ারছড়ার এ ঘাটে স্বজনদের উপস্থিতি বাড়ছে।

মহেশখালীর শাপলপুর থেকে আসা গুনু মিয়া বলেন, আমার ছেলে কায়সার হামিদ দুই বছর ধরে মিয়ানমার কারাগারে বন্দী। আজকে ছেলে ফিরছে। তার জন্য অপেক্ষায় আছি। রোদ মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও এ অপেক্ষা কষ্ট দিচ্ছে না।

টেকনাফের কুলারপাড়া থেকে আসা স্বজন আব্দুল শুক্কুর বলেন, আমার ভাই মোহাম্মদ ইসমাইল ৯ বছর আগে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলো। সেখান থেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। বন্দী জীবন শেষে আজকে সে ফিরছে।

ছেলের অপেক্ষায় পথের দিকে তাকিয়ে আছেন বাবা

প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) মিয়ানমার থেকে ফেরা ১৭৩ বাংলাদেশিকে যাছাই বাছাই শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মিয়ানমার ফেরত ১৭৩ জনের মধ্যে ১৪৪ জন দেশটির বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ছিলেন। তাদের সবার সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। বাকি ২৯ জনের সাজার মেয়াদ শেষ না হলেও তাদেরকে বিশেষ ক্ষমার আওতায় আনা হয়েছে।

;

মোংলায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলায় তীব্র দাবদাহের সঙ্গে অসহনীয় রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মোংলার জনজীবন। তীব্র এ গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় ঈদ গাহ মাঠে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ধর্ম প্রাণ মুসলিমরা।

মোংলা উপজেলা ইমাম পরিষদের উদ্যোগে এবং পৌর কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে এ নামাজে সব শ্রেণি-পেশার অন্তত দুই হাজার মুসল্লি অংশ নেন। 

ইসতিসকার নামাজে ইমামতি করেন মোংলা ইমাম পরিষদের সভাপতি ও বি এল এস মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম। নামাজ শেষে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা দাবদাহ থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া হয়।

নামাজে আসা মুসল্লী ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ও প্রধান শিক্ষক এসএম মহিউদ্দিন বলেন, 'সারাদেশের মতো মোংলাতেও অসহনীয় গরম পড়েছে। অনেকদিন ধরেই বৃষ্টি হওয়ার কথা, কিন্তু হচ্ছে না। তীব্র গরমে শুধু মানুষ না পশু পাখিরাও কষ্ট পাচ্ছে। সে জন্য রাসুল (সা.) এর সুন্নত অনুযায়ী দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করলাম, বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাইলাম।'    

ইসতিসকার নামাজ পড়ানো ইমাম হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রচন্ড গরম, তার ওপর বৃষ্টি নাই। ফলে ফসল নষ্ট হচ্ছে। সাধারণ মানুষের চলাফেরা, ইবাদাত বন্দেগি করতেও সমস্যা হচ্ছে। যে কারণে আমরা আজ বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে চাওয়া তিনি আমাদের নামাজ কবুল করবেন এবং বৃষ্টি দিবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিম, চালনা বন্দর আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন, কোরবান আলী আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা গোলাম মোস্তফা, মোংলা উপজেলা ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রহমানসহ পৌর শহরের সবকটি মসজিদের ইমাম ও সাধারণ মুসল্লীরা।

;

নওগাঁয় এক পরিবারের চার প্রতিবন্ধী ভাই-বোন, মানবেতর জীবনযাপন



শহিদুল ইসলাম,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় এক পরিবারের চার প্রতিবন্ধী ভাই-বোন, মানবেতর জীবনযাপন

নওগাঁয় এক পরিবারের চার প্রতিবন্ধী ভাই-বোন, মানবেতর জীবনযাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

