রংপুরে ভিন্নজগতের সুইমিংপুলে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
বিনোদন কেন্দ্র ভিন্নজগত, ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন কেন্দ্র ভিন্নজগত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে বিনোদন কেন্দ্র ভিন্নজগতের সুইমিংপুলে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আট বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তানবীর নামে ওই শিশু তার মামা সাঈদের সঙ্গে সুইমিংপুলে গোসল করতে নেমেছিল।

শনিবার (৮ জুন) বিকেলে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটলেও সন্ধ্যার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিষয়টি জানাজানি হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মহানগরীর শালবন এলাকার বাবলু মিয়ার মেয়ে লায়লা বেগম ঈদ করতে বাবার বাড়িতে আসে। শনিবার বিকেলে ছেলে ও ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ভিন্নজগত বেড়াতে যান তিনি। সেখানে মামা সাঈদের সঙ্গে তানবীর সুইমিংপুলে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে পানির গভীরতায় ডুবে নিখোঁজ হয় তানবীর। অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন সুইমিংপুল থেকে শিশু তানবীরকে উদ্ধার করে। পরে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, ভিন্নজগত কর্তৃপক্ষ এ ঘটনা তাদের কোনো রকম অবহেলার কারণে ঘটেনি বলে দাবি করেছেন। তাদের দাবি, শিশুদের জন্য আলাদা সুইমিংপুল আছে। সেখানকার পানির গভীরতাও কম। কিন্তু শিশুর মামা নিজেই বড়দের সুইমিংপুলে শিশুটিকে নিয়ে নামে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন গঙ্গাচড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান। তিনি বার্তা২৪.কম-কে জানান, শিশুটি তার মামার সঙ্গে বড়দের সুইমিংপুলে গোসল করতে নেমেছিল। পানির গভীরতা বেশি ছিল, যার কারণে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তিনি আরও জানান, নিহতের মা লায়লা বেগম এবং পিতা শ্যামল মিয়া কুমিল্লায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন।

   

দশ হাজার টাকার জন্য বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় টাকা না দেয়ার আব্দুল কাদের (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে ছেলে। এই ঘটনার পর থেকে ছেলে আরিফ হোসেন (২০) পলাতক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল কাদের ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৬ ছেলের বাবা, ঘাতক আরিফ হোসেন সবার ছোট ছেলে।

ফুলবাড়িয়া থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত আব্দুল কাদের ৬ ছেলের বাবা। ঘাতক আরিফ হোসেন সবার ছোট। সে প্রায়ই টাকার জন্য বাবাকে চাপ দিতেন ও নির্যাতন করতেন। সম্প্রতি বাবার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল কিনে আরিফ। আরিফ মাঝে মাঝে নেশা করতেন। ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে আরিফ হঠাৎ করে ১০ টাকার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে। টাকা না দিলে বাড়ি ঘর ভাঙচুর করবে বলে জানায়। এতে ভয়ে বাবা আব্দুল কাদের আলাদা বাড়ি করা বড় ছেলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

বড় ছেলেকে বিষয়টি জানালে বাবাকে অভয় দিয়ে বাড়িতে দিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বাবা আব্দুল কাদের আবারও ভয়ে তার বড় ছেলের বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আরিফ পিছন থেকে বাবার পেটে-পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এসময় আব্দুল কাদের চিৎকার দিলে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল কাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফুলপুর থানার ইনচার্জ ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ছেলে আরিফ ঘটনার পর থেকে।

;

থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, প্রকৌশলী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, প্রকৌশলী নিহত

থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, প্রকৌশলী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ঢুকে যায়। এ ঘটনায় সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র একজন প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন।

নিহতের নাম মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী। তিনি সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সামনে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে নিরাপত্তা বাইন্ডারিতে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস। 

তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। এ সময় রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল এভিশনের সিনিয়র সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটি রাইদা পরিবহনের বাসে নিচে চলে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

তিনি বলেন, নিহতের মরদেহের সুরতহাল চলছে এখন। সুরতহাল শেষে নিয়ন্ত্রণ মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনায় জড়িত বাসের চালক, হেলপার পালিয়ে গিয়েছে। তবে বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

;

রাজধানীর শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে, রোগীর স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা শিশু হাসপাতালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালের নিচে অপেক্ষা করছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এরআগে দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার।

হাসপাতালের পঞ্চম তলায় কার্ডিয়াক বিভাগে থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আগুনের কারণে ঢাকা শিশু হাসপাতালের ভেতরে ধোঁয়ায় অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে গেছে। সে কারণে হাসপাতালের ওপরের তলাগুলোর অনেক রোগীকে নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে।

;

চট্টগ্রামে পিকআপের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর



  স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে পিকআপের ধাক্কায় তানভির জামান (২৩) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তানভির জামান পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মীর বাড়ির বদিউজ্জামানের ছেলে। তিনি আনোয়ারা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তানভির জামান সবার বড়।

নিহতের মামা রহমত উল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে আমরা চমেক হাসপাতালে যাই। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

;