বিক্রয় নিষিদ্ধ প্রাণ গুঁড়া হলুদের ৫০ কেজি হলুদ জব্দ করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) মোবাইল কোর্ট টিম।
বুধবার (২২মে) রাজধানীর কাওরানবাজার কিচেন মার্কেট প্রাণের গোডাউনে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে সংরক্ষিত ৫০ কেজি গুঁড়া হলুদ প্রথমে জব্দ করে। তারপর জব্দ কৃত হলুদ ধংস করা হয়।
সম্প্রতি হাইকোর্ট কর্তৃক ঘোষিত প্রাণের গুঁড়া হলুদ, এসিআই পিওর সল্ট এবং বাঘাবাড়ী ঘিসহ মোট ৫২টি পণ্য বিক্রি এবং বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। এরপর বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ প্রাণের গুঁড়া হলুদের উৎপাদনের লাইসেন্স স্থগিত করে। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের পণ্যগুলো বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় বিএসটিআই।
প্রতিষ্ঠানগুলো বিএসটিআইয়ের নিয়ম সঠিকভাবে পালন করছে কিনা সে লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট এবং সার্ভেইলেন্স টিমের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছে সংস্থাটি।
একই দিন যাত্রাবাড়ী আমের আড়তে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে ৫০ মণ আম জব্দ করে। এরপর আমগুলো ধ্বংস করা হয়। আর নির্দিষ্ট সময়ের আগে আম বাজারজাতকরণের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১৮ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর ১৫ নম্বর ঘাটে নোঙ্গররত ফিশিং বোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ কাজ করছে কোস্ট গার্ড জাহাজ প্রমত্ত।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কোস্ট গার্ড জানায়, দুপুর ১২টার দিকে কর্ণফুলী নদীর ১৫ নম্বর ঘাটে নোঙ্গররত ফিশিং বোটে আগুনের খবর পেয়ে তাদের একটি জাহাজ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এখনো আগুন নির্বাপন করা যায়নি।
‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
জাতীয়
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব বলেছেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীরা মেধা ও দক্ষতায় বিকশিত হয়ে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হতে হবে। তোমরা নিজের ও পরিবারের উন্নয়নে কাজ করবে এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে কুষ্টিয়া জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে যারা ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন, সেসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২২’ প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্যগণের কৃতি সন্তান হিসেবে তোমাদেরকে ভবিষ্যতে আরও কৃতিত্ব অর্জন করতে হবে। বাবা-মার স্বপ্ন বাস্তবায়নে, কঠোর পরিশ্রম ও সাধনা করতে হবে।’
তিনি সবার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা ও সর্বাঙ্গীন মঙ্গল করেন।
তিনি আশা করেন, এই সংবর্ধনা শিক্ষার্থীদের মাঝে আরও বেশি করে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের জন্য উজ্জীবিত ও প্রস্তুত হবে বলে মনে করেন তিনি। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফলতার চূড়ান্ত শিখরে অবস্থান করবে বলেও অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তির ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও সম্মানী তুলে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৯ জন ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১ জন মোট ১০ জনকে এই মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
নোয়াখালীর চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও সুবর্ণচর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায় কয়েকটি নতুন রাস্তা পাকাকরণ কাজে ও পুরোনো সড়ক সংস্কারকাজে সিডিউল বহির্ভূত ভাবে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এর মধ্যে রয়েছে, চাটখিল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের এম হোসেন পাটেয়ারী মার্কেট থেকে ধর্মপুর প্রথমিক বিদ্যালয় সড়ক। ধর্মপুর প্রথমিক বিদ্যালয় থেকে চিল্লার দীঘির পাড় সড়ক। এখানে একটি প্যাকেজে পাঁচটি সড়কের ১ হাজার ৯৫৪ মিটার নতুন সড়ক পাকাকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে ।
সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৪ মিটার নতুন সড়ক পাকাকরণের কাজের কার্যাদেশ পান মেসার্স রিয়া এন্ড স্বাদ ব্রাদার্স। এটি ঠিকাদার বাহার কোম্পানীর মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ অনুযায়ী জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটির প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কিন্ত রাস্তা নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের ইট, ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া সড়কে চারটি কালভার্ট নির্মাণেও একেবারে নিম্নমানের ইট ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে ব্যবহার করা হয়। তবে ঠিকাদার বাহার কোম্পানী অভিযোগ নাকচ করেন।
অপরদিকে, সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের আমকি থেকে থানারহাট পর্যন্ত ২৯৭০ মিটার সড়ক সংস্কার কাজে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রেটার নোয়াখালী প্রজেক্ট প্রকল্পের এ কাজটি করছে মেসার্স এম এন ট্রেডাস। এর প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় ঠিকাদার মাহমুদুল হক রনি। ঠিকাদার রনি বলেন, দুটি গাড়ির ইটের খোয়া খারাপ ছিল। এরপর তারা ভালো সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়।
