ঈদ বাজারে লাগামহীন দাম ছোটদের পোশাকে



Shadrul Abedin
সন্তানের জন্য পোশাক পছন্দ করছেন অভিভাবক / ছবি: বার্তা২৪

সন্তানের জন্য পোশাক পছন্দ করছেন অভিভাবক / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতরের শেষ সময়ে রাজধানী জুড়ে চলছে কেনাকাটার ধুম। বড়দের থেকে ছোটদের নতুন পোশাক কেনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঈদের আমেজ। কিন্তু প্রতিবারই ছোটদের পোশাকের জন্য কেনাকাটা করতে এসে অতিরিক্ত দাম গুনতে হয় অভিভাকদের। এবারও এর বেতিক্রম ঘটেনি মার্কেটগুলোতে। 

গেল সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে আসা অভিভাবকদের সঙ্গে বার্তা২৪.কম-এর আলাপকালে এসব তথ্য উঠে আসে।

আভিযোগ আছে, ঈদ বাজারে সব পোশাকেই কমবেশি অতিরিক্ত মূল্য রাখা হয়। কেনাকাটা করতে এসে দামে হিমশিম খেতে হয়। আর সেখানে ছোটদের পোশাকের দাম লাগামহীন। তবুও নিরুপায় হয়ে বাচ্চাদের ঈদ আনন্দের জন্য বাড়তি দাম দিয়ে কেনাকাটা করতে বাধ্য হচ্ছেন আভিভাবকরা।

নূর ম্যানশন মার্কেটে বার্তা২৪.কম-এর সঙ্গে কথা হয় সরকারি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের। তারা ছেলে মেয়ের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে পরিবার নিয়ে বের হয়েছেন।

রফিকুল বলেন, ‘বাবা হিসেবে বাচ্চাদের আবদার না মেটাতে পারলে আসলে ঈদ আর ঈদ থাকবে না। বেশ কিছু ব্যস্ততার জন্য এর আগে তাদের সময় দিতে পারিনি। এখন বেরিয়েছি পরিবারসহ বাচ্চাদের জন্য তাদের শখের কেনাকাটা করতে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/01/1559401694773.jpg

তিনি আরও বলেন, ‘বাচ্চাদের মার্কেটে এমনিতেই পা ফেলার জায়গা নেই, মানুষের প্রচণ্ড চাপ। এরমধ্যে দাম শুনে পড়ে যাই বিপাকে। বাচ্চারা যেটা পছন্দ করে এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আবার দোকানিরা যে দাম বলেন এর বাইরেও কথা বলার সুযোগ নেই। সব মিলে নিরুপায় আর অস্বস্তি নিয়েই সারতে হচ্ছে কেনাকাটা।’

এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী ও তার সন্তানদের নিয়ে এসেছেন মৌচাক মার্কেটে। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাচ্চাদের কাপড়ের দাম এতো বেশি যে, ভাবাই যায় না। আবার সবখানে একদাম। বাচ্চারা পছন্দ করে নিজের মতো আর এ সুযোগে দোকানিরাও দাম রাখছেন ইচ্ছে মতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রচণ্ড ভিড়ে কেনাকাটা করাটা যেমন কঠিন, তার চেয়ে বেশি কঠিন বাচ্চাদের পছন্দের পোশাক কেনাটা। কিন্তু কি আর করার, কিনতে তো হবেই।’

তবে অতিরিক্ত দাম নিয়ে আপত্তি রয়েছে ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, কাপড়ে সামান্য দাম বেড়েছে। তবে ক্রেতারা যতটা আতঙ্ক মনে করছেন ঠিক ততটা না।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে গাউছিয়া মার্কেটের এক দোকান মালিক বলেন, ‘ঈদে কাপড়ের দাম কিছুটা বাড়তি থাকেই। তাছাড়া এবার সব কিছুর মূল্য অনেক বেশি। আমরা কিনে আনছি চড়া মূল্যে। এরপর আমাদের লাভ, কর্মচারীদের বেতন বোনাস, অন্যান্য খরচতো আছেই। এটুকু লাভ না রাখলে আমরাও অচল হয়ে যাব।’

উৎসব ফ্যাশনের কর্মচারী আলী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ঈদ কেন্দ্রিক বিক্রি সন্তোষজনক। বাচ্চাদের মার্কেটে বেচাকেনা ভালোই থাকে। তাই এ সময়টাতে বেশি কথা বলার সুযোগ থাকে না। এজন্য সব দিক বিবেচনা করে আমরা একটা মূল্য নির্ধারণ করে দেই। যাতে কাস্টমারের সঙ্গে বেশি কথা বলতে না হয়।’

   

কুষ্টিয়ায় বিল দখল করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিল দখল নিতে গিয়ে শাহেদ ইসলাম (২২) নামে জেলা ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাহেদ ইসলামকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শাহেদ ইসলাম কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সমর্থক ও শহরতলীর মোল্লা তেঘরিয়া এলাকার মহিবুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের জলমহাল (বিল বোয়ালিয়াবিল) দখলকে কেন্দ্র করে বোয়ালিয়া এলাকার বিলের বৈধ দাবীকৃত রাজিব ও মতিনের লোকজনের সঙ্গে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সমর্থকদের গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয় সাহেদ নামে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের এক কর্মী। এসময় দুই পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শেখ চ্যালেঞ্জের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বোয়ালিয়া এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী রাজিব ও মতিন দীর্ঘদিন ধরে জলমহাল (বিল বোয়ালিয়াবিল) দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল। আমরা একটি মৎস্যজীবী সমিতির নামে ইজারা পেয়েছি। তাই আজ সকালে আমরা সেখানে গিয়ে আনন্দ উল্লাস করছিলাম। এ সময় হঠাৎ করেই রাজিব ও মতিনের লোকজন আমাদের লক্ষ্য করে অতর্কিত গোলাগুলি করলে শাহেদ ইসলাম নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাকে নিয়ে আমরা হাসপাতালে রয়েছি।

