খণ্ডকালীন আনসার চলেন দামি গাড়িতে, থাকেন পাঁচ তারকা হোটেলে

ইয়াবা ব্যবসা



শাহরিয়ার হাসান, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মোরশেদ আলী ও মীর কাশেম (ডানে), ছবি: বার্তা২৪.কম

মোরশেদ আলী ও মীর কাশেম (ডানে), ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের খণ্ডকালীন আনসার সদস্য। পাশাপাশি করছেন ইয়াবা ব্যবসা। আর এই ইয়াবা ব্যবসার বদৌলতে কোটিপতি বনে গেছেন তিনি।

যেখানে কিছুদিন আগেও তাকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হত, মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনি এখন দামি গাড়িতে চলেন। ইয়াবা চালান নিয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় উড়ে এসে, পাঁচ তারকা মানের হোটেলে ছাড়া থাকেন না।

বলছিলাম, রাজধানীর উত্তরা এস এ পরিবহনের অফিস থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনায় আটক মীর কাশমের (৩১) কথা।

আটক করার পর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের সম্পর্কে এসব তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

র‍্যাবের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মীর কাশেম একজন নিয়মিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তিনি কক্সবাজার জেলার খণ্ডকালীন আনসার সদস্য হলেও ২০১৫ সাল বা তারও আগে থেকে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

এর আগে ২০১৫ সালে রাজধানীতে ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মীর কাশেম। পরে জামিনে বেরিয়ে এসে আবার একই কাজে জড়িয়ে পড়েন।

র‍্যাব বলছে, একবার জামিনে বেরিয়ে এসে মীর কাশেমের দৌরাত্ম আরো বেড়ে যায়। তিনি সপ্তাহে একাধিকবার কক্সবাজার থেকে ঢাকায় যাতায়াত করেন। তিনি যতবার কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসেন ততবারই ইয়াবার চালান নিয়ে আসেন।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আরো জানান, কাশেম নিজে বার বার বিমানে যাতায়াত করলেও কখনও ইয়াবা বহন করতেন না। বিভিন্ন মাধ্যম, বিশেষ করে কুরিয়ার সার্ভিস ছিল তার ইয়াবা চালান আনার প্রিয় মাধ্যম।

সর্বশেষ (১৯ মে) শুক্রবার এসএ পরিবহনের মাধ্যমে এক লাখ পিস ইয়াবার চালান আনতে গিয়ে র‌্যাবের হাতে আটক হন মীর কাশেম। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন সহযোগী মোরশেদ আলী।

কাশেম নিজের সম্পর্কে র‍্যাবকে জানান, রাজধানীতে এসে তিনি দামি গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়ান। তাছাড়া ঢাকাতে অবস্থান করলে, পাঁচ তারকা মানের হোটেলে থাকেন। ইয়াবার অবৈধ অর্থে অনেকটাই বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন কাশেম।

বিগত পাঁচ/ছয় বছরে এই ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এস এ পরিবহন থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় আটক মীর কাশেম ও মোরশেদ আলী চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন।

তাদের এই ইয়াবা সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্ক অনেক শক্তিশালী। আমরা আরো জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানের মধ্যেও এই সিন্ডিকেট ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিলেন। তবে কেউই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাবেন না।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ মে থেকে ব্যাপক হারে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। এ সময় থেকে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের আইনের আওতায় আনার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থারা।

এসব অভিযানে র‍্যাব-পুলিশের সঙ্গে সরাসরি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৩৬২ মাদক ব্যবসায়ী ও গডফাদার। আত্মসমর্পণ করেছেন প্রথম সারির ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী।

   

৮'শ টাকার জন্য গুলি করে বন্ধুকে খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
৮'শ টাকার জন্য গুলি করে বন্ধুকে খুন

৮'শ টাকার জন্য গুলি করে বন্ধুকে খুন

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের টেকনাফের নাজির পাড়ায় আটশত টাকার জন্য বন্ধুর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত এগারোটার দিকে কক্সবাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মারা যান তিনি।