জেলার সুবর্ণচর উপজেলায় ৪টি নতুন সড়ক পাকাকরণে ও দুটি সড়ক সংস্কারে সিডিউল বহির্ভূত ভাবে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সংস্কার সড়ক গুলো হলো, সুবর্ণচর উপজেলার থানার হাটের ষ্টীল ব্রিজ থেকে হাজীপুর সড়ক। এ সড়কটির ২ হাজার ৫০০ মিটার সড়ক সংস্কারে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিওবি ম্যানটেনেজ প্রকল্পের এ কাজটি করছে জেলার কোম্পানীগঞ্জের ঠিকাদার মো.মাওলা। তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স জননী এন্টার প্রাইজ। এ প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ঠিকাদার মাওলা বলেন, একটি গাড়ির খোয়া ভুলে ইট ভাটা থেকে দেওয়া হয়। এ ছাড়া পুরো সড়কে ভালো ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়।
সুবর্ণচর বর্ডার থেকে থানার হাট স্ট্রিল ব্রিজ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৫৬ মিটার সড়ক সংস্কারে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি পিচ ঢালাইয়ে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। নিয়ম অনুসারে সড়ক পরিষ্কার করে প্রাইম কোট দিয়ে পিচ ঢালাইয়ের কাজ হওয়ার কথা। তা না করে শেষ করা হয়েছে কার্পেটিংয়ের কাজ। জিওবি ম্যানটেনেজ প্রকল্পের কাজটি করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাহীন ট্রেডার্স। সড়কে কাজের তদারকিতে থাকা সুবর্ণচর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের ল্যাব টেকনিশিয়ান সাইফুল ইসলাম দুলাল জানান, কাজটি করছে ঠিকাদার শিহাব উদ্দিন শাহীন। তবে এ বিষয়ে ফোনে কাজের মান সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠিকাদার শিহাব উদ্দিন শাহীন কাজটি তিনি করছেন না বলে জানান। তবে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেন কাজটি করছেন ঠিকাদার শিহাব উদ্দিন শাহীন।
সুবর্ণচর উপজেলায় নিন্মমানের কাজ হওয়া নতুন সড়ক গুলো হলো, উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আনছল হক সড়ক। এ সড়কের ১হাজার মিটার নতুন রাস্তা নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটি ১ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনির আহমদ ট্রেডার্স। ঠিকাদার মনির চেয়ারম্যান অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, সব ধোক্কা অভিযোগ।
করক্লার্ক ইউনিয়নের নোমানিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার সামনের জাফানি সেন্টার থেকে এমপি প্রজেক্ট পর্যন্ত ১হাজার মিটার সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটি প্রায় ৭৫-৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে ফিরোজ আহমদের মালিকানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোকেয়া কনস্ট্রাকশন। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ঠিকাদার ফিরোজের মুঠোফোনে কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলার ১নং চর জব্বর ইউনিয়নের ফিরিঙ্গি চৌরাস্তা থেকে নুরু পাটেয়ারী হাটের আগ পর্যন্ত ১হাজার মিটার সড়ক নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া,ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। জিএনপি-৩ প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ঠিকাদার হুমায়ন। এ বিষয়ে ঠিকাদারের প্রতিনিধি কিরণ দাবি করেন, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের কর্মকর্তারা দেখেছেন আমরা মানসম্পন্ন সামগ্রী দিয়ে কাজ করছি। তাদের কোনো অভিযোগ নেই।
সুবর্ণচরের চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের কাটাবুনিয়া গ্রামের আনছার আলীর বাড়ির দরজা থেকে ছিদ্দিক মেম্বারের বাড়ির দরজা পর্যন্ত ৪২৫ নতুন সড়ক পাকাকরণে নিম্নমানের এজেন্ট, ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদার মো.মঞ্জুর রহমান। ঠিকাদার মো.মঞ্জুর বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে কোনো অভিযোগ নেই। আমি ভালো কাজ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাটখিল উপজেলা প্রকৌশলী মো.রাহাত আমিন পাটোয়ারী বলেন, নিন্মমানের কাজ করার কোনো সুযোগ নেয়। সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রকৌশলী মো.এমদাদুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর নিম্নমানের ইটের খোয়া অপসারণ করে নেওয়া হয়। সুবর্ণচর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, নিম্নমানের কাজ করে থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
সেশনে আইপিইউ’র প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী সেশনে বক্তব্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ২৩ মার্চ ২০২৪ তারিখে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
তিনি বলেন, এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।
স্পিকার বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমস্ত এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়।
এসময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম, এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।