সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে দুই বছরে বার্তা২৪.কম



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
উবায়দুল হক, ছবি: বার্তা২৪.কম

উবায়দুল হক, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতার মাপকাঠিতে ভর করেই তৈরি হয় সংবাদ। বর্তমানে প্রতি মিনিট বা মুহূর্তের আপডেটের জন্য সবার ভরসার মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাইন গণমাধ্যম। আর সেই গণমাধ্যম যদি হয় বাংলাদেশে অনলাইন সাংবাদিকতার জনকের হাতে গড়া, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। ‘বিসমিল্লাহ বলে শুরু পথচলা’ দিয়ে যাত্রা শুরু যে গণমাধ্যমের, সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে আজ সেটি এক বছরের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

বলছিলাম আমার অনলাইন সাংবাদিকতার হাতেখড়ি, প্রাণের প্রতিষ্ঠান বার্তা২৪.কমের কথা। দেশের দু’দুটি শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রতিষ্ঠার পর ডিজিটাল গণমাধ্যমের সফল স্বপ্নদ্রষ্টা আলমগীর হোসেন নতুন চ্যালেঞ্জ নিলেন ‘বাংলার, বাঙালির সংবাদ সারথী-বার্তা২৪.কম’ নিয়ে। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে বার্তা২৪.কমকে গড়েছেন মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজপোর্টাল হিসেবে।

তার বদৌলতেই আমার অনলাইন সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার শুরু হল। স্বপ্ন ছিল একদিন দেশের প্রথিতযশা সাংবাদিকের সঙ্গে কাজ করব। হঠাৎ সেই স্বপ্ন ধরা দিল আমার ভুবনে। একজন আলমগীর হোসেনের বদান্যতায় তৃণমূলের এই আমি আজ দেশের প্রথম সারির অনলাইন নিউজপোর্টালের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট। শুকরিয়া আল্লাহর কাছে, অশেষ কৃতজ্ঞতা বার্তা২৪.কমের ‘প্রাণভোমরা’ আলমগীর হোসেনের প্রতি।

Barta

মফস্বলে অনলাইন সাংবাদিকতা। তিনটি শব্দের এ বাক্যটি শুনলেই অনেকের চোখ বুঝি রীতিমত কপালে ওঠার অবস্থা। সেক্ষেত্রে গণিত বিভাগে অনার্স সম্পন্ন করা আমি চ্যালেঞ্জ নিলাম, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করব অনলাইন সাংবাদিকতায়।

যে চিন্তা-ভাবনা সেই মোতাবেক কাজ। বার্তা২৪.কমের জন্য আমি দৌড়েছি ময়মনসিংহের এক মাথা থেকে আরেক মাথায়। আমার মোবাইল ফোনের কি-বোর্ড কখনও হয়ে উঠেছে এক প্রকার ল্যাপটপ, আবার এই মোবাইল ফোনেই ধারণ করেছি ভিজ্যুয়াল দৃশ্য। বার্তা২৪.কমকে বলা হচ্ছে, একের ভেতর দুই। অনেকেই নিউজ পড়ছেন, চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন। আবার অসাধারণ সব ভিডিওতে হারিয়ে যাচ্ছেন গভীরে।

যেমন মা দিবসে আমার একটি ভিডিও স্টোরি দেখে বেশ কয়েকজন ফোন করে শুভ কামনা জানালেন। তারা বলেছেন, ভিডিও স্টোরিটি দেখে তারা ছোটবেলায় হারিয়ে গেছেন। মাকে অনুভব করেছেন হৃদয়ের সবটুকু উষ্ণতায়।

টেলিভিশনে রিপোর্টিং করার প্রবল ইচ্ছা নিয়েই মূলত আমার সাংবাদিকতায় আসা। কিন্তু চাইলেও সেই সুযোগটা কখনও হয়ে ওঠেনি। তবে দেশের প্রথম ও জনপ্রিয় মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজপোর্টাল বার্তা২৪.কম সেই সুযোগটা আমাকে করে দিয়েছে।

এখানে একাধারে আমি অনলাইন পোর্টালের জন্য রিপোর্ট ও টেলিভিশনের মত করে পিটিসিসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ করতে পারছি, যা ছিল আমার চাওয়া। এক্ষেত্রে টেলিভিশনে কাজ করতে না পারার যে আক্ষেপ আমার মনে ছিল সেটি অনেকাংশেই কমে গেছে। সেজন্যই বার্তা২৪.কম হচ্ছে একের ভেতর দুই। আমার স্বপ্নে পূর্ণতা দেওয়া গণমাধ্যম।

আমার প্রাণের প্রতিষ্ঠান বার্তা২৪.কমের প্রথম বর্ষপূর্তিতে মনে পড়ছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা বিমল পালের গল্পগাথা। যেটি তুলে ধরেছিলাম আমাদের এই মাল্টিমিডিয়ায়। একজন বিমল পাল দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে পথে-প্রান্তরে এবং স্কুলে ঘুরে ঘুরে তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে কাজ করছেন। তার এমন মহৎ কাজকে ছড়িয়ে দিতে আমি তাকে নিয়ে রিপোর্ট ও প্যাকেজের মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করি।

