লিবিয়ায় ‘গেম ঘরে’ বন্দি ৫০ বাংলাদেশি তরুণ!

তিউনিসিয়া ফেরত রুবেলের তথ্য



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ভূমধ্যসাগর থেকে ফিরে আসা সিলেটের রুবেল আহমদ/ ছবি: আবু বকর

ভূমধ্যসাগর থেকে ফিরে আসা সিলেটের রুবেল আহমদ/ ছবি: আবু বকর

  • Font increase
  • Font Decrease

লিবিয়ায় ভূমধ্যসাগরের তীরে ‘গেম ঘর’ নামক বন্দিশালায় এখনো অর্ধশতাধিক বাংলাদেশি তরুণ আটকা রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভূমধ্যসাগরের উত্তাল সমুদ্রে অচল বোট থেকে বেঁচে ফিরে আসা রুবেল ও ছাইদুল ইসলাম জাবের।

তাদের দেওয়া তথ্যমতে, লিবিয়ায় দালাল পারভেজের গেইম ঘরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। গেইম ঘরে এখনো ৫০ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। এদের সকলেই সিলেটের বাসিন্দা। এদের যেকোনো মুহূর্তে ইতালি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সাগরে ভাসিয়ে দিতে পারে।

সাগরে কাটানো ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বার্তা২৪.কম-এর সাথে তুলে ধরেন রুবেল ও জাবের।

সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাও ইউনিয়নের ঘোপাল গ্রামের মোঃ রুবেল আহমদ জানান, তিন দিন সাগরে ভেসে খুব কাছ থেকে দেখেছেন মৃত্যুকে। লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে দুটি বোটে যাত্রাকালে রুবেলদের নৌকা অচল হয়ে গেলেও ভাগ্যক্রমে বোট দুটির সবাই বেঁচে যান।

রুবেল জানান, এর আগে লিবিয়ায় অন্ধকার ঘরে তাদের এক বছর আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। সারা দিনে একটি পাউরুটি দেওয়া হতো। খাবারের জন্য পানির সাথে মিশিয়ে পেট্রোল দেওয়া হতো। যাতে তাদের ওজন কমে এবং একটি নৌকায় বেশি যাত্রী সংকুলান হয়।

ঐ দিন ( ৯ মে) এক ঘণ্টার ব্যবধানে লিবিয়া থেকে দুটি নৌকা ইতালির উদ্দেশে সাগরে যাত্রা করে। কিছুদূর গিয়ে অপর নৌকাটি ডুবে গেলে সাগরে প্রাণ হারান সব যাত্রী। তিউনিসিয়া সীমান্তে যাওয়ার পর রুবেলদের নৌকাটিও নষ্ট হয়ে যায়। তারপর টানা তিন দিন সাগরে ভেসে থাকেন নৌকার নারী শিশুসহ ৫৭ যাত্রী। একপর্যায়ে একটি তেলবাহী জাহাজ তাদের রাবারের বোটের সন্ধান পায়।

তেলবাহী জাহাজের নাবিকরা তাদের সাহায্যে এগিয়ে এলেও জাহাজে তুলতে রাজি হননি। এক রাত রাবারের বোটে ভাসমান থাকতে হয় তাদের। অবশ্য তিউনিসিয়ার তেলবাহী জাহাজের নাবিকরা লাইট জ্বালিয়ে আলো দিয়ে তাদের সাহায্য করেছিলেন। পরে তারা মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে তিউনিসিয়া কোস্ট গার্ডের কাছে পাঠান। এরপরও সাড়া দেয়নি কোস্ট গার্ড। পরে জেলেরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে তিউনিশিয়ার কোস্ট গার্ডের কাছে হাস্তান্তর করেন। 

রুবেল জানান, ভাগ্য বদলের আশায় দালালের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। উদ্দেশ্য অসুস্থ বাবা-মা, স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া চার বোন আর ভাইয়ের সংসারের হাল ধরা। সেই লক্ষ্যে গত রমজানে বিমানে করে বাংলাদেশ থেকে দুবাই-মিশর হয়ে লিবিয়া পৌঁছান।

