রাজশাহী বোর্ডে মাধ্যমিকে ঝরে গেল ২৭ হাজার শিক্ষার্থী



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, রাজশাহী/ছবি: বার্তা২৪

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, রাজশাহী/ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে বিনামূল্যে নতুন বই, উপবৃত্তিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার। তবুও লেখাপড়ায় মনোযোগী রাখা যাচ্ছে না শিক্ষার্থীদের। রাজশাহী বোর্ডের অধীনস্থ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় আশঙ্কাজনকহারে ঝরে পড়ছে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী। নবম শ্রেণিতে সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন করলেও তারা অংশ নিচ্ছে না এসএসসি পরীক্ষায়।

তবে বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন- নতুন চালু হওয়া স্কুলগুলো ভুয়া শিক্ষার্থীদের নাম রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিজেদের স্কুলের সক্রিয়তা দেখানোর চেষ্টা করছে। ফলে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে কম পরীক্ষার্থী। আর রাজশাহী অঞ্চলে এখনও উল্লেখযোগ্য হারে বাল্যবিবাহ হওয়ায় মেয়েরা ঝরে পড়ছে বেশি।

তবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ মুখে এমন দাবি করলেও ঝরে পড়া ঠেকাতে স্কুলভিত্তিক মনিটরিং কমিটি গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছে তারা। আর শিক্ষাবিদরা বলছেন- সরকার ঝরে পড়া ঠেকাতে যে উদ্যোগগুলো হাতে নিয়েছে, তা প্রত্যন্ত অঞ্চলে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করে ২ লাখ ৬ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী। তবে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯০৯ জন। ফলে এক শিক্ষাবর্ষেই ঝরে পড়েছে ২৭ হাজার শিক্ষার্থী। গত বছর রাজশাহী বিভাগে স্কুল বেড়েছে ৩৩টি। আর শিক্ষার্থী বেড়েছে সাড়ে ৩৪ হাজার।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আনারুল হক প্রামাণিক বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, এই অঞ্চলে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় এখনও ব্যাপকহারে বাল্যবিবাহ হচ্ছে। ফলে গ্রামের বেশিরভাগ মেয়েদের ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। তারা রেজিস্ট্রেশন করলেও চূড়ান্ত পরীক্ষায় আর অংশ নিচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি উল্লেখ করার মতো কারণ হলো- চলতি বছর টেস্ট পরীক্ষায় যারা পাস করেনি, তাদের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। আর নতুন স্কুলগুলো পাঠদানের অনুমোদন পাওয়ার জন্য ভুয়া শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন দেখায়। ফলে কাগজে-কলমে এতো ভয়াবহ অবস্থা উঠে আসছে।

রাজশাহী জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলোতে আসলে পড়াশোনা নিয়ে কী হচ্ছে, তা দেখভালের কেউ নেই। শিক্ষা অফিসের পক্ষে তা মনিটরিং করাও সম্ভব হয় না। আমি মনে করি- দ্রুত এলাকাভিত্তিক সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের নিয়ে স্কুল স্কুলে মনিটরিং কমিটি গঠন করা জরুরি।

জানতে চাইলে উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, খবরের কাগজে পড়ি সরকার এই সুবিধা, সেই সুবিধা দিচ্ছে। হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য। আমি বলি- তা কী যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাচ্ছে? যদি তা না হয়, তবে জেলা, উপজেলা প্রশাসন কী করছে?

তিনি আরও বলেন, ঝরে পড়ার দায় তো শুধু শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষকদের ওপর বর্তায় না। সরকারের প্রণোদনা পৌঁছানো, বাল্যবিবাহ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ ও সচেতন করার দায়িত্ব সরকারি পয়সায় বেতন নেওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। তবেই সবাই সচেতহন হবে, ঝরে পড়া কমবে বলে আমি মনে করি।

   

টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টেকনাফের বাহারছড়ায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি দল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া ইউনিয়নস্থ কচ্ছপিয়া ঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালীন কচ্ছপিয়া ঘাট সংলগ্ন ঝাউবনে কতিপয় ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্ট গার্ড এর আভিযানিক দল কর্তৃক তাদেরকে টর্চ লাইট ও বাঁশির মাধ্যমে থামার সংকেত প্রদান করা হয়। তারা কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঝাউবনের অভ্যন্তরে ১টি বস্তা ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত বস্তাটি তল্লাশী করে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা ও ১টি দেশীয় অস্ত্র (রাম দা) জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্র পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

;

জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথার ওপর বৈশাখের কাঠফাটা রোদ। সেটি উপেক্ষা করে ২০ বাই ২০ হাতের চতুর্ভুজ আকৃতির রিংয়ের চারপাশ ঘিরে অসংখ্য দর্শকের হৈ-হুল্লোড়। রেফারির বাঁশি বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো শক্তির লড়াই। দাঁতে দাঁত চেপে, মাথায় মাথা লাগিয়ে শুরু হলো বাঘা শরীফ ও রাশেদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই।

ঘামে ভিজে, রোদে পুড়ে অস্থির। তবু যেন ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’। কিন্তু থামতে যে হবেই! ৩১ মিনিটেও কেউ কারও পিঠ রিংয়ের বালুতে ছোঁয়াতে পারেনি। তবে শেষমেশ আর না পেরে হার মেনে নেন রাশেদ বলী। এর মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক এই বলীখেলা পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন।

