‘আইলা’র এক দশকেও আতঙ্ক কাটেনি উপকূলবাসীর



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ঘূর্ণিঝড় আইলা কেড়ে নিয়েছে তাদের আত্মীয় স্বজন ও বসতভিটা, ছবি: বার্তা২৪

ঘূর্ণিঝড় আইলা কেড়ে নিয়েছে তাদের আত্মীয় স্বজন ও বসতভিটা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ভয়াল ২৫ মে। এক দশক আগে এ দিনেই প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আইলার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের বিস্তীর্ণ জনপদ। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের কাছে এ দিনটি এখনো আতঙ্কের। দীর্ঘ ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি উপকূলের জনপদ।

এসব এলাকায় এখনও সুপেয় পানির সংকট প্রবল। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাড়েনি সাইক্লোন শেল্টার, মেরামত করা হয়নি পাউবো’র ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ। তাই এখনও দুর্যোগ ঝুঁকিতে আতঙ্কিত অবস্থায় থাকেন উপকূলবাসী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/25/1558778094942.jpg
বাঁধের সঙ্গেই তাদের বসবাস, ছবি: বার্তা২৪

 

২০০৯ সালের ২৫ মে এ দিনে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আইলা। নোনা জলে ভাসিয়ে নেয় উপকূলীয় অঞ্চলের হাজার হাজার বসতভিটা, আবাদি জমি, সম্পদ আর মানুষ।

সরকারি হিসেবে, এ ঝড়ে ৩৩২ জনের প্রাণহানি হয়। এ দিনে কেউ হারায় সহায়-সম্পদ, কেউবা স্বজন। সহায়-সম্পদ হারানোর কথা অনেকে ভুলতে পারলেও স্বজন হারানোর বেদনা ভুলেনি উপকূলবাসী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/25/1558778133851.jpg
বাঁধের উপর দিয়েই হেঁটে যাচ্ছে দুই শিশু, ছবি: বার্তা২৪

 

১০ বছর আগের এদিনে বঙ্গোপসাগর থেকে নেমে আসা উঁচু জলোচ্ছ্বাস ও প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট সর্বগ্রাসী ‘আইলা’ আঘাত হানে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জনপদে। মুহূর্তের মধ্যে খুলনা জেলার দাকোপ, কয়রা উপজেলার অধিকাংশ এলাকার বেড়িবাঁধ লণ্ডভণ্ড হয়ে লোকালয় প্লাবিত হয়।

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, পদ্মপুকুর, আশাশুনিতেও বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪-১৫ ফুট উচ্চতায় সমুদ্রের পানি এসে নিমিষেই ভাসিয়ে নিয়ে যায় এলাকার নারী ও শিশুসহ কয়েক হাজার মানুষ, হাজার হাজার গবাদি পশু, ঘরবাড়িসহ অসংখ্য ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/25/1558778178326.jpg
বাঁধের উপরেই ঝুপড়ি ঘর তুলে বসবাস করছেন উপকূলবাসী, ছবি: বার্তা২৪

 

ক্ষণিকের মধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়ে হাজারো পরিবার। কয়েক লক্ষ হেক্টর চিংড়ি ঘের ও ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যায়। সর্বনাশা ‘আইলা’র আঘাতের পর ভাঙা রাস্তার উপর ঝুপড়ি ঘর বেঁধে বসবাস করতে শুরু করেন উপকূলবাসী।

প্রলয়ংকরী আইলা’র আঘাত হানার ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের আতঙ্ক কাটেনি। দু’মুঠো ভাতের জন্য জীবনের সঙ্গে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে তাদের। আইলার পর থেকে এসব এলাকায় সুপেয় পানি সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/25/1558778242158.jpg
পানির সঙ্গে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হয় তাদের, ছবি: বার্তা২৪

 