রুবেলের মতে, কথা রাখেননি দালাল পারভেজ। কথা ছিল লিবিয়া থেকে জাহাজে করে তাদেরকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ইতালি। কিন্তু লিবিয়ায় নিয়ে অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয় তাদেরকে। সেখানে চলে অমানবিক নির্যাতন। খেয়ে না খেয়ে এক বছর কাটানোর পর গত ৯ মে তুলে দেওয়া হয় ভূ-মধ্যসাগরের রাবারের তৈরি বোটে। ২৫ জন ধারণ ক্ষমতার নৌকায় তোলা হয় ৫৭ জনকে।

মাছ ধরার জাহাজের পরিবর্তে রাবারের নৌকা দেখে উঠতে চাননি রুবেল। পারভেজের উপস্থিতিতে কয়েকজন লিবিয়ান (তার ভাষায় লিবি নাগরিক) তার মাথায় পিস্তল ধরেন। এরপর বাধ্য হয়েই তিনি রাবারের নৌকায় উঠেন। ঐ নৌকায় ৫৭ যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে সোমালিয়ার বাসিন্দা ছয় জন নারী ও ছয় জন শিশুও ছিল।

রুবেল জানান, লিবিয়া বিমানবন্দরে নামার পর তাদেরকে সশস্ত্র কিছু সেনা সদস্য নিজেদের গাড়িতে শুইয়ে বস্তা দিয়ে মুড়িয়ে পৌঁছে দেয় দালালের কাছে। সেই থেকে তারা দালাল পারভেজের নিয়ন্ত্রণে গেইম ঘরে ছিলেন।

রুবেল বলেন, ‘ইতালি পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বৈরাগীবাজার কাতলীপড়া গ্রামের রফিক মিয়াকে ৯ লাখ টাকা দিই বাবা-মার কাছ থেকে নিয়ে। সিলেট সুনমাগঞ্জ সড়কের পাশে চার শতক জমি বিক্রি করে ঐ টাকা তুলে দিয়েছিলেন দালালের হাতে। এখন তার পরিবার পুরোপুরি নিঃস্ব।

এদিকে তিউনেসিয়া থেকে দেশে ফেরত সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাগাওয়ের ছাইদুল ইসলাম জাবেরও রুবেলের সাথে একই বোটে ছিলেন এবং এর আগে একই নির্যাতনের শিকার হন। বিশ্বনাথ উপজেলার বৈরাগীবাজার কাতলীপড়া গ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়ার ছেলে পারভেজের মাধ্যমেই ইতালি যেতে বোটে উঠেছিলেন তিনি। এর আগে গেইম ঘরে নির্যাতনের শিকার হন। ছাইদুল ইসলাম ভবিষ্যতে আর কোনো তরুণকে দালালদের খপ্পরে পড়ে এই পথে পাড়ি না দেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, রুবেল ও ছাইদুল গত মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৫০মিনিটে তিউনিশিয়া থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর বিভিন্ন বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রাত ২টায় বাড়ি ফেরেন তারা।

   

ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর সদর ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শারমিন (৩০) ও নূর ইসলাম (৫৫) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার কালিপাল মধুপুর রাস্তার মাথায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ওমান প্রবাসীর স্ত্রী শারমিনের মৃত্যু হয়। এর আগে সকাল ১১টায় ছাগলনাইয়ার বল্লবপুর রাস্তার মাথায় সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নূর ইসলাম (৫৫) নিহত হন।

দুর্ঘটনায় নিহত শারমিন কুমিল্লার লাঙ্গলকোট গোর্টশাল গ্রামের প্রবাসী বেলালের স্ত্রী। অপরজন নূর ইসলাম ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলে করে লাঙ্গলকোট থেকে বারইয়ারহাট যাচ্ছিলেন বেলাল ও তার স্ত্রী শারমিন। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কালিপাল, মধুপর এলাকায় এসে পৌঁছালে সড়কের পাশে শাখা রাস্তা থেকে একটি মোটরসাইকেল এসে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন শারমিন। পরে তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই দিন সকালে ছাগলইয়া উপজেলার বল্লবপুর এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা ও টমটমের সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত হন।

নিহত শারমিনের স্বামী বেলাল হোসেন বলেন, আগামী মাসের ১৭ তারিখ আমার ওমান যাওয়ার ফ্লাইট। তাই কদিন বেড়ানোর জন্য আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বারইয়ারহাট বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিলাম। মহাসড়কের পাশের শাখা রাস্তা থেকে একটা নিয়ন্ত্রণহীন মোটরসাইকেল এসে আমাদের ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে আমার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আসিফ ইকবাল বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত একজন নারী ও একজন পুরুষের মরদেহ মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে বল্লবপুর রাস্তার মাথায় একটি সিএনজি অটোরিকশার সাথে ব্যাটারিচালিত টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত হয়েছে। নিহতের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত টমটমটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