১১ রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে রেফারি বাঘা শরীফের হাত উঁচিয়ে বললেন, ‘ওই এবারের আবদুল জব্বার বলীখেলার চ্যাম্পিয়ন’। মন ভাঙলেও মেনে নেন কুমিল্লারই আরেক বলী রাশেদ।

একটা সময় জব্বারের বলীখেলা মানেই ছিল কক্সবাজারের দিদার বলীর হাতে ট্রফি। রেকর্ড ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন দিদার ২০১৭ সালে অবসরে যাওয়ার পর থেকে আসল দ্বৈরথটা হচ্ছে জীবন ও শাহজালালের মধ্যে। ২০১৯ সালের বলীখেলায় ফাইনালে জীবনকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলেন শাহজালাল। পরেরবার শিরোটা পুনরুদ্ধার করেন জীবন। এরপর গতবার শোধ নেন জীবন। তবে এবার দুজনেই নাম প্রত্যাহার করেন।

যুবসমাজকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। সময়ের ব্যবধানে লালদীঘির মাঠে বসা ‘জব্বারের বলীখেলা’ হয়ে উঠেছে এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ। শুধু কি তাই? বলীখেলাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলাটিও বসে এখানে। কিন্তু করোনার থাবা এই আনন্দ-উৎসব থামিয়ে দিয়েছিল ২০২০ সালে। এরপর গত বছরও এই মেলা হয়নি একই কারণে। এবারও ঐতিহাসিক এই আয়োজনের ভবিষ্যৎ ঝুলছিল সুতার ওপর। শেষ পর্যন্ত সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় তিন বছর পর বলীখেলা দেখল নগরবাসী।

এবার আবদুল জব্বারের বলীখেলায় অংশ নিতে ৮৪ জন বলী নিবন্ধন করেন। তাদের মধ্যে ২৫ বছরের তরুণ যেমন ছিল, তেমনি ছিলেন ৭০ বছরের বলীও। প্রথম রাউন্ডে শখের বশে খেলতে আসা বলীরা অংশ নেন। এরপর হয় চ্যালেঞ্জ রাউন্ড। এই রাউন্ড থেকেই জয়ী হয়ে বাঘা শরীফ, রাশেদ, রাসের ও সৃজন চাকমা যান সেমিফাইনালে।

সেমিফাইনাল শেষে ফাইনালে মুখোমুখি হন বাঘা শরীফ ও রাশেদ। ফাইনালে দুই দুরন্ত বলীর লড়াইয়ে এক প্রস্থ নাটকও হলো। ২০ বাই ২০ হাতের চতুর্ভুজ আকৃতির রিংয়ে শক্তির লড়াইয়ে কেউ কাউকে ফেলতে পারছিলেন না। দুজনের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাক্কাধাক্কিও হলো।

পিঠ নিচে ফেলতে না পারলেও অবশ্য বাঘা শরীফ বারবারই পরাস্থ করেন রাশেদতে। খেলার ১১ মিনিটের মাথায় রাশেদ বলে উঠতে না পেরে সরে দাঁড়ান।

কুমিল্লার হোমনা বাসিন্দা বাঘা শরীফ মাংস বিক্রেতা। কাজের ফাঁকে যে টুকু অবসর মিলে তার পুরোটা দেন বলীখেলায়। কুমিল্লার অন্যতম সেরা বলী হিসেবে পরিচিতি আছে তার। সেজন্য তার নাম হয়ে দাঁড়ায় বাঘা শরীফ।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাঘা শরীফ বলেন, প্রথমবারের মতো অংশ নিলাম। আর প্রথমবার অংশ নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হলাম। যারা সুযোগ করে দিয়েছেন। সামনের আসরগুলোতে আরও শিরোপা চাই।

;

দুই দপ্তরের অনাদায়ী অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুই দপ্তরের অডিট আপত্তির বিরুদ্ধে নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এই দুই দপ্তরের অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির প্রমাণক সাপেক্ষে নিষ্পত্তিসহ অনাদায়ী অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২য় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ এমপি। কমিটির সদস্য ফয়জুর রহমান, মো. মুজিবুল হক, মো. জাহিদ মালেক, ফজিলাতুন নেসা, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নূর মোহাম্মদ, আখতারউজ্জামান, এস. এ. কে একরামুজ্জামান, মো. রেজাউল হক চৌধুরী ও মো. নজরুল ইসলাম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্ট নম্বর ৩৫/২০২১ এ অন্তর্ভুক্ত অডিট আপত্তির অনুচ্ছেদ নং- ০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮ এবং ০৯ এর বিষয়ে আলোচনা ও প্রমাণক সাপেক্ষে নিষ্পত্তিসহ অনাদায়ী অর্থ আদায়পূর্বক সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের রিপোর্টভুক্ত অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তিগুলোর মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিষ্পত্তির জন্য প্রমাণকসহ মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে প্রেরণের পরে সিএজি কর্তৃক নিষ্পত্তির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সিএজি কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, খাদ্য অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সিজিডিএফ কার্যালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

এক দিনের ব্যবধানে আরও কমল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দাম এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিল বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে স্বর্ণের দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।

;