অভিযুক্তদের তালিকা প্রস্তুত

বহিষ্কার আতঙ্কে ছাত্রলীগ নেতারা



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছাত্রলীগের লোগো

ছাত্রলীগের লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে স্পষ্ট বিভক্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। পদপ্রাপ্ত ও পদ বঞ্চিত এই দুই গ্রুপের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি স্লোগান, হাতাহাতি, সংঘর্ষ, ক্ষোভ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে ছাত্র রাজনীতির আতুরঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে।

তবে উত্তেজনা প্রশমনে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। তারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিতর্কিতদের যেমন অভিযোগ প্রমাণ হওয়া সাপেক্ষে বহিষ্কার করার ঘোষণা দিয়েছেন ঠিক তেমনি সংগঠনে শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদেরও বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন। এই অবস্থায় বহিষ্কার আতঙ্ক বিরাজ করছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মাঝে।

সম্মেলনের দীর্ঘ ১ বছর পরে গত সোমবার (১৩ মে) ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। কমিটি প্রকাশ হবার পরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্রলীগের বিশাল একটি অংশ। কয়েকজন পদপ্রাপ্ত নেতাও অবমূল্যায়নের অভিযোগ তুলে কমিটি থেকে তাৎক্ষণিক পদত্যাগ করেন।

পদবঞ্চিতদের অভিযোগ- বিতর্কিত এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন হত্যা-চেষ্টা মামলার আসামি, মাদকসেবী, বিএনপি-জামায়াত ও রাজাকার পরিবারের সন্তান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিতে যুক্ত, বিবাহিত, সংগঠনে নিষ্ক্রিয় এবং অছাত্ররাও। সে তুলনায় ত্যাগী ও যোগ্যদের মূল্যায়ন করা হয় নি।

অন্যদিকে পদপ্রাপ্তরা জানান- ছাত্রলীগ একটি বিশাল সংগঠন। এই সংগঠনের মাত্র ৩০১ সদস্যের কমিটিতে সবাইকে স্থান দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই কিছু মানুষের মধ্যে ক্ষোভ-হাতাশা থাকাটাই স্বাভাবিক কিন্তু তার ফলে কেউ যদি দলীয় ফোরামে সেসব অভিযোগ আলোচনা না করে ছাত্রলীগের সুনাম নষ্টের জন্য শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে সেটাও শাস্তিযোগ্য।

এভাবেই নিজেদের বক্তব্য নিয়ে রাজপথ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সবখানেই মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুই গ্রুপের অনুসারী সমর্থকার। ছাত্রলীগের সাবেকরাও তাতে অংশ নেন। এমন অবস্থায় মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের নারী নেত্রীদের উপর হামলার ঘটনাকে ‘সামান্য ঘটনা’ বলে মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। হানিফের বক্তব্যের পর আরো ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রলীগের এক অংশ। মানববন্ধনের মাধ্যমে তারা হানিফের কাছে তার বক্তব্যের জন্য কৈফিয়ত চান। এদিকে পরিস্থিতি মূল্যায়নে বুধবার (১৫ মে) গণভবনে শোভন-রাব্বানীকে ডেকে নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণভবনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য এস এম কামাল হোসেন, ছাত্রলীগের বিদায়ী সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।

গণভবনের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, প্রকাশিত কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে সোহাগ-জাকির আপত্তি তুলে জানান, তাদের অনুসারীদের কমিটিতে পর্যাপ্ত স্থান দেওয়া হয় নি। এ সময় শেখ হাসিনা তাদের প্রশ্ন করেন, তাহলে কি তাদের কমিটিটাই (সোহাগ-জাকির) আবার পুর্নবহাল করে দিতে চান তারা? চুপষে যান দুজনেই। অন্যদিকে শোভন-রাব্বানী কমিটি গঠনে সোহাগ-জাকিরের অসহযোগিতার কথাও তুলে ধরেন।

এসময় শেখ হাসিনা তাদের কাছে কমিটিতে স্থান পাওয়া বিতর্কিতদের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ত্যাগী নেতাদের ছাত্রলীগের পদে দেখতে চেয়েছিলাম, আমদানিকৃতদের নয়।’ আওয়ামী লীগ সভাপতি বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে দ্রুত সংশোধিত কমিটি প্রকাশের নির্দেশ দেন শোভন-রাব্বানীকে।

এরপর টনক নড়ে শোভন-রাব্বানীর। রাতে ধানমন্ডি ৩/এ তে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের চার নেতার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বিতর্কিত নেতাদের একটি তালিকা তৈরি করে শোভন-রাব্বানী জানান, অভিযোগ প্রমাণ স্বাপেক্ষে তাদের বহিষ্কার করা হবে। আবার শৃঙ্খলাভঙ্গের সঙ্গে যুক্ত কাউকেও ছাড় দেওয়া হবে না।