প্যাকেজটি ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার হবার পর বিমল পাল কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বার্তা২৪.কমের প্রতি। আলাপচারিতায় তার একটি কথা আমার মনে গেঁথে আছে। তিনি বলেছিলেন-এখন মানুষ টিভির চেয়ে অনলাইনমুখী বেশি। চলার পথে ও ব্যস্ততার শেকলবন্দী জীবনে মানুষের টিভি দেখার ফুসরত হয়ে ওঠে না।

তাই টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও কিন্তু বেছে নিয়েছে অনলাইনকেই। বার্তা২৪.কম যেমন একটি রিপোর্ট ফেসবুকে বা ইউটিউবে প্রচার করে, টিভি চ্যানেলগুলোও একই কাজ করছে। কারণ দর্শক এখন অনলাইনমুখী।

বার্তা২৪.কম শুধু কি এলিট শ্রেণীর গণমাধ্যম? বিষয়টি অবশ্যই তেমন নয়। খেটে খাওয়া মানুষের স্বপ্ন সাধ মেটানোর অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে বার্তা২৪.কম। বিশেষ করে অনলাইন সাংবাদিকতার রূপকারের নির্দেশনায় আমরা সেই বিষয়টিই বারবার আঁচ করতে পেরেছি এবং সেই মোতাবেক সম্পূর্ণভাবে নিজেদের নিয়োজিত করেছি মাঠ সাংবাদিকতায়।

কিছু কথা না বললেই নয়। উদাহরণ দেব বার্তা২৪.কমে আমার প্রকাশিত আরও কয়েকটি সংবাদের। যেসব সংবাদের শিরোনাম যেমন ছিল আকর্ষণীয়, তেমনি গভীর আবেদনও ছিল। সংবাদগুলো প্রকাশে অনেকের জীবন ঘুরেছে, আবার অনেকে ফিরেছেন স্বাভাবিক জীবনে। আবার অনেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার স্বপ্নে দিন গুজরান করছেন।

একদিন আমার কাছে খবর এল, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন হাশেম নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি। এক সময় তার ছিল সবকিছু, কিন্তু এখন তিনি সব হারিয়ে নিঃস্ব। শেকলবন্দি হয়ে কাটছে তার জীবন।

তাকে নিয়ে বড্ড অসহায় তার বৃদ্ধ বাবা। তার নিদারুণ কষ্ট আর জীবনের গল্প তুলে আনলাম বার্তা২৪.কমে। অতঃপর নজরে এল স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লীরা তরফদারের। তিনি তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর ব্যবস্থা করলেন।

ব্রহ্মপুত্র পাড় ঘেঁষা জয়নুল উদ্যানে একদিন হাঁটতে হাঁটতেই চোখে পড়ল বয়স্ক একজন মানুষের অন্যকম জীবনযুদ্ধ। কৌতূহল নিয়ে এগিয়ে গেলাম তার কাছে। জমে গেল আলাপচারিতা।

তিনি জানালেন, তার জীবনের অনন্য সংগ্রামের কথা। তার নাম আব্দুল আজিজ। সংসারে স্বচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও গৌরীপুরে নিজের বাড়ি ছেড়ে ময়মনসিংহ থাকেন শুধু স্বনির্ভর থাকার জন্যই। তাকে নিয়ে করা আমার স্টোরিটি ময়মনসিংহে প্রশংসিত নিউজের মধ্যে অন্যতম।

Barta

সাধারণত সাংবাদিকতার প্রাণ ধরা হয় মাঠ সাংবাদিকতাকে। তৃণমূল সংবাদকর্মীকে বলা হয় সংবাদের ফেরিওয়ালা। যেহেতু সংবাদেরই পেছনে ছুটে চলাই আমাদের কাজ। এক্ষেত্রে আমাদের প্রতি সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, ভিন্নধর্মী ‘এক্সক্লুসিভ’ সংবাদ তুলে আনার। পাঠকের দৃষ্টি নিবদ্ধ করার।

মাত্র মাস দু’য়েক আগের ঘটনা। এক রাতে নগরীর টাউনহল থেকে সানকিপাড়া বাসার দিকে ফিরছিলাম। হঠাৎ এগিয়ে আসা এক রিকশাচালকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। এসময় আলাপচারিতায় তিনি জানালেন, তার সংগ্রামী জীবনের দিনলিপি। জানালেন, তার এক ছেলে পড়াশোনা করছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে আর আরেক মেয়ে অনার্সে পড়ছেন মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজে। সংসারের খরচ আর সন্তানদের স্বপ্নপূরণ করতে দিনে কৃষি কাজ ও রাত হলেই রিকশা নিয়ে ঘোরেন শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা। তাকে নিয়ে করা সংবাদটি বার্তা২৪.কমে প্রকাশ হলে পাঠক মহলের দৃষ্টি কাড়ে।