এ বিষয়ে রাজিব ও মতিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুতপা রায় বলেন, সাহেদ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এখন তিনি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি মারামারির খবর শুনে এলাকা পরিদর্শন করেছি। গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে কিনা এটি আমার জানা নেই।

;

মসজিদের ফ্যানে ঝুলছিল খাদেমের মরদেহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় দীঘিরপাড় শাহী জামে মসজিদের ভেতরে আকবর আলী শাহ (৬০) নামে এক খাদেম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আকবর আলী শাহের বাড়ি দীঘিরপাড় গ্রামে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

পাগলা থানার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ খায়রুল বাশার ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আকবর আলী শাহ দীর্ঘদিন যাবত পাঁচবাগ ইউনিয়নের দিঘীরপাড় শাহী জামে মসজিদে খাতেম হিসেবে কাজ করতেন। মসজিদে ভেতরে রাতযাপন করতেন তিনি। এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন আকবর আলী শাহ। সকালে এলাকাবাসী মসজিদের ভেতরে ফ্যানে আকবর আলী শাহ লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পাগলা থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেন। দাম্পত্য জীবনে আকবর আলী শাহ ৫ সন্তানের জনক।

পাগলা থানার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ খায়রুল বাশার জানান, এখনও আত্মহত্যার কোনো কারণ জানা যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

;

সৌদিতে দুর্ঘটনায় আহত, কটিয়াদীতে এসে প্রবাসীর মৃত্যু



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪,কম,কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের এক সৌদি প্রবাসী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ভাগলপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত সাইফুল ইসলাম রতন (৫৫) জালালপুর ইউনিয়নের টুনিয়ারচর বিরামের বাড়ি মহল্লার বাসিন্দা।

একবছর আগে সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনাটায় আহত হয়ে কোমায় চলে যায় সাইফুল ইসলাম। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত রমজানে লোক-মারফত দেশে পাঠানো হয় তাকে। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সাইফুল ইসলামকে। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

;

নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর মহাপরিকল্পনা তৈরির দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে হওয়া ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি পাওয়ার মাস্টার প্ল‍্যান (আইইপিএমপি) ও সমন্বিত মহাপরিকল্পনা সংশোধন করে টেকসই ও জলবায়ুবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর মহাপরিকল্পনা তৈরির দাবি তুলেছে বাংলাদেশের শতাধীক জলবায়ু কর্মী। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করে তারা এই দাবি ও দাবির পক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, 'আইইপিএমপিকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বার্থ দেখতে হবে, অন্য কারো নয়। এবারের পরিকল্পনায় তিনটি নতুন প্রযুক্তি- হাইড্রোজেন, অ্যামোনিয়া আর কার্বন ক্যাপচার অ্যান্ড স্টোরেজ প্রযুক্তিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি প্রসার বাড়লেও সৌর ও বায়ুর মতো পরীক্ষিত নবায়নযোগ্য প্রযুক্তির অংশ রাখা হয়েছে সামান্য। আমরা তরুণরা ভুয়া সমাধানগুলো প্রত্যাখ্যান করছি এবং জ্বালানি রূপান্তরনির্ভর মাস্টার প্ল্যান বানানোর পথে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। যে মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলো অগ্রাধিকার পাবে এবং সকলের জন্য একটি ন্যায্য রূপান্তর নিশ্চিত করবে। 

এসময় তরুণ জলবায়ু কর্মীদের হাতে থাকা ব্যানার ফেস্টুনে জ্বালানি খাতের রূপান্তর, জ্বালানি মহাপরিকল্পনা সংশোধন, নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা ও বিভিন্ন জ্বালানি নীতির সমন্বয়, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের বিপদ, জলবায়ু অর্থায়ন ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নানান স্লোগান দেখা যায়।

সমবেত জলবায়ু কর্মীরা আইইপিএমপির ব্যয়বহুল ও ক্ষতিকারক বিষয়গুলোর ব্যাপারে আলোচনা করে দ্রুত সেগুলো সংশোধনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।

নবায়নযোগ্য শক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ও অন্যান্য জাতীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি আইইপিএমপি বানানোর তাগাদা দিয়ে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য টেকসই জ্বালানি ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে, সংশোধিত আইইপিএমপিতে নবায়নযোগ্য শক্তি সংক্রান্ত জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্তি করে তা অর্জনে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

গ্লোবাল ফ্লাইমেট স্ট্রাইকের অংশ হিসেবে ১৯ এপ্রিল সারা বিশ্বেই বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আরও সোচ্চার হতে বিশ্বনেতাদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে জলবায়ু কর্মীরা।

এছাড়া প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন জীবাশ্ম জ্বালানিতে আর বিনিযোগ না করে তা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে জোর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন এসব তরুণ জলবায়ু কর্মীরা।

;