ময়মনসিংহে জমজমাট ঈদ বাজারে বৃষ্টির হানা



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ছোটাছুটি করছেন কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতারা / ছবি: বার্তা২৪

বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ছোটাছুটি করছেন কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতারা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতরের আগে শেষ ছুটির দিনে স্ত্রী ও সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটায় বের হয়েছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত আহসান হাবিব। নিজেদের জন্য পছন্দসই জুতা কিনতে গিয়েছিলেন ময়মনসিংহের গাঙ্গিনারপাড় এলাকার একটি শো-রুমে। জুতা কেনার পাঠ চুকিয়ে তার গন্তব্য ছিল বিপণি বিতানে। কিন্তু এক ঘণ্টার ভারী বর্ষণে তার স্বাভাবিক কেনাকাটায় ছন্দ পতন ঘটল। ফলে শুধুমাত্র জুতা কিনেই হতাশ মন নিয়ে বাড়ি ফিরতে হল তাকে।

যাওয়ার আগে আহসান হাবিব বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চাকরিজীবীদের জন্য রাতেই ঈদের কেনাকাটার সময়। ছুটির দিন হওয়ায় এদিনই স্ত্রী-সন্তানের জন্য কেনাকাটার পর্ব শেষ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বৃষ্টি বাগড়া বসালো। এখন আরেকদিন ছুটতে হবে মার্কেটে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/01/1559337273245.jpg

কেবল আহসান হাবিবই নয়, তার মতো এমন ঘটনা ঘটেছে অন্যসব ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষজনেরও।

শুক্রবার (৩১ মে) রাত ১০টায় হঠাৎ শুরু হওয়া বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত ভারী বর্ষণে রূপ নেওয়ায় কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষজন বিভিন্ন বিপণি বিতানে আটকা পড়েন। ফলে এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেট ঘুরে, দরদাম করে পছন্দের পোষাক কিনতে পারেননি তারা।

এদিকে রাতও গভীর হওয়ায় বাড়ি ফেরায় প্রতিযোগিতায় নামতে হল ক্রেতাদের। টানা এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ক্রেতারা যেমন আশাহত, তেমনি ব্যবসায়ীদেরও পড়েছে কপালে হাত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/01/1559337310219.jpg

অঝোরে বৃষ্টিতে যখন নগরীর বারী প্লাজা, পালিকাসহ বিভিন্ন শপিং সেন্টারের ক্রেতারা কার্যত অবরুদ্ধ, সেসময় ব্যবসায়ীদের মুখও ভারী। কেননা নতুন কোনো ক্রেতার দেখা নেই।

এক ব্যবসায়ী বললেন, ‘রাতে কমপক্ষে আরও তিন ঘণ্টা বেচাকেনা হতো। কিন্তু এই বৃষ্টিই সব শেষ করে দিল।’

এদিকে বৃষ্টিতে বড় বড় বিপণি বিতানগুলোর ব্যবসায়ীদের চেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের। ভারী বর্ষণে তাদের দোকানপাট গুটিয়ে নিতে হয়েছে। ঈদের আগের এই সময়টাতে বাড়তি আয়ের আশায় ছোট ব্যবসায়ীরা ফুটপাতে দোকান বসায়। কিন্তু বৃষ্টিতে কপালে হাত পড়েছে তাদের। অনেকের কাপড়ও ভিজে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/01/1559337340351.jpg

এক ফুটপাট ব্যবসায়ী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বৃষ্টির লেইজ্ঞা আমগর সর্বনাশ অইয়া গেল। আজকা মানুষ অনেক বেশি আইছিল। ভাবছি আরও ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার বেচাকেনা হইব। বৃষ্টির লেইজ্ঞা তা আর অইল না। মানুষজন যাইতাছেগা। আমগরও আইজক্যাই ব্যবসা শেষ।’

বৃষ্টি যে কেবল কেনাকাটাতেই বিঘ্ন ঘটিয়েছে বিষয়টি তেমন নয়। কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের ঘরে ফেরা নিয়ে ছিল বাড়তি ঝামেলা। এ বৃষ্টির কারণে নগরীতে একদিকে যেমন যানজটের সৃষ্টি হয়, তেমনি দেখা যায় পরিবহন সংকটেরও। এতে অনেকেই পায়ে হেঁটেই ঘরে ফিরতে শুরু করেন। আর যান সংকট হওয়ায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও সাধারণ রিকশাগুলোও বাড়তি ভাড়া হাঁকাতে শুরু করে।