খাবার পানির জন্য এখনো ছুটতে হচ্ছে মাইলের পর মাইল। আইলা কবলিত অঞ্চলের রাস্তাঘাট এখনও ঠিকমত মেরামত হয়নি। দুর্যোগ মুহূর্তে আশ্রয়ের জন্য খুবই কম সংখ্যক সাইক্লোন সেন্টার রয়েছে। আইলা বিধ্বস্ত এলাকায় গেলে ১০ বছর আগে ঘটে যাওয়া আইলার চিহ্ন স্পষ্ট দেখা যায়। বর্তমানেও এলাকায় বসবাসরত মানুষের চোখে মুখে স্পষ্ট সেদিনের ভয়ঙ্কর সেই স্মৃতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/25/1558778284431.jpg
মায়ের কোলেই শিশু, ছবি: বার্তা২৪

 

আইলার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও উপকূলীয় জনপদের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই নাজুক। বর্ষার দিনে এসব এলাকার মানুষের নৌকা ও ট্রলার একমাত্র ভরসা। আইলায় নোনা পানিতে তলিয়ে থাকায় জমিতে কৃষি ফসল ও চিংড়ি উৎপাদন বন্ধ থাকায় গোটা এলাকা জুড়ে কাজের সুযোগ কমে গেছে। যে কারণে সেই সময় থেকে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন। যাদের অধিকাংশই আজও তাদের বসতভিটায় ফিরে আসতে পারেনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/25/1558778407251.jpg
পানির মধ্যেই বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন উপকূলবাসী, ছবি: বার্তা২৪

 

এছাড়া অধিকাংশ এলাকার বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ। সবার ধারণা বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধ টিকবে না। আইলার পর ১০ বছর অতিবাহিত হলেও সমগ্র আইলা দুর্গত এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধগুলোর এখনও তেমন কোন সংস্কার হয়নি। সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতেও ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হচ্ছে এসব জনপদের কয়েক লাখ মানুষকে।

আইলা বিধ্বস্ত উপকূলে বাঁধ নির্মাণ নিয়ে স্থানীয়দের দাবি ছিল, ‘পরিকল্পিত বাঁধ চাই, জীবন-জীবিকা ও সম্পদের নিরাপত্তা চাই।’ তবে ১০ বছর কেটে গেলেও তাদের দাবি এখনো সোনার হরিণ হয়ে আছে।

   

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার সদর উপজেলার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক সাইদুল ইসলাম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামি মো. মামুন (২৯) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)  রাতে রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওয়ারেন্ট সূত্রে জানা যায় জানিয়ে শিহাব করিম বলেন, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল ভিকটিম সাইদুল ইসলাম সন্ধ্যার দিকে শহরের দত্তবাড়ি থেকে যাত্রী নিয়ে জয়পুরপাড়ায় যায়। ভিকটিম রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের বলে যাত্রী নিয়ে জয়পুরপাড়ায় আছে। এরপর থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে ভিকটিম বাড়ি না ফিরলে পরদিন সকালে শহরের ধরমপুর গড়েরহাট এলাকায় ঈদগাহ মাঠের পাশে একটি বাগানে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়ারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি ৫ বছর জেল হাজতে কারাবাসের পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিন নিয়ে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়। 

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। বগুড়ার বিজ্ঞ ১ম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত বিচারকার্য শেষে মো. মামুন এর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড সাজা প্রদানপূর্বক গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামিকে গ্রেফতার সংক্রান্তে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার রাজধানী ঢাকার ডিএমপি দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে আসামি মো. মামুনকে গ্রেফতার করে। 

তিনি বলেন, জানা যায় আসামি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে থাকত। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

তীব্র তাপপ্রবাহ: প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান দাবদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

সারাদেশে তিন দিনের জন্য ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আগামীকাল রোববার খুলবে দেশের সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 

;

বরিশালে ঋণের চাপে দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় দুই সন্তানের জননী ডালিয়া বেগম (৩৮) ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে তাকে ঝুলতে দেখে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় বানারীপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মরদেহ বরিশাল শেবাচিম মর্গে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শারমিন জানান, ডালিয়া বেগম বিভিন্ন সমিতি ও এনজিও থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তিনি বিভিন্ন এনজিও ও সমিতির লোকজনের চাপে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। ধারণা করছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

বরিশাল বানারীপাড়া থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ডালিয়া বেগমের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

;