নিহত যুবক উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল খালেকের ছেলে মুহাম্মদ জোবায়ের (৩০)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহত যুবকের ভাই মুহাম্মদ সাত্তার।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকায় ৮০০ টাকার জন্য একই এলাকার বাসিন্দা জাগির হোছনের পুত্র নজুমুদ্দিন জোবায়েরকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানান, ২ দিন আগে সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া গ্রামের জাগির হোছনের পুত্র নজুমুদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র জোবায়েরের মধ্যে টাকার লেনদেন নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার রেশ ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নজুমুদ্দিনের নেতৃত্বে জোবায়েরের বাড়িতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই জোবায়েরের মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায় নজুমুদ্দিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, এবিষয়ে পুলিশের একটি টিম কাজ করছে এবং জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

;

চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় লেগুনাচালকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী ট্রাকের ধাক্কায় লেগুনাচালকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলার মইজ্জ্যার টেক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত লেগুনন চালকের নাম মো. আবদুল হান্নান (৩০)। তিনি পটিয়ার উপজেলার আকবর হোসেনের ছেলের।

সাইফুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি হান্নানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সাইফুদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, মইজ্জ্যার টেক এলাকায় লেগুনাটি ইউটার্ন নেওয়ার সময় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি পণ্যবাহী ট্রাকে ধাক্কা লাগে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় লেগুনা চাকলকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসক দেখে মৃত ঘোষণা করেন। শুনেছি ট্রাকচালককে পুলিশ আটক করেছে। ওই লেগুনাতে কোনো যাত্রী ছিল না।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় হান্নান নামে একজনকে মেডিক্যালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রেরণ করলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

;

দুই বউ মুখোমুখি, স্বামী পালালেন কচুরিপানার তলায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ বছর আগের বউ রেখে সাত মাস আগে ফের বিয়ে করেছিলেন। দুই বউ মুখোমুখি হতেই শুরু হয় ঝগড়া। আর এমন পরিস্থিতিতে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। অনেক খুঁজেও সন্ধান না মেলায় খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে একাই উঠে পালান ওই ব্যক্তি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলের দিকে সাভারের হেমায়েতপুরের চলন্তিকা হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিকেল ৫টার পরপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উঠে পড়েন তিনি।

ওই ব্যক্তির নাম রাজু। তিনি চলন্তিকা হাউজিং এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্ত্রী শিমুকে নিয়ে চলন্তিকা হাউজিং এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে শরীফা নামে আরেক নারী এসে দাবি করেন, তার সঙ্গে রাজুর পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছে। এক পর্যায়ে তিনজনের মধ্যে ঝগড়া বেধে যায়। এরই জেরে রাজু দৌড়ে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় ঝাঁপ দেন। স্থানীয়রা তাকে খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। তবে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে রাজু একাই উঠে পালিয়ে যান। 

রাজুর দ্বিতীয় স্ত্রী শিমু বলেন, আমি ওয়াশরুমে ছিলাম। বের হয়ে দেখি এক মহিলা আমার স্বামীর হাত ধরে টানাটানি করছে। তার দাবি সে আমার স্বামীর স্ত্রী। আমি আমার স্বামীকে ছাড়াতে গেলে সে সেখান থেকে দৌড়ে কচুরিপানা ভর্তি ডোবায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর ৯৯৯ -এ কল দিয়ে ফায়ার সার্ভিস ডাকা হলে সে নাকি উঠে চলে যায়। তবে বাসায় আসেনি।

সাভার ট্যানারি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মনজুরুল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তবে স্থানীয়রা জানান, সে একাই উঠে চলে গেছে। তাই ফিরে আসি। 

;

কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়ক: ঈদ উপলক্ষে পুরোদমে চলছে সংস্কার কাজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৬৪৩ কোটি ব্যয়ে পুরোদমে চলছে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত করণ ও সংস্কার কাজ। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) মেহেরপুরে গাংনী উপজেলার পোড়াপাড়া অংশে পাথর-বিটুমিনের আস্তরণ দেওয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ সড়কটি পেতে যাচ্ছে এক নতুন রূপ। এছাড়াও জনপ্রশাসনমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার একটি বড় অংশ ফোরলেনে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।

মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) তত্ত্বাবধানে মেহেরপুরের মেসার্স জহিরুল লি. এ সড়কের তিনটি প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে। মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে গাংনী উপজেলার তেরাইল কলেজ পর্যন্ত এ তিনটি প্যাকেজের কাজ পুরোদমে চলমান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরাজীর্ণ গাড়াডোব থেকে বাশবাড়ীয়া পর্যন্ত অংশে বিটুমিন ও পাথরের আস্তরণ দেওয়া শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। 

জানা গেছে, সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করছে মেসার্স জহিরুল লি.। আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে বিটুমিন ও পাথরের মিশ্রণ এবং যন্ত্রের মাধ্যমেই নির্মাণ করা হচ্ছে সড়ক। যার ফলে দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে সড়ক সংস্কার কাজ।

সংস্কারকাজ তদারকিকালে মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহীন মিয়া বলেন, বেজ কোর্সের কাজ চলমান আছে। এ কাজটি আমরা দুই লেয়ারে করে থাকি। যার থিকনেছ ১১০ মিলিমিটার। এ কারণে এটি দুই লেয়ারে করতে হবে।

ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্নে করতে সবচেয়ে বেশি জরাজীর্ণ অংশের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে কুষ্টিয়া ত্রিমোহনী পর্যন্ত চলমান এ সংস্কার কাজের মেহেরপুর জেলার অংশ প্রায় ৩০ কিলোমিটার। সংস্কার ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৫০ ভাগের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজের মান নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

জানা গেছে, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে তিনটি প্যাকেজের কাজ পূর্ণ গতিতে চলমান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগামী ডিসেম্বরে পুরো কাজ সম্পন্ন বলে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সওজ প্রকৌশলীরা।

গাংনী উপজেলার গাড়াডোব থেকে বাশবাড়ীয়া পর্যন্ত অংশের কাজের প্রথমে বিদ্যমান কার্পেটিং তুলে ফেলা হয়। সেখানে বেজ ওয়ান হিসেবে পাথর আর বালুর মিশ্রণ দিয়ে রুলার করা হয়েছে। এরপরে বেজ কোর্সের কাজ হিসেবে বিটুমিন আর পাথর দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে এর উপরে আরও একবার চূড়ান্তরুপে পাথর আর বিটুমিনের আস্তরণ দেওয়া হবে। 

এদিকে রাস্তা সংস্কার কাজ দ্রুত চলমান থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এ সড়কে চলাচলকারীরা। যানবাহন চালকরা বলেন, সড়কটিতে যানবাহন চালাতে গিয়ে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। তাছাড়া খানাখন্দে ভরা সড়কটি এক প্রকার দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবেই চিহ্নিত ছিল। সংস্কার কাজের মাধ্যমে রাস্তা যেমনি প্রশস্ত হচ্ছে, তেমনি কয়েক লেয়ারে পাথর ও বিটুমিনের আস্তরণে চলাচল হচ্ছে নির্বিঘ্নে। যা পথচারীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে।

এদিকে মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে আলমপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকা ফোরলেনে উত্তীর্ণ হচ্ছে। বিদ্যমান প্রকল্পে কলেজ মোড় থেকে গাংনীর দিকে প্রায় এক কিলোমিটার ফোরলেন ছিল। এছাড়াও গাংনী শহরে প্রায় চার কিমি এবং বামন্দী বাজারে প্রায় এক কিমি ফোরলেন রয়েছে। পরবর্তীতে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার পুরো অংশ ফোরলেনের অনুমোদন হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ডিও লেটারে এ অভাবনীয় কাজটি অনুমোদিত হয়েছে। শিগগিরই এর নতুন টেন্ডার হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফোরলেনের কাজটি শুরু হবে। তবে পর্যায়ক্রমে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী পর্যন্ত পুরো সড়কটি ফোরলেনে উত্তীর্ণ হবে বলে আশার কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী।

;