প্রস্তুত সিলেটের বিপনী বিতানগুলো

ঈদ বাজার



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সিলেটের ব্যবসায়ীরা। এরইমধ্যে বিভিন্ন মার্কেট সাজানো হয়েছে রঙিন আলোয়। তুরণ নির্মাণ করা হয়েছে মার্কেটের প্রধান ফটকে। সব মিলিয়ে ঈদের আমেজ বইতে শুরু করেছে সিলেটের বিপনী বিতানগুলোতে।

১৪ রমজান থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মার্কেটগুলো খোলা রাখছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের অপেক্ষায় সময় পার করছেন তারা।

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, নয়াসড়ক, কুমারপাড়ার বিপনী বিতানগুলো মূলত কেনাকাটার প্রধান হাট। শ্রেণীভেদে ক্রেতারা এসব মার্কেট থেকে কেনাকাটা করে থাকেন।

নগরীর জিন্দাবাজারে ঈদের বাজার করতে আসা শামসুল-সালমা দম্পতি জানান, একটু আগে ভাগেই বাজার শেষ করে নিতে চান। আগে কেনাকাটা করতে আসলে ঈদ উপলক্ষে বাজারে আসা নতুন কালেকশন দেখে পছন্দ করে নেওয়া যায়।

নগরীর শুকরিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম জানান, সিলেটে মূলত প্রবাসী নির্ভর অর্থনীতি। ফলে ঈদ এলেই প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠান। সেই টাকা দিয়ে কেনাকাটা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসীরা খুব একটা ভালো নেই। তবুও মার্কেট জমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ জানান, ঈদ আনন্দের। সারা বছর দুটি ঈদের জন্য ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় থাকেন।

তিনি আরও বলেন, সিলেট চেম্বার শুরু থেকেই ফুটপাত দখলমুক্ত করে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ব্যবসার সুযোগ করে দেয়ার আবেদন জানিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে সিলেট চেম্বার সব সময় সজাগ ছিলো। চেম্বার সভাপতি এবারো ব্যবসায়ীদের ভালো ব্যবসা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

   

‘ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া আদায় করলে সেই পরিবহন চলাচল বন্ধ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের ঈদযাত্রায় আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহন যদি বাড়তি ভাড়া নেয়, সেটির প্রমাণ যদি আমরা পাই, তবে সেই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা। এছাড়াও নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মহাসড়ক-সড়ক পথে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

জাতীয় পাটির সাবেক সংসদ সদস্য রাঙ্গা বলেন, ঈদযাত্রায় সম্ভাব্য কোন এলাকায় যানজট বা ব্লক তৈরি হতে পারে, সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার ঈদযাত্রায় হাইওয়েতে ড্রোনের সহায়তা নিচ্ছি। ড্রোনের সহায়তায় চিত্র দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারব। হাইওয়ের অনেক রাস্তা চার লেন হচ্ছে। কোথাও কোথাও হয়ে গেছে। এখন রাস্তায় যদি কোনো যানবাহন তাৎক্ষণিক অকেজো হয়ে পড়ে, তাহলে সেটি সরানো সহজ হবে। ক্রুটিপূর্ণ কোনো যানবাহন যাতে ঈদে সড়কে না নামে, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

সভায় বিজিএমইএ; বিকেএমইএ; চেয়ারম্যান/জেনারেল সেক্রেটারি, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন; মহাসচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি; সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন; সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন; সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি; চেয়ারম্যান/জেনারেল সেক্রেটারি, ঢাকা বাস-ট্রাক ওনার্স গ্রুপ; সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি; সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, বাস মালিক সমিতিসহ হাইওয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

;

বরিশালে পাঁচ ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বন্দরে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে অভিযান পরিচালনাকারী বরিশাল গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবু আবদুল্লাহ খান জানান, নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে বাটাজোর বন্দরে অভিযান চালিয়ে মূল্য তালিকা না থাকা ও বেশি দামে পণ্য বিক্রির অপরাধে পাঁচ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানকালে বরিশাল গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে বাজার নজরদারীর অংশ হিসেবে বরিশাল নগরীর কয়েকটি বাজারে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর মজুমদার ও মো. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। এসময় তারা পোট রোড বাজার ও রুপাতলী বাজার এলাকায় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ভাউচার না রাখায় এবং নির্ধারিত মূল্যের অধিক পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে ৫টি মামলায় ৫ জন বিক্রেতাকে ২২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া নির্ধারিত মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়।



;

ডলার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে চরম সংকটে স্টিল শিল্প



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে ডলার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে চরম সংকটে পড়েছে স্টিল শিল্প। ডলার সংকটের কারণে স্টিলের কাঁচামাল সাপ্লাই ব্যাহত হচ্ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় ইকোনোমিক রিপোটার্স ফোরামে ‘ডলার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে স্টিল শিল্পের চরম সংকট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন’।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডলার সংকটের কারণে স্টিলের কাঁচামাল আমদানির জন্য দেশের ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছে না। এতে স্টিলের কাঁচামাল কম আসছে এবং কাঁচামালের সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হচ্ছে। স্টিল শিল্পে কাঁচামাল, কেমিক্যাল ও যন্ত্রাংশের ৮৫ শতাংশ আমদানি নির্ভর। বর্তমানে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য ৮৫ টাকা থেকে প্রায় ১২৫ টাকায় উঠেছে। এতে আমাদের চলতি মূলধনে ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে এবং অধিক মূলধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি, জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, এলসি কমিশন বৃদ্ধি, এলসি মার্জিন বৃদ্ধি, ডিসকাউন্টিং ব্যাংকের মাধ্যমে ডিসকাউন্টিং রেইট বৃদ্ধি, এস ও এফ আর প্লাস রেইট বৃদ্ধি, কাস্টম ডিউটি, ভ্যাট, ট্যাক্স এবং অন্যান্য চার্জ বৃদ্ধির কারণেও চলতি মূলধনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, ডলার মূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে স্টিল উৎপাদনকারীদের চলতি মূলধন ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন হওয়ায় ব্যাংকে গ্রাহক ঋণসীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। গত বছর বিদ্যুতের মূল্য প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িয়েছে এবং এবার বাড়িয়েছে ১০ শতাংশ। ডিমান্ড চার্জের ওপরও মূল্য ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে। বিদ্যুতের মূল্য ধাপে ধাপে আরও বাড়ানো হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়। বিদ্যুতের এই মূল্যবৃদ্ধি স্টিল সেক্টরে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

