অগ্নি ঝুঁকিতে সচিবালয়!



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সোমবার সচিবালয়ে মহড়া চালায় ফায়ার সার্ভিস, ছবি: বার্তা২৪

সোমবার সচিবালয়ে মহড়া চালায় ফায়ার সার্ভিস, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ অধিকাংশ মন্ত্রীর কার্যালয় রয়েছে। সারাদেশের মানুষ যখন তাকিয়ে থাকে, অগ্নি ঝুঁকি আর ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাসে কী সিদ্ধান্ত আসে এই প্রাণকেন্দ্র থেকে, তখন কে ভেবেছে এই সচিবালয়ই অগ্নি ঝুঁকি ও ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে!

সচিবালয়ে আট থেকে নয়টি ভবন রয়েছে। কোনোটিই পাঁচ তলার নিচে নয়। এর মধ্যে ছয় নম্বর ভবন ২০ তলা। সোমবার (১৩ মে) এই ভবনে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক সচেতনতামূলক মহড়া চালায় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। কীভাবে বহুতল ভবনে আগুন লাগলে বা ভূমিকম্প হলে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায়, সেসব বিষয়ে সচেতন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর তত্ত্ববধানে চলে এই মহড়া।

অগ্নি ঝুঁকিতে সচিবালয়!

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন মহড়া সম্পর্কে বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রত্যেক মাসে এ ধরনের মহড়া হলে প্রত্যেকটা ভবনে সুরক্ষিত ও অগ্নি নিরাপত্তা জোরদার করা যাবে। মহড়া প্রতিনিয়ত করা হলে অগ্নি ঝুঁকি কমে যাবে। আর আগুন লাগলেও তারা নিজেরাই নির্বাপণ করতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে আমরা অন্যান্য ভবনেও করব।

ছয় নম্বর ঝুঁকিপূর্ণ কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহড়া করার কিছু উদ্দেশ্য আছে। আমরা এর আগে প্রত্যেক ভবনে সার্ভে করে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। এই মহড়ার পরে আবারো চিঠি দিয়ে দুর্বলতাগুলো জানিয়ে দেব। অবশ্যই দুর্বলতা আছে। আমরা সার্ভে করে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে দেব।

অগ্নি ঝুঁকিতে সচিবালয়!

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলেন, বহুতল একটা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটলে আমাদের ব্রনটু এব টিটিএল গাড়ির প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু সেই গাড়ি সব গেট দিয়ে ঢোকে না। এটা এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা। তাছাড়া সচিবালয়ের ওয়াকিং ব্রিজ বাধা। সব গেটে গাড়ি ঢোকে না। পূর্ব দিকে এবং জাতীয় প্রেসক্লাব দিকের গেটে ঢোকে। এই বাধাগুলো জানিয়ে দেব।

তাহলে সচিবালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কি-না প্রশ্নে তিনি বলেন, এভাবে তো বলা যাবে না। কিন্তু কাজ করতে কিছু প্রতিবন্ধকতা তো আছেই।

মহড়ায় যেব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে ছিল- টু হুইলার, ওয়াটার মিক্স, ফোর হুইলার, ওয়াটার মিক্স, পানিবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, এমার্জেন্সি টেন্ডার, রেসকিউ টিম, ফাস্ট এইড টিম।

   

বরিশালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস উপলক্ষ্যে বানারীপাড়া উপজেলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বানারীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন এর পাশাপাশি রমজান মাস উপলক্ষ্যে কাজলাহার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বানারীপাড়া নির্বাহী অফিসার অন্তরা হালদার, বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মোঃ রবিউল হাসান ভূঁইয়া।

এ সময় জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম আশ্রয়ণ বাসিন্দাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন এবং পাশাপাশি বাসিন্দাদের বিভিন্ন বিষয় খোঁজ খবর নেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, পবিত্র মাহে রমজানের উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অসহায় হতদরিদ্রদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর কার্যক্রম জেলার সকল উপজেলার অব্যাহত থাকবে।

 

;

আইপিইউর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ বুববার (২৭ মার্চ) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি' উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য রাখেন।

এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

;

ফটিকছড়িতে সেপটি ট্যাংকে পড়ে ‍শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে সেপটি ট্যাংকে পড়ে ‍শিশুর মৃত্যু

ফটিকছড়িতে সেপটি ট্যাংকে পড়ে ‍শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সেপটি ট্যাংকে পড়ে মো. রোহান (৫) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে উপজেলার আজাদীবাজার এলাকার রনজুরহাট সংলগ্ন অলি আহমদ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত শিশু রোহান ওই এলাকার প্রবাসী মো. শাহজাহানের ১ম সন্তান এবং রোহান স্থানীয় এক মাদ্রাসায় নুরানি বিভাগের শিক্ষার্থী।

