ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে সাত দিনের প্রশিক্ষণ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
আইন অমান্যকারীদের মামলা দিচ্ছে পুলিশ, ছবি: বার্তা২৪

আইন অমান্যকারীদের মামলা দিচ্ছে পুলিশ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যানজট নিয়ে মহা চিন্তিত সংশ্লিষ্টরা। নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েও কোনোভাবেই যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। যানজট নিরসনে এবার ১৯ দফা সুপারিশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

এই দফাগুলোর মধ্যে মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ ঢাকা মহানগরে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করে উক্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী ড্রাইভারদের সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাত দিনব্যাপী রাস্তায় গাড়ি চালানোর আইন কানুন, শারীরিক ও মানসিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে বলা হয়েছে। অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও একইভাবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।

রাস্তায় ভিভিআইপি, ভিআইপিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সব সময় ট্রাফিক পুলিশ হিমশিম খায়। তাই সেটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ভিভিআইপি এবং ভিআইপি’র নাম বা গাড়ি ব্যবহারকারীর গাড়ি কোনভাবেই যেন উল্টো রাস্তা দিয়ে চলতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

ট্রাফিক আইন ভঙ্গের জরিমানার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যেসকল ব্যক্তিবর্গের গাড়িতে পতাকা এবং স্টিকার ব্যবহারের অনুমতি (ফ্লাগরুল, স্টিকার রুল এবং ভিআইপি রুল অনুযায়ী) রয়েছে তাদের গাড়ি ব্যতীত অন্য সকল গাড়ি থেকে ফ্লাগস্ট্যান্ড, স্টিকার এবং ভিআইপি হর্ন সরিয়ে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/22/1558536944848.jpg
যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে নগরবাসীর, ছবি: বার্তা২৪

এছাড়া ভিআইপিদের ব্যবহারের জন্য দুটি গাড়ি ব্যতীত অন্য সকল গাড়ি থেকে পতাকা স্ট্যান্ড নামিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। মহানগরের বাইরে শুধুমাত্র জেলা প্রশাসনের একটি গাড়ি ব্যতীত অন্য সকল গাড়ি থেকে পতাকা স্ট্যান্ড নামিয়ে ফেরার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ঢাকা শহরে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনয়নে ভূ-উপরিভাগের বর্তমান সুবিধা অক্ষুণ্ণ রেখে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের কোন ক্ষতি না করে বেসরকারিখাতের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পার্কিং ব্যবস্থা সৃষ্টির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উদাহরণ হিসেবে ঢাকা মোহামেডান ও সংলগ্ন ক্লাবগুলোর ভূ-উপরিভাগ খেলার জন্য উন্মুক্ত রেখে আন্ডার গ্রাউন্ড বহুতল পার্কিং ব্যবস্থা নির্মাণ। একইভাবে জীবন বীমার সামনের রাস্তা ও পার্কের নিচে, গুলিস্তান পার্ক, ওসমানী উদ্যান, শাহবাগ মোড় থেকে টিএসসি মুখী রাস্তার নিম্নভাগে, সাইন্সল্যাবের মাঠ, ঢাকা কলেজের মাঠ, নিউমার্কেটের পেছনে কাঁচা বাজারে নিচে, কলাবাগান স্টাফ কোয়ার্টারের নিচে, কলাবাগান ক্লাব সংলগ্ন শিশু পার্কের নিচে, আবাহনী খেলার মাঠ ও লালমাটিয়ার খেলার মাঠ সুপারিশ করা হয়েছে।

স্বল্পমেয়াদী সুপারিশ হিসেবে ঢাকা শহরের ক্রসিংমোড় এবং ইউটার্নগুলো যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ। শ্যামলী, নতুন বাজার, রামপুরা-হাতিরঝিল এর ন্যায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিএমপি কর্তৃক ইউ লুপ নির্মাণ এবং অপরাপর সংস্থা কর্তৃক রামপুরা-হাতিরঝিলের ন্যায় ভূমি উপরিভাগে ইউ লুপ নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/22/1558537137774.jpg
গরম ও তীব্র যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী, ছবি: বার্তা২৪



এছাড়া রয়েছে মিরপুর রোড, বিমানবন্দর রোড, সাতরাস্তা রোড, প্রগতি সরণি, সাতমসজিদ রোড এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে সকাল ৭ টা হতে ১০ টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৫ টা হতে রাত ১০ টা পর্যন্ত বাস বে-পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মধ্যমেয়াদী প্রকল্পের আওতায় গুলশান, বনানী, মহাখালী এলাকার আবাসিক ভবন থেকে বিভিন্ন অফিস, রেস্তোরাঁ, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পুরাতন লক্কড় ঝক্কর বাস তুলে দিয়ে নতুন পাবলিক বাস চালু করার সুপারিশ করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বুধবার (২২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ সচিব ও কাউন্সিল অফিসার আবু হাসনাত মো. মঈনউদ্দিন স্বাক্ষরিত কার্যপত্রে এসব সুপারিশ করা হয়। ওই কার্যপত্রের অনুলিপি বার্তা২৪.কম এর কাছেও রয়েছে।

এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘যানজটের বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ অবগত। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যাদের পার্কিং এর অনুমোদন নিয়েও পার্কিং ব্যবস্থা রাখেনি তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভাগের যোগাযোগ করতে বলেছি। এছাড়া স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী, দীর্ঘ মেয়াদী প্রস্তাব করা হয়েছে।'

   

বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশ, বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ মানুষের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশ, বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ মানুষের

বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশ, বছরে মৃত্যু পৌনে তিন লাখ মানুষের

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ উদ্বেগজনক মাত্রার দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। প্রতিবছর বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রেন্টমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ) রিপোর্টে এ তথ্য জানা যায়।

রিপোর্ট অনুযায়ী, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্ন মানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি এবং সীসা দূষণে বছরে দুই লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঘটে। পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশের মতো ক্ষতি হয়েছে। ঘরের ও বাইরের বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী।

বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না। শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সিইএ রিপোর্টে বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিকের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সীসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতি বছর ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানি ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ু দূষণ কমাতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই প্রতিবেদনের সহ-লেখক আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।

পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই রিপোর্টে পরিবেশগত অগ্রাধিকারসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ, পরিবেশ নীতি পদ্ধতিগুলোর বৈচিত্রাকরণ ও জোরদারকরণ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং সবুজ অর্থায়নের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ এর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে।

;

এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর

এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলমান প্রকল্পগুলো দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। 

এসময় তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতীয় গড় থেকে বেশি হলেও তা যথেষ্ট সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উবায়দুল মোকতাদির বলেন, প্রত্যেক দপ্তর ও সংস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় এমন কাজ করতে হবে। নিজের দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে অহেতুক বিলম্ব করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আগামী ৩০ জুনের আগেই প্রত্যেক দপ্তর বা সংস্থার এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য তিনি নির্দেশনা দেন।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সব দপ্তর ও সংস্থার চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি (ভৌত ও আর্থিক) তুলে ধরে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

সভায় মন্ত্রী বলেন, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নিজস্ব জনবলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কাজ যথাযথভাবে করতে হবে।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিয়া, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।

;

মদ বোঝায় পিক-আপ জব্দ, গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে ১ হাজার ৮৬৬ বোতল মদ বোঝাই পিক-আপ ভ্যান জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-১)। একই সঙ্গে মো. মাসুদ বিশ্বাস (৩৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮মার্চ) সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানান।

মাহফুজুর রহমান বলেন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-১) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বনানী থানাধীন এলাকায় ১ জন মাদক ব্যবসায়ী ১টি সাদা রং এর পিক-আপ ভ্যানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য বহন করে বনানী এলাকা থেকে গুলশান এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনানীর ব্লক-জি এর সামনে রাস্তার উপর হতে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মো. মাসুদ বিশ্বাসকে (৩৪), গ্রেফতার করা হয়।

এসময় আসামির নিকট হতে কেরুর তৈরি ১ হাজার ৮৬৬ বোতল বিলাতি মদ ও ১টি পিক-আপ ভ্যান এবং ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

;

চট্টগ্রামে ৬ কিশোর গ্যাংয়ের প্রধানসহ গ্রেফতার ৩৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়ে ছয় কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধানসহ ৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)।

বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


র‍্যাব জানায়, অভিযান চালিয়ে পাঁচলাইশ থানার ফরেষ্টগেইট রেল ক্রসিং এলাকা থেকে রুবেল গ্রুপের প্রধান রুবেলসহ ছয়, মোহাম্মদপুর এয়ার বিল টাওয়ার এলাকার বাচা গ্রুপের প্রধান বাচা সোহেলসহ পাঁচ, বায়েজিদ বোস্তামী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকা থেকে জনি গ্রুপের প্রধান জনিসহ পাঁচ, পাহাড়তলীতে ১২ কোয়ার্টার এলাকা থেকে সাজ্জাদ গ্রুপের প্রধান সাজ্জাদসহ সাত, সরাইপাড়া এলাকার সাকিব গ্রুপের প্রধানসহ ছয়, বিপুল গ্রুপের প্রধানসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‍্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন রকম চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ইভিটিজিং এর মতো অপরাধে এ কিশোর গ্যাং’র সদস্যরা জড়িত। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব ছয় কিশোর গ্যাং লিডারসহ ৩৩ জনকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের নামে নগরীর বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি এবং ডাকাতির আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

ঈদে নগরবাসীকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় র‍্যাবের সাদা পোশাকধারী সদস্যরা নিয়োজিত আছেন বলে জানান এই র‍্যাব কর্মকর্তা।

;