;

কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম

কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদুল ফিতরে যাত্রীদের নিরাপত্তায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। চালু করা হয়েছে হটলাইন নম্বর। কন্টোল রুম থেকে যাত্রীরা যেকোনো আইনগত সহায়তার পাশাপাশি জাল টাকা সনাক্তকরণসহ বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করে র‍্যাব-৩।

একইদিন সন্ধ্যায় র‍্যাব-৩ অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাব-৩ অধিনায়ক আরিফউদ্দিন জানান, কমলাপুর রেলস্টেশনে স্থাপিত কন্টোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এখান থেকে সাধারণ যাত্রীরা সবধরণের সেবা নিতে পারবেন। বিশেষ করে যেকোনো আইনগত সহায়তা ছাড়াও জাল টাকা সনাক্তকরণ, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এছাড়া বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, শারীরিক প্রতিবন্ধী, অসুস্থ ব্যক্তি সহায়তা চাইলে সহায়তা করবে র‌্যাব সদস্যরা। তাছাড়া ঘরমুখো যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দ্রুত যাত্রীদের সহায়তা করা হবে। যেকোনো প্রয়োজনে র‌্যাবের হটলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। যার নম্বর- ০১৭৭৭-৭১০৩৯৯।

;

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আসন্ন পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাসের উদ্যোগে এলাকার মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।ক

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ঈদের আনন্দ সকলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা যদি পাঁচজনের মুখেও হাসি ফোটাতে পারি সেখানেই আমাদের সফলতা। ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। ক্ষমতা ভোগের বিষয় নয়।

তিনি বলেন, এবার ইফতারের অর্থ দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এ ধরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

সরকার সবসময় মানুষের পাশে আছে। মানুষের জীবন আরও সহনীয় করতে কাজ করছে। সরকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

;

নওগাঁয় নারী উদ্যোক্তাদের হাট বাজার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় নারীদের উদ্যোক্তা সংগঠন উইমেন্স অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট ‘উই টিম’ নওগাঁ’র উদ্যোগে অফলাইন মিটিং এবং হাটবাজার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) শহরের বৌ বাজার খলিফাপাড়ায় দিনব্যাপী এই হাটবাজারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যোক্তারা নিজের তৈরিকৃত পণ্যের পসরা নিয়ে বসে আছেন যেখানে আছে থ্রি পিস, বুটিকের তৈরি পোশাক, ছোট বাচ্চাদের পোশাক, গহনা, আংটি, চুড়ি, ওড়না ইত্যাদি।

হাটবাজারে স্টল দেওয়া উদ্যোক্তা ও উই গ্রুপের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শারমিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নারী উদ্যেক্তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের এই ব্যানারে সারাদেশে মেলা হচ্ছে। যেখানে দেশি পণ্যের প্রচার হবে, আমাদের ও প্রচার। যারা বাসায় বসে অনলাইনে সেল করে তারা অফলাইনেো সেল করতে পারছে। এতে উদ্যেক্তাদের জন্য খুবই ভালো হচ্ছে। যদি রোজা না হতো আমরা বাহিরে ৩ দিন ধরে মেলা করতাম।

ইসরাত জাহান চৈতি বলেন, আমাদের ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ খুবই ভালো ফল এনে দেয়। কারণ আমরা এখানে আসায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছি। অফলাইন-অনলাইন দুই মাধ্যমেই বিক্রি ভালো হচ্ছে। 

উদ্যোক্তা বিপাশা ভট্টাচার্য বলেন, এই ধরনের হাট বাজারের মাধ্যমে আমাদের প্রসারের সুযোগ রয়েছে। এতে পরিচিত বাড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসরিন লেজু বলেন, বাসার কাছেই এসে দেখি হাট বসেছে। এখনাএ দাম ও মান ভালো হওয়ায় পণ্য কিনতে পেরেছি।

এসময় উই গ্রুপের নওগাঁ প্রতিনিধি শারমিন, প্রতিনিধি তনুসহ অনেক উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;