তালিকা প্রকাশের পর অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি তাদের পদ নিয়ে আতঙ্কে আছে। আবার কেউ কেউ বিতর্ক এড়াতে পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অছাত্রত্বের অভিযোগের শিকার সহ সভাপতি বরকত হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘আমি চলে গেলে যদি আমার প্রাণের সংগঠন শুদ্ধ হয় আর প্রাণের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হয় তাবে তাই হোক।’

অন্যদিকে বিক্ষোভের সঙ্গে যুক্ত থাকা কয়েকজন নেতা-কর্মী বার্তা২৪.কমকে বলেন, কমিটিতে ত্যাগী ও যোগ্যদের মূল্যায়ন করা হয় নি। আমরা তাই নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেছি। অথচ এখন বলা হচ্ছে দলীয় ফোরামের কথা। কমিটির পর তো দলীয় ফোরামের কোন মিটিং ডাকা হয় নি। তাহলে বহিষ্কারের কথা আসবে কেন?

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা অনেক যাচাই বাছাই করে কমিটি গঠন করেছিলাম, তারপরও যেহেতু কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে তাই আমরা স্বপ্রণোদিত হয়েই তাদের একটি তালিকা তৈরি করে ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করে অন্যদের মূল্যায়ন করা হবে। আর যারা হামলা, ভাংচুর করে সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে তাদেরকেও চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হবে। কোন ছাড় দেওয়া হবে না।’

   

রাতের আঁধারে শিক্ষার্থীদের ক্লাস, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজ নামে বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ক্লাস করাতে গিয়ে ছয় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গোপন রেখে অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের কালিয়াকৈর সদরের রুমাইসা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের একটি ক্লাস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের পরিবার সূত্র জানায়, সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের রাতের আঁধারে ক্লাস করানো হচ্ছিল। এসময় তীব্র গরমে ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় তাদের পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল ও কলেজের পরিচালক মো. সোহাগ রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ভেতরে ক্লাস চলছিল। কিছুক্ষণ পর গরমে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

;

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে টুটুল হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর দুই আরোহী মিলন হোসেন (২৫) ও জাব্বারুল (১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে নিহত টুটুলের মরদেহ উদ্ধার করে ও আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত টুটুল আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইলস কিনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে মহেশপুর গ্রামে ফিরছিলেন টুটুলের পিতা ইলিয়াস। পথে ভালাইপুর বাজারের অদূরে টাইলসবাহী গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে ইলিয়াস ছেলে টুটুলকে ফোন দিয়ে ডাকেন। টুটুল মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে মিলন ও জাব্বারুলকে নিয়ে ভালাইপুরের উদ্দেশে বের হন। পথে হাটবোয়ালিয়া সড়কের খোরদ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি লাটাহাম্বারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিলন হোসেন ও জাব্বারুল নামের দুই যুবক জরুরি বিভাগে আসে। আহতদের মধ্যে মিলনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং জাব্বারুলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

দেশে ফিরল সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় নিহত রাকিব হোসেন (২৪) নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিহতের মরদেহ বেনাপোলে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

নিহত রাকিব বেনাপোল বন্দর থানার ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।

এর আগে, গত ৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রডের নিচে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিন সিঙ্গাপুরে মারা যান।

নিহত রাকিবের চাচা মিলন হোসেন জানান, গত ৩ এপ্রিল রাকিব কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় রড চাপায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান জানান, সংসারের হাল ধরতে এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছিল। সে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতো। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে ভবনের উপরে তোলার সময় তার ছিঁড়ে রডের নিচে চাপা পড়ে রাকিব। পরে তাকে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা এবং সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২০ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে সে মারা যায়।

বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি সে সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছে। তার মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাতে দেশে আনা হয়েছে।

;

প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায়, যুবক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি সংরক্ষিত মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের লাল মিয়া মাঝি বাড়ি থেকে নুরুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

নুরুল ইসলাম সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৮ িনম্বর ওয়ার্ডের শ্যামেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর স্বামী আমেরিকা প্রবাসী। ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি মোবাইলে সমস্যা দেখা দিলে ভিকটিম মোবাইল ঠিক করতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের আরডি শপিং মলে যায়। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম নিজেকে মোবাইল মেকানিক পরিচয় দিয়ে গৃহবধূর মোবাইল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নেয়। একপর্যায়ে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ ও ভিকটিমের মোবাইল ফোনের গ্যালারি থেকে ব্যক্তিগত ছবি কৌশলে তার মোবাইলে ট্রান্সফার করে নিয়ে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, এরপর ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভিকটিম সম্মানহানির ভয়ে ও তার সংসার টিকানোর জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। এতে সে সন্তুষ্ট না হয়ে বাকি আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় ভিকটিমকে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নুরুল ইসলাম ভিকটিমের ছবি ও নাম ব্যবহার করে টিকটক আইডি খুলে ব্যক্তিগত ছবি ছেড়ে দেয়। বিষয়টি ভুক্তভোগীর নজরে আসলে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি ও তার নাম এবং ছবি ব্যবহার করা টিকটিক আইডি সংরক্ষিত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;