মকবুল নামে এক রিকশাচালক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঈদের আগে মানুষজন ভাড়া এমনিই খুশি অইয়াই বেশি দেয়। আর এহন বৃষ্টির মইধ্যে আমরা তো একটু বেশি নিমুই।’

   

তীব্র তাপপ্রবাহ থাকবে আরও কিছুদিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে জনজীবনে বাড়ছে অস্বস্তি।

দেশের এমন পরিস্থিতি আগামী তিন দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এদিকে আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বেলা তিনটায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। বৃষ্টি না হওয়ায় এ তাপপ্রবাহ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

 

;

বগুড়ায় শিশুকে গলা কেটে হত্যা, আসামী কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় মায়ের সাথে হরিবাসর অনুষ্ঠানে বেড়াতে আসা শিশু বন্ধন (৬) হত্যার সাথে জড়িত সুকুমার দাসকে (২৫) কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে নিহত বন্ধনের বাবা রবি দাস বাদী হয়ে সকুমার দাসকে আসামী করে সদর থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তয়ন কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গ্রেফতার সুকুমারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কেও সুকুমার মুখ খুলছে না। বারবার বলছে আমার ভুল হয়ে গেছে। সুকুমারকে অনেকে মানসিক রোগী বলে দাবী করলেও তার স্বপক্ষে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এদিকে রবিদাসের দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে তার স্ত্রী কাকলী দাসের মামা সুকুমার। মামা-ভাগ্নির পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সুকুমার এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তবে পারিবারিক বিরোধের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান, বৃহস্পতিবার হত্যাকাণ্ডের পরপরই সুকুমারকে পুলিশ আটক করে এবং তার দেখানো মতে বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধান কাটা কাঁচি জব্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বগুড়া সদরের শশিবদন গ্রামে মায়ের সাথে হরিবাসর অনুষ্ঠানে বেড়াতে আসা শিশু বন্ধনকে তার মায়ের মামা সুকুমার ঘরে ডেকে নিয়ে কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

;

এসি বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত ধারণা ফায়ার সার্ভিসের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আগারগাঁও শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউতে থাকা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরণে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ধারণা ফায়ার সার্ভিসের।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন।

তিনি বলেন, দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপর আমাদের ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান চালায়। তবে আমরা কোনো ভুক্তভোগীকে পাইনি। আগুন লাগার পরপরই আইসিইউতে থাকা সবাইকে সরিয়ে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বজনরা।

আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা ধরণা করছি আইসিইউর ভেতরে এসি ছিলো। সেটা থেকে হয় তো আগুন লেগেছে। তবে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, আগুনের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু ভালো আছে। পাশাপাশি আইসিইউ রুমে যে অক্সিজেন সংযোগ ছিলো সেটি আগুনের কারণে পুড়ে যায়। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সময় লেগেছে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় অক্সিজেন লাইনটি বন্ধ করা হয়েছে।

;

গাংনীতে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ৫ মাদক কারবারি আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,মেহেরপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ মাদক কারবারীকে আটক করেছে। এদের কাছ থেকে ১১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে জব্দ করা হয়েছে নগদ ১৫০০ টাকা ও মাদক কারবারে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল। 

বৃহষ্পতিবার রাতে পুলিশের পৃথক পৃথক টীম কয়েকটি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।

আটককৃতরা হচ্ছেন- গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের ছাদের আলীর ছেলে স্বপন (৩৮) ও আয়ুব আলীর ছেলে লিটন (৪০), পলাশী পাড়ার মৃত সুজা উদ্দীনের ছেলে টেফেন ওরফে খালিদ মাহমুদ (৩০), আলমডাঙ্গার নগর বোয়ালিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মামুনর রশীদ (৩০) ও ছাতিয়ান গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে স্বজল (২৭)। এদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু সাপেক্ষে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মাদক পাচার রোধে গাংনী থানা পুলিশ অভিযানের অংশ হিসেবে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের নামে মাদকের মামলাসহ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

;