গরমে বেড়েছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা



খন্দকার আসিফুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষ। অসহনীয় এই গরম থেকে বাঁচতে সামর্থ্য অনুযায়ী ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন চার্জার ফ্যান কিংবা এসি। যে কারণে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দোকানে বাড়ছে চার্জার ফ্যান ও এসির চাহিদা। সাধারণ সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে অন্যান্য ফ্যানের দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে রিচার্জেবল ফ্যানের দাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর নবাবপুরের ইলেকট্রনিক সামগ্রীর পাইকারি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার মার্কেটটির সাপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও দেশের চলমান তাপপ্রবাহের কারণে চার্জার ফ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের ফ্যানের চাহিদা বাড়ায় কিছু কিছু দোকান খোলা রয়েছে। এখানকার দোকানিদের দাবি, ফ্যানের চাহিদা বাড়লেও দেশে অন্যান্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও সে অনুযায়ী বাড়েনি ফ্যানের দাম।

সিলিং ফ্যানের দাম স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে দোকানিরা বলেন, নন-ব্যান্ড সিলিং ফ্যানের দাম ১৫০০ টাকা থেকে শুরু এবং ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যানের দাম শুরু ২৮০০ টাকা থেকে। বিভিন্ন কোম্পানির স্ট্যান্ড ফ্যান আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০০ টাকা এবং তার বেশি দরে। 


তবে দেশজুড়ে রিচার্জেবল ফ্যানের চাহিদার সাথে বেড়েছে দামও। ১২ ইঞ্চি চার্জার ফ্যানের দাম রাখা হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১৪ ও ১৮ ইঞ্চির ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায়।

নবাবপুরে মামুন এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মীর মো. মামুন বার্তা২৪.কমকে জানান, বর্তমান বাজারে ফ্যানের চাহিদা থাকলেও দেশের বাজারের অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। শুধুমাত্র চার্জার ফ্যানের দাম গত বছরের তুলনায় আকার অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে।

একই মার্কেটের হাসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. হাসান বলেন, গরমে চাহিদা বাড়লেও ফ্যানের দাম বাড়েনি। তবে ঈদ আর বৈশাখের লম্বা ছুটির কারণে দেশে যে চার্জার ফ্যানগুলো অ্যাসেম্বল করা হতো সেগুলো পর্যাপ্ত করতে না পারায় চার্জার ফ্যানের দাম কিছুটা বেড়েছে।

একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আক্তার হোসেন এসেছেন চার্জার ফ্যান কিনতে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে গরম পড়ছে, যদি ট্যাকা থাকতো তাইলে একটা এয়ার কন্ডিশনই কিনতাম। কিন্তু চার্জার ফ্যানেরই যে বাজেট নিয়া আইসি অইটা দিয়াও হইবো না। বউরে ফোন দিয়া কইলাম আরও ৫০০ ট্যাকা মোবাইলে পাঠাইতে।


চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছেন এমন আরও একজন মহিমা হালদার। ১১ মাসের একটি পুত্রসন্তানের মা তিনি। গরমে বিরক্তি নিয়ে বলেন, এমন গরমে ২৪ ঘণ্টা ফ্যান চালাইয়াও আমরা বড়রাই গরম সহ্য করতে পারতাছি না। আর ১১ মাসের ছোট্ট বাচ্চায় ক্যামনে সহ্য করব। অন্য খরচ বাদ দিয়াই একটা ফ্যান কিনতে আসা।

এদিকে চার্জার ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে এসিরও। বেড়েছে দামও। বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন ও যমুনা ইলেকট্রনিক্সের কয়েকটি শোরুম ঘুরে দেখা যায়, ওয়ালটনের এক টনের এসি ৬৫ হাজার ও দেড় টন এসি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ হাজার টাকায়। কিছুটা কমে যমুনার এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ইনভার্টারসহ ৪৯ হাজার ও ইনভার্টার ছাড়া ৪২ হাজার টাকায়। আর দেড় টনের এসি ইনভার্টারসহ ৬৭ হাজার এবং ইনভার্টার ছাড়া ৫৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ওয়ালটন এবং যমুনার বিক্রয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিক্রির সময় পণ্যের মূল দাম থেকে ক্রেতাদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়।

;