শৈশবে ছুটে বেড়িয়েছেন গ্রামের পথে প্রান্তরে। অথচ এখন হাঁটার শক্তি নেই, পারেন না দাঁড়াতেও। কোথায় যেতে হলে কারো সাহায্য নিতে বা প্লাস্টিকের টুল টেনে করতে হচ্ছে চলাফেরা। নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নে হরিপুর গ্রামের একই পরিবারের শারীরিক প্রতিবন্ধী চার ভাই-বোন। এ চার ভাই-বোনের বয়স যখন ১০ থেকে ১২ বছর পর থেকেই হাত-পা ছোট, চিকন ও শরীর বাঁকা হয়ে পড়ে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, জন্মের পর সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী আব্দুল হাকিম, ৩১ বছর বয়সী আলমগীর, ৩০ বছর বয়সী সালমা ও ২৭ বছর বয়সী আব্দুর রহমান। কিন্তু চার ভাই বোনের জীবনে ছন্দপতন ঘরে ১০ থেকে ১২ বছর বয়সের পর থেকেই। বয়স বাড়লেও বাড়েনি তাদের আর উচ্চতা। আস্তে আস্তে তাদের হাত-পা ছোট, চিকন ও বাঁকা হয়ে পড়ে, তারা হয়ে যান শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। পরে অনেক ডাক্তার-কবিরাজ দেখালেও কোন লাভ হয়নি। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে দেখাতে পারেনি ভালো কোন ডাক্তারও। ছেলে-মেয়েদের এমন অবস্থা দেখে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন মা। এরপর চার ভাই-বোনকে দেখাশোনার জন্য তাদের বাবা আবারো বিয়ে করেন। বর্তমানে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে না পারায় তাদের দৈনন্দিন কাজে কাজে সহায়তা করেন সৎ-মা মো. কমলা। নিজের সন্তান না হলেও প্রতিবন্ধী চার ভাই-বোনকে নিজের সন্তানের মতোই পরম আদরে দেখাশোনা করছেন তিনি। এইভাবেই সংগ্রাম করে জীবন-জীবিকা চালিয়ে যাচ্ছেন পরিবারটি।

পরিবারটিকে সহায়তায় সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান স্থানীয়রা।

প্রতিবন্ধী আব্দুর রহমান ও আলমগীর বলেন, আমাদের বয়স যখন ১০ বছর পর্যন্ত আমরা সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলাম। বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলতাম, আড্ডা দিতাম, হাটে-বাজারে যেতাম। অনেক স্মৃতি ছিল। এখন ছোটবেলার কথা মনে পড়লে কষ্ট হয়, অনেক সময় কান্নাও করি। ভবিষ্যতে আমাদের দেখবে কে? বাইরের কোন মানুষজন আমাদের চার ভাই-বোনের চলাফেরা দেখলে চোখের পানি ধরে রাখতে পারবে না।


তারা আরও বলেন, আমরা চার ভাই বোন অনেক কষ্ট আর সমস্যার মধ্য দিয়ে বেঁচে আছি। চলাফেরা করা যায় না টুল টেনে না হলে হামকুর পেরে কোনরকম চলাফেরা করতে হয়। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ভালো না হওয়ায় কোন অসুখ হলে ঠিকমতো ওষুধও কিনে খেতে পারি না। তাই সরকারের পক্ষ থেকে বা কোন বিত্তবান মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়ালে একটু উপকার হতো।

তাদের প্রতিবন্ধী বোন সালমা বলেন, ১০ বছরের পর থেকে আমি আর স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারি না। টুল নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। আমার ভাইদের চেয়ে আমার কষ্ট আরও বেশি। সব সময় অসুখ-বিসুখ লেগে থাকে।

সৎ-মা মোছা. কমলা বলেন, আমার বিয়ে হয়ে এখানে আসার পর থেকেই তাদেরকে টুল টেনে চলাফেরা করতে দেখছি। তাদের সব কাজ আমাকেই করে দিতে হয়। তাদের কথা চিন্তা করে নিজে কোন সন্তান নিইনি। নিজের সন্তানের মতই তাদেরকে সেবাযত্ন করে যাচ্ছি। আমার এই চার সন্তানদের পাশে কেউ দাঁড়ালে তাদের জন্য খুব ভালো হতো।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তাদের বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিতে বলেছি। এছাড়াও চিকিৎসা মাধ্যমে তাদেরকে ভালো করা গেলে চিকিৎসার পাশাপাশি সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

;

বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে বগুড়া রেল স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের আনুমানিক বয়স ৬০ থেকে ৬৫ বছর হবে বলে পুলিশের ধারণা। তিনি ভবঘুরে ছিলেন বলে জানিয়েছেন বগুড়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খাইরুল ইসলাম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি বোতল ও প্লাস্টিকের জিনিস বস্তায় ভরে ট্রেনে উঠার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বস্তা বড় হওয়ায় তিনি উঠতে পারছিলেন। এসময় ট্রেন ছেড়ে দিলে তিনি ট্রেনের নিচে পড়ে চাকার সাথে আটকে যান। ওই অবস্থায় তাকে সরকারি আজিজুল হক কলেজ গেইট পর্যন্ত ট্রেন টেনে হিচড়ে নিয়ে যায়।
রেলওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ খাইরুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টায় সান্তাহারগামী কলেজ ট্রেনে উঠতে গিয়ে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ কাটা পড়ে মারা গেছেন। জানতে পেরেছি তিনি ভবঘুরে ছিলেন। তবে তার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে রাখা হয়েছে।

;