আরও বলা হয়, গত বছরে গ্যাসের দাম প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কিউবিক ঘনমিটার গ্যাস ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা হয়েছে, যার ফলে স্টিল উৎপাদনে প্রতিটনে প্রায় ৩ টাকা অতিরিক্ত খরচ বেড়েছে।

মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আয়কর আইনের মৌলিক-নীতি হচ্ছে প্রকৃত আয়ের ওপর আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মূল্যায়নের ভিত্তিতে আয়কর নির্ধারণ করা। বর্তমানে বাজেটে ২ শতাংশ উৎস কর কর্তন মাত্রাতিরিক্ত এবং স্টিল সেক্টরের প্রকৃত মুনাফার সঙ্গে এর কোন সামাঞ্জস্য নেই। এই ২ শতাংশ কোন মূল্যায়িত কর নয়। এটি হলো ন্যূনতম কর। কোন প্রকার আয় বা মুনাফা ব্যতীত উৎপাদনকারীকে আয়কর প্রদান করতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদনকারীরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপের জন্য আমদানি পর্যায়ে টন প্রতি ৫০০ টাকা ন্যূনতম অগ্রিম আয়কর প্রদান করতে হয়। ন্যূনতম শর্তের কারণে এই আয়কর সমন্বয় বা ফেরতযোগ্য নয়।

সম্মেলন শেষে স্টিল শিল্প রক্ষার্থে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চলতি মূলধনের যে ৪০ শতাংশ ঘাটতি হয়েছে তা পরিশোধের জন্য স্বল্পমেয়াদি ঋণকে ১২ বছর পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি ঋণে রূপান্তর করা।

>> বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্ষয়ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য এলসি সুবিধা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা।

>> স্টিল শিল্পের জন্য ব্যাংকে বর্তমান গ্রাহক ঋণসীমা গণনার ক্ষেত্রে বর্তমান ১৫ শতাংশ হতে বাড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্লান্টের ন্যায় ২৫ শতাংশ হারে নন-ফান্ডেড দায় গণনার বিষয় বিবেচনা করা।

>> বিদ্যুতের নতুন দাম ফেব্রুয়ারি মাসের পরিবর্তে মার্চ হতে কার্যকর করা। ভারী শিল্প পর্যায়ে বাল্ক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের শিল্পকারখানা সমূহ চলমান রাখার স্বার্থে ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনে এক্ষেত্রে বিদ্যুতের যে মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে তা বৃদ্ধি না করা। বিদ্যুতের ডিমান্ড চার্জের ক্ষেত্রে ২৯ ফেব্রুয়ারির প্রজ্ঞাপনে যে ন্যূনতম চার্জ বৃদ্ধি করা হয়েছে তা বৃদ্ধি না করা।

>> স্টিল সেক্টরের জন্য উৎসে কর কর্তন ২% এর পরিবর্তে ০.৫০% নির্ধারণ করা। স্টিলের কাঁচামাল ক্র্যাপের জন্য আমদানি পর্যায়ে ন্যূনতম অগ্রিম আয়কর টনপ্রতি ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা।

>> শিল্প মন্ত্রণালয়ের সি এম সনদ ফি বৃদ্ধি সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন বাতিল করা এবং সি এম সনদ ফি টার্নওভারের ভিত্তিতে নির্ধারণ না করে নির্দিষ্ট করে দেওয়া।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার গ্রুপ, বি এস আর এম, সালাম স্টিলসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় স্টিল শিল্পের কর্ণধারগণ। এমন পরিস্থিতিতে স্টিল শিল্পকে রক্ষার লক্ষ্যে খাতটিকে সুরক্ষা দেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।

;

জবি শিক্ষার্থী মীমের অভিযোগে তদন্ত চলছে: ডিবি প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকির বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীমের করা অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব জানান তিনি।

হারুন অর রশীদ, জবি শিক্ষার্থী মীম সোমবার (১৮ মার্চ) একটি অভিযোগ করেছে। এর ভিত্তিতে আমাদের সাইবারের একটি টিম কাজ করছে। অভিযোগকারী মীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, আমরা জবি ভিসির সঙ্গে কথা বলেছি। ভিসি মহোদয় অনেক কথা বলেছেন, অভিযোগের অনেক বিষয়ের অনেক কিছুই আমাদের হাতে নেই।

প্রশাসনিক বিষয়গুলো আমরা সমাধান করতে পারবোনা জানিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, তাকে (মীম) কেন বার বার ফেল করানো হচ্ছে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখবে। তবে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল বা হুমকি দেওয়ার বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করছি।

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পাচ্ছেন জবির ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম।

আতঙ্কিত হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন ও বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভুগী এই শিক্ষার্থী।

;