বৃষ্টিতে ভিজে নাকাল ঘরমুখো মানুষ
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ব্যস্ততম শহর ছাড়ছেন সর্বস্তরের মানুষ। এমন সময় তাদের সঙ্গী হয়েছে বৃষ্টি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ।
রাজধানীতে রোববার (২ জুন) ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় মাত্রা। এতে ঘরমুখো মানুষের জন্য নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে পাড়ি জমাচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।
রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিতে ভিজে পাবলিক পরিবহন, সিএনজি ও প্রাইভেট গাড়ি থেকে নামছেন যাত্রীরা। এছাড়া টিকিটের পূর্ব নির্ধারিত সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না বাস। ফলে বাসের অপেক্ষায় থেকে কাউন্টারের সামনে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে অনেককেই।
খুলনাগামী পূর্বাশা পরিবহনের যাত্রী রাবেয়া মন্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গাড়ি ছাড়বে ১১টায়। পথিমধ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আগে থেকেই টিকিট করা ছিল। সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। কি আর করার, এভাবেই রওনা দিতে হবে।’
এদিকে ফেরি পারাপার নিয়েও বেশ চিন্তিত যাত্রীরা। কারণ, বৃষ্টিতে ফেরি পারাপারে বেড়ে যায় দুর্ভোগ। সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড জ্যামের। ফলে বাড়ি ফিরতে লাগতে পারে দীর্ঘ সময়।
শওকত শেখ নামে এক যাত্রী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বৃষ্টি দেখে মনে মনে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। ঈদে গাড়ি চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তো থাকেই। ভেজা রাস্তায় খুব সতর্ক হয়ে গাড়ি চালালে লেগে যায় অনেক সময়। সঙ্গে বিপদের আশঙ্কা। উপরওয়ালাই ভরসা।’
বৃষ্টিতে গাড়ি চালাতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয় বলে জানান কয়েকজন চালক। তাদের মতে, বৃষ্টিতে গাড়ি চালানো অনেকটা রিক্স তো থাকেই। খুব সতর্কতা নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় তাদের। সময় লেগে যায় অনেক। একই সঙ্গে ফেরি পারাপারে শুরু হবে দীর্ঘ লাইন।
এদিকে বৃষ্টিতে চালকদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে পরিবহন মালিকরা। ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্বাস আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা আমাদের পক্ষ থেকে চালক ও যাত্রী সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছি। বৃষ্টিতে তো আমাদের কারও হাত নাই। প্রাকৃতিক নিয়মের বাহিরে আমাদের যাওয়ার সাধ্য নাই। তাই সবকিছু মেনে নিয়ে সবার প্রয়োজন মেটাতে হবে।’