নিহত রোহানের আপন মামা মো. আব্বাস বলেন, আমার বোনের পার্শ্ববর্তী ফুফু শাশুড়ির ঘরে টয়লেটের সেপটি ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য ট্যাংকির ঢাকনি তুলে সেখানে প্লাস্টিক দিয়ে ডেকে রাখা হয়। ভাগনে রোহান বেশিরভাগ সময় ওই ঘরেই থাকে। আজকে দুর্ভাগ্যবশত রোহান ওই ট্যাংকিতে পড়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করে।

ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা জানান, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো অভিযোগ হয়নি।

;

প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন: নৈরাজ্য ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়বে সড়কে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইন, ২০২৪ এর কয়েকটি ধারায় শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ কমানোর উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তরুণ শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ প্রণীত হওয়ার পর তার কার্যকর বাস্তবায়ন দূরে থাক, সড়কে বিশৃঙ্খলা, অনাচার ও নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে। টিআইবি মনে করে, জনস্বার্থ বিবর্জিত প্রস্তাবিত সংশোধনীর ফলে আইনটি তার উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে আরো দুর্বল হয়ে পড়বে এবং মালিক-শ্রমিক পক্ষের হাতে সড়ক ব্যবস্থাপনার জিম্মিদশা আরো বাড়বে।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আইনের অন্তত ১২টি ধারায় পরিবর্তন এনে এবং অধিকাংশ ধারায় চালক ও চালকের সহকারীদের জেল জরিমানা ও শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন সংশোধন আইন-২০২৪ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আইনের ৬৯, ৭০, ৮১, ৮৪, ৮৫, ৮৬, ৯০, ৯৮, ১০৫ ধারায় শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ কমানো হয়েছে।

তবে সড়ক পরিবহন আইন ২০২৪-এ যানবাহনের বিমা বাধ্যতামূলক করা [ধারা ৬০ (২)], সুপারভাইজার সংযুক্ত করা [ধারা ৭১] এবং গণপরিবহনে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন অথবা নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায় সংক্রান্ত ধারা লঙ্ঘনের দণ্ড আলাদাভাবে করা [ধারা ৮০] হয়েছে। এ তিনটি সংশোধনীর সঙ্গে টিআইবির গবেষণালব্ধ সুপারিশের সামঞ্জস্য থাকায় সতর্ক সাধুবাধ জানিয়ে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলায় এনে তা জনগণের জন্য নিরাপদ করে তুলতে যেখানে জরিমানা ও শাস্তির বিধান যৌক্তিকভাবে বাড়ানো প্রয়োজন ছিলো, সেখানে সংশোধনীর মাধ্যমে শাস্তি কমিয়ে দেওয়া হলে সড়কে বিশৃঙ্খলা বাড়াবে এবং জনগণের জন্য আরো বেশি অনিরাপদ হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে, চালক-শ্রমিকদের আইন না মানার প্রবণতার পাশাপাশি সড়কে অনিয়মকেও উৎসাহিত করবে। সড়ককে নিরাপদ করে তুলতে নানা উদ্যোগের কথা বলা হলেও, অবস্থাদৃষ্টে সরকারের অবস্থান ঠিক তার উল্টোদিকে বলে প্রতীয়মান হয়। এমন সংশোধনের ফলে সড়কে অনিয়ম-দুর্নীতি, নৈরাজ্য আরো বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি যেমন সৃষ্টি হবে, তেমনি সড়ক-মহাসড়কে অনাকাঙ্খিত মর্মান্তিক মৃত্যুর মিছিল কেবল দীর্ঘই করবে।’

টিআইবির সাম্প্রতিক গবেষণায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকপক্ষের হাতে সড়ক ব্যবস্থাপনার জিম্মিদশার প্রকটতার বিষয়টি উঠে আসে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘সড়ক আইনের সংশোধনের মাধ্যমে শাস্তি ও জরিমানা কমিয়ে আনার বিষয়টি এ জিম্মিদশার সঙ্গে দৃশ্যত সম্পর্কিত। আইনে সংশোধন এনে শাস্তি কমানোর পেছনে সরকারের ওপর রাজনৈতিক মদদপুষ্ট মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের যে প্রভাব রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। এই সংশোধনী সংসদে গৃহীত হলে জনগণের স্বার্থ ভূলুণ্ঠিত হবে। এ আত্মঘাতী পথ থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

সংশোধন প্রক্রিয়ার কোনো ধাপেই প্রস্তাবিত সংশোধনীর খসড়া খাতসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের জন্য উন্মুক্ত না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। টিআইবি মনে করে, সড়কে জনগণের চাহিদা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রেক্ষিতে যাদের শৃঙ্খলায় আনতে আইনটি তৈরি করা হয়েছে, তাদের চাপে এবং স্বার্থে আইনের সংশোধন করা হলে আইনের সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। একইসঙ্গে যে উদ্দেশ্যে আইনটি করা হয়েছিল তা থেকে সরে দাঁড়ানো হবে। এমতাবস্থায়, খসড়া আইনটি চূড়ান্ত করার পূর্বে বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।

;