মানসিক ভারসাম্যহীন সোহেলের কথা কি মনে আছে? নামটি অবশ্যই ময়মনসিংহবাসীর জন্য খুবই পরিচিত। সাংবাদিক-পুলিশ মিলে তার জীবন পাল্টে দিয়েছিলেন। আর তাদের অসাধারণ ভালো উদ্যোগের খবর প্রথম সচিত্র প্রতিবেদন এবং ভিডিও স্টোরি করে বার্তা২৪.কম।

যেটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও। বার্তা২৪.কমের খবরের সূত্র ধরেই চার বছর পর মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকটি ফিরে পায় তার পরিবারকে। তিনি এখন সুখে স্বচ্ছন্দেই জীবন কাটাচ্ছেন। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই এমন খবরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বার্তা২৪.কম।

এবার বার্তা২৪.কমকে আরও বেশি দেবার পালা। একজন বটবৃক্ষ আলমগীর হোসেনের আশীর্বাদ আর মানসিক জোরই আমাদের এগিয়ে চলার শক্তি। জয় হোক বার্তা২৪.কমের। রৌদ্রোজ্জ্বল হোক এই মাল্টিমিডিয়ার সামনের দিনগুলো। অশেষ ধন্যবাদ বার্তা২৪.কমের পাঠকমহলকে।

   

চট্টগ্রামে এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে বন্ধ করে দিলেন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ‘হল ২১’ নামের কমিউনিটি সেন্টারে এই বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করা হয়।

জানা যায়, বর-কনে পক্ষের লোকজন বিয়ের আয়োজন করেন চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর গ্রামের ‘হল ২১’ কমিউনিটি সেন্টারে। খবর পেয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী মেয়ের বয়স কম হওয়ায় বিবাহ বন্ধ করে দেন। দুই পরিবারের লোকজন স্থানীয় চেয়ারম্যানকে মুচলেকা দেওয়ার অঙ্গীকারে ছেলে ও মেয়েকে বিয়ের আসর থেকে সরিয়ে নেন।

এসিল্যান্ড পিযুষ কুমার বলেন, সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছ থেকে চরপাথরঘাটায় একটি বাল্যবিবাহের খবর জানতে পেরে স্যারের নির্দেশে এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে মুঠোফোনে নিষেধ করে বিবাহ বন্ধ করার নির্দেশ দেই। অন্যতায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এ দুই পরিবারকে আইনের আওতায় আনা হবে।

;

দশ হাজার টাকার জন্য বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় টাকা না দেয়ার আব্দুল কাদের (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে ছেলে। এই ঘটনার পর থেকে ছেলে আরিফ হোসেন (২০) পলাতক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল কাদের ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৬ ছেলের বাবা, ঘাতক আরিফ হোসেন সবার ছোট ছেলে।

ফুলবাড়িয়া থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত আব্দুল কাদের ৬ ছেলের বাবা। ঘাতক আরিফ হোসেন সবার ছোট। সে প্রায়ই টাকার জন্য বাবাকে চাপ দিতেন ও নির্যাতন করতেন। সম্প্রতি বাবার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল কিনে আরিফ। আরিফ মাঝে মাঝে নেশা করতেন। ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে আরিফ হঠাৎ করে ১০ টাকার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে। টাকা না দিলে বাড়ি ঘর ভাঙচুর করবে বলে জানায়। এতে ভয়ে বাবা আব্দুল কাদের আলাদা বাড়ি করা বড় ছেলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

বড় ছেলেকে বিষয়টি জানালে বাবাকে অভয় দিয়ে বাড়িতে দিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বাবা আব্দুল কাদের আবারও ভয়ে তার বড় ছেলের বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আরিফ পিছন থেকে বাবার পেটে-পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এসময় আব্দুল কাদের চিৎকার দিলে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল কাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফুলপুর থানার ইনচার্জ ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ছেলে আরিফ ঘটনার পর থেকে।

;

থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, প্রকৌশলী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, প্রকৌশলী নিহত

থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, প্রকৌশলী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ঢুকে যায়। এ ঘটনায় সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র একজন প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন।

নিহতের নাম মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী। তিনি সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সামনে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে নিরাপত্তা বাইন্ডারিতে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস। 

তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। এ সময় রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল এভিশনের সিনিয়র সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটি রাইদা পরিবহনের বাসে নিচে চলে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

তিনি বলেন, নিহতের মরদেহের সুরতহাল চলছে এখন। সুরতহাল শেষে নিয়ন্ত্রণ মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনায় জড়িত বাসের চালক, হেলপার পালিয়ে গিয়েছে। তবে বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

;

রাজধানীর শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে, রোগীর স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা শিশু হাসপাতালে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালের নিচে অপেক্ষা করছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এরআগে দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার।

হাসপাতালের পঞ্চম তলায় কার্ডিয়াক বিভাগে থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আগুনের কারণে ঢাকা শিশু হাসপাতালের ভেতরে ধোঁয়ায় অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে গেছে। সে কারণে হাসপাতালের ওপরের তলাগুলোর অনেক রোগীকে নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে।

;